চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বিলের জমি থেকে সাদ্দাম হোসেন (২৭) নামে এক অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
১৯ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টায় নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামের বিলের জমি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই যুবক উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
নবীনগর থানার পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) সজল কান্তি জানান, সাদ্দাম বৃহস্পতবার সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হন। এরপর তার কোনো সন্ধান মেলেনি। পরে শুক্রবার সকালে বিলের জমিতে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায়। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাহোর ফতেপুর গ্রামে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি বনাম ব্যারিস্টার জাকির হোসেন একাদশের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ অক্টোবর শনিবার বিকেলে এই খেলা উপভোগ করেন উপজেলার লাউরফতেহপুর গ্রামে কয়েক হাজার দর্শক।
খেলা শুরুর আগে পুরো মাঠ ঘুরে বেড়ান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দূর-দূরান্ত থেকে খেলা দেখতে আসা দর্শকদের হাত নাড়িয়ে অভিবাদন জানান।
খেলা দেখতে আসা শিহাব মাহমুদ (৩১) নামে এক যুবক বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যারিস্টার সুমনের অনেক কার্যক্রম দেখেছি। আজ মূলত সরাসরি তাকে দেখার জন্যই মাঠে এসেছি।
থানাকান্দি গ্রাম থেকে আসা তরুণ শিতাব (১৯) বলেন, ছোটবেলায় আমাদের মাঠে এই বর্ষার সময়ে অনেক বড় বড় ফুটবল খেলার আয়োজন হতো। এখন আর তেমনটা হয় না। সরাসরি এতবড় আয়োজনে ফুটবল খেলা অনেক বছর পর দেখলাম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম বলেন, এতো দর্শক উপস্থিতিই প্রমাণ করে ফুটবল খেলা এদেশে এখনো কত জনপ্রিয়। মাদক থেকে তরুণ ও যুব সমাজকে দূরে রাখতে এসব আয়োজন ভূমিকা রাখে। এজন্য এসব আয়োজন করতে আমাদের সমাজের কর্তাদের ভাবতে হবে।
খেলা শুরু হয় বিকেল ৪টায়। ম্যাচে প্রথমার্ধে কারো পক্ষে কোনো গোল হয়নি। এতে টান টান উত্তেজনা ছিল খেলাটিতে। রেফারির বাঁশি বাজার ১ মিনিট পূর্বে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির জালে বল ঢুকিয়ে দেয় ব্যারিস্টার জাকির হোসেন একাদশ। এই গোলে দর্শকদের উল্লাসে পুরো মাঠ কেঁপে ওঠে। দীর্ঘ সময় গোল না হওয়ায় শেষ মুহূর্তের গোলটি যেন দর্শকদের মনে আনন্দ এনে দিয়েছে। খেলার সমাপ্তি ঘটে ১-০ গোলে। পরাজিত হয় ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি।
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বিলের মাইর শেষ রাতে। শেষ মিনিটে গোল দিয়ে নবীনগরের জাকির হোসেন জয় লাভ করেছে। গোলটি যে দিয়েছে সাইজে তেমন বড় না, কিন্তু যে গোল রক্ষক ছিল সে বিশাল দেহের অধিকারী। নবীনগরের ছোট ছেলেটি কিন্তু হবিগঞ্জের বিশাল দেহের খেলোয়াড়কে দেখে ভয় পায়নি। নির্ভয়ে জালে বল ঢুকিয়ে দিয়েছে। এর মানে বড় দেখেই ভয় পেতে হবে বিষয়টি এমন না। নবীনগরের ছেলেদের দেখলেই পুরো বাংলাদেশ সস্মান করবে।
তিনি আরও বলেন, ভক্ত ও ফুটবল প্রেমীদের দোয়া থাকলে এক দিন ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতির দূর করতে সক্ষম হবো। এ সময় যুব সমাজকে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও মাদক থেকে দূরে এসে সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়তে সহযোগিতার আহ্বান জানান ব্যারিস্টার সুমন।
সৌদি আরব প্রবাসী নজরুল ইসলাম নজুর সভাপতিত্বে খেলাটি উদ্বোধন করেন গণপূর্ত বিভাগের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমেদ ভূঁইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পীরজাদা শহিদুল হারুন, পায়রা সমুদ্র বন্দরের উপসচিব আতিকুল ইসলাম, নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম, ওসি মাহাবুব আলম, অধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন, অধ্যাপক মিয়া মো. শিপন, সিনিয়র সাংবাদিক এম কে জসিম উদ্দিন, গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরে ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নবাসীর উদ্যাগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বড়িকান্দি ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বাহা উদ্দিন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ফেরদৌস আহমেদ, মো. তোফাজ্জল আহমেদ তপু প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, গত ৪-৫ মাস যাবৎ মেঘনা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের বড়িকান্দি, শ্রীঘর, কান্দা পাড়া গ্রামের প্রায় ২০ বিঘা জমি বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া কান্দাপাড়া গ্রামের ১০/১২ টি বাড়ি হুমকির মুখে।
বক্তারা অবিলম্বে নিয়ম বহির্ভূত বালু উত্তোলন বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসন থেকে দেয়া ইজারার মাধ্যমে নবীনগরের বড়িকান্দি ইউনিয়নের ধরাভাঙ্গা নতুনচর ও জাফরাবাদ মৌজা থেকে বালু উত্তােলন হচ্ছে।
ইজারাদার সংশ্লিষ্টরা জানান, ইজারার স্থান থেকে ভাঙ্গন এলাকা প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে জুমার নামাজে লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে কিলঘুষিতে সিজল মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ ৫ মে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় পৌর এলাকার আলমনগরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সিজল মিয়া ওই এলাকার মৃত মমতাজ মিয়ার ছেলে। নবীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, একই এলাকার শাহ আলম ও সিজল মিয়ার মধ্যে পূর্ব বিরোধ ছিল। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও কিলঘুষি দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে সিজল মিয়া নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে মাটি বোঝায় ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে মো. ইসমাইল মিয়া (৩৫) নামে এক ট্রাক্টর চালক নিহত হয়েছে। আজ ২৬ এপ্রিল শনিবার ভোর সকালে নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের খড়িয়ালা গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ইসমাইল মিয়া খড়িয়ালা গ্রামের মো. মুতি মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, আজ ভোরে ট্রাক্টরটি মাটি বোঝাই করে খড়িয়ালা গ্রামে যাচ্ছিলেন। খড়িয়ালা উত্তর পাড়া মহিলা মাদ্রাসার সামনের রাস্তার মোরে এসে ট্রাক্টরটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। ওই সময় চালক ইসমাইল গাড়ির নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ বিষয়ে নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ আমাকে অবগত করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে নিউজ :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে নবজাতক গায়েবের অভিযোগে হাসপাতালের মালিক, চিকিৎসক, নার্সসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রসূতির স্বামী নবীনগর উপজেলার আলিয়াবাদ গ্রামের ফরহাদ আহমেদ বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন, খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের মালিক ডাঃ ডিউক চৌধুরী, গাইনী চিকিৎসক ও সার্জন ডাঃ নওরিন পারভেজ, ডাঃ ইসরাত আহমেদ, হাসপাতালের কো-অর্ডিনেটর মার্শাল চৌধুরী, নার্স স্নেহলতা ও অপারেশন টিম সদস্য অথৈ মন্ডল।
থানায় দায়েরকৃত মামলা ও বাদি সূত্রে জানা গেছে, নবীনগর উপজেলার আলিয়াবাদ গ্রামের ফরহাদ আহমেদের স্ত্রী লিজা প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হলে নবীনগর উপজেলার স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মেহেরুন্নেছার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সে সময় করা একটি আল্টাসনোগ্রাফিতে তার স্ত্রীর গর্ভে ২টি সন্তান দেখা যায় বলে জানান সেখানকার চিকিৎসকরা। সর্বশেষ ১৮ এপ্রিল করা আল্টাসনোগ্রাফি রিপোর্টেও লিজার গর্ভে দুটি সন্তান আছে বলে জানান চিকিৎসক।
গত শুক্রবার লিজার প্রসব ব্যাথা উঠলে সেখানকার চিকিৎসকরা যমজ শিশু গর্ভে থাকায় ঝুঁকি না নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কোন হাসপাতালে নিয়ে তাকে সিজারিয়ান করতে পরামর্শ দেন। ওইদিনই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লিজাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানকার চিকিৎসক নওরিন পারভেজ আল্ট্রাসনোগ্রাফি করান। রিপোর্টে দুটি সন্তান দেখা যায়। পরে একই দিন তিনি নিজেই লিজাকে অপারেশন থিয়েটারে সিজারিয়ান করেন। এর কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের লোকজন এসে জানান লিজা একটি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছেন। আর কোন সন্তানের কথা তারা জানাতে পারেনি। তারা জানায় লিজার গর্ভে একটি সন্তান ছিলো। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে গর্ভে থাকা শিশু নিখোঁজের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।