চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শফিকুল ইসলাম শফিক হত্যা মামলার ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। নিহত শফিকুল ইসলাম সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের গৌতমপাড়ার ধন মিয়া খন্দকারের ছেলে। শফিক পেশায় একজন ট্রাক চালক ছিলেন।
গতকাল সোমবার রাতে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে মোঃ কাছম আলী (৫৫), কাছম আলীর ছেলে মোঃ জামান মিয়া (২৭) ও একই গ্রামের মোঃ ডাক্তার আলীর ছেলে মোঃ রিয়াদ মিয়া (২০)।
আজ ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-৯, সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৩ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার গৌতমপাড়া গ্রামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শফিকুল ইসলাম শফিকের চাচাতো ভাই বাকপ্রতিবন্ধী মোঃ আবদুল্লাহর সাথে কাছম আলীর পক্ষের লোকজনের প্রথমে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জেরে পরদিন ৪ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় কাছম আলীর লোকজন শফিকুল ইসলাম শফিকে ঘাটুরা পেট্টোল পাম্পের সামনে একা পেয়ে এলোপাথারি মারধোর ও ছুরিকাঘাত করে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শফিককে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় শফিকের ভাই বাদী হয়ে কাছম আলীকে প্রধান আসামী করে চারজনের নাম উল্লেখ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃতদেরকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৮ ডিসেম্বর রবিবার বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইউনিটের যুব সদস্যদের নিয়ে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, সেফার এক্সেস বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ৩ দিন ব্যাপী (০৬-০৯ ডিসেম্বর ২০২৪) সেফার এক্সেস বিষয়ক কর্মশালা এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মবাড়িয়া রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের যুব প্রধান ইফতেয়ার উদ্দিন রিফাতের সভাপতিত্বে কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের ”ইউনিট লেভেল অফিসার ইমরান হোসেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেডক্রিসেন্ট ইউনিট এর সাবেক যুব প্রধান সালাহ উদ্দিন ভূইয়া, সাবেক যুব প্রধান ও প্রশিক্ষক ফয়সাল উদ্দিন ভূইয়া, সাবেক যুব প্রধান ও প্রশিক্ষক শাহিদুল ইসলাম অপু, ইউনিটের উপ যুব প্রধান-১ ফাহিম মুনতাসির।
ইউনিটের প্রশিক্ষন বিভাগের প্রধান সাব্বির ভূইয়ার সঞ্চালনায় ৩দিনের সেফার এক্সেস কর্মশালা পরিচালনা করেন ফেসিলিটেটর মো: ফয়সাল আহমেদ ও সোনিয়া আক্তার।
ইউনিটের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মনির হোসেনের সার্বিক সম্মনয়ে ৩০ জন যুব সদস্য কর্মশালায় অংশগ্রহন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় খাইরুল ইসলাম খোকন (৪০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
৩ জুন শনিবার রাতে উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কুড্ডা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত খাইরুল ইসলাম খোকন কুড্ডা গ্রামের কুড়াবাড়ির আবু সাইদ মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলার বাসুদেব গ্রামের মলাই মিয়ার কাছে একই এলাকার শাহ আলম ১ হাজার ৯০০ টাকা পেতেন। এর মধ্যে মলাই মিয়া কিছু দিন আগে শাহ আলমকে ৫০০ টাকা ফেরত দেন। বাকি ১ হাজার ৪০০ টাকা নিয়ে শাহ আলমের সঙ্গে মলাই মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য শনিবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের কুড্ডা গ্রামের মেহের আলী শা মাজারের সামনে সালিশ বসে। সালিশে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মলাই মিয়া গ্রুপের লোকজন শাহ আলম গ্রুপের লোকদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে খায়রুল ইসলাম খোকনের গলায় বল্লম (দেশীয় অস্ত্র) বিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় পার্শ্ববর্তী আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনকে আটক করেছে। পরে রাত ১২টায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামক একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় ইশতিয়াক আহমেদ প্রকাশ ইকরাম (২১) নামে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার বেলা ১১টার দিকে নিহতের স্বজনসহ স্থানীয়রা হাসপাতালে ভাংচুর করেছে।
পাশাপাশি শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ও মানববন্ধন করেছে নিহতের স্বজনসহ বন্ধুরা। নিহত ইশতিয়াক আহমেদ সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের চান্দিয়ারা গ্রামের হাজী সহিদ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় লোকজন, নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ইশতিয়াক বেশ কয়েকদিন ধরে নাকের পলিপাস সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর নাকের মাংস বেড়ে গিয়েছিল। নাকের অস্ত্রোপচারের জন্য গত শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে সে জেলা শহরের পুরাতন জেলরোডস্থ আল খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হয়।
ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিডফোর্ট হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ রাফিউল আলম তার অস্ত্রোপচার করেন। শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ইশতিয়াককে ওই হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষে নেয়া হয়। সেখানে তাকে অচেতন করার ইনজেকশন দেন অবেদনবিদ (এনেস্থেশিস্ট) ফৌজিয়া মমতাজ সুপ্তি। অস্ত্রোপচারের পর অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে অচেতন ও আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়।
পরে বিষয়টি জানতে পেরে রোগীর মা শরিফা বেগম ও তাঁর ভাবী ভয় পেয়ে চিৎকার-চেচামেচি শুরু করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে পুনরায় অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে যান। এরপর থেকে রাত পর্যন্ত স্বজনরা বার বার ইশতিয়াককে দেখার চেষ্টা করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে দেখার সুযোগ দেননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইশতিয়াক ভালো আছেন বলে তার স্বজনদের আশ্বস করেন। এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে রোগীর স্বজনকে না জানিয়ে অচেতন অবস্থায় ইশতিয়াক জেলা শহরের কুমারশীল মোড়ের ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইসিইউ স্পেশালাইডজ এন্ড জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে স্থানান্তর করে আল খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইশতিয়াকের মৃত্যু হয়।
বেলা ১১টার দিকে ইশতিয়াকের স্বজনরা আল খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাসপাতালের একজন মালিকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেন। বেলা ১২টার দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়।
এদিকে দুুপুর দেড়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে নিহতের স্বজন ও বন্ধুরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন। সেখানে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহসহ নিহতের বন্ধুরা বক্তব্য রাখেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন আল খলিল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক নাজমুল সাকিব (৩২), কর্মী আরিফুল ইসলাম (২৮) ও এমদাদুল বাছির (৩৩)।
দুপুরে ভুল চিকিৎসায় ইশতিয়াকের মৃত্যুর অভিযোগ এনে নিহেতর বড় ভাই বাচ্চু মিয়া বাদী হয়ে আল খলিল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান খলিলুর বশির, চিকিৎসক রাফিউল আলম ও ফৌজিয়া আক্তার টিকলিকে আসামী করে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
নিহতের ভাবী আরজিনা আক্তার বলেন, ইশতিয়াককে সুস্থ অবস্থায় অস্ত্রোপচার কক্ষে নেয়া হয়। চিকিৎসক রাফিউল আলম তার অস্ত্রোপচার করেন। বিকাল চারটায় অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে বেডে নেয়া হয়। কিছুক্ষণ পর পর তাঁকে ডাকতে ও নাড়াচাড়া করানোর কথা বলেন চিকিৎসক। এক পর্যায়ের তাঁর হাত পা ঠান্ডা ও কালো হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে তাঁকে পুনরায় অপারেশন থিয়েটর নেয়া হয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসক ফোৗজিয়া সঠিকভাবে এনেস্থেসিয়া না দেয়ায় তাঁর এমন অবস্থা হয়েছে বলে জানতে পারি। আমাদেরকে কিছু না বলে তাঁকে অন্য হাসপাতালের আইসিউতে নিয়ে যায় ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শনিবার বেলা ১২টায় আইসিইউ হাসপাতাল ইশতিয়াকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইসিইউ স্পেশালাইডজ এন্ড জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) আবু কাউসার বলেন, তাকে আইসিইউতে অচেতন অবস্থায় আনা হয়। শনিবার সকাল সোয়া সাতটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে নাক কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ডাঃ রাফিউল আলমকে একাধিকবার ফোন করলে তিনি রিসিভ করনে নি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, ইশতিয়াকে মৃত্যুর বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে তার ভাই বাচ্চু মিয়া। ঘটনার প্রেক্ষিতে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কনসেপ্টই হত্যা করেছে বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার সুযোগ নেই। এটি মৃত ইস্যু।
তিনি বলেন, যথাসময়ে নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার অধীনে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আজ ২৪ জুন শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এম.পি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, এখন সরকারের সব অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা যখন বলি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ তখন তারা বলে ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’। চারদিকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের আস্থা দেশের জনগণের ওপর। আর জামায়াত-বিএনপির আস্থা বিদেশিদের ওপর, যারা ’৭১ সালে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল, ’৭৪ সালে যারা ত্রাণের জাহাজ ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, যাদের প্রত্যক্ষ মদদে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল, সেই বিদেশি শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে তারা গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে আয়োজিত জনসভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি’র সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রমুখ।
সভা সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় পারিবারিক বিরোধের জেরে এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে গাছের সাথে ৩ঘণ্টারও বেশি সময় বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তার সন্তানদের করা হয় মারধর। ইতিমধ্যে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
২২ এপ্রিল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ইতিমধ্যে মামলার আসামি দুই ভাসুরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২১ এপ্রিল সোমবার বিকেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সুলতানপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়া মন্তাজ মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। প্রকাশ্যে এমন নির্যাতনে প্রতিবেশীরা বাঁধা দিলেও তাতে কাজ হয়নি। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপে উদ্ধার করা হয় ওই নারীকে।
ভুক্তভোগী নারী শারমিন আক্তারের অভিযোগ, তার স্বামী মো. হায়দার আলী দীর্ঘদিন ধরে সৌদি প্রবাসী। তবে টাকার লেনদেন ও বিভিন্ন পারিবাকি বিষয় নিয়ে শারমীনের সঙ্গে প্রায়ই তার ভাসুরসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিরোধে জড়ায়। সোমবার বিকেলও স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় দুই ভাশুর মঙ্গল মিয়া ও জয়নাল আবেদীনসহ পরিবারের লোকজন তাকেসহ সন্তানদের মারধর করে। এক পর্যায়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে চালানো হয় শারীরিক নির্যাতন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি চান।
শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের দাবি শারমীনের বেপরোয়া চলাচলে বাঁধা দেওয়ায় শারমীন তার শ্বশুর মন্তাজ মিয়াকে মারধর করে। এরই জের ধরে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শারমিন থানায় সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। ইতিমধ্যে দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।