অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত

জাতীয়, 18 January 2024, 849 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সমগ্র জেলায় পৌষের শেষ দিক থেকে শীত জেঁকে বসেছে। শীতের দাপটে যেখানে মানুষ থেকে শুরু করে প্রানীকুল তটস্ত।

banner

সেখানে শীতের পাখায় ভর দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও মলাদহ বিলে অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে। ফলে বিভিন্ন এলাকা থেকে পাখিপ্রেমীরা দল বেঁধে আসছেন পাখি দেখতে ঘাটাইল উপজেলার মলাদহ বিলে। বিলটির অবস্থান উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের সবুজ শ্যামল এক গ্রাম ডাকিয়া পটল। এ গ্রামের বুক চিরে বয়ে গেছে বিশাল এক জলাধার। নাম তার মলাদহ। এ ছাড়া রয়েছে আরো ছোট কয়েকটি বিল।

শীতকাল এলেই এই মলাদহ বিল অতিথি পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠে। বিলটি পাখির কারণে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। পাখির বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি, উড়ে চলা, নীরবে বসে থাকা-মানুষকে আকৃষ্ট করে তোলে মুহুর্তেই। তাই দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন একনজর পাখি দেখার জন্য এখানে আসেন।

এখানে উল্লেখযোগ্য পাখিগুলো হচ্ছে বালিহাঁস, পাতিহাঁস, সারস, পানকৌড়ি, নারিলা ও ডাহুক। চারদিকে সবুজ শ্যামলের সমারোহে বিলগুলো। মাঝখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বিলবেষ্টিত ডাকিয়া পটল গ্রাম। সকালে এ গ্রামের বিলের কচুরিপানার মাঝে জলকেলিতে মাতে অতিথি পাখি। আর বিকেলের সোনালি রোদে গ্রামের গাছের ডালে ডালে পানকৌড়িসহ বিবিভন্ন পাখির পালক জ্বলজ্বল করে। এ গ্রামের পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে শত ব্যস্ততার মাঝেও পাখি দেখে অনেক পথচারি একটু দাঁড়িয়ে চোখ জুড়িয়ে নেন।

স্কুলশিক্ষক বাবর হোসেন জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে শীতের মৌসুম চলে গেলে পাখি যখন চলে যায় তখন বুকটা ফাঁকা লাগে। আবার যখন শীতে ফিরে আসে তখন বুক ভরে যায়। পাখিদের সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব। এখানে পাখি আসে বলেই প্রতিদিন অনেক পাখিপ্রেমী দেখতে আসেন।

পাখিপ্রেমী আব্দুল মোতাকাব্বির স্বাধীন বলেন, পাখি আমাদের পরিবেশ রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রাখে। তাই আমাদের দেশে আসা অতিথি পাখি যাতে নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

আনেহলা ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, পাখি আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য ধরে রাখে। তাই পাখিদের প্রতি সকলকে সহনশীল হতে হবে। আমার ইউনিয়নের যেসব স্থানে অতিথি পাখি আসছে, সেখানে যাতে তারা নিরাপদে থাকতে পারে সেজন্য পরিষদের পক্ষ থেকে নজরদারি রয়েছে।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জাফরুল হাসান রিপন বলেন, ‘পাখি প্রকৃতির অলংকার। এ অলংকার ধ্বংস করা মানে পরিবেশ ধ্বংস করা। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণ ক্ষেত্র মুক্তভাবে রক্ষা করতে হবে। অতিথি পাখিরা যেন ‘মুক্ত আকাশে, খালে, বিলে, হাওর বাঁওড়ে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে তার ব্যবস্থা অবশ্যই আমাদের করতে হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতিজা হাসান দৈনিক যায়যায়দিন কে জানান, ‘প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাখির বিচরণ ক্ষেত্র মুক্তভাবে রক্ষা করতে হবে। আমাদের দেশ ক্রমে ক্রমে অতিথি পাখির জন্য ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে উঠেছে। শুধু আইন দিয়েই পাখি শিকার বন্ধ করা যাবে না, এ জন্য প্রয়োজন সবার সচেতনতা।’

Leave a Reply

গাজীপুরে মামা হত্যার আসামি ভাগিনা গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : গাজীপুরে আনিসুর রহমান হত্যার মামলার আসামি ভাগিনা Read more

সদর মডেল থানায় যোগদান করেই কঠোর…

সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য : আজহারুল ইসলাম সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

চলারপথে রিপোর্ট : ফ্ল্যাট বাসা থেকে শরীর মীর (৪০) নামের Read more

নাসিরনগরে বাবাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে আটক

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগরে আলম মিয়া (৬০) নামের এক ব্যবসায়ী Read more

আখাউড়ায় খেলাফত মজলিসের প্রার্থীর মতবিনিময়

মোঃ ইসমাইল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী Read more

৫০ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : ৫০ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি উদ্ধারসহ Read more

কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমায়, জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের…

অনলাইন ডেস্ক : বর্ষার শেষপ্রহরে নেমে আসা অবিরাম বৃষ্টি ও Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার নতুন ওসি আজহারুল…

চলারপথে রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে Read more

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে…

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ঐতিহাসিক Read more

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : কুমিল্লার দাউদকান্দি বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) Read more

মেক্সিকোতে যাত্রীবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কায় ১০জন…

অনলাইন ডেস্ক : মেক্সিকোর আটলাকোমুলকো শহরে একটি পণ্যবাহী ট্রেন ও Read more

কানাডায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

মুমিনুল হক : কানাডার টরেন্টোতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। Read more

খেলার সময় বজ্রপাতে ক্রিকেটারের মৃত্যু

জাতীয়, 31 May 2023, 1211 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
গোপালগঞ্জ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলার সময় বজ্রপাতে তামজিদ আহমেদ (২০) নামে এক ক্রিকেটারের মৃত্যু হয়েছে।

banner

তামজিদ আহমেদ ঢাকার ধানমন্ডির ফ্রেন্ডস ক্রিকেট একাডেমির খেলোয়াড়। সে টাঙ্গাইলের ভূয়াপুর উপজেলার নিকলা গ্রামের ইমাম আলীর ছেলে। তামজিদ ঢাকায় থেকে ফ্রেন্ডস ক্রিকেট একাডেমির নিয়মিত খেলোয়াড় হিসেবে খেলে আসছিল।

গতকাল বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা শহরের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলার সময় হঠাৎ করে বৃষ্টি ও বজ্রপাত হলে সে মারাত্মক আহত হয়। পরে তাকে আহত অবস্থায় গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই টিমের সহকারী কোচ রাশেদুল ইসলাম জানান, শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন দিনের একটি প্রীতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে গোপালগঞ্জ আবাহনী ক্রিকেট একাডেমির সাথে তার দল ঢাকার ধানমন্ডির ফ্রেন্ডস ক্রিকেট একাডেমির খেলা চলছিল। তামজিদ ফিল্ডিং করার সময় বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ জোবায়ের আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফুল কবির চন্দনসহ ক্রীড়াঙ্গনের লোকজন হাসপাতালে ছুটে যান।

রেলওয়ে স্টেশনে এসি বিস্ফোরণে সিগন্যাল অচল চার ঘণ্টা

আখাউড়া, জাতীয়, 8 September 2025, 99 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন সিগন্যাল কেবিনে এয়ারকন্ডিশন (এসি) বিস্ফোরণে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ ৮ সেপ্টেম্বর সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ করেই নিচতলায় স্থাপিত একটি এসি যন্ত্র বিস্ফোরিত হলে মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে সিগন্যাল যন্ত্রের ক্ষতি হয় এবং অফিস কক্ষের জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। পরে রেল কর্মকর্তা ও স্থানীয়রা পানি সংগ্রহ করে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

banner

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ঠিক কি কারণে অগ্নিকান্ড ঘটেছে তা এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।

আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের কেবিন মাস্টার আরিফুল ইসলাম আরিফ জানান, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সিগন্যাল ব্যবস্থার ক্ষতি হয়েছে। তবে দ্রুত ব্যবস্থায় তিনটার পর পুনরায় লাইন সচল হয়।

আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের সুপার নূর নবী জানান, সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সিগন্যাল লাইন সচল ছিল না। সাড়ে চার ঘণ্টা পর লাইন সচল করা হয়। এসময় বেশ কয়েকটি ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।

বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা পেল সুপ্রিম কোর্ট জুডিশিয়াল কাউন্সিল

জাতীয়, 20 October 2024, 456 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন আপিল বিভাগ।

banner

ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে আর থাকছে না। বিচারপতিদের অপসারণ করা যাবে সুপ্রিম কোর্ট জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে। আজ রোববার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

ফলে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। এখন থেকে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে থাকবে। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

আজ ২০ অক্টোবর রোববার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। এ রায়ের ফলে দীর্ঘ আট বছর পর নিষ্পত্তি হলো গুরুত্বপূর্ণ এ রিভিউ আপিলের।

বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন শুনানির দিন গত ১৫ আগস্ট আজকের দিন ধার্য করা হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

এর আগে বেশ কয়েকবার সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন কার্যতালিকায় এলেও শুনানি হয়নি।

গত বছরের ২৩ নভেম্বর বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ ৬ জন বিচারপতি শুনতে পারবেন বলে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন আপিল বিভাগ।

২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন দাখিল করা হয়।

আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষ ৯০৮ পৃষ্ঠার এ রিভিউ আবেদনে ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে ৯৪টি যুক্তি দেখিয়ে আপিল বিভাগের রায় বাতিল চাওয়া হয়েছে।

২০১৭ সালের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেন। ৮ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়। ধারাবাহিকভাবে ১১ দিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

আপিল শুনানিতে আদালতে মতামত উপস্থাপনকারী ১০ অ্যামিকাস কিউরির (আদালতের বন্ধু) মধ্যে শুধু ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে মত দেন।

অপর ৯ অ্যামিকাস কিউরি ড. কামাল হোসেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আই ফারুকী, আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ এম হাসান আরিফ ব্যারিস্টার এম. আমিরুল ইসলাম, বিচারপতি টিএইচ খান, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ফিদা এম কামাল, এ জে মোহাম্মদ আলী সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিপক্ষে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

২০১৬ সালের ১১ আগস্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০১৬ সালের ৫ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ বলে রায় ঘোষণা করেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধানটি তুলে দিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এনে বিচারকের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যেটি ১৯৭২ সালের সংবিধানেও ছিল।

দেশের প্রথম সংবিধানে সংসদের হাতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা রাখা হয়। তবে ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতিকে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আবারও পঞ্চম সংশোধনীতে বিচারক অপসারণে নিষ্পত্তির ভার দিতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়। এরপর পঞ্চম থেকে পঞ্চদশ সংশোধনী পর্যন্ত বিচারপতি অপসারণ নিয়ে আর নতুন কোনো সংশোধনী আসেনি। তবে ২০১৪ সালে ষোড়শ সংশোধনীতে বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয় জাতীয় সংসদ। তৎকালীন প্রধান বিচারপতির এস কে সিনহার তৎপরতায় হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এর রিভিউতে যায়।

ভারতের সর্বদলীয় বৈঠকে শেখ হাসিনাকে নিয়ে আলোচনা

জাতীয়, 6 August 2024, 546 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
ছাত্রদের গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের পর বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছে ভারত। সেখানে শেখ হাসিনাকে নিয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ ৬ আগস্ট মঙ্গলবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করে।

banner

ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, শেখ হাসিনা এখন দিল্লিতে রয়েছেন। তাকে আপাতত কিছুদিন সময় দিয়েছে ভারত।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, নয়াদিল্লি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।

পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে তারা। তা ছাড়া সর্বদলীয় বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের অবস্থান সব সংসদ সদস্যকে জানিয়েছেন। বৈঠকে বাংলাদেশে প্রবাসী ভারতীয় নাগরিকদের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভারত আপাতত হাসিনাকে কিছুদিন সময় দিতে চায়। তিনি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ভারত সরকারকে জানাবেন। ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনার জন্য সময় নিচ্ছেন তিনি। পরিকল্পনা জানার পর তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ভারত।

জয়শঙ্কর জানান, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশে ভারতীয়দের পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখছে। আপাতত তাদের জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে আনা হচ্ছে না। তবে প্রয়োজনে যেকোনো সময়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বৈঠকে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজেজুরাও উপস্থিত ছিলেন।

দেশ-বিদেশে খুবির গবেষণালব্ধ ফলাফল স্থান পাচ্ছে: খুবি ভিসি

জাতীয়, 23 November 2023, 884 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) গবেষকদের গবেষণালব্ধ ফলাফল দেশ ও বিদেশে জায়গা করে নিচ্ছে। অনেক সময় জাতীয় অনেক ইস্যুতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকা হয়।

banner

এ বছর জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৯ জন স্থান পেয়েছে। বিশ্ববিজ্ঞানীদের তালিকায়ও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্লেখযোগ্য শিক্ষকের নাম উঠে এসেছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার অংশীজনের অংশগ্রহণে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে (৪র্থ তলা) এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ভিসি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এতদঞ্চলের আপামর মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার পীঠস্থান হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সর্বস্তরের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের চাহিদা পূরণে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সব মহলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এ মতবিনিময় সভায় উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে অগ্রগতি, গবেষণা ক্ষেত্রে অগ্রগতি, ডিজিটালাইজেশন, ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান পাওয়ারপয়েন্টে উপস্থাপন করেন।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ স্ট্র্যাটেজি প্ল্যানে খুলনা অঞ্চলের সমস্যা, জীবন-জীবিকার মানোন্নয়ন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ওবিই কারিকুলা বিশ্বমানের একটি নতুন কারিকুলা। এতে ইন্টার্নশিপ, থিসিস এবং সফট স্কিলকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে কাজ করলে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে পারবে। আগে সব ডিসিপ্লিনের কারিকুলায় ইন্টার্নশিপ না থাকলেও নতুন কারিকুলায় সব ডিসিপ্লিনে ইন্টার্নশিপের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

উপাচার্য বলেন, র‌্যাংগিং ও মাদকের বিরুদ্ধে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করেছে। এজন্য শিক্ষাবর্ষের শুরুতে নবাগত শিক্ষার্থীদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে র‌্যাংগিং ও মাদককে না বলে শপথ করানো হয়। র‌্যাংগিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অনেক সময় অভিযোগের অভাবে র‌্যাংগিংয়ের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না। এজন্য র‌্যাংগিং হলেই অভিযোগ জানাতে হবে।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. মতিউল ইসলাম।

মুক্ত আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. রায়হান আলী, প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল আলম, প্রফেসর ড. গাউছিয়াতুর রেজা বানু, প্রফেসর ড. উত্তম কুমার মজুমদার, প্রফেসর সেহরীশ খান, প্রফেসর ড. মো. আশিক উর রহমান, প্রফেসর ড. শাহজাহান কবীর, প্রফেসর ড. লস্কর এরশাদ আলী, সরকারি বিএল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শরীফ আতিকুজ্জামান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) এস এম মনিরুজ্জামান, ইউএনবির খুলনা প্রতিনিধি শেখ দিদারুল আলম, এনটিভির খুলনা প্রতিনিধি আবু তৈয়ব, দৈনিক কালবেলার খুলনা প্রতিনিধি মল্লিক সুধাংশু, সাংবাদিক শামীম আশরাফ শেলী, কালের কণ্ঠের কৌশিক দে, বাংলাদেশ প্রতিদিনের মো. মাকসুদ আলী, দৈনিক যুগান্তরের নূর ইসলাম রকি, রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যানেল আইনজীবী এ্যাডভোকেট আফরোজা রোজী, বেডস্ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাকসুদুর রহমান, জেজেএস এর জাকির হোসেন, জাগো ফাউন্ডেশনের নুজহাত তাসফিয়া, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রেজওয়ান আহম্মেদ এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এস এম জিলানী।

এ সময় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকবৃন্দ, সব ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট, পরিচালক/বিভাগীয় প্রধান, এপিএ’র ফোকাল পয়েন্ট/বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট এবং প্রতি ডিসিপ্লিনের মাস্টার্স/সম্মান শেষ বর্ষের একজন করে শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।