চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় এসে নতুন সূচনা করতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীসহ নতুন মন্ত্রিসভার আকার দাঁড়িয়েছে ৩৭ জনে। তাদের মধ্যে ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রী। আর ১১ জন পাচ্ছেন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন আজ ১০ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মোট ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রীর নামের তালিকা পেয়েছি। এখানে আসার আগে তাদেরকে টেলিফোনে জানিয়েছি।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব, মন্ত্রী হচ্ছেন আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, আসাদুজ্জামান খান কামাল, দীপু মনি, তাজুল ইসলাম, ফারুক খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, আবদুস শহীদ, সাধন চন্দ্র মজুমদার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আব্দুর রহমান, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, আব্দুস সালাম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ফরহাদ হোসেন, ফরিদুল হক খান, জিল্লুল হাকিম, সাবের হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাজমুল হাসান পাপন, ইয়াফেস ওসমান এবং সামন্ত লাল সেন।
তাদের মধ্যে ইয়াফেস ওসমান ও ডা. সামন্ত লাল সেন টেকনোক্রেট মন্ত্রী হচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন সিমিন হোসেন রিমি, নসরুল হামিদ, জুনাইদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ এ আরাফাত, মহিবুর রহমান, জাহিদ ফারুক, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রুমানা আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরী, আহসানুল টিটু এবং খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান হবে শুক্রবার। সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ইতোমধ্যে জানিয়েছে। নতুন সরকারে কে কোন মন্ত্রণালয় পাবেন, তা জানা যাবে দপ্তর বণ্টনের পর।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহান মে দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুিষ্ঠত হয়েছে। গত বুধবার সকালে শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত র্যালি ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আলাউদ্দিন আলালের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত এড. লোকমান হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হাজী মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার মোঃ আবু জাইদ।
বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ জামাল মিয়া, সহ-সভাপতি মোঃ স্বপন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাদিরুজ্জামান সরকার, সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, কোষাধ্যক্ষ মোঃ ইব্রাহিম মিয়া, দফতর সম্পাদক মোঃ কালু মিয়া, প্রচার সম্পাদক মোঃ আঃ করিম, সাব ঠিকাদার মোঃ হাজী রফিকুল ইসলাম, সদস্য মোঃ বাক্কি মিয়া, মোঃ কামাল মিয়া, মোঃ ওবায়দুল হক, মোঃ মজনু মিয়া, রেনু মিয়া, কালিসীমার সভাপতি মোঃ আক্তার খাঁ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা মে দিবসের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় বক্তারা আরো বলেন, মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিবস।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৫ মে সাম্যের কবি, বিরহ ও বেদনার কবি, বিদ্রোহের কবি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী। তিনি ছিলেন একাধারে প্রেমিক ও বিদ্রোহী।
উপন্যাস, নাটক, সঙ্গীত আর দর্শনেও নজরুলের অনবদ্য উপস্থিতি বর্ণাঢ্য করেছে বাংলা সাহিত্যকে। কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা, সম্পাদক পরিচয়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অভিমানী এই মানুষ হৃদয় দিয়ে অনুভব করেছিলেন নিপীড়িত-অসহায়ের আর্তি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার কবিতা কোটি তরুণের রক্তে জ্বালায় স্ফুলিঙ্গ।
অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী এই মানুষটি ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (ইংরেজি সাল অনুযায়ী ২৪ মে ১৮৯৯ সাল) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব-কৈশোর-তারুণ্যের জীবনের পরতে পরতে সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে। জড়িয়েছিলেন নানা পেশায়। ১৯১৭ সালে যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। অংশ নেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধেও।
এরই মাঝে তৎকালীন প্রভাবশালী কবি-সাহিত্যিকদের সংস্পর্শে আসেন তিনি। ১৯২২ সালে প্রকাশ করেন ধূমকেতু পত্রিকা। ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতার জন্য নজরুলকে দেওয়া হয় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। মাত্র ২২ বছর ব্যাপ্তির লেখক জীবনে তিনি রচনা করেছেন প্রায় ৩ হাজার গান, লিখেছেন অসংখ্য কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস।
সাহিত্যের পাশাপাশি সংগীত ও চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন নজরুল। নিজের পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘ধ্রুব’তে অভিনয়ও করেছিলেন। তাই শুধু কবি পরিচয়েই আবদ্ধ নন নজরুল। আসানসোলের রুটি বানানো ছেলেটা এখনও বিশাল এক প্রতিষ্ঠান। না থেকেও যার উপস্থিতি প্রতিদিন।
১৯৭২ সালে কবি নজরুলকে সপরিবারে নিয়ে আসা হয় স্বাধীন বাংলাদেশে। এরপর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশেই ছিলেন। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট তৎকালীন পিজি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন এই মহাবিদ্রোহী ও প্রেমিক পুরুষ। কবির ইচ্ছানুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়ায় একটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী জাকির খাঁ (৪৫) কে আটক করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আখাউড়া থানার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ কামরুজ্জামান সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে আজ ৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার ভোরে ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকা তাকে আটক করে। আটক জাকির খাঁ উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের আমানত খাঁর পুত্র। সে ৭ বছর ধরে পলাতক ছিল।
পুলিশ ও ভূক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সনের আগস্ট মাসের ৬ তারিখ উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হয় শরীফ খাঁ (৫০)। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মাজেদা বেগম বাদী হয়ে একই পরিবারের ৪জনসহ ৫জনকে আসামী করে আখাউড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলো আমানত খাঁ ও তার তিন ছেলে জাকির খাঁ, গাজি খাঁ, মাহবুব খাঁ এবং আমান খাঁর ভাতিজা আমীর খাঁ। মামলা হওয়ার থেকেই জাকির খাঁ ও তার দুই ভাই পলাতক ছিল।
বিগত ২০২২ সনের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই হত্যা মামলায় জাকির খাঁসহ তার দুই ভাইয়ের মৃত্যুদন্ড এবং তাদের পিতা আমানত খাঁর যাবজ্জীবন সাজা হয়। আমানত খাঁ বর্তমানে কুমিল্লা কারাগারে সাজা ভোগ করছে। এই মামলার আরেক আসামী আমির খাঁ ২০১৮ সালে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শরীফ খার ছেলে মোঃ রাসেল খা বলেন, আসামী আটক হওয়ায় আমরা খুশি। এজন্য প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সরকারের কাছে আবেদন দ্রুত আমার পিতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হয়। তাহলেই আমরা শান্তি পাবো।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সনে উপজেলার চানপুর গ্রামে একটি হত্যা হয়। যার প্রেক্ষিতে আখাউড়া থানায় হত্যা মামলা হয়। মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী ৭ বছর পলাতক জাকির খাকে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। সে ছদ্মবেশে অজ্ঞাত স্থানে অবস্থান করে অটো চালাতো। শনিবার দুপুরে তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত অপর দুই আসামী পলাতক রয়েছে। শোনা যাচ্ছে তারা বিদেশে অবস্থান করছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে সদর ইউনিয়নে এক বাড়িতে ধুমধাম করে চলছিলো পনেরো বছর বয়সী এক কিশোরীর বিয়ের অনুষ্ঠান। হঠাৎ হাজির হলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী মোর্শেদ। ওই কিশোরীর বয়স প্রমানের কাগজপত্র চাইলে পরিবারের লোকজন তা দেখাতে ব্যর্থ হয়। পরে তিনি এ বিয়ে বন্ধ করে দেন।
ওই কিশোরীর পারিবারীক সূত্রে জানা যায়, সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতো। তার বিয়ে হচ্ছিলো চর বিঞ্চুপুর ইউনিয়নের কাজীডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব মোল্যার ছেলে সৌদী প্রবাসী রায়হান মোল্যা (২৮) এর সাথে। ইউএনও এর উপস্থিতি ও বিয়ে বন্ধের খবর পেয়ে তারা আর মেয়ের বাড়িতে আসেননি।
ইউএনও বলেন, বাল্য বিয়ের বিষয়ে খবর পেয়ে তিনি তথ্য যাচাই করে এর সত্যতা জানতে পেরে ওই বাড়িতে আসেন এবং বিয়ে বন্ধ করে দেন। পরে ওই কিশোরীর মায়ের কাছ হতে মূচলেকা গ্রহণ করেন।
এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন সদর ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ খান, ইউপি সদস্য সরোয়ার মৃধা, এখলাস হোসেন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুষ্টিয়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় বিষাক্ত সাপের কামড়ে আয়েশা খাতুন (২৫) ও তার ৭ মাস বয়সী কন্যা সন্তান নুসরাত জাহানের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা সদর উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের ইব্রাহীমের স্ত্রী ও মেয়ে।
কাঞ্চনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান ঝন্টু সাপের কামড়ে মা ও মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার রাতে প্রতিদিনের মতো নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন আয়েশা ও তার শিশু সন্তান। এ সময় তাদের দুই জনকে বিষাক্ত সাপ কামড় দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়। মাকে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তারও মৃত্যু হয়।
পরে গ্রামবাসী ইব্রাহীমের ঘরের খাটের নিচ থেকে বিষধর কালাচ সাপ উদ্ধার করে। সাপের কামড়ে এক সাথে মা ও মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় ভবানীপুর গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।