শফিক হত্যা মামলার তিন আসামী গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 9 January 2024, 470 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শফিকুল ইসলাম শফিক হত্যা মামলার ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। নিহত শফিকুল ইসলাম সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের গৌতমপাড়ার ধন মিয়া খন্দকারের ছেলে। শফিক পেশায় একজন ট্রাক চালক ছিলেন।

গতকাল সোমবার রাতে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে মোঃ কাছম আলী (৫৫), কাছম আলীর ছেলে মোঃ জামান মিয়া (২৭) ও একই গ্রামের মোঃ ডাক্তার আলীর ছেলে মোঃ রিয়াদ মিয়া (২০)।

আজ ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাব-৯, সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৩ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার গৌতমপাড়া গ্রামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শফিকুল ইসলাম শফিকের চাচাতো ভাই বাকপ্রতিবন্ধী মোঃ আবদুল্লাহর সাথে কাছম আলীর পক্ষের লোকজনের প্রথমে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জেরে পরদিন ৪ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় কাছম আলীর লোকজন শফিকুল ইসলাম শফিকে ঘাটুরা পেট্টোল পাম্পের সামনে একা পেয়ে এলোপাথারি মারধোর ও ছুরিকাঘাত করে।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শফিককে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় শফিকের ভাই বাদী হয়ে কাছম আলীকে প্রধান আসামী করে চারজনের নাম উল্লেখ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃতদেরকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

Leave a Reply

চিকিৎসা সহায়তা প্রদান

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্যোগে আশার সদস্যদের মাঝে Read more

সরাইলে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইলে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা Read more

আশুগঞ্জে গাঁজাসহ গ্রেফতার ২

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জে ২৩ কেজি গাঁজাসহ মোঃ সুমন (৩০) Read more

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দ মিছিল,…

চলারপথে রিপোর্ট : ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় Read more

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের খবরে ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল

চলারপথে রিপোর্ট : অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার খবরে আখাউড়ায় Read more

ঘরের মাঠে বড় পরাজয় বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক : ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজ দিয়ে Read more

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন

অনলাইন ডেস্ক : সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে Read more

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল…

চলারপথে রিপোর্ট : রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ করার দাবিতে Read more

চালক নয়নকে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার কেরানীগঞ্জে মো. নয়ন (২৫) নামের এক Read more

ভারতকে ৩-১ হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক : সেমিফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল শক্তিশালীয় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কার্ডধারিদের মধ্যে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়…

চলারপথে রিপোর্ট : নিম্ন আয়ের কার্ডধারীদের মধ্যে ভুর্তুকিমূল্যে অক্টোবর মাসের Read more

আখাউড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীদের মাঝে মাছের…

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়ায় বন্যা, অতিবৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে Read more

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকারের মতবিনিময়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 16 February 2023, 970 Views,

স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার বলেছেন, একটি পক্ষ আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এখনো কোন প্রকল্প পাস কিংবা অর্থ বরাদ্দ হয়নি। তাহলে অনিয়ম হল কোথায়? তারা রাজনৈতিকভাবে আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোতিভাবে এমনটি করছেন।

তিনি আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লাসহ কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পক্ষ থেকে দেয়া এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেওয়া উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।

এ সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের কার্যকালে রাজস্ব ও এডিপির বরাদ্দে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়নে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এসব অভিযোগের মধ্যে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল আলমের বিরুদ্ধে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি সরকারি নিবন্ধনবিহীন মাদ্রাসার নামে দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ ও জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের শালগাঁও-কালিসীমা গ্রামের শতাধিক প্রকল্পের নামে কয়েক কোটি সরকারি টাকা হরিলুটের অভিযোগ উল্লেখযোগ্য।

তিনি বলেন, অনুসন্ধ্যানে জানতে পেরেছি, ২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২-২২ অর্থবছর পর্যন্ত সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের পয়াগ দারুল উলুম মাদ্রাসার নামে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল আলম ১ কোটি ৫৫লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। একই সময়ে জেলা পরিষদের সদস্য সদস্য মোঃ বাবুল মিয়া সদর উপজেলার কালিসীমা-শালগাঁও গ্রামে বিভিন্ন খাতে ১১৮টি প্রকল্প দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

জেলা পরিষদ সদস্য পায়েল হোসেন মৃধা সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনয়নসহ পাশ্ববর্তী বিভিন্ন ইউনিয়নে ভূয়া প্রকল্প বরাদ্দ করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। নাসিরনগর উপজেলা থেকে নির্বাচিত সাবেক সদস্য ফারুকুজ্জামান ফারুক উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র একটি গ্রামে এভাবে বরাদ্দ দিতে পারে না। একইভাবে একটি প্রকল্প শেষ হতে না হতেই একই প্রতিষ্ঠানে বার বার বরাদ্দ দেওয়া যায় না। যা সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলম দিয়েছেন।

মতবিনিময় সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার আরো বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদের নির্বাচিত ৮জন সদস্য স্থানীয় সরকার উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর কাছে জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে (আল-মামুন সরকার) বিধি বহির্ভূতভাবে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ প্রদানসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জেলা পরিষদের প্রথম সভা থেকে নির্বাচিত সদস্যদের পাশ কাটিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার।

তিনি নিজ ক্ষমতাবলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে চার লাখ টাকা, মেয়রকে চার লাখ ও ইউপি চেয়ারম্যানকে তিন লাখ টাকা করে বরাদ্দের বিভাজন করেছেন। যা স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদিত রাজস্ব তহবিল ও এডিপির বরাদ্দের ব্যবহার নীতিমালা ২০২২ এর পরিপন্থী।

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল গেজেট বিপ্তপ্তিতে জেলা পরিষদ আইন ২০০০ এর অধিকতর সংশোধনীর প্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদের প্রণীত ২০২২ সালে ১০ নং আইন মোতাবেক প্রত্যেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ক্ষেত্রমতে সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের প্রতিনিধি পদাধিকার বলে জেলা পরিষদের সদস্য।

এছাড়া জেলা পরিষদের এডিপি ও রাজস্ব খাতের অর্থে প্রকল্প গ্রহন, বাস্তবায়ন ও বন্টন নীতিমালা ২০০০ এর ৩ ধারা এর ৩ মোতাবেক জেলা পরিষদের প্রকল্প প্রণয়নের সময় জেলাধীন সকল উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে সমন্বয় করে জনসংখ্যার সংখ্যানুপাতে প্রকল্প গ্রহন ও অনুমোদন করতে হবে। সেই অনুসারে তাদের প্রকল্পের প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে।

আল মামুন সরকার বলেন, তাদের অভিযোগটি সঠিক নয়। কারণ পরিষদে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রকল্পের প্রস্তাব দিতে বলা হয়েছে। প্রকল্পের প্রস্তাব দিলে সেটি পরবর্তী সভায় পাস হবে। পরবর্তী সভা এখানো হয়নি। অনুমোদনের জন্য প্রকল্প মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় সেই প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে অর্থ বরাদ্দ দিবেন। পরে দরপত্র আহবান করা হবে। যার কোনো কিছুই এখনো হয়নি।

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি যদি কোন অনিয়ম করি তাহলে আপনারা আমার বিরুদ্ধে লিখবেন। সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) আমিনুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সদস্য আবদুল আজিজ ও রুমানা ফেরদৌসিসহ জেলা পরিষদের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের সদস্য (সদর উপজেলা থেকে নির্বাচিত) ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মোঃ বাবুল মিয়া সাংবাদিকদের জানান, গত ৫ বছরে বিভিন্ন খাতে ১১৮টি প্রকল্প দিয়েছি। সকল প্রকল্পই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। অবহেলিত ও যাদের প্রয়োজন তাদেরকেই প্রকল্প দিয়েছি। সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সত্য নয়। উল্লেখ্য মোঃ বাবুল মিয়া জেলা পরিষদের বিগত পরিষদেও সদস্য ছিলেন।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল আলমকে কয়েকবার তার মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভি করেননি।

জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের উদ্যোগে বর্ষাবন্দনা ও কৃতী সম্মাননা অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 26 June 2023, 780 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ্, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার উদ্যোগে গতকাল রবিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ হলে হয়ে গেল বর্ষাবন্দনা ও কৃতী সম্মাননা অনুষ্ঠান। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ উর রহমান।

জাতীয় শিক্ষাসপ্তাহ’২৩ -এ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিনিধি হয়ে বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে যারা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে তাদেরকে প্রথমবারের মত সম্মিলন পরিষদের পক্ষ থেকে সম্মননা প্রদান করা হয়। কৃতী শিল্পীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন সংগঠনের উপদেষ্টা প্রফেসর বিভূতি ভূষণ দেবনাথ,সভাপতি মানবর্দ্ধন পাল, সহসভাপতি সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, ডাঃ অরুনাভ পোদ্দার এবং সাধারণ সম্পাদক মাসুদ উর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্রের সভাপতি ওসমান গনি সজীব, তিতাস আবৃতি সংসদের পরিচালক মনির হোসেন, এবং তরী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি শামীম আহমেদ।

বরাবরের মতোই আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে এ সম্মেলক গানটি গাওয়ার মধ্যে দিয়ে অতিথিদের নিয়ে প্রদীপ প্রজ্বালন করা হয়। তার পর পরই ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বিশিষ্ট নজরুলসঙ্গীত শিল্পী ডা. আফরোজা মোমেন পরপর দুটি নজরুলসঙ্গীত গেয়ে শোনান। এছাড়া সম্মাননা প্রাপ্ত শিল্পীদের মধ্যে একটি করে বর্ষার গান পরিবেশন করেন তনুজা দেবনাথ, প্রিয়ম আচার্য,সাজ্জাদ হোসেন খান প্রান্ত, প্রান্তিকা সাহা প্রথা, অর্পিতা রায়,উপমা দেবনাথ,ইতি ঘোষ,অনন্যা কর্মকার অদিতি। আবৃত্তি পরিবেশন করেন সম্মাননা প্রাপ্ত কৃতী আবৃত্তি শিল্পী রেজা এ রাব্বি। জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্রসঙ্গীতে প্রথম হওয়া তনুজা দেবনাথ যখন এই উদাসী হাওয়ার পথে পথে গানটি পরিবেশন করছিলেন তখন পিনপতন নীরবতা নেমে এসেছিল পুরো মিলনায়তনে। মন্ত্রমুগ্ধের মত উপভোগ করেছেন শতাধিক দর্শক শ্রোতা।

কী-বোর্ডে ছিলেন আব্দুর রাহীম এবং তবলায় সুদীপ্ত সাহা মিঠু। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন কোষাধ্যক্ষ জামিনুর রহমান এবং সংগঠনের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আসিফ ইকবাল খান।

অংশগ্রহণকারী সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন –
১. তনুজা দেবনাথ (ঘ – গ্রুপ)
রবীন্দ্রসংগীত ও হামদ-নাতে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম।
২. প্রিয়ম আচার্য (খ – গ্রুপ)
রবীন্দ্রসংগীতে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম।
৩.প্রান্তিকা সাহা প্রথা (ক – গ্রুপ)
রবীন্দ্রসংগীতে জেলা পর্যায়ে প্রথম।
৪.উপমা দেবনাথ (গ গ্রুপ)
নজরুল ও উচ্চাঙ্গসংগীতে জেলা পর্যায়ে প্রথম।
৫.অনন্যা কর্মকার অদিতি (ক গ্রুপ)
দেশাত্মবোধক গানে বিভাগীয় পর্যায়ে দ্বিতীয়।
৬.ইতি ঘোষ (ঘ – গ্রুপ)
উচ্চাঙ্গসংগীতে জেলা পর্যায়ে প্রথম।
৭.সাজ্জাদ হোসেন খান প্রান্ত (ঘ গ্রুপ)
নজরুলসঙ্গীতে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম।
৮. অর্পিতা রায় (গ-বিভাগ)
রবীন্দ্রসংগীতে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম।
৯.রেজা এ রাব্বী
আবৃত্তি (ঘ – গ্রুপ) বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম।

মাতৃদুগ্ধ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 11 September 2023, 637 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে মাতৃদুগ্ধের গুরুত্ব, উপকারিতা এবং মাতৃদুগ্ধ বিকল্প আইন ২০১৩ ও বিধি ২০১৭ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা আজ ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বেলা ১১টায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীন।

সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহর সভাপতিত্বে অবহিতকরণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের উপ-পরিচালক মাহমুদুল বাশার, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের সহকারি পরিচালক জয়াশীষ রায়।

বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের স্লাইড প্রদর্শন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক ডাঃ মাহমুদুল হাসান।

অবহিতকরণ কর্মশালায় বক্তব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।

কর্মশালায় বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশে মাতৃদুগ্ধ দিবস জাতীয়ভাবে পালন করা হচ্ছে। মায়ের দুধের কোন বিকল্প নেই। মায়ের দুধই হচ্ছে শিশুদের সর্বোত্তম খাদ্য। বাংলাদেশে শতকরা ৬৫ ভাগ শিশু মায়ের দুধ পান করে। যা বিশ্বে সর্বোচ্চ।

সভায় বলা হয়, মায়ের দুধের কোন বিকল্প হতে পারেনা। এর পরেও যদি পরিস্থিতির কারণে কোন শিশুকে বিকল্প খাবার দিতে হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪০ জনের নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 27 September 2024, 39 Views,

মামলা করার পরদিনই মামলা প্রত্যাহার করেছেন বাদী। ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন শহরের কাজীপাড়া গোকর্ণ রোডের বাসিন্দা মো: শিহাব উদ্দিন চৌধুরী। এতে গত ৪ আগষ্ট শহরের মৌলভীপাড়া ও পৌর মুক্ত মঞ্চ এলাকায় সংগঠিত ঘটনার বিষয়ে দায়ের করা এই মামলায় সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ ২৪০জনকে এজাহারনামীয় আসামী করা হয়। অজ্ঞাত আসামী করা হয় আরো এক-দেড়শো জনকে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৪ আগস্ট ১ থেকে ৫নং আসামীর নির্দেশে অন্যান্য আসামীরা তিনিসহ কয়েকজন সাক্ষীর উপর হামলা করেন। এতে তারা বেশ কয়েকজন আহত হন। এছাড়া আসামীরা ব্যাংক এশিয়া, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়, নন্দিতা কালার ল্যাবসহ বিভিন্ন স্থাপনায় পেট্রল বোমা ও ককটেল মেরে আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি করে। আদালত মামলাটিকে নথিভুক্ত করতে সদর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।

মামলায় এজাহারনামীয় আসামীদের উল্লেখযোগ্য কয়েকজন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ, ডাক্তার আবু সায়ীদ, ডাক্তার ডিউক চৌধুরী, ব্যবসায়ী আশিষ পাল, পৈরতলার কাউসার মিয়া, মধ্যপাড়ার আল মামুন, রাধুনী হোটেলের মো: ফখরুল হাসান, কসবার গোপীনাথপুরের প্রিন্সিপাল আকরাম খান, সদরের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো: মহসীন মিয়া, নাটাই উত্তরের আবু সায়ীদ চেয়ারম্যান, কালীসীমার শাহআলম চেয়ারম্যান, নাটাই দক্ষিণের সাবেক চেয়ারম্যান কদর আলম সিদ্দিকী, ইউপি সচিব মান্না চক্রবর্তী।

গতকাল ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার এই মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন বাদী।

বাদী মো: শিহাব উদ্দিন চৌধুরী মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা স্বীকার করলেও এবিষয়ে আর কোন কথা বলতে রাজী হননি। বাদী পক্ষের একজন আইনজীবি জহিরুল ইসলাম মামলা প্রত্যাহারের কারন সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান-বাদী বলেছেন স্বাক্ষীদের ভুল তথ্য বা তার ভুল বুঝাবুঝির কারনে মামলা করেছিলাম। আমি মামলা চালাবোনা। প্রত্যাহার করে নিলাম।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, 21 April 2024, 290 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে আবুল কালাম আজাদ ভূইয়া (৫৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ২০ এপ্রিল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-আগরতলা সড়কের কোড্ডা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন।

এই দুর্ঘটনায় একই কার্যালয়ের প্রশিক্ষক জিয়াউর রহমানসহ (৩৮) আরো ৪ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস সূত্রে জানা যায়, বিকেলে একটি জরুরি সভায় অংশগ্রহণ করেন আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়া।

সভা শেষে তিনি প্রশিক্ষক জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আখাউড়ায় যান। সেখান থেকে রাতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফেরার পথে কোড্ডায় তিতাস নদীর সেতুর আগে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তারা দু’জনসহ ৫ জন আহত হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।