চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় রাস্তায় মোটর সাইকেল পার্কিং করে সাধারণ জনগণের চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার দায়ে ১৫টি মোটর সাইকেলের মালিককে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকালে পৌরশহরের সড়ক বাজারে পৃথক দুটি আদালত প্রত্যেক মোটর সাইকেল মালিককে ৫০০ টাকা করে ৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।
আদালত পরিচালনা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাবেয়া আক্তার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী। আখাউড়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নুরে আলম। আদালত সূত্রে জানা যায়, শহরে জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা পরিস্কার রাখার জন্য আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় নির্ধারিত স্থানে গাড়ি না রেখে রাস্তায় অবৈধ পার্কিং করার দায়ে ১৫ মোটর সাইকেল মালিককে জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাবেয়া আক্তার বলেন, রাস্তা পরিস্কার জন্য সড়ক পরিবহন আইনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে রাস্তায় গাড়ি রেখে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় ১৫টি মোটর সাইকেল মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সরকার তামাশা করছেন বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের করা মন্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগ কোনোদিন নির্বাচন নিয়ে তামাশা করেনি। আওয়ামী লীগ সব সময় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়।
আজ ২৭ জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভ্যাস উদ্ভট উদ্ভট কথা বলা। নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি এবং তাদের হোতারাই অতীতে তামাশা করেছেন।
এ সময় তিনি তার নির্বাচনী এলাকাসহ দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
এর আগে, আইনমন্ত্রী ঢাকা থেকে আন্তঃনগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনযোগে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন পৌঁছালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার সাখাওয়াত হোসেন, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনির খান, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পায়ে হেঁটে রেল সেতু পার হতে গিয়ে মো. শাহজাহান নামে ৭৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন।
গতকাল সোমবার আখাউড়া উপজেলায় তিতাস নদীর রেলসেতুতে এ ঘটনা ঘটে।
মো. শাহজাহান সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চাপুইর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলীম হোসেন শিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আখাউড়ায় মেয়ের বাড়ি থেকে সদর উপজেলার চাপুইর এলাকায় নিজ বাড়িতে রেললাইন দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন মো. শাহজাহান। পথিমধ্যে আখাউড়া তিতাস রেলসেতু পারাপার হচ্ছিলেন তিনি। এসময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কর্ণফুলী মেইল ট্রেনটি সেতুর ওপর উঠলে কাটা পড়ে মারা যান ওই বৃদ্ধ। পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে এসে মরদেহ শনাক্ত করেছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
বিজয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের নো-ম্যানসল্যান্ডে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ’র) মধ্যে ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে মিষ্টি ও গাছ বিনিময় হয়। বেলা সাড়ে চারটার দিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিএসএফ’র হাতে মিষ্টি তুলে দেয় বিজিবি। ভারতীয় বিএসএফ’র পক্ষ থেকে বিজিবিকে দেওয়া হয় গাছের চারা। পরে বিউগলের সুরে দু’দেশের পতাকা একসঙ্গে নামানো হয়, যা ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ হিসেবে পরিচিত। দু’দেশের শত শত মানুষ এ সুন্দর আয়োজন উপভোগ করেন। এ সময় সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের যৌথ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি সরাইল রিজিওনের ডেপুটি রিজিওয়ন কমান্ডার কর্ণেল কাজী শামীম, বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, উপ-অধিনায়ক মেজর মুহাম্মদ নুরুল আবছার। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ ১২০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক রাখনেশ কুমার, লঙ্কামোড়া কম্পানি কমান্ডার বিনদ সিং।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় নিজ হাতে গড়া স্কুল মাঠে শেষ বিদায়ের জানাজা হলো শিক্ষা অনুরাগী আবুল বাশার মোবারকের (৭০)। তিনি উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ছয়গড়িয়া শাহআলম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভূমি দাতা ও সাবেক সভাপতি ছিলেন।
আজ ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল মাঠে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। মোবারক হোসেনের জানাযায় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেয়।
অশ্রুসজল নয়নে বিদায় জানায় শিক্ষা অনুরাগী সমাজ সেবক মোবারক হোসেনকে। এর আগে বুধবার সকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানাযার পূর্বে মোবারকের হোসেনের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম.এ. মতিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ মনির হোসেন বাবুল, যুবলীগ নেতা আব্দুল মমিন বাবুল, বাজার পরিচালনা কমিটির আহবায়ক বাবুল পারভেজ, শিক্ষক নেতা কাজী মোঃ ইকবাল, স্কুল কমিটির সাবেক সদস্য মোঃ সহিদ মিয়া প্রমুখ।
এসময় বক্তারা স্কুল প্রতিষ্ঠায় মোবারক হোসেনের অবদানের কথা স্মরণ করেন। স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি মূল্যবান সম্পদ (ভূমি) দিয়েছেন। তিন বার বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সীমান্ত এলাকায় শিক্ষা প্রসারে তার অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এসময় বক্তারা আরো বলেন, মোবারক হোসেনের মৃত্যুটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। বিদ্যালয়ের সদ্য বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোছাঃ সেলিনা বেগম তার বিরুদ্ধে কমিটির অনুমোদন ছাড়া আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। মামলার কারণে তিনি মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন। বক্তারা মোবারক হোসেনের মৃত্যুর জন্য ওই শিক্ষিকাকে দায়ী করে বিচার দাবী করেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি অনিয়মের অভিযোগে মোছাঃ সেলিনা বেগমকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়। বুধবার সকালে ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে গেলে বিষয়টি জানার জন্য মোবারক হোসেনসহ কয়েকজন সদস্য বিদ্যালয়ে যায়। হঠাৎ তিনি অসুস্থবোধ করলে বাড়িতে চলে আসেন। পরিবারের লোকজন তাকে প্রথমে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদও হাসপাতালে নিয়ে যায। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃতু ঘোষণা করেন।
নিহত মোবারক হোসেনের মেয়ে রেখা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক সেলিনা বেগমের মামলার কারণে আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে। আমি আমার বাবার মৃত্যুর বিচার চাই। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মোছাঃ সেলিনা বেগমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় স্ত্রী ছেড়ে যাওয়ার হতাশায় গলায় ফাঁস দিয়ে ইসমাইল হোসেন নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
আজ ১৭ ডিসেম্বর রবিবার সকালে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শোনলৌহঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইসমাইল ওই গ্রামের রকিব মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক সম্মতিতে ৫ বছর আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ইসমাইল। বিয়ের পর থেকেই মাদকাসক্ত ইসমাইল তার স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে ব্যর্থ হন। এতে ইসমাইলের সঙ্গে তার স্ত্রীর ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। একপর্যায়ে উভয় পরিবারের সিদ্ধান্তে দুই বছর আগে স্বামী-স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
স্ত্রী ছেড়ে চলে গেলে ইসমাইল মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং চরম বিষণ্নতায় ভুগতে থাকেন। এ সময় বিষণ্নতা কাটাতে মাদক সেবনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেন ইসমাইল। এ পরিস্থিতি কাটাতে তার পরিবার দীর্ঘদিন মানসিক চিকিৎসা করালেও কোনো সুফল পায়নি। পরে রবিবার সকালে নিজ বসতবাড়ির অদূরে রাস্তার পাশে জনৈক ব্যক্তির কাঁঠালগাছের সঙ্গে কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে স্থানীয়রা থানাপুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে ইসমাইলের লাশ উদ্ধার করে।
আখাউড়া থানার এসআই মো. এরশাদ মিয়া বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।