অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি মানুষ নির্ভয়ে ভোট দেবে। ভোট দিতে কেউ বাধা দিলে তাদের প্রতিহত করা হবে।
আজ ৫ জানুয়ারি শুক্রবার তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির চলামান আন্দোলনের সমালোচনা করে কাদের বলেন, হরতাল হলো একটা মরিচা ধরা হাতিয়ার, এ অস্ত্র বিএনপি আগেও ব্যবহার করেছে। তাতে লাভ হয়নি। এবারও হবে না৷
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কতগুলো আসন পাবে এবং বিরোধী দল কে হবে সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন শেষ হলে এ বিষয়টা তখনি পরিষ্কার হবে। স্পষ্ট হবে। এ মুহূর্তে এ নিয়ে কিছু বলার প্রয়োজন নাই। আমরা ইনশা আল্লাহ নির্বাচনে বিজয়ী হবো।
তিনি বলেন, কত আসন, সেটা এখন বলতে চাই না। মির্জা ফখরুলের মতো গণক হতে চাই না। ইলেকশনের রেজাল্টই বিরোধী দল কে হবে সেটা বলে দেবে।
নির্বাচন বিদেশিদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইলেকশনটা হতে দেন, গ্রহণযোগ্য হয়েছে কিনা বিদেশিরা বলবে।
কাদের বলেন, বিএনপি তাহলে ইলেকশনটা মোর কম্পিটিটিভ হতো। এখনও কম্পিটিটিভ হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন ভিসা নীতি আসবে না? আমরা এটা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জানতে চাই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, বিএনপি নিজেই একটা ডামি দল। বাংলাদেশ ডামি দল হচ্ছে বিএনপি।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংস্কারের কথা বলতে গিয়ে গত ৩০ বছর কোনো দেশের সরকার তাদের সাংবিধানিক অধিকার অন্য কোনো ব্যক্তির কাছে ছেড়ে দেননি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট ক্ষমতায় আসার পর সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালায়। আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করে। ১৬ জন সাংবাদিককে হত্যা করে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্বাচন কমিশন গঠনে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। যার অধীনে সাংবিধানিক পদের অধিকারীদের সমন্বয়ে সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইলেকশন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই কমিশন সর্বোচ্চ স্বাধীনভাবে কাজ করছে ।
এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, কোনো অপশক্তি যেন কোনো হামলা, সহিংসতা করতে না পারে, সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। পাহারায় থাকতে হবে। ভোটারদের প্রতি সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে ও অন্যকে ভোট দিতে উৎসাহীত করতে আহবান জানান ওবায়দুল কাদের।
চলারপথে রিপোর্ট :
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় খেলতে গিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লোহার দোলনার আঘাত পেয়ে শাহাদৎ হোসেন নামে এক দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আজ ৩০ আগস্ট বুধবার দুপুরে উপজেলার কিসামত চন্দ্রপুর এলাকার কিসামত চন্দ্রপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহাদৎ হোসেন উপজেলার কিসামত চন্দ্রপুর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে। সে ওই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুপুরে বিদ্যালয়ের লোহার দোলনায় খেলতে গিয়ে আঘাত পান দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র শাহাদৎ। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আদিতমারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে শিশুটি মারা যান। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি আর সারোয়ার ও আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিভাবকদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এ ঘটনায় কারো গাফিলতি ছিল কিনা তার তদন্ত করে দেখা হবে।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। শিশুর পরিবারসহ সকলের সাথে কথা বলছি। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জি আর সারোয়ার বলেন, ঘটনাস্থলে এসে অভিভাবকদের সাথে কথা বলা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বুধবার সেখানে তার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হবে। সার্জারির আগে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, মঙ্গলবার সকালে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হসপিটালে ভর্তি হন রাষ্ট্রপতি।
বুধবার সকালে কার্ডিয়াক সার্জন অধ্যাপক ডাক্তার কফিদিস থিওডোরোসের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রপ্রধানের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হবে। রাষ্ট্রপতি তার আশু আরোগ্য কামনায় দেশবাসীসহ সবার দোয়া চেয়েছেন।
এর আগে, সোমবার সিঙ্গাপুরে যান রাষ্ট্রপতি।
সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে দুই তরুণ-তরুণীর বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক, তারপর ঘর বাঁধার স্বপ্ন। তবে তাদের মধ্যে বাধা ছিল অনেক। দুই দেশ, ভিন্ন সংস্কৃতি। শেষ পর্যন্ত ভালোবাসারই জয় হয়েছে। তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ইতোমধ্যে সংসার শুরু করেছেন। এ দম্পতি হলেন পাবনার ঈশ্বরদী পৌর এলাকার পিয়ারখালী মহল্লার আসাদুজ্জামান রিজু (২৭) ও মার্কিন তরুণী হারলি এবেগেল আইরিন ডেভিডসন (২০)। রিজু কম্পিউটার মেরামত ও ফ্রিল্যান্সিং কাজ করেন। ডেভিডসনের বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের জর্জটাউন শহরে। সম্প্রতি ঢাকায় আসেন ডেভিডসন। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রিজুর পরিবারের সদস্যরা। রিজুর বাড়িতে মুসলিম রীতিতে বিয়ে হয়েছে।
রিজুর বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে কথা হয়। ডেভিডসনের সঙ্গে পরিচয় কীভাবে- জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বলেন, ২০২২ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে ডেভিডসনের সঙ্গে পরিচয়। তখনো জানতাম না তার বাড়ি কোথায়? বছরখানেক ধরে চেনাপরিচয়, বন্ধুত্ব। তারপর ধীরে ধীরে ভালোলাগা, প্রেমের সম্পর্ক। দুজনই তাদের পরিবারের সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে আলোচনা করেন। দুই পরিবারই সম্মতি দেয়। কিন্তু বাধা ছিল দূরত্ব। ডেভিডসন বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নেন। বিয়ের পর পিয়ারখালী এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন তারা। ভিন্ন পরিবেশে আস্তে আস্তে মানিয়ে নিচ্ছেন ডেভিডসন। এ সম্পর্কে রিজু বলেন, ডেভিডসন ভালোবেসে বাংলাদেশে এসেছেন। এজন্য তিনি গর্বিত। এ দেশে তার খাবার নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। কিছু কিছু বাংলা শিখেছেন। পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। বাংলাদেশে আসার আগে কিছুটা শঙ্কা ছিল ডেভিডসনের মনে। তিনি বলেন, এ দেশ সম্পর্কে অনেকে খারাপ ধারণা দিয়েছিলেন। এখন দেখি সেসব সত্য নয়। এ দেশ ভালো লাগছে। রিজু ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমি খুবই খুশি। বিদেশি হলেও পুত্রবধূকে পেয়ে খুবই খুশি রিজুর বাবা আবদুল লতিফ। তিনি বলেন, অসংখ্য মানুষ তাদের দেখতে আসছেন। এটা দেখে ভালো লাগছে। ছেলের শ্বশুরবাড়ি দেখার ইচ্ছা হচ্ছে। কিন্তু আদৌ তা সম্ভব হবে কি না জানি না। ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইছাহাক আলী মালিথা বলেন, ‘ওই ছেলেটির বাড়ি পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডে। আমি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম সাবুকে খোঁজখবর নিতে বলি। একই সঙ্গে সব নিরাপত্তার জন্য থানার সঙ্গে কথা বলার নির্দেশও দিই।’ কাউন্সিলর মনিরুল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের একটি মেয়ের সঙ্গে এলাকার একটি ছেলের বিয়ে হয়েছে খবর পেয়ে দেখতে গিয়েছিলাম। তাদের ভালোবাসার গল্প শুনে ভালো লাগল। ওই তরুণীর যেন কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার নাই। ২০১৪ সালে ভোট দিতে পারিনি, ২০১৮ সালে ভোট দিতে পারিনি। এখন আবার নির্বাচন আসছে, তারা (সরকার) আবার নির্বাচন-নির্বাচন খেলা শুরু করেছে।
আজ ৯ জুন শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক শ্রমিক-কর্মচারী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও দেশজুড়ে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে শ্রমিক দল।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে এ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। আজকে নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ। যদি তত্ত্বাবধায়ক নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হয় তাহলে কোনো নির্বাচন এদেশে হবে না। এজন্য এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নতুন নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নির্বাচন করতে হবে। এ ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নাই।
‘দুনিয়ার মজদুর এক হও’ স্লোগান ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকার যারা জোর করে ১৪ বছর ক্ষমতা দখল করে আছে তারা অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে, সচেতনভাবে সাধারণ মানুষের সমস্ত অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছে। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করেছে, তাদের কাজের কোনো সংস্থান নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে তাদের নাভিশ্বাস চলছে। অথচ আওয়ামী লীগের সরকারে যারা আছে, তাদের সঙ্গে যারা আছে তারা অন্যায় অর্থ উপার্জন করে, লুটতরাজ করে এদেশ থেকে টাকা পাচার করে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করাসহ একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি যে আন্দোলন শুরু করেছে তাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে শ্রমিক-কর্মচারীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ শ্রমিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশে আরো মার্কিন ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তার সরকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং দেশের ব্যবসায় পরিবেশ উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আজ ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার ঢাকায় একটি মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা সঠিক সময়ে এদেশে এসেছেন।’
এক্সিলারেট এনার্জির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্টিভেন কোবোসের নেতৃত্বে মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ করায় প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা করে স্টিভেন কোবোস বলেন, এটি বাংলাদেশে ব্যবসায় আস্থা বাড়াবে।
তিনি বলেন, ‘আপনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর বাংলাদেশে আগ্রহ অনেক বেড়েছে।’
কোবোস আরও জানান, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সদস্যসহ শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কোম্পানিগুলো দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে ব্যবসার সম্ভাবনা নিয়ে অনেক আগ্রহী।
এক্সিলারেট এনার্জির সিইও কোবোস বলেন, তার কোম্পানি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে আরও বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, কোম্পানিটি দেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ বৃদ্ধি করতে চায়। বর্তমানে এক্সিলারেট বাংলাদেশের দু’টি অফশোর ফ্লোটিং স্টোরেজ এবং রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটে (এফএসআরইউ) বিনিয়োগ করেছে, যা প্রতিদিন ১.১ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। দেশের দৈনিক গ্যাস সরবরাহের প্রায় ৩৪ শতাংশ এখান থেকে আসে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় প্রধান উপদেষ্টা ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। সেখানে এ সংগঠনের ৫০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে কিছু শীর্ষস্থানীয় আমেরিকান বহুজাতিক কোম্পানিও ছিল। ড. ইউনূস উপস্থিত মার্কিন ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।
সাক্ষাৎকালে স্টিভেন কোবোসের সঙ্গে প্রতিনিধিদলে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ এক্সিলারেট এনার্জির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন। পিটার হাস সম্প্রতি এক্সিলারেট এনার্জিতে স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজার হিসেবে যোগদান করেছেন। এছাড়া প্রতিনিধিদলে কোম্পানিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেরেক ওয়ং ও র্যামন ওয়াংডি এবং বাংলাদেশের আবাসিক ব্যবস্থাপক হাবিব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও জ্বালানি সচিব সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাসস।