চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায় আবারও আইন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনের সংসদ সদস্য আনিসুল হক।
আজ ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, আনিসুল হক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জাতীয় চারনেতা হত্যা মামলার প্রধান কৌশলী। এ ছাড়া, বিডিআর হত্যা মামলা, দুদকের মামলাসহ রাষ্ট্রীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করেছেন। ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে পরিচিত আনিসুল হক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
আনিসুল হকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পানিয়ারুপ গ্রামে। তিনি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী। আনিসুল হকের প্রয়াত পিতা সিরাজুল হক ওরফে বাচ্চু ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ঘনিষ্ঠজন। আনিসুল হকের বাবা-মা দু’জনই মুক্তিযোদ্ধা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় রক্ত দেওয়ার নাম করে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে মো. মান্না নামে এক প্রতারক স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হয়। পরে তাকে স্থানীয়রা এক ব্যক্তির জিম্মায় ছেড়ে দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মান্না পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে আখাউড়া পৌর এলাকার দেবগ্রামের মো. ইব্রাহিমের দোকানে আসেন বিকাশ থেকে টাকা তুলতে। ওই ব্যক্তি প্রায় সময়ই টাকা তুলেন বলে সন্দেহ হয় ইব্রাহিমের।
কিসের টাকা ও কার কাছ থেকে টাকা আনা হচ্ছে জানতে চাইলে মান্না জানান, তার ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা নেন তিনি।
বিষয়টি সন্দেহ হলে ইব্রাহিম টাকা পাঠানো ব্যক্তিকে ফোন করলে তিনি জানান, রক্তের প্রয়োজন পড়ায় ভাড়া হিসেবে তিনি টাকা পাঠিয়েছেন। টাকা নেওয়া ব্যক্তি তাকে জানিয়েছেন তিনি ঢাকায় আছেন।
দোকানি ইব্রাহিম বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে অবহিত করে মান্নাকে আটক করেন।
পরে মান্না প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেন। লাল বাজার নামে একটি এলাকার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্যাথলজি বিভাগে চাকরি করেন দাবি করা ওই ব্যক্তি নিজেকে আখাউড়া পৌর এলাকার দুর্গাপুরের বাসিন্দা বলে জানান।
মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘মান্না নামের ওই ব্যক্তি প্রায় সময়ই আমার দোকান থেকে টাকা তুলতেন। দোকানে এলেই তার ফোনে অনেক কল আসতে দেখতাম।
এসবসহ নানা কারণে তার প্রতি সন্দেহ জাগে। সন্দেহবশত টাকা পাঠানো ব্যক্তিকে ফোন করলে তার প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে। তিনি একটি রক্তদান সংগঠনের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেন।’
চলারপথে রিপোর্ট :
পারিবারিক কলহের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বামীর হাতে জান্নাতুল ফেরদৌসী (৩৫) খুনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী কাউসার মোল্লা (৫০) পলাতক রয়েছেন।
আজ ১৯ এপ্রিল বুধবার সকালে জেলা পৌর শহরের কলেজপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জান্নাতুল একই জেলার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর দিঘীরপাড় এলাকার মৃত আরু মিয়ার মেয়ে। আর কাউসার মোল্লা জেলা সদর উপজেলার ঘাটিয়ারা গ্রামের মৃত মো. আউয়াল মিয়ার ছেলে। কাউসার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বলে জানা গেছে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, কাউসার ও জান্নাতুল জেলা শহরের কলেজপাড়ায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতো। তবে কাউসার দীর্ঘদিন ধরে জুয়া খেলা ও পরকীয়ায় লিপ্ত। এসব নিয়ে প্রায়ই জান্নাতুলের সঙ্গে স্বামীর কলহ চলতো। এরই জের ধরে বুধবার সকালে কাউসার ধারালো ছুরিকাঘাতে জান্নাতুলকে হত্যা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে তাদের সন্তানরা কক্ষে যাওয়া মাত্রই তিনি (কাউসার) তাদের ঘরে আটকিয়ে পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে। ঘাতক স্বামীকে আটকের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ১৫ জুলাই সোমবার সন্ধ্যার দিকে পৌর শহরের খারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, খারপাড়া এলাকার সুমন মিয়ার স্ত্রী কুলসুম বেগম (৪১) ও তার ছেলে আরিফ মিয়া (২০)। আহত হয়েছেন মেয়ে সানজিদা আক্তার (১৫)।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বাড়িতে নতুন ঘর বানিয়েছেন সুমন মিয়া। নতুন ঘরে বিদ্যুতের সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। সুমনের ছেলে আরিফ ইলেক্ট্রিশিয়ান হওয়ায় ঘরে বিদ্যুতের কাজ নিজেই করছিলেন। কাজ করার সময় হঠাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। এ সময় মা কুলসুম বেগম তাকে বাঁচাতে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। দেখতে পেয়ে আরিফের বোন সানজিদা তাদেরকে উদ্ধার করতে যায়। এ সময় সেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়ে। পরিবারের লোকজনের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন দৌড়ে এসে তিনজনকেই উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মা ও ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত সানজিদাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থাও আশংকাজনক।
এ বিষয়ে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বিষয়টি খুবই হৃদয় বিদারক। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ও তানজিবুল ইসলাম খাদেম (১৪) নামের এক স্কুলছাত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আজ ১৪ মে রবিবার সকালে আখাউড়া পৌরশহরের দূর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তানজিবুল ইসলাম খাদেম ওই গ্রামের আরিফুর রহমান খাদেমের ছেলে। সে আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীতে পড়তো। পড়ার কথায় বলায় বাবার সাথে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারনা করছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, কিছু দিন পর স্কুলের পরীক্ষা। পড়ালেখায় অমনোযোগি হওয়ায় শনিবার সন্ধ্যায় তানজিবকে তার বাবা পড়তে বসতে বলে। এ নিয়ে বাবার উপর অভিমান করে।
রবিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে বসতঘরের তীরের সাথে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। ঝুলন্ত অবস্থায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ায় বাবা বকা দেওয়ায় অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মায়ের মৃত্যু শোক সহ্য করতে না পেরে বিলাপ করতে-করতে মারা গেলেন ঝান্টু মোল্লা (৫০) নামে এক ব্যক্তি। রোববার রাত ৮টায় উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়া মোল্লাবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আজ ৬ নভেম্বর সোমবার বেলা ১১টায় জানাযা শেষে ঝান্টুর মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত ইদ্রিস মোল্লার ছেলে।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে ঝান্টুর মা রেজিয়া খাতুন (৭০) মারা যান।
স্থানীয় এলাকাবাসী দাবি করেছেন, মায়ের মৃত্যুতে মাতম করছিলেন বড় ছেলে ঝান্টু মোল্লা। শোক সইতে না পেরে বিলাপ করতে থাকেন তিনি। এতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে মা-ছেলের মৃত্যুতে ঝান্টু মোল্লার স্ত্রী হাজেরা ও দুই মেয়ে সুমাইয়া এবং সামিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা পারিবারিকভাবে প্রাথমিক চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর, সোহাগ ভূঁইয়া ও আলম মোল্লা বলেন, ঝান্টু মোল্লা মা ভক্ত ছিলেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে তার মায়ের মৃত্যুর পর সে লাশের পাশে বসে কাঁদছিলেন। তার মাকে কবরস্থ করার পর শোক সইতে না পেরে বিলাপ করতে থাকেন তিনি। রবিবার রাত ৮টার দিকে বুকে ব্যথা ওঠে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
সোমবার জোহরের নামাজের পর জানাযা শেষে ঝান্টু মোল্লার মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে শনিবার একই কবরস্থানে তার মায়েরও দাফন করা হয়েছে।
আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. রহিম মিয়া বলেন, মায়ের শোকে ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। শুনেছি তাদের শোকে পরিবারের আরো তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।