চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের অসহায় মানুষের মধ্যে সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ আমিরপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের ১২৫টি পরিবারের মধ্যে এই কম্বল বিতরণ করেন।
কম্বল বিতরণের সময় সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসাইন, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় অসহায় মানুষের কষ্ট বেড়ে যায়।
মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাদের জমি ও ঘর নেই তাদেরকে জমিসহ ঘর দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার মজলিশপুর আমিরপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের অসহায় ১২৫ টি পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। শীতবস্ত্রহীন মানুষগুলোর শরীরে কম্বল জড়িয়ে দিতে পেরে হৃদয়ে কিছুটা প্রশান্তির ছোঁয়া পেলাম।
এ সময় তিনি সমাজের বিত্তবান মানুষদেরকে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জরায়ুমুখ ক্যান্সাররোধে সচেতনতামূলক সভা আজ ২৫ জানুয়ারি বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় খ্রীষ্টিয়ান মিশন প্রাইমারী স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খ্রীষ্টিয়ান মেডিকেল সেন্টার (মিশন হাসপাতালের) গাইনী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ কামরুন্নাহার।
সভায় বক্তব্য রাখেন খ্রীষ্টিয়ান মিশন প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নীলি নিরুপমা কর্মকার ও ইনসেপটা ফার্মাসিটিকেল কোম্পানী লিমিটেডের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোঃ আলতাফ হোসেন।
মতবিনিময় সভায় ডাঃ কামরুন্নাহার বলেন, আমাদের মানুষের জীবনে অনেক ধরণের ক্যান্সার হয়, যার কোন কারণ আমরা খুঁজে পাইনা। কিন্তু জরায়ু ক্যান্সার কেন হয়, আমরা সবাই জানি। জরায়ু ক্যান্সারে দেশে প্রতিদিন ২৮ জন নারী মারা যাচ্ছে। এটি নিরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই। জরায়ু ক্যান্সার শতভাগ নিরাময়যোগ্য। সচেতনতাই পারে এই রোগ থেকে মুক্তি দিতে। সবচেয়ে আশার কথা হচ্ছে, এই ক্যান্সারের ভ্যাকসিন একসময় বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো। মাঝে এর আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন দেশেই এই টিকা উৎপাদন হচ্ছে। যার কারণে দামও অনেটাই হাতের নাগালে। তিনি সকলকে এই রোগ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পাশপাশি ভ্যাকসিন গ্রহনের আহবান জানান।
তিনি বলেন, ৯ বছর থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীরা দুই ডোজ এবং ০৯ বছর থেকে ৪৫ বছর বয়সীরা তিন ডোজ টিকা নিলেই এই রোগ থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। হয়তো এটি এক সময় ইপিআই টিকার মত হয়ে যাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী, মাদক ব্যবসায়ীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ ইমন মিয়া ওরফে সেলিম, গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামী মোঃ আজিজুল হক (৩২) এবং মাদক ব্যবসায়ী মোঃ হাসান মিয়া (৪৫)।
আজ ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর মডেল থানা থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বুধবার রাতে দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ ইমন মিয়া ওরফে সেলিমকে শহরের কান্দিপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সেলিম কান্দিপাড়ার কাউছার মিয়ার ছেলে। একই রাতে গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামী মোঃ আজিজুল হককে গ্রেফতার করা হয়। সে সদর উপজেলার ররিশল গ্রামের শেখ আহাম্মদের ছেলে। এ ছাড়া ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী হাসান মিয়াকে পৌর এলাকার সবুজবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত হাসান মিয়া আশুগঞ্জ উপজেলার খোলাপাড়ার মোঃ মহিউদ্দিন প্রকাশ মহিজ উদ্দিনের ছেলে। বর্তমানে সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড্ডা সবুজবাগ এলাকায় বসবাস করে। এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধলে মুক্তিপণ না পেয়ে সাব্বির মিয়া (৯) নামের এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত সাব্বির উপজেলার বুধল ইউনিয়নের পূর্ব খাঁটিহাতা গ্রামের শরাফত আলীর ছেলে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের পিতা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিশু সাব্বির বাড়ি থেকে বের হয়। যাওয়ার সময় মা খালেদা বেগমকে (৩০) বলে যায়, সে পাঁচ টাকা নিয়ে বাড়ির পাশের দোকানে যাচ্ছে। ওই দোকানে যাওয়ার পর শিশুটি আর বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের লোকজন নানা জায়গায় খুঁজেও শিশুটির কোনো সন্ধান পাননি। গত বুধবার সকাল ছয়টার দিকে বাড়ির প্রবেশপথে একটি চিরকুট পান শিশুটির মা। চিরকুটে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। টাকা দিতে ব্যর্থ হলে শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকিও ছিল। চিরকুটে টাকা পাঠানোর জন্য একটি মুঠোফোন নম্বর দেওয়া হয়। বুধবার সকাল থেকে গত শুক্রবার রাত পর্যন্ত ওই মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করেছে শিশু সাব্বিরের পরিবারের লোকজন। তাঁরা টাকা দিতেও রাজি হয়েছেন। বুধবার রাতেই পরিবারের লোকজন সদর থানার পুলিশকে জানান। মুঠোফোনের সূত্র ধরে পুলিশ গত বৃহস্পতিবার থেকে অভিযানে নামে। একাধিক জায়গায় অভিযান চালানোর পর অপহরণকারী ব্যক্তিরা শুক্রবার রাতে ওই শিশুর লাশ বাড়ির কাছের নির্জন একটি পুকুরের কাঁদাজলের মধ্যে ফেলে রাখে। গত শনিবার দুপুরে গ্রামের শিশুরা ওই লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে রাতেই শিশুর লাশ দাফন করে পরিবার।
সাব্বিরের মা খালেদা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমরা গরীব মানুষ। ট্যাহার জন্য আমার মানিকটারে মাইরা ফালাইছে। আমি এর বিচার চাই।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার এসআই মহিউদ্দিন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, দুপুরে লাশ উদ্ধার করা হলেও অনেক আগেই শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। শিশুটিকে ঠিক কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছিল না। শিশু হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান ওসি।
স্টাফ রিপোর্টার :
অটোরিক্সার ধাক্কায় আনুমানিক ৬০ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে শহরের কুমারশীল মোড়ে অটোরিক্সার ধাক্কায় ওই বৃদ্ধ আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই বৃদ্ধ মারা যান।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।