চলারপথে রিপোর্ট :
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের ৪ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। আজ ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দায়িত্ব বণ্টন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের এমপি র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন তিনি। আসনটি থেকে টানা চারবার নির্বাচিত হয়েছেন যুদ্ধাহত এ বীর মুক্তিযোদ্ধা। আগের মন্ত্রিসভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে কোনো মন্ত্রী ছিলেন না।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর জন্ম ১৯৫৫ সালের ১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চিনাইর গ্রামে। তার বাবা মো. আবদুর রউফ চৌধুরী ও মাতা মোসাম্মৎ হালিমা খাতুন চৌধুরী।
ঢাকা মাদরাসা-ই-আলিয়া থেকে ফাজিল পাস করে ভর্তি হন ঢাকা কলেজে। সেখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি। ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা অবস্থায় ১৯৬৯ সালে তিনি ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন।
১৯৭০ সালে উবায়দুল মোক্তাদির ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। যুদ্ধের ময়দানে পাকিস্তান বাহিনীর গুলিতে তার একটি পা আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
স্বাধীন দেশের রাজনীতিতে ১৯৭৩-৭৪ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠন হলে ২১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হন উবায়দুল। ১৯৭৫ সালের কালরাত্রিতে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদে ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিলের নেতৃত্বদান ও ৪ নভেম্বর ঢাকার রাজপথে প্রথম প্রতিবাদ মিছিলের অন্যতম সংগঠক হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন তিনি।
১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব ছিলেন। পরবর্তীতে সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন।
২০১০ সালের ২২ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের এমপি অ্যাডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চু মৃত্যুবরণ করলে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বার এবং ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা তৃতীয় বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। নবম জাতীয় সংসদে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, দশম জাতীয় সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং একাদশ জাতীয় সংসদে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
দীর্ঘ ২০ বছর পরে দেশে ফিরে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর মাজারে শ্রদ্ধা ও ফাতিহা পাঠ করছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেকসহ সফর সঙ্গী হিসাবে দেশে ফিরেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃতি সন্তান শাহ মোঃ ইব্রাহিম। গতকাল ১৩ অক্টোবর রবিবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। তার আগমন উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি ও যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
যুক্তরাজ্য কৃষক দলের সদস্য সচিব শাহ ইব্রাহিম বলেন, আপনারা দেখেছেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা চোরের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। গর্তে ঢুকে পড়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু আমরা এই মাটির ভূমিপুত্র, আমরা এই মাটিতে ফিরে এসেছি। জনগণ এখন তারেক রহমানকে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে দেখতে চাই। এমএ মালিকের সফরসঙ্গী হিসেবে দেশে ফিরেছেন যুক্তরাজ্য জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সদস্য সচিব, যুক্তরাজ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরামের আহবায়ক শাহ মো ইব্রাহীম মিয়া। তিনি এর আগে এবছরেই ১৯ সেপ্টেম্বর দেশে এসেছিলেন। এবারে তিনি দীর্ঘ ১৯ বছর পর বাংলাদেশে আসা যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম এ মালিক ভাইয়ের সফরসঙ্গী হিসেবে আসলেন। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নয়াপল্টন কার্যালয়ে যান। তিনি জানান, ঢাকায় চারদিন অবস্থান করে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। ১৭ অক্টোবর তিনি নিজের জন্মস্থান সিলেটে যাবেন। সেখানে দুই সপ্তাহ থাকবেন। সর্বশেষ ২০০৫ সালে দেশে এসেছিলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দা বিএনপি নেতা এমএ মালিক। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে দেশে ফিরতে পারেননি তিনি। ওয়ান-ইলেভেনের পর থেকেই যুক্তরাজ্যে ধারাবাহিক ভাবে আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী নানা কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় এই যুবদল নেতা। ২০২৩ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে সফরকালে ওয়াশিংটনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন তিনি। সে সময় কর্মসূচি প্রত্যাহার করার জন্য এমএ মালিককে আলোচনায় বসতে চায়ের দাওয়াত দেন শেখ হাসিনা। তা প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতির পাশাপাশি বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
অনলাইন ডেস্ক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন সময় মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে ব্যবহারের সময় আইন-শৃংখলা বাহিনীর হাতে জব্দকৃত বিভিন্ন ধরনের প্রায় হাজারো যানবাহন খোলা আকাশের নীচে থাকায় রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল, আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, নবীনগর, কসবা, আখাউড়া, বিজয়নগর, নাসিরনগর, বাঞ্ছারামপুর, হাইওয়ে থানা ও বিআরটিএ অফিস প্রাঙ্গণে এসব যানবাহন পড়ে রয়েছে।
এসব যানবাহনের মধ্যে মোটর সাইকেল, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, প্রাইভেটকার ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সা। জব্দকৃত গাড়ির মধ্যে বিজয়নগর থানায় বিভিন্ন ধরনের ৫০টি, সরাইল থানায় বিভিন্ন ধরনের ৪৭টি, আখাউড়া থানায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ১২৩টি যানবাহন, আশুগঞ্জ থানায় রয়েছে জব্দকৃত বিভিন্ন ধরনের ১৮৫টি যানবাহন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় রয়েছে ১২৫টি যানবাহন। বাকী যানবাহনগুলো রয়েছে জেলার অন্যান্য থানা প্রাঙ্গনে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলার বিভিন্ন থানার পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, হাইওয়ে থানার পুলিশসহ টাস্কফোর্সের অভিযানে এসব যানবাহনগুলো জব্দ করা হয়।
আইন-শৃংখলা বাহিনীর হাতে জব্দকৃত এসব যানবাহন বছরের পর বছর থানা প্রাঙ্গনে খোলা আকাশের নীচে থাকায় রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি চুরি হচ্ছে এসব যানবাহনের মূল্যবান যন্ত্রাংশ। এছাড়াও মাত্রাতিরিক্ত যানবাহন থাকায় থানাগুলোর সৌন্দর্য্য ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এমন অবস্থায় দ্রুত যানবাহনগুলোর মামলা নিষ্পত্তি করে এসব যানবাহন নিলামে বিক্রি করা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনিছুর রহমান চৌধুরী বলেন, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে ব্যবহারের সময় আইন-শৃংখলা বাহিনীর হাতে জব্দ হয়ে বিভিন্ন যানবাহন জেলার বিভিন্ন থানায় পড়ে আছে। এসব গাড়ি রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে।
বিভিন্ন গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরি হচ্ছে। এসব গাড়িগুলো বছরের পর বছর থানা প্রাঙ্গনে পড়ে থেকে মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা চাই এসব জব্দকৃত যানবাহনের মামলা গুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা হোক। তিনি বলেন, এসব জব্দকৃত যানবাহনগুলো যদি আদালতের মাধ্যমে নিলামে বিক্রি করা হয় তাহলে সরকার রাজস্ব পাবে।
এ ব্যাপারে জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান তানিম বলেন, আমি চাই দ্রুত জব্দকৃত যানবাহনের মামলাগুলো নিষ্পত্তি করা হোক। তিনি বলেন, এসব যানবাহন দীর্ঘদিন ধরে থানার সামনে খোলা আকাশের নীচে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। কিছু কিছু যানবাহনের যন্ত্রাংশ চুরিও হচ্ছে। তিনি বলেন, যদি এসব জব্দকৃত গাড়ি নিলামে বিক্রি করা হয় তাহলে সরকার রাজস্ব পাবে।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন জানান, তার থানায় জব্দকৃত বিভিন্ন ধরনের ৪৭টি যানবাহন রয়েছে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাজু আহমেদ জানান, তার থানায় জব্দকৃত বিভিন্ন ধরনের ৫০টি যানবাহন রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম জানান, তার থানায় জব্দকৃত বিভিন্ন ধরনের ১২৫টি যানবাহন রয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, বিভিন্ন সময় মামলার আলামত হিসেবে আমরা যে যানবাহনগুলো জব্দ করি সেই যানবাহনগুলো আমাদের বিভিন্ন থানায় রয়েছে। থানার সামনে খোলা আকাশের নীচে থাকায় অযত্নে অবহেলায় যানবাহনগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
এতে করে থানাগুলোর পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে। যদি মামলা নিষ্পত্তির সময়ে আলামত গুলোও নিষ্পত্তি করা হয় অথবা জব্দকৃত যানবাহনগুলো নিলামে দেয়া হয় তাহলে আমাদের থানার পরিবেশও ভাল থাকবে। অন্যদিকে সরকারও রাজস্ব পাবে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আমরা যে গাড়ি গুলো জব্দ করি সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব সড়ক নিরাপত্তা যে আইন আছে সে আইনে নিস্পত্তি করে ফেলি। কিন্তু জেলার ৯টি থানাসহ বিআরটিএ প্রাঙ্গনে যে গাড়িগুলো আছে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মামলা নিস্পত্তির অপেক্ষায়। এ বিষয়টি মহামান্য আদালতের বিষয়। বিষয়টি আমি জেলা জজ এর দৃষ্টিতে আনার চেষ্টা করব।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন বলেন, যে গাড়ি গুলোর কোনো প্রমানপত্র নেই সেগুলো দ্রুত প্রত্যেক থানাতেই নিলাম দেয়া প্রয়োজন। এই নিলাম বৈধভাবে পরিচালনা করার ক্ষমতা চীফ জুডিশিসালের আছে। আমরা আহবান জানবো দ্রুত সময়ের মধ্যে গাড়িগুলো নিলাম দিয়ে নিলামের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার।
চলারপথে রিপোর্ট :
খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করি, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি এই স্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কাজীপাড়া দরগা মহল্লা (পশ্চিমপাড়া) ঘরোয়া লীগ ফুটবল খেলা উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১৮ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে ১ যুগ পুর্তি উপলক্ষে জেলা ঈদগাহ মাঠে খেলাটি আয়োজন করেন কাজীপাড়া শৈশব গ্রুপ।
এতে কাজীপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মোঃ কিতাব আলী সরদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কাজীপাড়া ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাংবাদিক মীর মোঃ শাহীন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কাজীপাড়া বিশিষ্ট সরদার শেখ জামাল, সরদার আফরোজ শাহ প্রমুখ।
খেলাটি সঞ্চালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, মোঃ মোস্তাক মিয়া। উদ্বোধনীয় খেলায় শৈশব সাদা দল বনাম শৈশব নীল দল অংশগ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা আজ ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় উপস্থিত সমন্বয়করা বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা বই খাতা নিয়ে ক্যম্পাসে ফিরতে চাই। এখন দেশে একটা অরাজকতা পরিস্থিতি চলছে এই জন্য শিক্ষার্থীরা আইন শৃঙ্খলা সাময়িক নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিকের দায়িত্ব এবং বাজার মনিটরিং এর দায়িত্ব পালন করছে। তবে দেশের অবস্থা ঠিক হলে আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যাবো। আমরা চাই দেশে আর কোনো দূর্নীতি অনিয়ম না থাকুক, যেখানে দুর্নীতি হবে সেখানেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা প্রতিহত করবে। লেজুর বৃত্তিক রাজনীতির বিরোধিতা করে তারা বলেন আমাদের ক্যম্পাসে কোনো প্রকার রাজনৈতিক দলের আধিপত্য চাই না। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে সুস্থ ধারার ছাত্র নেতৃত্ব গড়ে তুলতে চাই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সানিউর রহমান, ফাহিম মুনতাসির, শাহ আলম পালোয়ান, মানজারুল হাসান মকবুল হাসান মারুফ, মুনিয়া, নিশো, তিশা রাণী পোদ্দার, জান্নাত, রেজুয়ানুল ইসলাম রাতুল, রূপম ধর, বসির, তাজিম, মুনিয়া মাহিন উদিচী, আসাদ প্রমুখ।
এসময় সম্বনয়কারীরা সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।