চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি সংসদীয় আসনের ৩৪জন প্রার্থীর মধ্যে প্রয়াত দুই এমপির পুত্রসহ ২৫জন জামানত হারিয়েছেন। প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সাবেক দুই এমপি পুত্র হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী মাইনুল হাসান তুষার (সোনালী আঁশ প্রতীক) ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসনাত (মিনার প্রতীক)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৯১০। এই আসনে কলার ছড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জামান ৮৯ হাজার ৪২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।
এই আসনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মোঃ ইসলাম উদ্দিন পেয়েছেন ( মোমবাতি প্রতীক) ৪২৭ ভোট, জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহানুল করিম ওরফে গরীবুল্লাহ সেলিম-(লাঙ্গল প্রতীক) মাত্র ২০৪ ভোট, ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ বকুল হোসেন (হাতুড়ি প্রতীক) ১৪০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এই আসনে নির্বাচন করেন জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৭জন প্রার্থী। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৪০।
এই আসনে কলার ছড়ি প্রতীকে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিন মঈন ৮৪ হাজার ৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এই আসনে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভ‚ইয়া মাত্র ৩ হাজার ৪০৮ ভোট, এই আসনের ৬ বারের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়ার ছেলে তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী মাইনুল হাসান তুষার (সোনালী আঁশ প্রতীক) ৪ হাজার ৩১৮ ভোট, এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান প্রয়াত মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসনাত (মিনার প্রতীক) ৯৯৪ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মোঃ রাজ্জাক হোসেন (আম প্রতীক), ৩৭৯ ভোট ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ ( ফুলের মালা প্রতীক) ৫২২ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩-(সদর ও বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ২৯হাজার ৭৮৮। এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (নৌকা প্রতীক) ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
এই আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী শাহ জামাল রানা-(নোঙ্গর প্রতীক) ৯৩১ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির সোহেল মোল্লা (একতারা প্রতীক) সোহেল মোল্লা ৬৮৮ ভোট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী (বটগাছ প্রতীক), মুজিবুর রহমান হামিদী ৪৭৩ ভোট, ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সৈয়দ মোঃ নূরে আজম (মোমবাতি প্রতীক), ৩৭৬ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সৈয়দ মাকসুদুল হক আক্কাছ (আম প্রতীক), সৈয়দ মাহমুদুল হক ৩০৯ ভোট ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মোঃ আবদুর রহমান খান ওরফে ওমর (মশাল প্রতীক), ২২৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) আসনে আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩১ ভোট। এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি ২লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন।
এই আসনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) শাহীন খান (আম প্রতীক) ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট ও ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুস (ফুলের মালা প্রতীক) ৪ হাজার ৫৭৪ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৫-(নবীনগর) আসনে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ১লাখ ৭৬হাজার ৮৭৩ ভোট। এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান ১লাখ ৬৫ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ মোবারক হোসেন ( লাঙ্গল প্রতীক) মাত্র ৩ হাজার ৩৭৮ ভোট এবং ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মোঃ মেহেদী হাসান (মিনার প্রতীক) মাত্র ২ হাজার ৭৫৪ ভোট, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ (ফুলের মালা প্রতীক) মাত্র ৭৭৬ ভোট, বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী জামাল সরকার (একতারা) ৭৬২ ভোট, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম মামিনুল হক সাঈদ (ঈগল প্রতীক) ৪৭১ ভোট ও তৃনমূল বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান (সোনালী আঁশ প্রতীক) মাত্র ৪৩৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬-(বাঞ্ছারামপুর) আসনে আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ০৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ২ লাখ ৯৭০জন। এই আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম (নৌকা প্রতীক) ১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৯২ ভোট পেয়ে পঞ্চমবারের মতো বিজয়ী হন। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ আমজাদ হোসেন (লাঙ্গল প্রতীক) ২ হাজার ৮১৭ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী সফিকুল ইসলাম (আম প্রতীক) ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির প্রার্থী কবির মিয়া (একতারা প্রতীক) ১ হাজার ৩৭৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাদেকুল ইসলাম বলেন, প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের সম্মতিক্রমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৫টি উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) বদলি করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ শামীম আলম স্বাক্ষরিত একপত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সরওয়ার উদ্দীনকে নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলায় বদলি করা হয়েছে, তার স্থলে বদলি করা হয়েছে নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মেজবা উল আলম ভূঁইয়াকে। আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমাকে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলায় বদলি করা হয়েছে, তার স্থলে বদলি করা হয়েছে কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাবেয়া আক্তারকে। নাসিরনগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফখরুল ইসলামকে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলায় বদলি করা হয়েছে, তার স্থলে বদলি করা হয়েছে নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ ইমরানুল হককে। বাঞ্ছারামপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) একি মিত্র চাকমাকে চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলায় বদলি করা হয়েছে, তার স্থলে বদলি করা হয়েছে বান্দরবান পার্বত্য জেলার থানচি উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহা. আবুল মনসুরকে।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর এক আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদকে রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলায় বদলি করা হয়েছে, তার স্থলে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুবাইয়া আফরোজকে বিজয়নগর উপজেলায় বদলি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আয়োজনে আগামী বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার জেলা ঈদগাহ ময়দানে চরমোনাইর মাহফিলের নমুনায় ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত হবে। এতে বৃহস্পতিবার বাদ যোহর উদ্বোধনী বয়ান হবে। ৩ দিনব্যাপী মাহফিলের মূল মধ্যমণি হিসেবে করবেন আমীরুল মুজাহিদীন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই (৩য় দিন), নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই (২য় দিন), জামিয়া ইউনুছিয়ার মুহতামিম মুফতি মুবারকুল্লাহ দা.বা., জামিয়া দারুল আরকামের মুহতামিম আল্লামা শায়খ সাজিদুর রহমান দা.বা. ও পীর চরমোনাই রহ. -এর সাহেবজাদা মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের দা.বা. (১ম দিন)। 25068322আরো বয়ান করবেন পীর চরমোনাই রহ. -এর অন্যতম খলিফাত্রয় হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ পীর খুলনা, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী পীর কারীমপুর ও মাওলানা আব্দুল মজিদ পীর মোড়েলগঞ্জ। এছাড়াও মাহফিলে পীর মাশায়েখ ও খ্যাতিমান ওলামায়ে কেরাম বয়ান করবেন। উক্ত ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকিরে ৩ দিনের প্রয়োজনীয় বেডিং/ছামানা নিয়ে ধর্ম-বর্ণ ও দল-মত নির্বিশেষে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বামুকের জেলা ছদর আলহাজ্ব সৈয়দ আনোয়ার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সৈয়দ আবু ছালেহ ও মাহফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক আলহাজ্ব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ওয়ালী প্রমুখ।
https://www.profitablecpmrate.com/ituzvky0w?key=629d3cad52ec93612199eb57d46d63c7
মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির মিডিয়া সচিব হাফেজ মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রবিবার এসব তথ্য জানানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা সীমান্তে প্রায় ৫৮ লাখ টাকার বিপুল পরিমান মাদক ও চোরাই পণ্য উদ্ধার করেছে ৬০ বিজিবি সদস্যরা। আজ ১৯ জানুয়ারি রোববার পর্যন্ত ৩দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ও আখাউড়া, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে এসব চোরাই পণ্য উদ্ধার করা হয়।
বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে আজ পর্যন্ত ৩দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সুলতানপুর ৬০ বিজিবির সদস্যরা তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা আখাউড়া, কসবা, বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় বিজিবি সদস্যরা ৭০,৬০০ টি বাঁজি, ৯৪৫ কেজি চিনি, ২৭০ কেজি বাসমতি চাউল, ২৫,২০০ প্যাকেট বিস্কুট, ১ টি কাভার্ড ভ্যান, ৯৭ বোতল হুইস্কি, ৯৪ বোতল ইস্কফ সিরাপ, ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ১২৮৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। এই সব অবৈধ পণ্য উদ্ধারের সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত অবৈধ পণ্যের মূল্য ধরা হয়েছে ৫৭ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫০ টাকা।
সুলতানপুর ৬০ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার জানান, উদ্ধারকৃত ভারতীয় চোরাচালানী মালামাল আখাউড়া ও কুমিল্লা কাস্টমসে জমা দেয়া হয়েছে। সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে ৬০ বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহান মে দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুিষ্ঠত হয়েছে। গত বুধবার সকালে শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত র্যালি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আলাউদ্দিন আলালের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত এড. লোকমান হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার মোঃ আবু জাইদ।
বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ জামাল মিয়া, সহ-সভাপতি মোঃ স্বপন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাদিরুজ্জামান সরকার, সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, কোষাধ্যক্ষ মোঃ ইব্রাহিম মিয়া, দফতর সম্পাদক মোঃ কালু মিয়া, প্রচার সম্পাদক মোঃ আঃ করিম, সাব ঠিকাদার মোঃ হাজী রফিকুল ইসলাম, সদস্য মোঃ বাক্কি মিয়া, মোঃ কামাল মিয়া, মোঃ ওবায়দুল হক, মোঃ মজনু মিয়া, রেনু মিয়া, কালিসীমার সভাপতি মোঃ আক্তার খাঁ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা মে দিবসের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় বক্তারা আরো বলেন, মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিবস।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈশাখী মেলা চলাকালে দুই গ্রামের দুই ব্যক্তির মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। আর সেখান থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানালেন একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ও হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘটিত এই সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ও লাখাই উপজেলার মুড়াকরি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পোঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ থামাতে এসময় লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল ও ২২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়েছে মর্মে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক এলাকায় বৈশাখী মেলা চলাকালে পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়াকরি গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ফান্দাউক গ্রামের একজনের কথা কাটাকাটি হয়।
এ সময় বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে মীমাংসা করে দেওয়া হয়। তবে সন্ধ্যার দিকে দুইপক্ষের কয়েকশ’ লোক স্থানীয় একটি মাঠে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
এ বিষয়ে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহাগ রানা সাংবাদিকদের বলেন, “তুচ্ছ ঘটনার জেরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”
তিনি আরো বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল ও ২২ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’