অনলাইন ডেস্ক :
সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে তিন চাকার যানবাহনের পাশাপাশি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর সেতু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ নির্দেশনার কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইজিবাইক, নসিমন-করিমনের কারণে বেশিরভাগ সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে মোটরসাইকেলেও। আমি মোটরসাইকেল ও তিন চাকার গাড়ি নিয়ে একটা নীতিমালা তৈরি করার জন্য সচিবকে নির্দেশ দিয়েছি। এর আগে কিছুটা কাজ হয়েছে এই নীতিমালা নিয়ে। এই নীতিমালার কাজ যেন দ্রুত শেষ হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, এখানে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনেরও দায়িত্ব আছে। তাছাড়া আমাদের হাইওয়ে পুলিশের সংখ্যা কম, এখানে জনবলেরও একটা ব্যাপার আছে।
এদিকে, মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) জানিয়েছে, ২০২৩ সালে সারা দেশে ৫ হাজার ৪৯৫টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ৫ হাজার ২৪ জন। এর মধ্যে শুধু ডিসেম্বরেই ৪৮৩টি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৪১ জনের।
চলারপথে ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আজ ১৮ মে বৃহস্পতিবার আসন্ন ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
নির্বাচনে স্থানীয় প্রার্থীদের দ্বারা পুলিশ প্রভাবিত হওয়ার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশপ্রধান।
গাজীপুর, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশপ্রধান, বিজিবি, র্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআইসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
আইজিপি বলেন, বৈঠকে প্রসঙ্গক্রমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি এসেছে। জাতীয় নির্বাচনের সময় আমরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবো। নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশনা দেবেন তার আলোকে আমরা দায়িত্ব পালন করবো।
তিনি জানান, বৈঠকে তফসিল ঘোষিত পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন আমাদের অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের নির্দেশনা দিয়েছে। সব সংস্থার কাছ থেকে তথ্য নিয়েছে। আমাদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। আমরা সহযোগিতা প্রদান ও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছি।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের প্রশ্নে আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, নির্বাচন কমিশনের পরিপত্র অনুযায়ী অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যেসব কার্যক্রম গ্রহণ প্রয়োজন তা গ্রহণ করবো। এ ক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে আমাদের স্থানীয় ইউনিট সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে কাজ করছে।
স্থানীয় প্রার্থীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পুলিশ পক্ষপাত দুষ্ট আচরণ করে এমন অভিযোগের বিষয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, আমি সেটা মনে করি না। আইন অনুযায়ী আমাদের যে দায়িত্ব, দীর্ঘদিন ধরে আমরা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি এবং অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে যে দায়িত্ব পালন করা দরকার, আমরা বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য দায়িত্ব পালন করছি।
এর আগে সোমবার জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠক শেষে সিইসি বলেছিলেন, স্থানীয়ভাবে যে নির্বাচনগুলো হয়, সেখানে কিন্তু পুলিশকে পক্ষপাত করার জন্য প্রার্থীরাই চেষ্টা করে থাকেন। সেখানে কীভাবে পুলিশকে নিউট্রালাইজড করা যায়, সে জন্য জাতীয় পার্টি আমাদের সহায়তা চেয়েছেন। আমরা বলেছি, আমরা চেষ্টা করবো ও সরকারের সদিচ্ছার ওপর আমরা বারবার জোর দেবো। সেটা সরকারকেও করতে হবে, আমরা জিনিসটা ভেবে-চিন্তে পরে দেখব।
পুলিশপ্রধান বলেন, ইসির সঙ্গে বৈঠকে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা এখানে ছিলেন। তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সিটি নির্বাচনে সেই ধরনের কোনো চ্যালেঞ্জের কথা বলেননি। আমরা আশা করছি, একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটের দিনে শঙ্কা আমরা দেখছি না। তবে যেকোনো ধরনের উদ্ভূত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আমরা সব ক্ষেত্রেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জঙ্গিসহ সব বিষয় বিবেচনায় নেই ও সেই অনুযায়ী নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করছি।
এদিকে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, আসন্ন ৫টি সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিবরা উপস্থিত হয়েছিলেন। জননিরাপত্তা বিভাগের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে। আজকের সভায় নির্বাচন পূর্ব, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কার্যক্রম কীভাবে সমন্বয় হবে, সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তারা যেসব পরামর্শ দিয়েছে, কমিশন সেই বিষয়ে বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে।
তিনি বলেন, ইসির পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনে সবার সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানানো হয়েছে। উপস্থিত সবাই সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। যে যার অবস্থান থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনে সর্বাত্মক পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে।
সচিব বলেন, মাঠ প্রশাসন থেকে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, এই নির্বাচনকে ঘিরে বড় ধরনের কোনো নাশকতা বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কোনো সম্ভাবনা এখনও নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৪ জুন রবিবার দুপুরে ধুনট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধুনট থানা পুলিশের আয়োজনে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) সজিব সাহরিন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ধুনট থানার ওসি রবিউল ইসলাম, ধুনট পৌরসভার মেয়র এজিএম বাদশাহ, বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম সোবহান, কাউন্সিলর সেলিম রেজা রিমান, ইউপি সদস্য সুলতান মাহমুদ, প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র, সহকারি প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলামসহ শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।
চলারপথে ডেস্ক :
দীর্ঘ প্রায় ৪৫ বছর পর ফের ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস চালু করা হয়েছে। আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর বনানীতে এ দূতাবাসের উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে সঙ্গে নিয়ে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো এ দূতাবাস উদ্বোধন করেন। এ সময় দূতাবাসের সামনে জড়ো হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ।
দূতাবাস উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দের মুহূর্ত। এটি কেবল একটি কূটনৈতিক বিষয় নয়, এটি আবেগপূর্ণ মুহূর্ত।
তিনি আরো বলেন, এই দূতাবাসের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও ভালো হবে। পুনরায় দূতাবাস চালুর ফলে দুই দেশের সম্পর্কেও উন্নতি হবে।
১৯৭২ সালে আর্জেন্টিনার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে বাংলাদেশ। এরপর ঢাকায় দেশটির দূতাবাস খোলা হলেও ১৯৭৮ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ভারতের দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির কূটনৈতিক কার্যক্রম এবং ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালিত হতে থাকে।
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা দূতাবাস খোলা হয়। কিন্তু এর কয়েক বছর পরই জান্তা সরকারের সময় অ্যাম্বাসি বন্ধ হয়ে যায়। তবে বাংলাদেশের মানুষ আর্জেন্টিনার জন্য অনবরত ভালোবাসা দেখিয়ে গিয়েছে। তারা আর্জেন্টিনাকে ভুলে যায়নি। এজন্য আমরা আবারও বাংলাদেশে দূতাবাস চালু করছি।
এর আগে নতুন দূতাবাসের উদ্বোধন এবং বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও গভীর করতে আজ সোমবার সকালে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো ঢাকায় আসেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান। এটাই আর্জেন্টিনার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর।
আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠক শেষে নৈশভোজে অংশ নেবেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সেফ জোন তৈরিতে জার্মানের সমর্থন চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সামিটের সাইডলাইনে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সাথে বৈঠকে এমন সমর্থন চান তিনি।
জার্মান চ্যান্সেলরকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমতে পৌঁছালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চার্টারে স্বাক্ষর করা হবে। এ সময় জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাংলাদেশকে সমর্থন করবে জার্মান সরকার।
এর আগে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে তিনি সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান দেশটির জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম। সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
গতকাল ২০ জানুযারি সোমবার দিবাগত রাতে চার দিনের সফরে দেশটির উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রধান উপদেষ্টা। সফরকালে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে আগামী ২০-২৪ জানুয়ারি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেবেন তিনি। এ ছাড়াও প্রধান উপদেষ্টা দাভোসে ফোরামের সাইডলাইনে বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড ছাড়াও কয়েকটি সংস্থা প্রধান, বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী এবং চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। পাশাপাশি কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেয়ার কথা রয়েছে তার। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে আগামী ২৪ জানুয়ারি দাভোস থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।
অনলাইন ডেস্ক :
১৯৪৮ সালে পাকিস্তানিরা বাঙালির মাতৃভাষার অধিকার কেড়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়ার পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল দেশের স্বাধীনতার কথা আপনি কখন থেকে চিন্তা করেন। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, ১৯৪৮ সালে যখন মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার পাকিস্তানিরা কেড়ে নিয়েছিল সেদিন থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ওদের সঙ্গে আর থাকবো না।
তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই কিন্তু স্বাধীনতা। একজন নেতা নিজের জীবনের সব বিসর্জন দিয়ে একটি জাতির জন্য দিনের পর দিন অধিকার বঞ্চিত-শোষিত মানুষের কথা বলতে গিয়ে বারবার কারাবরণ করেছেন। জেলজুলুম-অত্যাচার সহ্য করেছেন। যে লক্ষ্য তিনি স্থির করেছিলেন, সেই লক্ষ্য সামনে রেখে একটার পর একটা পদক্ষেপ নিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু ৫৪ সালে নির্বাচনও করেছেন, ৫৬ সালে তিনি জাতীয় পরিষদে ছিলেন। নিয়ম মেনেই কিন্তু এগিয়ে গেছেন। একটি লক্ষ্য স্থির রেখে। যেটা কখনও তিনি মুখে উচ্চারণ করেননি। কিন্তু একটি জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা বা তাদের সংগঠিত করা, ঐক্যবদ্ধ করা এটা একটি কঠিন কাজ ছিল। সেই কঠিন কাজ তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করে যান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটাই আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। যে কাজটা তিনি করতে গিয়েও করতে দেওয়া হয়নি। ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। কাজেই এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা জয়বাংলা স্লোগানে বিশ্বাস করে না, ৭ মার্চের ভাষণকে যারা প্রেরণা বলে মনে করে না, তার অর্থ তারা স্বাধীন বাংলাদেশই চায় না। তারা দেশের উন্নয়ন চায় না। দেশের মানুষের অর্থ-সামাজিক উন্নতি চায় না।
তিনি আরও বলেন, তাদের কেন মানুষ ভোট দেবে। সেজন্যই তারা বারবার ইলেকশন বানচাল করে কীভাবে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে, বারবার অগ্নিসন্ত্রাস সৃষ্টি করে দেশটাকে ধ্বংস করতে চায়।