অনলাইন ডেস্ক :
দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজে প্রবেশ পর্যায় ছাড়া অন্যান্য পদে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে গত ১০ জানুয়ারি পরিপত্র জারি করেছে। এতে সই করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষক ও নিবন্ধন প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) আওতা (প্রবেশ পর্যায়ের পদ) ব্যতীত অন্যান্য পদে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি কর্তৃক নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়োগে প্রতিষ্ঠানভেদে পদ্ধতিগত ভিন্নতা রয়েছে। এসব পদে নিয়োগ কার্যক্রমে অভিন্নতা ও স্বচ্ছতা আনার জন্য নির্দেশমালা জারি করা হলো।
শূন্য পদের চাহিদা: পরিপত্রে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা, ২০২১’ এবং এর সর্বশেষ পরিমার্জন অনুযায়ী যথাযথভাবে যাচাইপূর্বক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শূন্য বা নবসৃষ্ট পদের প্রাপ্যতা নিরূপণ করবে। শূন্যপদের ধরণ (কাঠামোভুক্ত, সৃষ্ট, অননুমোদিত সৃষ্ট, খণ্ডকালীন, চুক্তিভিত্তিক) উল্লেখপূর্বক শূন্যপদের বিবরণী প্রণয়ন করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত গভর্নিং বডি বা ব্যবস্থাপনা কমিটি বিদ্যমান না থাকলে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না।
এতে উল্লেখ করা হয়, প্রাপ্যতাবিহীন পদে নিয়োগ করা যাবে না। প্রাপ্যতাবিহীন পদে কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী নিয়োগ করা হলে তার সমুদয় দায়ভার নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে নিয়োজিত সবার ওপর ব্যক্তিগতভাবে বর্তাবে। নিয়োগকৃত শিক্ষক-কর্মচারীর শতভাগ বেতন-ভাতা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বহন করতে হবে।
প্রাপ্যতাবিহীন পদে নিয়োগকৃত কোনো শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্তির জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) প্রস্তাব পাঠানো যাবে না। এ ধরনের প্রস্তাব পাঠানো হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটির বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রাপ্যতাবিহীন পদে নিয়োগের জন্য মাউশির মহাপরিচালকের প্রতিনিধি মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করাও যাবে না।
শূন্য পদ পূরণে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি: পরিপত্রে বলা হয়, শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য দেশের বহুল প্রচারিত দুটি দৈনিক পত্রিকায় (একটি জাতীয় ও একটি স্থানীয়) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ও সম্ভাব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তির ব্যাপক প্রচার করতে হবে।
‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১’ ও এর সর্বশেষ পরিমার্জন অনুযায়ী শূন্যপদের ধরন (এমপিও কিংবা নন-এমপিও পদ), সংখ্যা, বিষয়, আবেদন ফি, প্রত্যেক পদের জন্য নিয়োগ যোগ্যতার আবশ্যকীয় শর্তাবলি, বেতন গ্রেড, আবেদন দাখিলের নিয়ম এবং আবেদন দাখিলের সর্বশেষ তারিখ ও সময় বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকতে হবে।
প্রাপ্ত আবেদনসমূহ যাচাই-বাছাই: এতে উল্লেখ করা হয়, প্রাপ্ত আবেদনের সংক্ষিপ্ত তালিকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ড বা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। প্রাপ্ত আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি কর্তৃক রেজুলেশনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে থেকে তিন সদস্যের একটি ‘আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই কমিটি’ গঠন করতে হবে। ওই কমিটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১ এবং এর সর্বশেষ পরিমার্জন অনুযায়ী প্রত্যেকটি পদের জন্য নিয়োগ যোগ্যতার শর্তাবলি ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যাচাই-বাছাই করে বৈধ আবেদনকারীর তালিকা প্রণয়ন করবে। প্রাপ্ত আবেদন ও বৈধ আবেদনের তালিকা জেলা শিক্ষা অফিসারকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।
নিয়োগ পরীক্ষার নম্বর বণ্টন ও সময়, মূল্যায়ন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি, ফল প্রকাশ, নিয়োগের সুপারিশ, ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির করণীয় পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
চলারপথে ডেস্ক :
অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর সেবা প্রদানে সারাদেশের ভূমি কর্মকর্তাদের ৯ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ‘অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ ও আদায় বিষয়ক নির্দেশনাবলী’ শীর্ষক পরিপত্রে ওই নয়টি নির্দেশনাবলী উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ‘অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে সিস্টেম প্রয়োগ সংক্রান্ত টেকনিক্যাল নির্দেশনা’ সংক্রান্ত আরও একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলা বছরের পহেলা বৈশাখ থেকে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আগের নিয়মে ভূমি অফিসগুলোতে নগদ অর্থ লেনদেনের সুযোগ নেই।
ক্যাশলেস পদ্ধতিতে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলো হলো, ভূমি মালিকরা নিবন্ধন করে খতিয়ান যুক্ত করার সর্বোচ্চ সাত কার্য দিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নিজ দাপ্তরিক আইডি থেকে হোল্ডিং যাচাই ও সমন্বয় করে অনুমোদন করবেন। এর ব্যত্যয় হলে তা সংশ্লিষ্ট ভূমি কর্মকর্তার অদক্ষতা হিসেবে গণ্য করা হবে।
নাবালক বা প্রবাসী ভূমি মালিকের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে তাদের নাগরিক নিবন্ধনে নাবালক বা প্রবাসীর জন্মনিবন্ধন বা পাসপোর্ট দিয়ে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করতে হবে। খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিকের নাম জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিল না থাকা এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে রেকর্ডে স্বামীর নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবার নাম ইত্যাদি কারণে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের আবেদন বাতিল করা যাবে না। শুধু হোল্ডিংধারী ভূমি মালিকের নামে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করতে হবে। ভূমি উন্নয়ন কর কর পরিশোধকারী বা ভাড়াটিয়ার নাম দাখিলায় যুক্ত করা যাবে না।
যৌথ মালিকানার ক্ষেত্রে কোনো একজন মালিক নিজ অংশের ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে চাইলে নামজারির (মিউটেশন) মাধ্যমে আলাদা হোল্ডিং তৈরি করতে হবে। গ্রামের বাড়িগুলো পাকা ভিটির না হলে কৃষিজমি হিসেবে গণ্য করে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করতে হবে। একই দাগের জমি আংশিক কৃষি ও আংশিক অকৃষি (শিল্প, বাণিজ্য ইত্যাদি) কাজে ব্যবহৃত হলে ব্যবহারের ধরণ অনুযায়ী হারাহারিভাবে কর নির্ধারণ করে আদায় করতে হবে। কোনো ভূমি মালিক ইচ্ছা করলে বকেয়া ও হাল সনের ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করার পর পরবর্তী তিন বছরের ভূমি উন্নয়ন কর অগ্রিম প্রদান করতে পারবেন।
একই হোল্ডিংয়ে হাল সন পর্যন্ত বা একাধিক বছরের অগ্রিম ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধিত থাকা অবস্থায় আংশিক হস্তান্তর বা উত্তরাধিকারসূত্রে নামজারি (মিউটেশন) হলে নতুন হোল্ডিংধারী হোল্ডিং গ্রহণের তারিখ থেকে নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করবেন।
এ ছাড়া সংস্থার ক্ষেত্রে আংশিক ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, মওকুফ দাখিলা নিয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে আজ ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুরে বৃক্ষরোপন, বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি জ্বালাও পোড়াও করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এম.পি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষক লীগের আহবায়ক ছাদেকুর রহমান শরীফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী জসিম উদ্দিন, আসাদুজ্জামান বিপ্লব, ড. হাবিবুর রহমান মোল্লা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নাজির মিয়া, উপদেষ্টা গুলশান আরা বেগম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সদস্য গোলাম মোস্তফা, মাহবুবুর রহমান নসিম, পিপি মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা যুবলীগের সভাপতি এডভোকেট শাহানুর ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি এডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভপতি রুমা আক্তার প্রমুখ।
আলোচনা সভাশেষে প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিরা বৃক্ষ রোপন করেন এবং কৃষকের মাঝে এক হাজর ২০০ বনজ, ফলজ সহ বিভিন্ন জাতের বৃক্ষ বিতরণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
ঈদুল-আজহা উপলক্ষে এক কোটি ৫১ হাজার ভিজিএফ কার্ডধারীর প্রত্যেকে ১০ কেজি করে চাল পাবেন। ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় এক লাখ ৫১৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে এ বরাদ্দ দিয়ে সব জেলা প্রশাসককে (ডিসি) চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের আসন্ন পবিত্র ঈদুল-আজহা উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সারাদেশের ৬৪ জেলায় ৪৯২ উপজেলার জন্য ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬৪৯টি এবং ক, খ ও গ ক্যাটাগরির ৩২৯টি পৌরসভার জন্য ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৮৫১টিসহ সর্বমোট এক কোটি ৫১ হাজার ৫০০টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে কার্ডপ্রতি ১০ কেজি হারে এক লাখ ৫১৫ মে. টন ভিজিএফ চাল শর্তাবলী অনুসরণ করে বিভাজন অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া হলো।
বরাদ্দ দেওয়া ভিজিএফ চাল ২০ জুনের মধ্যে উত্তোলনসহ বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে বলেও চিঠিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এছাড়া বরাদ্দের শর্তে বলা হয়, এসব ভিজিএফ বরাদ্দের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকরা স্থানীয় সংসদ সদস্যদের অবহিত করবেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৬ এর তথ্য অনুযায়ী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক বরাদ্দ করা ভিজিএফ কার্ডধারীদের তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। www.bbs.gov.bd ওয়েবসাইটে লগইন করে জনসংখ্যার তথ্য পাওয়া যাবে। দুস্থ, অতিদরিদ্র ব্যক্তি ও পরিবারকে এ সহায়তা দিতে হবে। তবে সম্প্রতি বন্যাক্রান্ত ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থ ও অতি-দরিদ্রকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
তবে, নিচের শর্তাবলীর মধ্যে কমপক্ষে চারটি শর্ত পূরণ করে এমন ব্যক্তি ও পরিবার, সহায়তা পাওয়ার জন্য গণ্য হবে-
১. যে পরিবারের মালিকানায় কোনো জমি নেই বা ভিটাবাড়ি ছাড়া কোনো জমি নেই।
২. যে পরিবার দিন মজুরের আয়ের ওপর নির্ভরশীল।
৩. যে পরিবার নারী শ্রমিকের আয় বা ভিক্ষাবৃত্তির ওপর নির্ভরশীল।
৪. যে পরিবারের উপার্জনক্ষম পূর্ণবয়স্ক কোনো পুরুষ সদস্য নেই।
৫. যে পরিবারে স্কুলগামী শিশুকে উপার্জনের জন্য কাজ করতে হয়।
৬. যে পরিবারে উপার্জনশীল কোনো ব্যক্তি নেই।
৭. যে পরিবারের প্রধান স্বামী পরিত্যক্তা, বিচ্ছিন্ন বা তালাকপ্রাপ্তা নারী।
৮. যে পরিবারের প্রধান অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা।
৯. যে পরিবারের প্রধান অসচ্ছল ও অক্ষম প্রতিবন্ধী।
১০. যে পরিবার কোনো ক্ষুদ্র ঋণ প্রাপ্ত হয়নি।
১১. যে পরিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে চরম খাদ্য অর্থ সংকটে পড়েছে।
১২. যে পরিবারের সদস্যরা বছরের অধিকাংশ সময় দুই বেলা খাবার পায় না।
অনলাইন ডেস্ক :
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি) সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বাড়াতে বিভিন্ন পেশা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ ৩০মে মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংগে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ নির্দেশ দেন।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। রাষ্ট্রপতি আশা করেন যে, সমাজে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে গ্রামে-গঞ্জে নিয়োজিত আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা ইতিবাচক অবদান রাখবেন।
“সামাজিক স্থিতিশীলতা উন্নয়নের পূর্বশর্ত। এই বাহিনী দেশের অভ্যন্তরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অন্যান্য পেশাগত বাহিনীকে সহযোগিতা করে আসছে,” বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রপ্রধান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা পরবর্তীতে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আনসার ও ভিডিপি-র ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আনসার ও ভিডিপির প্রধান বাহিনীর সদস্যদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গৃহীত নানা পদক্ষেপসহ সার্বিক কর্মকান্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নোয়াখালীর সুধারামের এওজবালিয়া পূর্ব চাকলা গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পের ১৫ টাকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বিপুল পরিমাণ চাল গোডাউন থেকে আত্মসাতের চেষ্টাকালে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন ইসমাইল (৩০) ও এরশাদ (২৫)। আজ ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভোর রাতে গোডাউন থেকে চাল রাস্তায় সরিয়ে রাখার চেষ্টাকালে স্থানীয়রা টের পান। পরে দুইজনকে আটক করে তারা পুলিশে দেন।
এ ঘটনায় আবদুস সহিদ ডিলার মিজানুর রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন এবং দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন।
সুধারাম থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সরকারি চাল গোডাউন থেকে আত্মসাতের চেষ্টাকালে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ডিলারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, ডিলারশিপ বাতিল করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় লোকজন সরকারি চাল আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।