অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের আকাশে আজ পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। সেই হিসেবে ১৪ জানুয়ারি থেকে রজব মাস গণনা শুরু। আর ৮ ফেব্রুয়ারি উদযাপিত হবে শবে মেরাজ।
আজ ১২ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. নায়েব আলী মন্ডল।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব রুহুল আমীন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. কাউসার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের দেশীয় খেলাধুলাগুলোর চর্চা বেশি বেশি করে করা উচিত। এই খেলাধুলার মধ্য দিয়ে শরীরচর্চা হয়। খেলাধুলা হলে বাচ্চাদের মধ্যে ছোটবেলা থেকে ঐক্যের মনোভাব গড়ে ওঠে। তাই আমরা এ বিষয়ে আরো বেশি মনোযোগী হয়েছি।
ছেলে এবং মেয়েদের জন্য বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা টুর্ণামেন্ট শুরু করেছি। মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও খেলাধুলা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।’
দেশের সব বিভাগীয় শহরেই একটি করে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) কেন্দ্র করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খেলাধুলায় আমাদের ছেলে-মেয়েদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হলে উন্নত প্রশিক্ষণ দরকার।
এ জন্য দেশের সব বিভাগীয় শহরে একটি করে বিকেএসপি করা হবে। ইতিমধ্যে এর কাজও শুরু হয়েছে।’
আজ ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে রাজশাহীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখন প্রশিক্ষক তৈরি করতে হবে।
সে জন্য প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে একটা করে বিকেএসপি গড়ে তুলতে হবে। এটা আটটা বিভাগে আটটা হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। ছোটবেলা থেকে ভালো ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারলে তারা দক্ষতার পরিচয় দিতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা খুবই এগিয়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে।
ফুটবলে ভুটানকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে। আমরা প্রত্যেক উপজেলায় খেলার মাঠ, মিনি স্টেডিয়াম তৈরি করছি। আরো কয়েকটা বাকি আছে। উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত মিনি স্টেডিয়াম করেছি একটা লক্ষ্য নিয়েই যে খেলাধুলা হবে, প্রতিযোগিতা হবে। আমি মনে করি, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার আয়োজন করলে ছেলে-মেয়েরা মন-মানসিকতায় উদার হবে। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে।’
খেলাধুলার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা নিজে খেলাধুলার প্রতি অত্যন্ত মনোযোগী ছিলেন। জাতির পিতার উদ্যোগেই এই শীতকালে শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। জাতির পিতার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলার সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের পরিবারটি সব সময় খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত। আমার বাবাও নিজে ফুটবল খেলতেন। আমার ভাই কামাল এবং জামাল নিজেও খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।’
স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. অলীউল আলম, রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. হুমায়ুন কবির, ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমন্বয়কারী ড. মুহম্মদ মনিরুল হকসহ দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, শিক্ষা অফিসার ও ক্রীড়া কর্মকর্তরা উপস্থিত হয়েছেন।
‘খেলাধুলায় স্মার্ট দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা সমিতি ৫২তম এই শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। গত জানুয়ারিতে সারা দেশে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে প্রায় সাত লাখ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে চূড়ান্ত পর্বের খেলায় অংশগ্রহণে সারা দেশের ৮২৪ জন রাজশাহী এসেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী এর ব্যবস্থাপনায় রয়েছে।
ছয় দিনব্যাপী এই ক্রীড়াযজ্ঞের সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।
এই প্রতিযোগিতায় ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য আলাদা ইভেন্টে অ্যাথলেটিকস, দৌড়, বর্শা নিক্ষেপ, দীর্ঘ লাফ, চাকতি নিক্ষেপ, গোলক নিক্ষেপ, দড়ি লাফ ইভেন্টসহ হকি, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন একক ও দ্বৈত, সাইক্লিং ইভেন্টে জাতীয় স্কুল, মাদরাসা, কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির শীতকালীন খেলার মহারণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এই আটটি ডিসিপ্লিনে সারা দেশ থেকে আট শতাধিক ছাত্রছাত্রী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। চূড়ান্ত পর্বে চারটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে- চারটি ফুলের নামে।
এগুলো হলো- রাজশাহী ও দিনাজপুর ‘চাঁপা’ অঞ্চল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ ‘পদ্ম’ অঞ্চল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লা ‘বকুল’ অঞ্চল এবং খুলনা ও বরিশাল ‘গোলাপ’ অঞ্চল। বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নানা ধরনের ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতির কথা বলতেছে, বাংলাদেশও তো ভিসানীতির কথা বলতে পারে। ভিসানীতি দিছে তো কী হয়েছে?
আজ ২৭ জুন মঙ্গলবার বিকেলে আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, আমার সঙ্গে যখন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর সাহেবের কথা হয়েছে, তখন তিনি বললেন, আমি এসেছি ভিসানীতি কী তা বোঝাতে। আপনি কী বলবেন? আমি বললাম, এটা আওয়ামী লীগ বা বিএনপি যার বিরুদ্ধেই ব্যবহার করেন, সার্বভৌম দেশ হিসেবে আমি অপমানিত বোধ করেছি। কারণ, বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম দেশ।
মন্ত্রী বলেন, তারপর বলেছি, আপনারা বলেছেন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এটা করেছেন। আপনারা যদি পক্ষপাতিত্ব না করে এটা প্রয়োগ করেন, আমাদের আপত্তি নেই। আপনারা যদি একজনের বিরুদ্ধে এটা প্রয়োগ করেন, তাহলে অবশ্যই আমার কিছু বলার আছে। তারপর বলেছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশ আপনার। আপনারা ভিসানীতি দিয়েছেন, তাতে আমার কিছু আসে যায় না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন করেন বলেই কিন্তু অনেক সুদখোর, বিএনপির অনেক নেতা যারা দুর্নীতি করে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আপনারা আওয়ামী লীগের কর্মী, আপনারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মী, আপনারা মুক্তিযুদ্ধ দেখা কর্মী, আপনাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। বাংলাদেশের অস্তিত্ব নিয়ে আর কেউ খেলতে পারবে না।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচনকে প্রভাবিত করে এমন কোনো কাজ সরকার করবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, সরকার এখন কেবল রুটিন কাজ করবে।
আজ ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কিংবা পুলিশের বিষয়ে যদি নির্বাচন কমিশনের কিছু বলার থাকে, তারা সে নির্দেশনা দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে।
আইনমন্ত্রী বলেন, গতকাল যেহেতু তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, এরপর নির্বাচনের কাজকর্ম নির্বাচন কমিশন দায়িত্বশীলভাবে করবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের কাজে যেসব সরকারি বিভাগ, সংস্থা বা অফিস তাদের প্রয়োজন হবে তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে। যে সরকার আছে, সেই সরকার গতানুগতিক রুটিন কাজগুলো করে যাবে।
নির্বাচনের কারণে কোনো পলিসি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলে জানান আইনমন্ত্রী।
পলিসি বলতে আইন হবে না, বদলি হবে না, এমন কিছু? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, আইন তো হবেই না, কারণ সংসদ বসবে না। কিন্তু এমন কথা আমি বলতে পারি না। এটা একটা স্বাধীন দেশ। যদি প্রয়োজন হয় যে অধ্যাদেশ দিয়ে আইন জারি করতে হবে, কোনো বিশেষ কারণে বিশেষ ব্যবস্থায় অত্যন্ত জরুরি কারণে, সেখানে আইন হবে না এ কথা আমি বলতে পারি না।
এসময় রুটিন কাজের ব্যাখ্যা দেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, গতানুগতিক অফিস চলার ব্যাপারে, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বেতন পাওয়ার ব্যাপারে, প্রতিদিনকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে, এসব বিষয়ে অবশ্যই এ সরকার কাজ করবে। উন্নয়ন কাজ যেগুলো আছে, সেগুলো চলমান থাকবে।
তবে নতুন করে কোনো উন্নয়ন কাজ শুরু হবে না এবং নতুন করে কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, একটি দলের পক্ষে যা কিছু নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে এ রকম কাজ আমরা করব না।
মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু টেকনোক্র্যাট কোটার মন্ত্রীরাও কি থাকবেন? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, সেই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগ মোটেও আমার অধীনে নয়, ম্যাজিস্ট্রেটরাও নয়। বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং অধস্তন আদালতগুলো সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আওতায়। সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতায় তারা চলবে, আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলবে না। আমি বহুবার বলেছি, আইন মন্ত্রণালয় হচ্ছে নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের একটি সেতুবন্ধন।
পুলিশকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাকি নির্বাচন কমিশন চালাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাপারটি হচ্ছে যদি পুলিশের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য থাকে, তাহলে তারা সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানাবে এবং নির্বাচন কমিশন যেটা বলেছে সেটা যৌক্তিক হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেটা করবে।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের ভিসা নীতির ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়েও লাভ নেই। নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন, ভয় দেখান মির্জা ফখরুল। বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের কী হলো? ফলাফল কী?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নিষেধাজ্ঞাকে ভয় করলে বঙ্গবন্ধু এ দেশ স্বাধীন করতে পারতেন না। নিষেধাজ্ঞাকে কেউ ভয় করলে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, সোনালি অর্জন– সেগুলো হতো না। তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন সংবিধান নির্ধারণ করবে। আমরা তত্ত্বাবধায়ক মানি না। তত্ত্বাবধায়ক এখন মরা লাশ, ওই লাশ এখন আমাদের দিয়ে লাভ নেই।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল-আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি নুরুল আমিন রুহুল প্রমুখ।
‘সময়ের সঙ্গে বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে’
এর আগে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির প্রথম বৈঠকে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে নিষেধাজ্ঞা দিল, সেটা আমাদের মাথাব্যথা নয়। আমরা তো নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করব। কাজেই নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য নয়।
দলের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে তিনি বলেন, ইশতেহার পড়ে ক’জন? সেটা খেয়াল রেখে ইশতেহার প্রণয়ন করতে হবে। সেখানে বুলেট পয়েন্ট দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আনতে হবে। সময়ের সঙ্গে বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে। সামনে কঠিন সময়, জুঁই ফুলের গান গেয়ে লাভ নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রিসভা ছোট কি বড় হবে, সেটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তিনি চাইলে গতবারের মতো যেভাবে আছে, সেভাবেও থাকতে পারে। এটাতে আর কারও কিছু করার নেই। সেই নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার কার্যক্রম হবে, রুটিন ওয়ার্ক। গুরুত্বপূর্ণ কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত তারা নেবে না।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির আহ্বায়ক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ ছাড়াও নির্বাচনী ইশতেহারের মূল ফোকাস থাকবে শিল্প খাত। ছোট শিল্প প্রসারের পাশাপাশি ভারী শিল্পের দিকেও যেতে হবে। কৃষিতে ভর্তুকি থাকবে। সেবা খাতকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে।
ড. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এবং আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির সদস্য সচিব ড. সেলিম মাহমুদের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন উপকমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ড. শামসুল আলম, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নরসিংদীতে প্রতিবন্ধী শিশুসহ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আজ ১৫ জুলাই শনিবার দিনব্যাপী সেন্টার ফর ডিজঅ্যাবিলিটি ইন ডেভেলপমেন্টের (সিডিডি) উদ্যোগে সাইটসেভার্স’র সহযোগিতায় নরসিংদী সদর উপজেলার অরবিট রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড পার্টি সেন্টারে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণে নরসিংদী সদর উপজেলার ১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৩ জন শিক্ষক অংশ নেয়। প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন নরসিংদী সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা অনিতা পাল, প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফারুক আজিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়শ্রী সাহা।
প্রশিক্ষক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ভেলানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন, সাইটসেভার্স’র জেলা সমন্বয়কারী রিংকু ইম্মানুয়েল কস্তা, সিডিডি’র সিনিয়র সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর আলম ও ইঙ্কলুসিভ এডুকেশন অফিসার আরিফুল ইসলাম।