চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী হত্যা মামলায় ছাত্তার মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেছে আদালত।
আজ ১৭ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র দায়রা ও জেলা জজ শারমিন নিগার এই রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত ছাত্তার মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের হিন্দুপাড়ার মৃত সানু মিয়ার ছেলে। রায় ঘোষনার সময় আসামি ছাত্তার মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতের পুলিশ পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৮ মে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের হিন্দুপাড়ায় ছুরিকাঘাতে খুন হন চার সন্তানের জননী জোসনা বেগম। এ ঘটনায় জোসনা বেগমের পিতা আবদুল মন্নাফ বাদি হয়ে নিহত জোসনার স্বামী ছাত্তারসহ ৪জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ মামলার আসামী ছাত্তারকে গ্রেফতার করে। পুলিশ ছাত্তারকে আদালতে হাজির করলে সে ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
একই বছরের ৫ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার ৪জন আসামীর মধ্যে ৩জনের কোন সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় প্রধান আসামী ছাত্তারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আদালত সকল সাক্ষি, প্রমাণ বিচার বিশ্লেষণ করে প্যানেল কোড ৩০৪ এর পার্ট-১ অনুযায়ী আসামী ছাত্তারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। ইতিমধ্যে সে যে হাজতবাস করেছে তা সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
গত সোমবার রাত ৮টায় দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণের সম্পাদকের অফিস কক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মনজুরুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহজাদা’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক সরোদ’র সম্পাদক পীযুষ কান্তি আচার্য্য, নির্বাহী সদস্য দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিদিন’র সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু, দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পাদক দেওয়ান ফয়জুন নাহার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দৈনিক একুশে আলো’র বার্তা সম্পাদক আশিকুর রহমান মিঠু, অর্থ সম্পাদক দৈনিক প্রজাবন্ধু’র প্রকাশক আবুল হাসনাত সাবেরিন মোঃ লিটন, নির্বাহী সদস্য দৈনিক আজকের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পাদক মোঃ আবু নাসের রতন।
সভায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র তৈরি করার জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়াও সংগঠনের সাধারণ সভা ও সকল সংবাদকর্মীদের সমন্বয়ে একটি সাংবাদিক সম্মিলন অনুষ্ঠিত করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সংবাদপত্র শিল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় দৈনিক পত্রিকাগুলোর মূল্য বৃদ্ধির বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্রডশিট ৪ (চার) পৃষ্ঠা পত্রিকার জন্য প্রতিটি ৫ (পাঁচ) টাকা ও ট্যাবলয়েড ৪ (চার) পৃষ্ঠা পত্রিকার প্রতিটি ৩ (তিন) টাকা মূল্যমান স্থির করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার : আজ ২১ জানুয়ারি শনিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের পশ্চিম মেড্ডা বড় বাড়ি এলাকার সবুজ আলীর বাসা থেকে শিরিনা বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি সবুজ আলীর স্ত্রী। ভাড়াটিয়া আমিনকে (২৬) পিটুনির পর পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
শিরিনার ছেলে মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের বসবাস করা একটি বাড়ি ছাড়াও পাশে আরো একটি বাড়ি ভাড়া দেওয়া আছে। সেখানে তিনটি ঘরে আলাদা ভাড়াটিয়ারা বসবাস করেন। বেলা ১১টার দিকে মা সে বাসার ভাড়া তুলতে যান। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও মাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিকেলে ভাড়াটিয়া আমিন মিয়ার ঘরে খুঁজে খাটের নিচে দেখি মা অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জরুরী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক এনামুল হক বলেন, শিরিনা বেগম হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন। তার মরদেহ মর্গে রাখা আছে।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম বলেন, মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। এলাকাবাসীর পিটুনিতে আহত আমিনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিহত শিরিনের গলায় দাগ আছে। ধারণা করা হচ্ছে গলায় ফাঁস দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সারা দেশের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ৫৩ জন আক্রান্ত ব্যক্তি জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখনও কারো মৃত্যু হয়নি।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের স্বজন ও সাধারণ মানুষের অভিযোগ, পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো মশক নিধনের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ না ছেটানোর কারণে বিভিন্ন বর্জ্য, নালা ও ড্রেনে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বাড়ছে। এর ফলে জেলায় অনেক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. একরাম উল্লাহ্ বলেন, জেলায় এখন পর্যন্ত ১৪০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৭ জন সুস্থ হয়েছে এবং ৭৩ জন রোগী জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বেশি। এছাড়া আক্রান্ত রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে বেঁকে যাওয়া রেললাইন সোজা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত থেকে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেটের সঙ্গে ঢাকা অভিমুখী রেলপথে (আপলাইন) ট্রেন চলছে। তবে, গতি কমিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত এলাকা অতিক্রম করছে ট্রেন। আজ ৩০ এপ্রিল রবিবার ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট অভিমুখী রেলপথ (ডাউনলাইন) দিয়েও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আখাউড়া রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান আহমেদ তারেক বলেন, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে দারিয়াপুর এলাকায় শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রেললাইন আবার বেঁকে যায়। চট্টগ্রাম-সিলেটমুখী ডাউনলাইনও কয়েকটি জায়গায় বেঁকে গেছে। পানি ও কচুরিপানা দিয়ে রেললাইন শীতল করা হয়। এতে শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ডাউনলাইন দিয়ে ঢাকা, সিলেট, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামের গতি কমিয়ে সব ট্রেন চলাচল করেছে। দারিয়াপুরে রেললাইনের তাপমাত্রা ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পাওয়া যায়। সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে দারিয়াপুর এলাকায় বেঁকে যাওয়া রেললাইন সোজা করা হয়।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে একটার দিকে দারিয়াপুর এলাকায় রেললাইন বেঁকে কনটেইনার বহনকারী ট্রেনের সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ২৮ ঘণ্টা পর গত শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনের সাতটি বগি উদ্ধার করা হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে আবার একই স্থানে রেললাইন বেঁকে যায়।
সূত্রে জানা গেছে, শনিবার আখাউড়া থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত গতি কমিয়ে ট্রেন চলানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তালশহর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার গতিতে, আশুগঞ্জ থেকে নরসিংদী পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার গতিতে ও নরসিংদী থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সব ট্রেনকে ৩০ কিলোমিটার গতিতে চালানোর জন্য লোকোমাস্টারদের (ট্রেনচালক) নির্দেশনা দেওয়া হয়।
রেলওয়ের কর্মচারী (কিম্যান) ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ বলেন, বেঁকে যাওয়া রেললাইন স্বাভাবিক করতে শনিবার রাতে অনেক স্লিপার লাগানো হয়েছে। এখনো চলছে কাজ। আপ ও ডাউনলাইন স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো সমস্যা নেই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার জসিম উদ্দিন বলেন, আপলাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শুধু গোকর্ণ লেবেল ক্রসিং এলাকা থেকে দুর্ঘটনাকবলিত দারিয়াপুর পর্যন্ত আপলাইনের সব ট্রেন ১০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. খায়রুল কবিরকে প্রধান করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাবা বসে না থেকে কাজ করে খেতে বলায় অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন শান্ত মিয়া (১৮) নামের এক তরুণ।
আজ ৭ অক্টোবর শনিবার দুপুরে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত শান্ত মিয়া পৌর শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকার পশ্চিম পাড়ার শাহ আলমের ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, শান্তকে বসে না থেকে কাজ করে পরিবারের দায়িত্ব নিতে বলে তার বাবা বকা দেন। এতে শান্ত অভিমান করে ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। টের পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তি করেন। দুদিন চিকিৎসার পর আজ শান্ত মারা যান।
ওসি আসলাম হোসাইন জানান, স্বজনরা থানায় এসেছেন। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।