চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ ১০ জানুয়ারি বুধবার সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় প্রাঙ্গনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অসিম কুমার পালের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি জনগনের জন্য কাজ করে। আশা করি আগামীতেও দেশের এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি বক্তব্যে তিনি টানা চতুর্থ বারের মত বিজয়ী হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
এছাড়াও তিনি বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য সৈয়দ এ. কে. একরামুজ্জামান সুখনকে অভিনন্দন জানিয়ে তার পাশে থেকে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মোহাম্মদ জিতু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক লতিফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক রায়হান আলী ভূঁইয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল চন্দ্র চৌধুরী, ভলাকুট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কার্তিক চন্দ্র দাস প্রমুখ। এছাড়াও সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে দলীয় নেতাকর্মীরা এক শোভাযাত্রার মাধ্যমে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে প্রান্তিক শিশুদের অধিকার, উন্নয়ন ও মননশীলতা বিকাশের লক্ষ্যে উপজেলার জেঠাগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে “মিট দ্যা চিলড্রেন” শীর্ষক কর্মশালা আজ ২ মার্চ শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
“শিশুরা দেশের সব চাইতে মূল্যবান সম্পদ, কেননা স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণে তাদের হাত ধরেই আসবে আগামী দিনের সমষ্ঠিগত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জেঠাগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির ১৫০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন “মিট দ্যা চিলড্রেন” বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ আরিফ ইকবাল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আওতাদ হোসেন খানঁ, নাসিরনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান চৌধুরী, শিক্ষানুরাগী মোঃ মাহবুবুর রহমান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য, মোঃ শহীদ মাষ্টার, বিপ্লব দেব।
দিনব্যাপী কর্মশালা পরিচালনা করেন বিশিষ্ট মোটিভেশনাল স্পিকার ও লিডারশীপ ট্রেইনার মো: এখলাছ উদ্দিন।
উক্ত কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা, শিক্ষা পরিকল্পনা, খেলাধূলা, বিজ্ঞান চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চা ও সৃষ্ঠিশীল বিভিন্ন কার্যক্রমের উপর আলোকপাত করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ৫ শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ৭দিন কারাভোগের পর জামিনে এসেও পুলিশ আতঙ্কে ভুগছে ভুক্তভোগী শিশু সাকিবুল। সে সদর ইউনিয়নের টেকানগর গ্রামের উসমান মিয়ার ছেলে। শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভয়ে সাকিবুলের সহপাঠী এবং অন্য শিশুরাও এখন স্কুলে যেতে চাচ্ছে না। ঘটনাটি নাসিরনগর উপজেলা সদরের টেকানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
গত ৪ জুলাই নাসিরনগর থানায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ভুক্তভোগী এক শিশুর পিতা মো. জালাল উদ্দিনকে বাদী করে নাসিরনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে নাসিরনগর থানা পুলিশ। যদিও বাদীর দাবি পুলিশ তাকে থানায় ডেকে এনে মামলার বাদী হতে বলেছে।
এবিষয়ে মামলার বাদী মো. জালাল উদ্দিন বলেন, “আমাকে থানায় ডেকে এনে বলছে তুমি মামলার বাদী হইবা। পরে আমারে বসাইয়া রাইখা মামলা লেইখা এরা আমার সই নিছে। আমার মেয়ে ছোট, নদীতে দল বেধে খেলাধুলা করে, গোছল করে। সময়ে কাপড় পড়ে আবার সময়ে কাপড় ছাড়াই গোছল করে।”
ভুক্তভোগী শিশু শিক্ষার্থী সাকিবুল মিয়া জানান, “আমি সকাল সাতটার সময় সহপাঠীর সাথে প্রাইভেট পড়তে নাসিরনগর যাই। সকালের প্রাইভেট শেষে স্কুলে যাই দশটার সময়। তখন আমাদের পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শেষে বিকাল চারটার দিকে অন্য আরেকটা প্রাইভেটে যাই। সেখান থেকে আমার বাবা আমাকে থানায় নিয়ে আসে। আমি কিছুই জানিনা অথচ থানায় নেওয়ার পর পুলিশ আমাকে জেলে দিয়ে দিল।”
সাকিব আরো বলে, “আমি অসুস্থ্য, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। জেলে থাকতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে। নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি। আমার গ্রামের স্কুলের ম্যাডামরা আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। এখন আর স্কুলে যেতে ইচ্ছে করে না। পুলিশ দেখলে ভয় লাগে আবার যদি ধরে নিয়ে যায়।”
মামলার স্বাক্ষী ও টেকানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রওশন আরা বলেন, ঘটনার দিন ছিল বন্ধের পর স্কুল খোলার প্রথম দিন। সকাল ৯টার সময় স্কুলে ঢুকে ৫জন মেয়ে বাচ্চাকে শ্রেণিকক্ষের ভিতরে দেখতে পায় আমার সহকারি শিক্ষক সালমা আক্তার। এদের কয়েকজনের পড়নে পোশাক ছিল না। কিন্তু কোনো ছেলেকে আমরা আশেপাশে দেখিনি।
তিনি আরো জানান, সাকিব আমার সাবেক ছাত্র। সে অনেক ভালো ছেলে। মামলার আরেক স্বাক্ষী সালমা আক্তার জানান, আমিই প্রথম বাচ্চাগুলোকে দেখতে পেয়ে ম্যাডামকে জানাই। আমরা সাকিব তো দুরের কথা, কোনো ছেলেকেই দেখি নাই।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে ৩ জুলাই সকাল সাড়ে আটটার সময় জাম্বুরার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুদের স্কুলে নিয়ে যায় সাকিব। অথচ প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি সেদিন প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে ৪৫ মিনিটের দূরত্বে সকাল সাতটার সময় সহপাঠীর সাথে সাকিব নাসিরনগরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
এবিষয়ে নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. রওশন সিদ্দিক জানান, সাকিব আমার ছাত্র। গত ৩ জুলাই সকাল আটটায় আমার কাছে গণিত প্রাইভেট পড়তে আসে সাকিব। তার বাড়ি থেকে আমার এখানে আসতে প্রায় ৪৫ মিনিট সময় লাগে।
টেকানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর মা ফাহিমা বেগম বলেন, আমার ছেলে স্কুলে যেতে চাচ্ছে না, বলে স্কুলে গেলে যদি পুলিশে ধরে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী পাঁচ শিশুর একজনের মা বলেন, “ঘটনার দিন আমি দেখেছি আমাদের পাঁচজন বাচ্চা কাপড় ছাড়া নদীতে নেমে গোছল করতেছে। কতক্ষণ পরে দেখছি স্কুলের সিঁড়ি দিয়া উপড়ে গেছে। আমি আমার বাচ্চারে ডাক দিছি নিচে নামার জন্য।”
তিনি আরো বলেন, “আমার মেয়ের বয়স পাঁচ বছর। সে এখনও বিছিনায় প্রস্রাব করে, কাপড় ছাড়া নদীতে গোছল করে। ওসমানের পোলারে আমরা চিনি, হে ইতা করার পোলা না, বয়সও হয়নাই।”
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাকিবকে আটক করা হয়েছিল। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। পুলিশ আতঙ্কের বিষয়টি সত্য নয়।
জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন জানান, “এরকম হওয়ার কথা না, আমার নজরে এসেছে এখন আমি দেখব।”
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে দুইশত বছরের পুরনো খাল ভরাট করায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় তিনশত পরিবার। বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীর পক্ষে গত ১৯ জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারাবর লিখিত অভিযোগ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কালন চৌধুরী। অভিযোগের পরও জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান না হওয়ায় বিপাকে গ্রামবাসী।
লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলপুর গ্রামের মান্নান মিয়া, রুহুল আমীন, সোলমান মিয়াসহ কয়েকজন প্রভাবশালী লোক মিলে কয়েক বছর পূর্বে খালটি ভরাট করেন। ভরাটের সময় গ্রামের অন্যান্যরা বাধা দিলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা (ড্রেন নির্মাণ) করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কৌশলে খালটি ভরাট করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তারা সেখানে কোন ড্রেন নির্মাণ না করে সরু পাইপের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করে। এতে করে সামান্য বৃষ্টি হলেই গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
শুক্রবার সরেজমিন ফুলপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পানিতে ডুবে আছে বাড়ির উঠান, গবাদি পশুর খড় আর রান্নার চুলা। পানিবন্দি থাকায় স্কুলে যেতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা। বাড়ির সামনে থাকা আবাদি জমিগুলো ডুবে আছে। সাপ, জোঁক সহ অন্যান্য বিষাক্ত প্রাণীর ভয়ে শিশুদের নিয়ে আতংকিত অভিভাবকরা।
ফুলপুর গ্রামের কৃষক ছুরুক মিয়া বলেন, খাল ভরাট করায় জমে থাকা পানিতে আমার গরুর খড়, রান্নার চুলা পানিতে ডুবে গেছে। আমি কিছুই করতে পারছি না। আমি কৃষক মানুষ, কৃষি না করলে খাব কি। এভাবে পানি জমে থাকলে বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় উঠা লাগবে।
গ্রামের বাসিন্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.জামাল উদ্দিন জানান, আমরা জন্মের পর থেকেই দেখছি এখানে খাল ছিল। এখন খাল ভরাট করার কারণে গ্রামে পানি জমে আছে। ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। আমরা চাই খাল উদ্ধার করে জলাবদ্ধতার সমস্যার সমাধান করা হোক।
খাল ভরাটের বিষয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে মান্নান মিয়া বলেন, আমাদের ব্যক্তি মালিকানা জায়গা আমরা ভরাট করেছি। গ্রামবাসীর কথা চিন্তা করে পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপও বসিয়েছি।
সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস বলেন, খাল ভরাট করার বিষয়টি আমি শুনেছি। আশা করছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দ্রুত জলাবদ্ধতার নিরসন হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোনাববর হোসেন বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ওই জায়গা পরিদর্শন করেছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ে সমস্যার সমাধান হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা কৃষকলীগের বিশেষ কর্মী সভা ১১ নভেম্বর শনিবার বিকেলে স্থানীয় আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া।
উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মোঃ অলি মিয়ার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক এস.এম নূরে আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আহাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন, জেলা কৃষকলীগ নেতা আলী আশরাফ, উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরমান নূর।
এসময় কৃষকলীগের দলীয় নেতৃবৃন্দসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, নাসিরনগর উপজেলা কৃষকলীগ বর্তমানে আগের চেয়ে অনেক বেশী শক্তিশালী ও সুসংগঠিত। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ১২৮টি ওর্য়াডে এখন কৃষকলীগের নেতারা সক্রিয়।
বক্তারা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) থেকে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়াকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান।
কর্মী সভা শেষে আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়ার সমর্থনে উপজেলা সদরে একটি র্যালি বের করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় হাঁস নিয়ে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজ ২৮ মার্চ শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ঘুজিয়াখাই গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ২০ দিন আগে রোশেনা বেগম নামে এক নারীর কয়েকটি রাজহাঁস ঘুজিয়াখাই গ্রামের জয়দর মিয়ার ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জয়দর মিয়া রোশেনা বেগমকে বাড়িতে গিয়ে মারধর করেন।
এর দুইদিন পর প্রতিশোধ নিতে রোশেনার লোকজন জয়দর মিয়াকে রাস্তায় একা পেয়ে মারধর করে। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। পরবর্তী সময়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দুই পক্ষ আপোসে রাজি হয়।
তবে আপোসের পরও জয়দর মিয়ার লোকজন রোশেনার পক্ষের সাইফ মিয়াকে মারধর করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষই থানায় ও আদালতে মামলা করে।
সম্প্রতি ঈদ উপলক্ষে দুই পক্ষের লোকজন বাড়িতে আসতে শুরু করে। পূর্বের বিরোধের জের ধরে তারা নির্ধারিত সময়ের আগেই এলাকায় ফিরে আসে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর দুইপক্ষের লোকজন ঘোষণা দিয়ে কবরস্থানের পাশে খোলা মাঠে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলে দুপুর ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ২৫ জন আহত হন। তবে আহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক মিয়া সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জমিতে রাজহাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে কিছুদিন আগেও দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। এ নিয়ে থানায় ও আদালতে মামলা রয়েছে। আজ সেই পুরনো ঘটনার জের ধরেই আবার সংঘর্ষ হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাতলপাড় ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ রফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।