চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে বিজয়নগর থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ ২০ জানুয়ারি শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকার ইয়াকুব আলী চৌধুরী সড়ক সংলগ্ন দক্ষিণ পার্শ্বের পুকুরে মুখ বাধা অবস্থায় একটি বস্তা ভেসে উঠে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিজয়নগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তাটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুল ইসলাম জানান, বস্তার মুখ খুলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত ৫টি টুপি, ১টি ব্যাগ, ২টি হেলমেট, ২টি বেল্ট, ১টি ক্যাপ, ৫টি রেংক ব্যাজ, ৫টি নেইম প্লেট।
যাহাতে মহসিন নামটি লেখা, ১টি প্রসেস যাহাতে ক্যাপ্টেন মহসিন নামটি লেখা, ৩টি কেমোফ্লাগ ক্রিম, ১টি ব্যাজ, ২ জোড়া পিটি সু, ১টি টেপ সাদৃশ সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়। এসব জিনিস পাওয়ায় আমার নিকটতম আর্মি ক্যান্টনমেন্টগুলোতে খবর পাঠিয়েছি। তবে আমাদের প্রাথমিক ধারনায় হয়তো কোন ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে এসব ব্যবহার করত।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলায় প্রতীক বরাদ্দের আগেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আল জাবেরের (জাবেদ) বিরুদ্ধে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনিসহ বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
কারণ দর্শানোর নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল ৪টায় জনসভায় আয়োজন করেন আল জাবের। তিনি এলাকায় মিছিল ও শোডাউন করেছেন। এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে রয়েছে। বিজয়নগরের ইউএনও ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা একাধিকবার ফোন করলেও এবং বিজয়নগর থানা পুলিশ প্রচার কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দিলেও তাৎক্ষণিকভাবে প্রচারণ কাজ বন্ধ করেননি আল জাবের। এটি উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধির পরিপন্থি।
আল জাবেরের বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৩৩ অনুযায়ী প্রার্থীতা বাতিলের বিষয়ে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা আগামী রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগে তাকে দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে চুরির অপবাদ দিয়ে সালিশ সভায় ২৫ বছর বয়সী এক নারীকে নির্যাতনের অভিযোগে বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ১৩ জুলাই শনিবার রাতে উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আজ ১৪ জুলাই রবিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য ইসহাক মোল্লা ও একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য হোসেন মিয়া।
বিজয়নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান জামিল খান জানান, কয়েকদিন আগে উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের এক চৌকিদারের স্ত্রীকে চুরির অপবাদ দিয়ে সালিশী সভায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ভূইয়ার নির্দেশে বর্তমান ও সাবেক ইউপি সদস্যসহ কয়েকজন ওই নারীকে মারধোর করে। নির্যাতনের এই ভিডিও শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে ভিডিও ফুটেজ দেখে সাবেক ও বর্তমান দুই ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে পুলিশের উপর হামলা করেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এ সময় পুলিশের গুলিতে আইয়ূব নূর (৫৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয় এবং পুলিশের একজন এস.আইসহ ১০জন পুলিশ আহত হয়।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার ভোররাতে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামের গাবানিমোড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আইয়ূব নূর গাবানিমোড়া গ্রামের মন্তু মিয়া প্রকাশ মস্তু মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায় নিহত মাদক ব্যবসায়ী আইয়ূব নূরের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদকের ৫টি মামলা রয়েছে। হামলার সময় নিহত আইয়ূব নূরের ছেলে আরিফকে হাতকড়া পড়ানো অবস্থায় ছিনিয়ে নিয়ে যায় মাদক ব্যবসায়ী ও তার স্বজনরা।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, মাদক ব্যবসায়ী আইয়ূব নূরের পরিবারের সবাই এলাকার পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। বিজয়নগর থানায় আইয়ূব নূরের বিরুদ্ধে মাদকের ৫টি, তার ছেলে আরিফের বিরুদ্ধে ৫টি ও তার ভাই তোফাজ্জলের বিরুদ্ধে ১০টি মাদকের মামলা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করতে তার বাড়িতে অভিযান চালায়। পরে পুলিশ আরিফকে গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পড়ালে পুলিশের উপর হামলা করে মাদক ব্যবসায়ী ও তাদের স্বজনরা। তারা আরিফকে হাতকড়া পড়ানো অবস্থায় পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে আইয়ূব নূর, সালামা বেগম ও ইমন নামে তিনজন আহত হয়।
মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় এস.আই সাঈদুল, এ.এস.আই সেলিম, এ.এস.আই আবদুল্লাহ আল-মামুন ও কন্সটেবল তুষারসহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়।
আহত পুলিশ সদস্য এ.এস.আই আবদুল্লাহ আল-মামুন ও কন্সটেবল তুষারকে বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। তিনি বলেন, আমরা আইয়ূব নূরের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইয়ূব নূরের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মাদকের ৫টি মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।