শৈত্যপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদানের সময় পরিবর্তন

জাতীয়, 22 January 2024, 399 Views,
সংগৃহীত ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
শৈত্যপ্রবাহের কারণে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রমের সময়সূচিতে পরিবর্তন এনেছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম সকাল ১০টায় শুরু হবে।

দেশে যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এটি অব্যাহত থাকবে।

এসব বিভাগ-জেলাসহ অন্য জায়গায়ও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা পড়ছে। এমন অবস্থায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদানের সময়সূচি পরিবর্তন করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আজ ২২ জানুয়ারি সোমবার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীনের সই করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়।

অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, সারা দেশে চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদানের সময়সূচি পরিবর্তন করা হলো।

আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে পাঠদান কার্যক্রম। এ ছাড়া আগে মন্ত্রণালয় থেকে ১৬ জানুয়ারি জারি করা নির্দেশনা যথারীতি বহাল থাকবে।

এর আগে ১৬ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে জানানো হয়, কোনো জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরও (মাউশি) একই সিদ্ধান্ত নেয়।

Leave a Reply

চিকিৎসা সহায়তা প্রদান

চলারপথে রিপোর্ট : নাসিরনগর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্যোগে আশার সদস্যদের মাঝে Read more

সরাইলে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইলে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা Read more

আশুগঞ্জে গাঁজাসহ গ্রেফতার ২

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জে ২৩ কেজি গাঁজাসহ মোঃ সুমন (৩০) Read more

ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দ মিছিল,…

চলারপথে রিপোর্ট : ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় Read more

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের খবরে ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল

চলারপথে রিপোর্ট : অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার খবরে আখাউড়ায় Read more

ঘরের মাঠে বড় পরাজয় বাংলাদেশের

অনলাইন ডেস্ক : ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজ দিয়ে Read more

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন

অনলাইন ডেস্ক : সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে Read more

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল…

চলারপথে রিপোর্ট : রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ করার দাবিতে Read more

চালক নয়নকে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকার কেরানীগঞ্জে মো. নয়ন (২৫) নামের এক Read more

ভারতকে ৩-১ হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক : সেমিফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল শক্তিশালীয় Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কার্ডধারিদের মধ্যে টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়…

চলারপথে রিপোর্ট : নিম্ন আয়ের কার্ডধারীদের মধ্যে ভুর্তুকিমূল্যে অক্টোবর মাসের Read more

আখাউড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীদের মাঝে মাছের…

চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়ায় বন্যা, অতিবৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে Read more

মাছ-মাংসসহ ২৯ নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিলো কৃষি অধিদপ্তর

জাতীয়, 15 March 2024, 335 Views,

অনলাইন ডেস্ক :
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মাছ-মাংসসহ ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। আজ ১৫ মার্চ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এই দাম অনুযায়ী পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে কাজ করবে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ এর ৪ (ঝ) ধারার ক্ষমতা বলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কৃষি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিম্নোক্ত দামে কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ করা হলো।
নতুন এ দাম তিনটি স্তরে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। একটি পণ্য উৎপাদক পর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম, পাইকারি বাজারে এবং ভোক্তাপর্যায়ে খুচরা দাম কতো হবে সেটা নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী, পাইকারি বাজারে ছোলার দাম সর্বোচ্চ সাড়ে ৯৩ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৯৮ টাকা দরে বিক্রি করা যাবে। মসুর ডালের খুচরা পর্যায়ে দাম হবে ১৩০ টাকা ৫০ পয়সা এবং মোটা দানার মসুর বিক্রি হবে ১০৫ টাকা ৫০ পয়সায়। খেসারি ডালের খুচরায় সর্বোচ্চ দাম হবে ৯৩ টাকা। এছাড়া মাসকালাই ১৬৬ টাকা ৫০ পয়সা এবং মুগডাল খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ ১৬৫ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রতি কেজি গরুর মাংসের সর্বোচ্চ খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৬৪ টাকা। এছাড়া ছাগলের মাংসের দাম ১ হাজার ৩ টাকা। আর মাছের মধ্যে চাষের পাঙাশের খুচরা দাম ১৮১ টাকা ও কাতলা মাছের দাম সর্বোচ্চ ৩৫৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা দরে কিনতে পারবেন ক্রেতারা। এছাড়া প্রতি পিস ডিমের দাম হবে সর্বোচ্চ সাড়ে ১০ টাকা।

প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ টাকা এবং রসুন ১২০ টাকা ও আদা ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হবে। এছাড়া শুকনো মরিচের সর্বোচ্চ দাম হবে ৩২৭ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ৬০ টাকায় খুচরা বাজারে কিনতে পারবেন ক্রেতারা।

অন্যদিকে সবজির মধ্যে বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৩০ টাকা, প্রতিকেজি বেগুণ ও সিম ৫০ টাকা ও আলু সাড়ে ২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি টমেটো ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৪ টাকা খুচরা মূল্য বেঁধে দিয়েছে সংস্থাটি।

অন্যদিকে বাজারে প্রতি কেজি জাহেদী খেজুর ১৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সাগর কলার হালি খুচরায় ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া চিড়ার খুচরা দাম ৬০ টাকা, বেসন ১২১ টাকা বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।

 

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন: সিইসি

জাতীয়, 9 November 2023, 482 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে জানানো হয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি এবং তপশিলের সম্ভাব্য দিনক্ষণ জানাতে বঙ্গভবনে যান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী নির্বাচন নিয়ে তাঁরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেন।

বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে সিইসি বলেন, শীঘ্রই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে। আমরা রাষ্ট্রপতিকে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়েছি। উনি শুনেছেন, সন্তুষ্ট হয়েছেন। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেছেন, আসন্ন নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এ ব্যাপারে উনার সহযোগিতার প্রয়োজন হলে সে ব্যাপারে উনি আশ্বাস দিয়েছেন। আমরাও বলেছি, প্রয়োজনে আপনার সহযোগিতা আমরা কামনা করি। রাষ্ট্রপতি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে যেকোনো রকমের সহযোগিতা দিতে তিনি প্রস্তুত থাকবেন। গণতান্ত্রিক যে ধারাবাহিকতা, সাংবিধানিক যে ধারাবাহিকতা সেটা যেকোনো মূল্যে অব্যাহত রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন।

সিইসি বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি, সাংবিধানিকভাবে দায়িত্ব অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে আমরা নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে বদ্ধপরিকর। আমরা সকল রাজনৈতিক দল, সরকার ও জনগণের সহযোগিতা কামনা করে যাচ্ছি। আমরা আশ্বস্ত করেছি, সকলের সহযোগিতায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবিধানিক যে বাধ্যবাধকতা আছে তার আলোকে যথাসময়ে নিষ্কণ্টকভাবে সম্পন্ন করব।

তিনি বলেন, তফসিল ও নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি আমরা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি। যেকোনো মূল্যে ২৯ জানুয়ারির আগেই নির্বাচন করতে হবে। আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আজকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গেলাম। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সম্ভাব্য সময়সূচি নির্ধারণ করব। আমরা যেটা বলেছি, প্রথম সপ্তাহে বা দ্বিতীয় সপ্তাহে; এখনও সেই অবস্থানে আছি।

আজ মহান বিজয় দিবস

জাতীয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, 15 December 2022, 1642 Views,

স্টাফ রিপোর্টার:
আজ মহান বিজয় দিবস, বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখন্ডের নাম জানান দেয়ার দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ এর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চে গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও দু’লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্ম সমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। সেই হিসাবে বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তির দিন কাল। জাতীয় পর্যায়ে এদিন ঢাকায় প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তববক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিতিতে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বাংলাদেশে অবস্থনরত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণকারী আমন্ত্রিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যগণ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
এছাড়া সকাল সাড়ে ১০টায় তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীও এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। এ উপলক্ষ্যে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙ্গে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। ২৪ বছরের নাগপাশ ছিন্ন করে জাতির ভাগ্যাকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্যোদয়। প্রভাত সূর্যের রক্তাভা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। সমস্বরে একটি ধ্বনি যেন নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেয় ‘জয়বাংলা’ বাংলার জয়, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল। মহামুক্তির আনন্দ ঘোর এই দিনে এক নতুন উল্লাস জাতিকে প্রাণ সঞ্চার করে সজিবতা এনে দেয়। যুগ যুগ ধরে শোষিত বঞ্চিত বাঙালি চোখে আনন্দ অশ্রু আর ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় সামনে। বিন্দু বিন্দু স্বপ্নের অবশেষে মিলিত হয় জীবনের মোহনায়। বিশ্ব কবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা, রূপের তাহার নেইকো শেষ, বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ। বাঙালি যেন খুঁজে পায় তার আপন সত্তাকে।
আদি বাঙালির সাংস্কৃতিক ও আর্থ-সামাজিক জীবন এবং ক্রমবিকাশের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে বাঙালির শৌর্য-বীর্য যেন আর একবার ধপ করে জ্বলে উঠে। প্রথম আগুন জ্বলে ’৫২-র একুশে ফেব্রুয়ারি। ফাগুণের আগুনে ভাষা আন্দোলনের দাবি আর উন্মাতাল গণমানুষের মুষ্টিবদ্ধ হাত একাকার হয়ে যায় সেদিন। ভাষার জন্য প্রথম বলীদান বিশ্ববাসী অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করে। সেই থেকে শুরু হয়ে যায় বাঙালির শেকল ভাঙার লড়াই। পাকিস্তানিদের সাথে হিসেব-নিকেশের হালখাতার শুরুতেই রক্তের আঁচড় দিয়ে বাঙালি শুরু করে তার অস্তিত্বের লড়াই। পলাশীর আম্রকাননে হারিয়ে যাওয়া সেই সিরাজদ্দৌলা আবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রূপে এ লড়াইয়ে সেনাপতি হিসেবে আবির্ভূত হন। ’৫২ সালে যে আগুন জ্বলেছিল রাজধানী ঢাকা শহরে সে আগুন যেন ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশের আনাচে-কানাচে সবখানে। যে আগুন জ্বলেছিল মোর প্রাণে, সে আগুন ছড়িয়ে গেল সবখানে সবখানে সবখানে। বাঙালির বুকের ভেতর জ্বলে উঠা আগুন যেন সহস্র বাঙালির মধ্যে প্রবাহিত হতে থাকে।
বাষট্টি, ঊনসত্তর এবং সত্তর শেষ করে একাত্তরে বাঙালি জাতি হিসাব করতে বসে। হিসেব-নিকেশ আর দেনা-পাওনায় পাকিস্তানিরাও বসে নেই। তারাও অংক কষতে থাকে কিভাবে বাঙালি জাতিকে যুগ যুগ ধরে পরাধীনতার শেকল পরিয়ে রাখা যায়। তাদের কাছে এই অলংকারই বাঙালির শ্রেষ্ঠ প্রাপ্য। ঘড়ির কাঁটার টিক টিক শব্দ জানিয়ে যায় সময় আসছে হিসেব নিকেশ চুকিয়ে দেয়ার পালা। অবশেষে গভীর কালো নিকষ আঁধার থেকে জেগে উঠে হিরন্ময় হাতিয়ার। ৭ মার্চ একাত্তরের বিশাল জনসমুদ্র থেকে যুগের কবি, মহাকাব্যের প্রণেতা বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠ ঘোষণা দেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তি সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। রক্ত যখন দিয়েছি তখন আরো দেব, তবুও এদেশকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। এই একটি মাত্র উচ্চারণে যেন বাঙালি সত্যিকার দিক-নির্দেশনা পেয়ে যায়। চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকে বাঙালি। বাঙালি বুঝে যায় শেষ কামড় দেয়ার সময় আসন্ন। পাকিস্তানিরাও আর বসে নেই। পুরো জাতিকে স্তব্ধ করার লক্ষ্যে মারাত্মক মারণাস্ত্র নিয়ে ২৫ মার্চ একাত্তর ঘুমন্ত জাতির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় বাঙালি নিধন যজ্ঞ। বাতাসে লাশের গন্ধ, বারুদে বারুদে আর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন আকাশ। এ যেন এক প্রেতপুরী। আকাশে শকুনের উদ্যত থাবা, নিচে বিপন্ন মানুষের বিলাপ। হায় বাংলাদেশ। একি বাংলাদেশ। এ যেন এক জ্বলন্ত শ্মশান। কিন্তু ঠিকই হাড়ের আর খুলির স্তুপ একদিন পাললিক হয়।
মুক্তি পাগল বাংলার দামাল ছেলেরা স্বাধীনতার রক্ত সূর্যকে ছিনিয়ে আনবে বলে একদিন অস্ত্র কাঁধে তুলে নেয়। ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার সবাই শরিক হয়ে থাকে এ লড়াইয়ে। যতই দিন অতিবাহিত হতে থাকে আরো শাণিত হয় প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার অস্ত্র। লক্ষ্য স্থির রেখে শত্রু হননে দৃঢ়তায় এগিয়ে যায় বীর বাঙালি। ইতোমধ্যেই বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন স্পষ্ট হয়ে উঠে। প্রতিবেশী ভারতও জড়িয়ে পড়ে বাঙালির ভাগ্য যুদ্ধে। ডিসেম্বর শেষ পর্যায়ে এসে চূড়ান্ত রূপ নেয় এই যুদ্ধের।
অবশেষে ন’মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালি জাতির জীবনে এলো নতুন প্রভাত। ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সূচিত হল মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য বিজয়। এর মধ্য দিয়ে এলো হাজার বছরের কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। বাঙালি জাতি এদিন অর্জন করে তার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের অধিকার। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ২ লাখ ধর্ষিতা মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা ধরা দেয় বাঙালির জীবনে।

সঠিকভাবে দোষী নির্ণয়ে প্রয়োজনে সময় দিতে হবে: আইনমন্ত্রী

জাতীয়, 1 February 2024, 424 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনী হত্যার ঘটনায় সঠিকভাবে দোষী নির্ণয়ে তদন্তের জন্য প্রয়োজনে ৫০ বছর সময় দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

আজ ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

একটি ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচারের কথা বলছেন। কিন্তু সাগর-রুনির হত্যার বিচার কেন হচ্ছে না- এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দেখেন, সাগর-রুনিকে নিয়ে কথা বলবেন, আমি বুঝলাম। কিন্তু এই মামলায় যদি পুলিশ তদন্ত শেষ না করতে পারে, তাহলে জোর করে সেই তদন্ত সমাপ্ত করে একটা চূড়ান্ত প্রতিবেদন কিংবা অভিযোগপত্র দেওয়ানো কি ঠিক?’

তিনি বলেন, ‘তাদের তদন্তে যতদিন সময় লাগে সঠিকভাবে দোষী নির্ণয় করতে তাদেরকে ততটুকু সময় দিতে হবে, সেটা যদি ৫০ বছর হয়, ৫০ বছর দিতে হবে।’

তাহলে কি আমরা ৫০ বছর অপেক্ষা করবো এই রায়ের জন্য- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি নিয়ম নয়, এই মামলাটি ব্যতিক্রমী। যেসব মামলায় অপরাধীকে ধরা গেছে, সেগুলোর বিচার তড়িৎ হচ্ছে। যেখানে অপরাধীকে ধরা যাচ্ছে না, তদন্ত শেষ করতে পারছেন না, অবশ্যই তাদেরকে সময় দিতে হবে।’

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন। এই হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন।

সেসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তারা বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। কিন্তু ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে প্রায় এক যুগ হয়ে গেলেও এখনও এ মামলার বিচারই শুরু করা যায়নি। যদিও এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে বিভিন্ন সময় রাজপথে আন্দোলন করেছেন তাদের সহকর্মীরা।

বিরোধী নেতাদের বিচারে নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠনের চিন্তা নেই: আইনমন্ত্রী

জাতীয়, 12 May 2024, 213 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
বিরোধী দলের নেতাদের মামলায় বিচার দ্রুত করতে নতুন ট্রাইব্যুনাল করা হচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিব যে অভিযোগ করেছেন, তা অস্বীকার করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আইনমন্ত্রী আজ ১২ মে রবিবার গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠনের কোনো চিন্তা বা পরিকল্পনা সরকারের নেই।

ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের পুরোনো সব মামলায় বিচার দ্রুত শেষ করে সাজা দেওয়া হয়। সেই প্রক্রিয়া এখনো চলছে। সে জন্য এখন নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠন করছে সরকার।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এ ধরনের ট্রাইব্যুনাল গঠনের কোনো পরিকল্পনা এ মুহূর্তে তাঁদের নেই। আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বা বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মামলা চিহ্নিত করে বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করার যে অভিযোগ তারা (বিএনপি) করছে, তা সঠিক নয়।