চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের উদ্যোগে ৮০০ শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আজ ২০ জানুয়ারি শনিবার বেলা ১১টায় শহরের সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ মিজানুর রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন ও জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু।
বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী ও সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইউনিটের নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান লিটন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, আর্ত মানবতার সেবায় কাজ করছে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি। সকল ভালো কাজের সাথে রেডক্রিসেন্ট জড়িত। রেডক্রিসেন্ট কাজ করে মানবতার জন্য। আজকের এই কম্বল বিতরণ প্রতিষ্ঠানটির একটি মহৎ উদ্যোগ। এই কম্বল শীতার্ত মানুষের একটু হলেও শীত নিবারন হবে।
তিনি সমাজের বিত্তবান লোকদেরকেও শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান। তিনি বলেন, আমি আশা করি ভবিষ্যতেও রেডক্রিসেন্ট এই ধরনের মানবিক কাজ অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, এই শীতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার ১০০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের কাছে অসহায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরনের জন্য কম্বল পৌঁছে দেয়া হয়েছে। আলোচনা সভা শেষে তিনি শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ইউনিটের উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মধ্যে ৮০০ কম্বল বিতরণ করা হয়। এই শীতে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২- প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) ঘর পাচ্ছে ৫০টি পরিবার।
আজ ৯ জুন রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ এই তথ্য জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষে “ বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” এই শ্লোগান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২-প্রকল্পের আওতায় ‘ক’ শ্রেনীর ভূমিহীন (যাদের জমি নেই ঘরও নেই) তাদের পুর্নবাসনের জন্য ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) ৫০টি পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে এই ঘর গুলো নির্মাণ কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। ২শতাংশ খাস জমিতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধা পাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ৩ লাখ ৪ হাজার ৫ শত টাকা। সব গুলো ঘর একই নকশায় নির্মিত হচ্ছে। ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আমিরপাড়া এলাকায় ৫০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব ঘরের উপকারভোগীদের তালিকা নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন সদর উপজেলা প্রশাসন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ৫ম পর্যায়ে (২য় ধাপে) সদর উপজেলায় ৫০ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ঘরের কাজ শত ভাগ শেষ হয়েছে। কোরবানির ঈদের আগেই ১১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর ৫০টি পরিবারকে ঈদ উপহার হিসেবে ঘরের চাবি ও দলিল বুঝিয়ে দেয়া হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, সদর উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেনসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিওর ইসলাম বিরোধী বক্তব্যে প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আজ ২৪ নভেম্বর শুক্রবার বাদ জুম্মা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা ও ওলামা সমন্বয় পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে ওলামা সমন্বয় পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি ক্বারী আনাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুল্লাহর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা ইলিয়াছ চৌধুরী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, ওলামা সমন্বয় পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সহ-সভাপতি কাজী আবুল কালাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলার মুফতি মাকবুল হোসেন, মনিরুজ্জামান শিপু, কাজী খায়রুল ইসলাম, আবদুল আজিজ অনিক। সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোমিন মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২১ নভেম্বর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগী চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, “মদ হচ্ছে একটা মেডিসিন। এটা মেডিসিন হিসাবে খায়।”
ফেসবুক লাইভে সজিবুল হুদা ভূঁইয়া নামে একজন যুবক ফিরোজুর রহমান ওলিকে প্রশ্ন করেন “আপনি সংসদ সদস্য হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মদের বার খুলবেন কি?”
জবাবে ফিরোজুর রহমান ওলিও বলেন, “সংসদ সদস্যরাই মদের লাইসেন্স দিচ্ছে। এ দেশে বিখ্যাত মদের কারখানা বানায়ে রাখছে। আগে তো রেলস্টেশনে মদের দোকান ছিল। তুমি যদি আবদার করো তাইলে দেব। তবে তোমরা এই মদ খাইতে পারবা না। সেই শক্তি তোমাদের হইছে না। মদ হচ্ছে একটা মেডিসিন। ভালো কথা বলো। এটা মেডিসিন হিসাবে খায়। তোমার যদি ইয়ে থাকে, ডাক্তার বললে ব্যবস্থা করে দেব। আমরা তো ঘুষ খাইনা। আমরা তো মানুষের মনে আঘাত দেই না। আমরা শুনি, ঘুষের টাকা কোথায় ধরা খাইছে। সরকারকে জিগাইবা কেন দেয়। তোমাদের সরকারই দিতাছে।’
তিনি বলেন, আমার ব্যবসা পবিত্র ব্যবসা। আমি হালাল ব্যবসা করি। হালাল না হলে সরকার ব্যবসা করে কেন। হালাল না হলে সরকারই বেহালাল হয়া যায়। আমি ব্যাংকের ব্যবসা করি। মদের ব্যবসার জন্য যদি ১০টা বেত মারে। তাহলে ব্যাংকের ব্যবসার জন্য একশটা বেত মারবে। ইসলাম কী কইছে না কইছে সরকার বুঝবে। ভালো কথা বলো।’
বক্তারা বলেন, ফিরোজুর রহমান ওলিও মদকে হালাল বলে পবিত্র কোরআন অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাত করেছেন এবং যুব সমাজকে মাদকদ্রব্য সেবনে উৎসাহিত করেছেন।
বক্তারা বলেন, ফিরোজুর রহমান ওলিও একজন বিতর্কিত ব্যক্তি ও মদ ব্যবসায়ী। তিনি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকের ব্যবসার প্রসার ঘটবে।
বক্তারা ফিরোজুর রহমান ওলিও বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পবিত্র কোরআন অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাত করায় ফিরোজুর রহমান ওলিওকে মুরতাদ ঘোষনা ও তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ ব্যাপারে ফিরোজুর রহমান ওলিওর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি হালাল ব্যবসা করি কিন্তু মদকে হালাল বলি নাই। উল্লেখ্য, ফিরোজুর রহমান ওলিওর রাজধানী ঢাকায় হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনাল, গোল্ডেন ড্রাগন ও পিকক নামে তিনটি মদের বার আছে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ১ হাজার ৬০০ পুলিশ সদস্য পেলেন পবিত্র ঈদুল ফিতরের উপহার। ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইনের ড্রিলশেডে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব উপহার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জহুরা আক্তার নারী পুলিশ সদস্যদের হাতে উপহার তুলে দেন এবং ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান। এরপর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন পুলিশ সদস্যদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা একই পরিবারের সদস্য। সবাই একসঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেব। তাই জেলার সকল পুলিশ সদস্যদের জন্য আমাদের এই ক্ষুদ্র উপহার। শুধু এই উপহারই নয়, ঈদের দিন সকল পুলিশ সদস্যরা পুলিশ লাইনে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অতীতে যেমন জাতির ক্রান্তিলগ্নে পুলিশ বাহিনী দক্ষতার সঙ্গে সবকিছু সামলেছে। ইনশাআল্লাহ, আগামী দিনেও যদি কোনো বিপদ আসে পুলিশ সদস্যরা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে এসে সমাধান করবে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোছাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) জয়নাল আবেদীন, অতিথি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) শিরাজুল ইসলামসহ সকল ইউনিয়নের অফিসার ইনচার্জগণ ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোছাইন বলেন, আমরা সবার সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে চাই। তাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে দৈনিক হাজিরার স্টাফদের উপহার প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে এসপি থেকে শুরু করে পুরুষ কনস্টেবল পর্যন্ত ১ হাজার ৪১৭ জন, নারী পুলিশ সদস্য ১১৩ জন, সিভিল স্টাফ ৩৬ জন এবং দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে স্টাফ ২৬ জনকে ঈদ উপহার তুলে দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আলোচিত ও সমালোচিত ইসলামি বক্তা মুফতি গিয়াসউদ্দিন আত তাহেরী হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় তাকে বহনকারী গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তবে এ বিষয়ে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে জেলা আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত। বিকেল ৫টায় মানববন্ধন হওয়ার কথা ছিল। মানববন্ধনে গিয়াসউদ্দিন আত তাহেরীর যোগ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের নেতারা সেই কর্মসূচি বাতিল করেন।
এরমধ্যে তাহেরী সোমবার দুপুরের দিকে পৌর এলাকার ঘোড়াপট্টি সেতুর ওপর থেকে লোকজনকে সাথে নিয়ে গাড়িতে ওঠেন। কাউতলী যাওয়ার পথে টি এ রোড এলাকায় আগে থেকে উপস্থিত থাকা মাদরাসা ছাত্ররা চারদিক থেকে ঘেরাও করে তার গাড়িতে হামলা চালান। এসময় তাহেরী কোনো রকমে ওই এলাকা ত্যাগ করেন।
তাহেরী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এক ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করেন, ‘নিরাপত্তার হুমকি থাকায় আমাদের আয়োজন স্থগিত করা হয়। গাড়ি নিয়ে কাউতলী যাওয়ার পথে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা বরাবর সড়কে পৌঁছলে ছাত্ররা গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে।’ বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে তিনি অবহিত করেছেন। এ বিষয়ে তিনি লিখিত অভিযোগ দেবেন।
এ সময় গিয়াসউদ্দিন তাহেরি তার বক্তব্যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন জানান, এ বিষয়ে তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। তবে তাহেরী হামলার শিকার হয়েছেন বলে মোবাইলে কল করে অভিযোগ করেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাস্টবিনের মধ্যে কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে পৌর শহরের ট্যাংকের পাড় থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকালে শহরের ট্যাংকের পাড়ের সামনে ডাস্টবিন পরিষ্কার করার সময় পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কাপড়ে মোড়ানো নবজাতক বাচ্চার মরদেহ দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠায়।
তিনি আরো বলেন, ট্যাংকের পাড়ের আশপাশে অনেক হাসপাতাল রয়েছে। কেউ হয়তো রাতে অবৈধভাবে গর্ভপাত করে নবজাতকের মরদেহ ডাস্টবিনে ফেলে যান। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।