চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহ্যের ‘গুঁটিদাড়া’ খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ জানুয়ারি রবিবার বিকেলে শহরের শেরপুরে লাল-সবুজ দলে ভাগ করে এ খেলার আয়োজন করা হয়।
শিপন খান নামের এক খেলোয়াড় বলেন, এটি গ্রামীণ খেলা। খেলা দেখার জন্য স্টেডিয়ামের মতো বড় জায়গা লাগে। তাই কৃষি জমিতে যখন ফসল না থাকে তখন আমরা খেলি। তবে আমরা চাই এটি ভালো কোনো খেলার মাঠে হোক। এতে করে খেলাটি ঠিকে থাকবে। লোকজন আনন্দও পাবে।
প্রবীণ খেলোয়াড় শাহ আলম খান বলেন, ১২ বছর বয়স থেকে খেলাটি খেলছি। মহিষের শিং দিয়ে গুঁটি বানানো হয়। আমরা যে গুঁটিটি দিয়ে খেলি এটি কমপক্ষে ৫০ বছর আগের হবে। আগে এ খেলা আরও বেশি জমজমাট হতো।
খেলা শেষে দুই দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, ডা. নাজমুল হুদা বিপ্লব, মো. ফারুক আহমেদ, সাংবাদিক ইব্রাহিম খান শাহাদাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন বলেন, শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই নয় সারাদেশে এক সময় প্রচলিত ছিল এ খেলাটি। এখন খেলাটি প্রায় বিলুপ্ত। খেলাটি টিকিয়ে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবি জানাই।
চলারপথে রিপোর্ট :
তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় র্যালি ও আলোচনা সভা আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে শহরের পৌর মুক্ত মঞ্চ থেকে একটি র্যালি বের হয়।
র্যালিটি শহরের বিভিন্ন প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সুর সমরাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আমির আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত মোহাম্মদ ইশতিয়াক ভূইয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আব্দুল মতিন, জেলা জামায়েত ইসলামের আমীর গোলাম ফারুক প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, আজকের তরুণ সমাজরা হচ্ছে আগামী দিনের নতুন বাংলাদেশের কর্ণধার। তাদের সার্বিক উন্নয়নে বর্তমান সরকার নানামুখী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লিচু খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন এক পরিবারের তিন শিশুসহ পাঁচজন। তাদের ৬ জুন মঙ্গলবার বিকেলে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করানো হয়।
অসুস্থরা হলেন- সঞ্জিত ঋষি (২৫), অনামিকা ঋষি (৩০), সোহাগ ঋষি (১২), সিধু ঋষি (৮) ও স্মৃতিরানী ঋষি (৫)। তারা সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের কাশিনগরের বাসিন্দা।
অসুস্থ সঞ্জিত ঋষি জানান, দুপুরে শহরের কালাইশ্রীপাড়ার এক হকার থেকে ১৫০ টাকায় ৫০টি লিচু কিনেন। দুপুর ১টার দিকে বড়ভাবিসহ তার মেয়ে ও ভাতিজারা লিচু খান। এক পর্যায়ে প্রচুর পেট ব্যথা ও বমি হয় সবার। তাদের জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ বলেন, লিচু খেয়ে পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। লিচুতে কেমিক্যাল অথবা ফুড পয়জনিংয়ের কারণে তারা অসুস্থ হতে পারেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, অসুস্থ হয়ে শিশুসহ পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জীবন বীমা কর্পোরেশনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুবর্ণজয়ন্তি উদযাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৪ মে রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে বীমা শিল্পের উন্নয়নে বর্তমান সরকার কাজ করছেন। জীবন বীমা কর্পোরেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডেপুটি ম্যানেজার-ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন এনডিসি মোঃ শরীফ নেওয়াজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বীমা ফোরামের উপদেষ্টা মোঃ আরজু মিয়া, ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল আলিম সরকার। এছাড়াও অনুষ্ঠানে জীবন বীমা কর্পোরেশনের শাখা ইনচার্জ ফারহানা হক, উন্নয়ন ম্যানেজার, উন্নয়ন কর্মকতা ও এজেন্টগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই কেক কেটে সূবর্ণজয়ন্তির উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জীবন বীমা কর্পোরেশনের উন্নয়ন ম্যানেজার ফেরদৌস রহমান।
চলারপথে রিপোর্ট :
অষ্টগ্রাম উত্তরপাড়া যুবকবৃন্দের উদ্যোগে ২ ডিসেম্বর সোমবার ইসলামী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত ইসলামী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন মালিহাতা মাদ্রাসার নাজিমে তালিমাত হযরত মাওলানা আলী আকবর।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার অষ্টগ্রাম উত্তরপাড়া খেলার মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিতব্য ইসলামী সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন আন্তর্জাতিক মোফাসসিরে কোরআন অত্র এলাকার কৃতি সন্তান খতীবে বাঙাল আল্লামা জুনায়েদ আল হাবিব।
বিশেষ অতিথি থাকবেন সারা বাংলায় আলোড়ন সৃষ্টিকারী ওয়ায়েজ হযরত মাওলানা উবায়দুর রহমান হুজাইফি ঢাকা।
প্রধান আকর্ষণ: মুহাদ্দিস জামিয়া কাসেমিয়া আশরাফুল উলুম ঢাকা এর হাঃ মাওঃ মুফতী আহমাদ আল হাবীব।
বিশেষ আকর্ষণ থাকবেন কসবা বাদের পুর্ব পাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হযরত মাও হাঃ আল আমিন হুসাইনী।
প্রধান ওয়ায়েজ সারা বাংলায় আলোড়ন সৃষ্টিকারী বক্তা অত্র এলাকার নয়নমনি অষ্টগ্রাম বাজার জামে মসজিদ সাবেক ইমাম ও খতিব হযরত মাওলানা কাউছার আহমেদ রাহমানি।
বিশেষ চমক হিসাবে উপস্থিত থাকবে বাংলাদেশের স্বনামধন্য শিল্পীগোষ্ঠি “আমরা সুরের আহবান”। আপনারা দলে দলে যোগদান করিয়া দোজাহানের অশেষ নেকি হাছেল করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটি।