চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ৯ শতাধিক পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শিক্ষা ও সমাজসেবামূলক সংগঠন মাওলানা আবু আহমদ কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে এই কর্মসূচির বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
২০ জানুয়ারি শনিবার সকালে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের শ্রীঘর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৩ শতাধিক পরিবারে এবং দুপুরে আশুরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আরো ৩ শতাধিক পরিবারের শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এর আগে বিগত ২৫ ডিসেম্বর আরো ৩ শতাধিক পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছিল।
ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মাওলানা আবু আহমদ মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকর সঞ্চালনায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মাহবুবুর রহমান। এসময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধি নিবার্চন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৪ মার্চ সোমবার ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে নিবার্চন পরিচালনা করেন প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আজহারুল ইসলাম ভুইয়া ।
নিবার্চনে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এর মধ্যে অভিভাবকদের সর্বোচ্চ ৬৪৩ ভোট পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন মোঃ রফিকুল ইসলাম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৩২ ভোট পেয়েছেন পীরজাদা মাওলানা সৈয়দ আশরাফুল আবদাল মোকাল্লিদ। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকার করেছেন আদেশ চন্দ্র দেব(৫৩১) ও মো: নুরুল ইসলাম(৪৭৭)। মোট ১ হাজার ৭‘শ ৮১ ভোটের মধ্যে ১ হাজার ১৩৫ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। যার মধ্যে ১৩টি ভোট বাতিল ঘোষনা করেন।
ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দ্বি-বার্ষিক অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আজহারুল ইসলাম ভুইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাচন পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়া।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবদুর রহিম সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত দিবস ৭ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে নাসিরনগর উপজেলাকে শত্রুমুক্ত করেন। জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলন করে মুক্তিবাহিনীরা।
১৯৭১ সালের ১৫ নভেম্বর পাক হানাদার বাহিনী নাসিরনগর উপজেলায় তাদের বিপুল সংখ্যক সৈন্য ও দেশীয় দোসর, রাজাকার, আলবদর ও আলসামস বাহিনীর সহযোগিতায় গ্রামবাসীর উপর চালায় নিষ্ঠুর অত্যাচার ও নির্যাতন। উপজেলার ফুলপুর, নুরপুর, কুলিকুন্ডা, সিংহগ্রাম ও তিলপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের ঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। পাকবাহিনীর অমানবিক নির্যাতনে বহুলোক নিহত ও আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও সংগ্রামী জনতা পাক-বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস লড়াই করে ৭ ডিসেম্বর থানা অভ্যন্তরে (পুলিশ স্টেশন) স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে নাসিরনগরকে পাক-হানাদার মুক্ত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলায় সেপ্টেম্বর মাসে সর্বাধিক দিন লাইব্রেরিতে উপস্থিত থেকে বই পড়ায় ২৩ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। গতকাল ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন বালিকা বিভাগে ২৫ দিন উপস্থিত থেকে প্রথম হয়েছেন হাফছা বেগম, সুমাইয়া আফরিন, সাদিয়া বুশরা, মহিমা রায়, সৃষ্টি রায়, নুসরাত সাকুরা, লামিয়া আক্তার, আদ্রিতা, নুসরাত জাহান সোহা ও শাহ সামিয়া। ২১ দিন উপস্হিত থেকে ২য় হয়েছে ইস্পা আক্তার ও সানিয়া আক্তার। ১১ দিন উপস্হিত থেকে ৩য় হয়েছে তারিয়া চৌধুরী নাবিলা।
বালক বিভাগে ২৫ দিন উপস্থিত থেকে ১ম হয়েছেন আরিয়ান ইসলাম সোহান, সৌমিক রায় ও গগনদীপ কুন্ডু।
২৪ দিন উপস্থিত থেকে ২য় হয়েছেন মেহেদী হাসান, ওয়ালী উল্লাহ হাসানাত, আব্দুল গফফার মাহাদী, ওমর ফারুক ও তন্ময় সরকার।
২৩ দিন উপস্থিত থেকে ৩য় হয়েছেন পৃথিবী দাস সূর্য্য ও সপ্তদীপ কুন্ডু।
নাসিরনগরের ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশের অনেক উপজেলায় কোনো পাবলিক লাইব্রেরি নেই। নাসিরনগরবাসীর সৌভাগ্য যে উপজেলায় একটি পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে, সেটি অনেক সৌভাগ্যের। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে উপজেলায় একটি বইমেলার আয়োজন করি, বইমেলায় তখন শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেখি। তখন জানতে পারি নাসিরনগরের একটি পাবলিক লাইব্রেরি রয়েছে। তখন এই লাইব্রেরিতে দুই থেকে তিনজন শিক্ষার্থী বই পড়তে আসতো। তখন ঘোষণা দেন, যে শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরিতে এসে বই পড়বে তাদের পুরস্কৃত করা হবে। এরপর থেকে প্রতিদিন প্রায় গড়ে ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী প্রতিদিন লাইব্রেরিতে বই পড়তে আসে।
তিনি আরো জানান, মেধা ভিত্তিক সমাজ গঠনে বই পাঠের কোনো বিকল্প নেই। নাসিরনগর উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরি নাসিরনগরে মননশীল পাঠক তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। পাবলিক লাইব্রেরিতে অনেক কিছু সংস্কার করা হয়েছে। আরো কিছু সংস্কার করা হবে। ছাত্র-ছাত্রীরা অনেকগুলো বইয়ের নাম বলেছিলো, সেই বই গুলো তাদের পড়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উদ্যোগে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে রাসায়নিক সার ও ধান বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৩জুলাই বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা কৃষি অফিস প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের ১০০ জন কৃষকের মধ্যে সার ও বীজ বিতরণ করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুমা আক্তার।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইমরানুল হক ভূইয়ার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু আহমেদ মোঃ কামরুল হুদা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিটা আক্তার, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফাহিম আরেফিন, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল চৌধুরী ও প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মামুন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল-মামুন জানান, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে/২০২৪-২৫ খরিপ-২ মৌসুমে রোপা আমন ধান উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ৮০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে রোপা আমন উচ্চ ফলনশীল(উফশী) জাতের ৫ কেজি বীজ,১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।
তার মধ্যে বুধবার উপজেলার ১টি ইউনিয়নের ১০০ জন কৃষককে দেয়া হয়েছে। বাকিদের পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে। এসব বীজ উপজেলার প্রায় ১০৬ হেক্টর জমিতে বপন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায়। তিনি দোয়াত-কলম প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।
আজ ৩ মে শুক্রবার দুপুরে উপজেলা সদরে তার বাসায় (প্রদীপ কুমার রায়) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, তিনি অসুস্থ। তিনি নির্বাচন করবেন না এবং নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। তিনি বলেন আমার শারিরীক অসুস্থতার কারণে উন্নত চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন। সে জন্য ভোটারদের কাছে বিনীতভাবে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন ডাক্তারসহ পরিবার ও এলাকাবাসীর পরামর্শক্রমে আমি চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম। তবে আমি আমার আদর্শিক রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবো না। আপনারা আমার ডাকে সাড়া দিয়ে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছিলেন তা এ জীবনে ভুলবার নয়। আমার জন্য দোয়া করবেন দ্রæত চিকিৎসা নিয়ে আপনার কাছে সুস্থ হয়ে ফিরতে পারি। আমার সকল ভোটার ও স্বজনদের কাছ থেকে দোয়া চেয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে বিদায় নিচ্ছি।
উল্লেখ্য তিনি দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে প্রচারণার শুরু থেকে মাইকিং, পোস্টারিং, গণসংযোগ ও বিভিন্ন উঠান বৈঠক করছিলেন।
গত ২৭ এপ্রিল শনিবার বিকালে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের বড়ইউড়ি গ্রামে উঠান বৈঠকে বক্তব্য দেয়ার সময় বুকে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হলে প্রথমে তাকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৫ দিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার নিজ এলাকায় আসেন এবং নিজের অসুস্থতা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য এলাকাবাসীসহ পারিবারিক সিদ্ধান্তে নিবার্চন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা আজ দুপুরে সাংবাদিকদের জানান তিনি। তবে তিনি কোন প্রার্থীকে সমর্থন দেননি।
নাসিরনগরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রদীপ কুমার রায়।