চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে বেঁদেদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৫ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে মুজিববর্ষে নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ৩৫টি বেঁদে পরিবারসহ ৭৪টি পরিবারের মধ্যে এই কম্বল বিতরণ করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাদের জমি ও ঘর নেই তাদেরকে জমি সহ ঘর দিয়েছেন। এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে বেঁদে স¤প্রদায়ের পরিবারকে জায়গা দেয়া হয়েছে। তাদেরকে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তারা যেন বিভিন্ন কাজকর্মের মাধ্যমে সমাজে স্বীকৃতি পায় তা দেখা হচ্ছে। খুব ভালো লাগছে, সমাজে যাদের ঘর-বাড়ি ছিল না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাদের ঘর দিয়েছেন, আমরা তাদেরকে কম্বল জড়িয়ে দিয়ে প্রচন্ড শীত নিবারণের চেষ্টা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। একটি ভাল কাজের সাথে যুক্ত হলাম।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিয়াউল হক মীর, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসেন ও ইউপি চেয়ারম্যান আলামিনুল হক পাবেল উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫০তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার বেলা ১১টায় শহরের অন্নদা স্কুলের বর্ডিং মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রধান অতিথি থেকে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি এস.এম শান্তনু চৌধুরী, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জুলফিকার হোসেন প্রমুখ।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দৌড়, উচ্চ লাফ, দীর্ঘ লাফ, গোলক নিক্ষেপসহ ১০৮টি ইভেন্টে অংশ নেয়। পরে অতিথিরা বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ে স্টেশনের টিকেট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন শেষে ফেরার পথে ছাত্রদের উপর হামলা করে টিকেট কালোবাজারিরা। এ ঘটনায় চার ছাত্র আহত হয়। আহতদেরকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা দেয়া হয়। ৭ মার্চ শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ফ্ল্যাটফরমে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শাহজাহান নামে এক টিকেট কালোবাজারিকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যায়। আটক শাহজাহানের বাড়ি পৌর এলাকার পুনিয়াউট মহল্লায়। একাধিক সূত্র ও পুলিশ জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে টিকেট কালোবাজারি ও দায়িত্বশীলদের টিকেট সিন্ডিকেট, ব্ল্যাকারসহ সিন্ডিকেটে জড়িত সকলদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার বেলা ১১টার সময় “সচেতন ছাত্রসমাজ ও ভুক্তভোগীরা” ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে ছাত্ররা চলে যাওয়ার সময় তিতাস কমিউনিটার টিকেট কাউন্টারের সামনে টিকেট কালোবাজারি নাজমুল হক সানি ও শাহজাহানের নেতৃত্বে টিকেট কালোবাজারিরা ছাত্রদের উপর হামলা করে। হামলায় ৪ ছাত্র আহত হয়। আহতদের মধ্যে সৌরভ ও তারভীরকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা দেয়া হয়। নাজমুল হক সানি পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক। খবর পেয়ে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে কালোবাজারি শাহজাহানকে আটক করে। নাজমুল হক সানিসহ অন্যান্য টিকেট কালোবাজারিরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল থেকে টিকেট কালোবাজারি শাহজাহানকে আটক করে আখাউড়া রেলওয়ে থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। এ ঘটনায় আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা হবে।
এর আগে শুক্রবার বেলা ১১টায় রেল স্টেশনের প্লাটফরর্মে “সচেতন ছাত্রসমাজ ও ভুক্তভোগীরা” ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী কওমী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মূখ্য সংগঠক শেখ আরিফ বিল্লাহ আজিজী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রতিনিধি মোঃ বোরহান সিয়াম, মোঃ মোহাইমিনুল আজমিন, মোঃ আবু বক্কর, মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, মোঃ মারুফ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের টিকেট কালোবাজারি ও দায়িত্বশীলদের টিকেট সিন্ডিকেট, ব্ল্যাকারসহ সিন্ডিকেটে জড়িত সকলদের শাস্তির দাবিতে আমাদের এই মানববন্ধন। তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে প্রকাশ্যে টিকেট কালোবাজারি হলেও প্রশাসন নিরব। আমরা টিকেট কালোবাজারির সাথে জড়িত সকলের শাস্তি দাবি করি।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বরত (মাষ্টার) মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, কেউ যদি অনলাইনে কেটে বেশি দামে বিক্রি করে সেটাতো রোধ করা যাবেনা। টিকেট কালোবাজারির সাথে স্টেশনের কেউ জড়িত না বলে তিনি দাবি করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম চরমোনাই বলেছেন, জোর করে ভোট নিয়ে ক্ষমতায় বসা এই সরকারকে মানুষ আর দেখতে চায়না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া কোন নির্বাচন এই দেশের মানুষ মেনে নেবেনা। রাতের ভোট আর বাংলাদেশে চলবেনা।
তিনি আজ ২১ আগস্ট সোমবার বিকেলে পৌর এলাকার কাউতলীতে স্বপ্নতরী কনভেনশন হলরুমে আয়োজিত ওলামা ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম চরমোনাই আরো বলেন, সরকারের ছত্রছায়ায় রাঘব বোয়ালরা হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। এস.আলম গ্রুপ ৮টি ব্যাংক থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।
সূধী সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সম্পাদক গাজী নিয়ামুল করীম, মাওলানা আলী আযম কাসেমী, মাওলানা শরীফ উদ্দীন, মাওলানা হারুনুরর রশিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
উপমহাদেশীয় রাগ সংগীতে প্রবাদ-প্রতিম সংগীত সাধক ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সাহেবের ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন এর উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সুরসম্রাটের জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, সংগীত পিপাসুদের মধ্যে উচ্চাঙ্গ সংগীতের মহাগুরু ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর নাম জানেননা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার একটি অজপাড়াগা শিবপুরে জন্ম নিয়ে কিভাবে একটি মানুষ স্বীয় সাধনা বলে রাগ সঙ্গীতের উচ্চ শিখরে কিভাবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করতে পারেন – তা এক মহা বিস্ময়ের বিষয়। সংগীতের প্রতি গভীর অনুরাগ, লক্ষ্যে পৌঁছুবার কঠোর সাধনা, অখণ্ড অধ্যবসায়ই তাঁকে সংগীতের উচ্চাসনে নিয়ে গেছে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে সংগীতে অনুশীলনে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র কঠিন সাধনার ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধেও ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পরিবারের বিরাট অবদান রয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ তহবিল গড়তে আমেরিকার মেডিসিন স্কয়ারে জর্জ হ্যারিসনের উদ্যোগে যে কনসার্ট ‘ফর বাংলাদেশ’- অনুষ্ঠিত হয়েছিল তাতে এ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর পুত্র ওস্তাদ আলী আকবর খাঁ ও মেয়ে জামাতা রবি শংকর সরোদ ও সেতার পরিবেশন করে হাজার হাজার দর্শক শ্রোতাকে মাতিয়ে রেখেছিলেন, – আজকে যা ইতিহাস।’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন। সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সংগীতাঙ্গন পরিচালনা পর্ষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার। প্রধান আলোচক ছিলেন কবি জয়দুল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সঙ্গীতাঙ্গনের অধ্যক্ষ ওস্তাদ হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সাংস্কৃতিক পর্বে সংগীত পরিচালনা করেন সংগীত প্রশিক্ষক রুনাক সুলতানা পারভীন, সংগীত প্রশিক্ষক মনি সাহা। তবলা লহরা পরিচালনা করেন তবলা প্রশিক্ষক আবিদুল হোসেন বাবলু, নৃত্য পরিচালনা করেন নৃত্য প্রশিক্ষক জিয়া আমিন। যন্ত্র সঙ্গীতে ছিলেন বিটিভির সংগীত পরিচালক ও সুরকার আলী মোসাদ্দেক মাসুদ (ম্যান্ডোলিন), ওস্তাদ সামছুদ্দিন খান (বেহালা), দিলীপ বণিক (তবলা), কিরণ রায় (তবলা), খোকন সেন (তবলা)। অনুষ্ঠান সহযোগী ছিলেন সাজন সরকার ও বকুল ঋষি। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও উপস্থাপনা করেন সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম। সাংস্কৃতিক পর্বের বিভিন্ন শাখায় অংশগ্রহণ করেন সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের প্রায় দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী। বৃষ্টি-বিঘ্নিত এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবর্গ ও অভিভাবক মন্ডলী মিলিয়ে প্রায় আড়াই শতাধিক দর্শক শ্রোতা এই যত্নশীল ও ছিমছাম অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন এর সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম অতিথিবর্গ ও সংগীতাঙ্গন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের নিয়ে উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। ঐদিন সকালবেলা আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গনে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ও তাঁর পরিবারের প্রয়াত সকলের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয?। দোয?া পরিচালনা করেন মাওলানা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।