চলারপথে রিপোর্ট :
অটোরিকশাচালক হত্যা মামলায় ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। ১০ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শারমীন নিগার এই রায় প্রদান করেন। এছাড়াও এই মামলায় দুজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন আদালত৷
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জয়কালিপুরের মতিন মিয়ার ছেলে মো. কবির হোসেন (২২), একই এলাকার শাহ আলম শেখের ছেলে সজিব মিয়া প্রকাশ সজিব শেখ (২৫) ও লিটন মিয়ার ছেলে মো. মনির হোসেন (২৫)। এই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন আব্দুল আওয়াল ও রুবেল নামের দুইজন আসামি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজি দিদারুল আলম।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৫ মার্চ বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জয়নগর গ্রামের বাসিন্দা এরশাদ মিয়ার ছেলে অটোরিকশা (বিভাটেক) চালক মো. শরীফুল ইসলামকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার অটোরিকশাটিও নিয়ে যায় তারা। এই ঘটনায় নিহতের বাবা এরশাদ মিয়া অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
ওই মামলায় পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে গ্রেফতার আসামিরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় পৃথক পৃথক জবানবন্দি প্রদান করেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্তের পর ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন নিগার স্বাক্ষ্য প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালতে সকল আসামির উপস্থিতিতে ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ২ জনকে খালাস প্রদান করে রায় দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দাবি বাস্তবায়ন ও আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র মূসা মার্কেটের সামনে থেকে এ মিছিল শুরু হয়ে উপজেলার প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি একেএম মূসা, সহ-সভাপতি মো. মাসুম মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএইচজেড শুকরী সেলিম চিশতী, পৌর বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ মূসা, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক হারুন আকাশ, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সেন্টু মিয়া, কৃষক দলের আহ্বায়ক ওয়াসে উদ্দিন মেহেদী, সদস্য সচিব রুবেল আহমেদ, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আবু কালাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব হাসান, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, সদস্য সচিব লিটন সরকার, কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক শাহাদত হোসেন, ছাত্রনেতা আশিকুর রহমান অন্তু, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি শারমিন আক্তার রুমা, পৌর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক বিউটি আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার দশদোনা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, উপজেলার আইয়ূবপুর গ্রামের মৃত জিলানীর ছেলে মো. নূরে আলম (৩২) ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার দামদরোদী গ্রামের নিরঞ্জন দাসের ছেলে রনি দাস (২৪)।
পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না দেওয়ায় আজ ১২ মে শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরে আলম।
তিনি বলেন, দশদোনা গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোটর সাইকেল চালক নূরে আলম নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারীর রনিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটার সাইকেল চালক মারা যান এবং আহত রনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় সেও মারা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
অনলাইন ডেস্ক :
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ওরস থেকে ফেরার পথে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১ জন গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার শাহ রাহাত আলীর মাজারের ওরস দেখতে এসে মোটর সাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে অটোরিক্সার সঙ্গে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর কলেজপাড়ার জুয়েল মিয়ার ছেলে মিরাজুল ইসলাম (১৮) ও বাঙ্গরা থানার আমিননগর গ্রামের আতশ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮)। আহত অবস্থায় ঢাকায় রেফার্ড করা হয় রামচন্দ্রপুর গ্রামের কাজী আজাদ মিয়ার ছেলে ইকরামকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার শাহ রাহাত আলীর ওরস থেকে মোটর সাইকেল করে বাড়ি ফেরার পথে বাঞ্ছারামপুর-মুরাদনগর সড়কের পাড়াতলি মোড়ে সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান মিরাজুল ইসলাম। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সাইফুল ইসলাম এবং ইকরামকে উদ্ধার করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকায় যাওয়ার পথে সাইফুল ইসলাম মারা যান।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফয়সাল কবির জয় বলেন, ঘটনাস্থলে একজন মারা যান। সাইফুল ইসলাম এবং ইকরামকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করি।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার (ভারপ্রাপ্ত) অফিসার ইনচার্জ মো. নূরে আলম বলেন, মোটরসাইকেল আরোহীরা নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মারা যান। এ বিষয়ে তাদের পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। আমরা পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় গৃহবধূ রহিমা বেগম (২৮) হত্যা মামলায় ঘাতক স্বামী মো. আল আমিন মিয়া (৩২) কে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত।
আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে আদালত এই রায় প্রদান করেন।
আদালত ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের মধ্যনগর গ্রামের মুন্সিবাড়ির জাকির হোসেন এর কন্যা রহিমা বেগমের সঙ্গে একই উপজেলার দড়িকান্দি ইউনিয়নের খাল্লা নতুনপাড়া গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে মো. আল আমিন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়। আল আমিন পেশায় অটোরিক্সা চালক ছিলেন। দীর্ঘ ৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে নুসাইবা আক্তার (৬) নামে তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এদিকে রহিমা ও আমিনের পরিবারে অভাব-অনটনসহ পরিবারিক নানা বিষয়াদি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এর মধ্যে হত্যার ঘটনার ৩ মাস আগে রহিমার স্বামী আল আমিন মিয়া রহিমার অজান্তে খাল্লা গ্রামের এক লোকের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার নেয়। পরে এই ধারের টাকা পরিশোধ করার জন্যে রহিমার উপর চাপ দেয় স্বামী আল আমিন। ধারের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে এ নিয়ে প্রায়শই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। পরে এ নিয়ে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর বুধবার রাত অনুমানিক ২টার দিকে স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়া চলাকালে আল আমিন উত্তেজিত হয়ে লোহার রড দিয়ে রহিমার মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই রহিমা প্রাণ হারায়। পরে রহিমা নিহত হওয়ার ঘটনাটিকে ভিন্ন দিকে চালিয়ে দেওয়ার জন্যে তার স্বামী আল আমিন বাড়িতে চোর এসেছে বলে চিৎকার করতে থাকে। পরে তার চিৎকারে এলাকার লোকজন জড়ো হয়। এরই মধ্যে খবর পেয়ে রাতেই নিহতের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছোঁটে আসেন। পরে তারা জানতে পারেন রহিমাকে তার স্বামীই হত্যা করেছে। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় স্বামী আল আমিনকে ধরে ওই রাতেই পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পরে নিহত রহিমার পিতা মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে আল আমিনকে প্রধান আসামি করে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি হত্যা মামালা দায়ের করেন। পরে মামলটি অধিকতর তদন্ত করে থানা পুলিশ আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। আসামিও ১৬৪ ধারায় আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। পরে আদালত স্বাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে আসামির উপস্থিতিতে আল আমিনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। রায়ে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ডও প্রদান করা হয়। অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
মামলার রায় প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিডিউটর এডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন জানান, মামলটি সন্দেহাতিত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৩০৪ ধারায় আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল ব্যাটালিয়নের (২৫ বিজিবি) টহলদল কর্তৃক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় কমলা এবং কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়েছে।
১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরের দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার আমতলী বাজারে সন্দেহজনক কাভার্ড ভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে ১১,১৪০ কেজি কমলা জব্দ করা হয়েছে। এসময় কমলা বহনকারী একটি কাভার্ড ভ্যান জব্দ করা হয়।
সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) সূত্রে জানা যায়, জব্দকৃত কমলার বাজার মূল্য ৯৮ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা। বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে জব্দকৃত কমলা আখাউড়া কাস্টমস কর্মকর্তা কর্তৃক নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে।