অনলাইন ডেস্ক :
কারও স্বীকৃতির জন্য সরকার বসে নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, কারও রিকগনিশনের জন্য চাতক অপেক্ষায় বসে আছি, নির্বাচিত সরকার এমন দেউলিয়া অবস্থায় পড়েছে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।
আজ ২১ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
কাদের বলেন, বিএনপি হিংসায় জ্বলছে। কারণ তারা নির্বাচনে অংশ না নিলেও দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছে। বিএনপি এখন ঈর্ষাকাতর।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশপ্রেমিক সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আর আন্দোলনের নামে বিএনপি সহিংসতার আশ্রয় নিলে তার বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের দায়িত্ব পালন করবে এবং রাজনৈতিকভাবে আমরাও মোকাবিলা করবো।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির তথাকথিত আন্দোলনের রূপরেখা কেউ দেখেনি। তাদের আন্দোলনের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তথাকথিত আন্দোলনের ডাক দিয়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন দেশ-বিদেশে হাসি-তামাশার পাত্রে পরিণত হয়েছে। তাদের কথিত আন্দোলন দেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ধ্বংসের পাঁয়তারা বলে মনে করি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার অধিকার বিএনপির আছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি তারা ২৮ অক্টোবর এবং পরবর্তী সময় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করে, মানুষ পুড়িয়ে মারে, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুষ্টিয়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় বিষাক্ত সাপের কামড়ে আয়েশা খাতুন (২৫) ও তার ৭ মাস বয়সী কন্যা সন্তান নুসরাত জাহানের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা সদর উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের ইব্রাহীমের স্ত্রী ও মেয়ে।
কাঞ্চনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান ঝন্টু সাপের কামড়ে মা ও মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার রাতে প্রতিদিনের মতো নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন আয়েশা ও তার শিশু সন্তান। এ সময় তাদের দুই জনকে বিষাক্ত সাপ কামড় দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়। মাকে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তারও মৃত্যু হয়।
পরে গ্রামবাসী ইব্রাহীমের ঘরের খাটের নিচ থেকে বিষধর কালাচ সাপ উদ্ধার করে। সাপের কামড়ে এক সাথে মা ও মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় ভবানীপুর গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চায়ের বহুমুখী উৎপাদনের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। বিশেষ করে অ্যারোমা চা তৈরি করতে হবে। বিদেশে এসব চায়ের অনেক চাহিদা রয়েছে। শুধু চা পাতা বাল্কে বিক্রি না করে সেটাকে ভ্যালু অ্যাডেড করে আমরা রফতানি করবো। তাতে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন হবে, যারা ব্যবসা করেন তাদেরও ভালো উপার্জন হবে।
আজ ৪ জুন মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপন এবং জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখন কিন্তু মানুষের রুচি বদলে গেছে। এখন শুধু চা পাতার চা নয়, বিভিন্ন ধরনের চা পাওয়া যায়। হারবাল চা, মশলা চা, তুলশী পাতা-ওষুধি পাতার ব্যবহার, বিভিন্ন ধরনের ফুল যেমন জেসমিন চা-ও বাজারে খুব চলে।
সরকার প্রধান বলেন, বিভিন্ন ধরন ও ফ্লেভারের চা করা যেতে পারে। তুলশী, আদা, তেজপাতা, এলাচ, লং, দারুচিনি আমরা তো বিভিন্ন কিছু দিয়েই চা বানাই। এই চাগুলোও কিন্তু প্যাকেটজাত করা যায়।
পাট পাতা থেকে তৈরি চা নিয়ে আরও পরীক্ষা এবং গবেষণা করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সীমিত আকারে পাট পাতার চা তৈরি হচ্ছে। এটা একটু বেশি তিতা, এ চা ডায়বেটিসের জন্য নাকি ভালো। এটা নিয়ে আরও গবেষণা দরকার।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ চা শ্রমিক, মালিক, রফতানিকারকদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাণিজ্যসচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টিটিএবি) সভাপতি শাহ মঈনুদ্দীন হাসান, বাংলাদেশের চা বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদ এবং বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান কামরান টি. রহমান ও পুরস্কার প্রাপ্ত চা শ্রমিক উপলব্ধি ত্রিপুরা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম। এ সময় বাংলাদেশের চা শিল্প নিয়ে একটি তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রেমের ফাঁদে ফেলে কৌশলে স্কুল-কলেজের ছাত্রীসহ নারীদের অশ্লীল ভিডিও চিত্র ধারণ ও পরে তা নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে মারুফ হোসেন বাপ্পী (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১৩ জানুয়ারি শনিবার সাতক্ষীরায় শহরের মুনজিতপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে দুটি স্মার্ট ফোন ও একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা জব্দ করা হয়।
আটক মারুফ হোসেন বাপ্পী (২৬) মুনজিতপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, শহরের নারকেলতলা এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন তল্লাশি করে দেখা যায়, তার কাছে একাধিক নারীর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও রয়েছে।
পুলিশ পরিদর্শক আরো বলেন, অল্প বয়সী মেয়েদের টার্গেট করতেন মারুফ। ঢাকার একটি বেসরকারি কলেজে বিবিএ অধ্যয়নরত হলেও নিজেকে ডাক্তার বলে পরিচয় দিয়ে কৌশলে মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলতেন মারুফ। এক পর্যায়ে অশ্লীল ভিডিও চিত্র ধারণ করে এবং সেই ভিডিও নিয়ে প্রতারণা করতেন।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতার মারুফকে আদালতে পাঠানো হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শামীম হোসেনের হাফ সেঞ্চুরিতে ১৯.২ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। জবাবে অধিনায়ক পল স্টার্লিংয়ের হোয়াইটওয়াশ এড়ায় আইরশিরা। ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জেতা বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল আয়ারল্যান্ডকে ধবলধোলাই। এ লক্ষ্যে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। পরে সেই চাপ আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। শুরুতে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস (৫)। তার দেখাদেখি একে একে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত (৪), রনি তালুকদার (১৪), সাকিব আল হাসান (৬), তাওহিদ হৃদয় (১২), রিশাদ আহমেদ (৮) ও তাসকিন আহমেদ (০)।
এই অবস্থায় হাল ধরেন শামীম হোসেন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। এই মাইলফলকে যেতে তার লেগেছে ৪০ বল। শেষ পর্যন্ত ৫১ রানে আউট হন তিনি।
জবাবে দলীয় ১৭ রানে ওপেনার রস এডেয়ারের উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। লরকান টাকারও সাজঘরে ফেরেন দ্রুত। এরপর হ্যারি টেক্টরকে নিয়ে বড় জুটি গড়েন অধিনায়ক পল স্টার্লিং। ক্যারিয়ারের ২২তম অর্ধশতকে হোয়াইটওয়াশ এড়ায় আইরিশরা।
৪১ বলে ৭৭ রান স্টার্লিংকে আউট করেন অভিষিক্ত রিশাদ আহমেদ। ৪ ছক্কা ও ১০ চারে এই রান করেন আইরিশ অধিনায়ক। কার্টিস ক্যাম্ফার ১৬ এবং হ্যারি টেক্টর ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন, শরিফুল ও রিশাদ ১টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ : ১২৪/১০ (১৯.২ ওভার)
আয়ারল্যান্ড : ১২৬/৩ (১৪ ওভার)
ফল : আয়ারল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, চুকনগর বধ্যভূমি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আজ ৬ জুলাই শনিবার দুপুরে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বধ্যভূমি প্রাঙ্গণে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমরা একাত্তর’ এর উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক বাঙালির ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে। তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করতে উৎসাহিত করতে হবে। পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক বাঙালির ওপর পরিচালিত হত্যাযজ্ঞ এদেশের একটি গোষ্ঠী স্বীকার করতে চায় না। তারা জাতীয় সংগীত গাইতে ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে অনীহা প্রকাশ করে। তারা স্বাধীনতা বিরোধী ও দেশবিরোধী নানা ধরনের চক্রান্তে লিপ্ত। তাদের সব চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের বর্তমান উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে আরও সমুন্নত করতে হবে, তার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
বধ্যভূমি সংরক্ষণে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে চুকনগর ছিল ভারতে যাওয়ার অন্যতম প্রধান পথ। বিভিন্ন এলাকা থেকে ভারতে পাড়ি দেওয়ার উদ্দেশে আগত ১০ থেকে ২০ হাজার মানুষকে ১৯৭১ সালের ২০ মে এখানে হত্যা করে তাদের লাশ স্থানীয় ভদ্রা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। ইতিহাসে এমন পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের নজির বিরল। শুধু চুকনগর নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি হানাদার গোষ্ঠী এমন হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে যার বেশিরভাগই এখনও পর্যন্ত অজানা। প্রয়োজনীয় গবেষণা ও অনুসন্ধানের মাধ্যমে এসব তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে হবে। তরুণ প্রজন্মের কাছে এসব ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এসব বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও সংস্কারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। অনুষ্ঠানের শুরুতে মন্ত্রী বধ্যভূমির মূল বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডুমুরিয়া উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মানিক, জেলা কমান্ডার মাহবুবুর রহমান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রজন্ম ৭১ এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে মাহবুব জামান ও হেলাল ফয়েজী, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ। সমাবেশে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এর সব সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। দলীয় কার্যক্রম গতিশীল এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তারা দলের নেতা কর্মীদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।
দুপুরে মন্ত্রী খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সাতক্ষীরা সড়ক ও সিটি বাইপাসকে সংযুক্ত করে সংযোগ সড়কসহ তিনটি লিংক রোড নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন।
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুনু রেজা, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মিরাজুল ইসলাম, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, জিওবি এবং খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যৌথ অর্থায়নে ৭১৭ কোটি ৮০ লাখ ২১ হাজার টাকা ব্যয়ে উল্লিখিত প্রকল্পের আওতায় তিনটি লিংক রোড নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় নিরালা আবাসিক এলাকা থেকে সিটি বাইপাস পর্যন্ত ২.৫ কিলোমিটার (প্রথম লিঙ্ক রোড), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রায় মহল পর্যন্ত সংযোগ সড়ক ৪.৯০ কিলোমিটার (দ্বিতীয় লিংক রোড) এবং বাস্তুহারা থেকে পুরাতন সাতক্ষীরা সড়ক সংযোগ সড়ক ২.৭০ কিলোমিটার (তৃতীয় লিংক রোড) মোট ১০.১০ কিলোমিটার দুই লাইন বিশিষ্ট সড়ক নির্মাণ করা হবে। ২০২৫ সালে ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।