চলারপথে রিপোর্ট :
‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উদ্ভাবনেই সমৃদ্ধি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সরাইলে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন হয়েছে।
২৩ জানুয়ারি মঙ্গলবার প্রধান অতিথি হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা উদ্বোধন করেন আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি।
সরাইল উপজেলা সদরের সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটরিয়ামের মেলা উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন অরূয়াইল আবদুস সাত্তার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইকবাল হোসেন মৃধা, সরাইল সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, সরাইল মহিলা কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. মাহফুজ আলী, প্রভাষক মো. শফিকুল ইসলাম ও শিক্ষক অপু নাগ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি বলেন, বিজ্ঞান ছাড়া কোন দেশ ও জাতির অগ্রগতি সম্ভব নয়। বিজ্ঞান মনস্ক প্রজন্ম গড়তে তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদ খালিদ জামিল খান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন এম.পি মেলার বিভিন্ন ষ্টল ঘুরে দেখেন। দু’দিন ব্যাপী মেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৭টি ষ্টল বসে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তারুণ্যের যে রোড মার্চ শুরু হয়েছে তা সরকার পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
তিনি বলেন, “দেশ বাঁচাতে, মানুষ বাঁচাতে তরুণ সমাজ আজ জেগে উঠেছে। শেখ হাসিনা সরকারকে আর কোন অশুভ শক্তিই রক্ষা করতে পারবে না। এই আন্দোলন ডু অর ডাই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আজ ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে কিশোরগঞ্জ জেলার জেলার ভৈরব থেকে সিলেট অভিমুখে তারুণ্যের রোড মার্চের যাত্রাপথে দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার বিশ্বরোড মোড়ে উপস্থিত বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থেকে শুরু হওয়া রোড মার্চটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলা হয়ে সিলেট গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এই রোড মার্চের নেতৃত্ব দেন।
এদিকে রোড মার্চকে স্বাগত জানাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেরর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ, সরাইল বিশ্বরোড ও কুট্টাপাড়া এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী জড়ো হয়। বিক্ষুদ্ধ নেতা কর্মীরা শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ সরকার বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
বিশ্বরোড মোড়ে গাড়ি থেকেই নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
এদিকে রোড মার্চটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌছলে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামীম ও কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা এস.এন তরুন দে সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সংসদীয় আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা রোড মার্চকে স্বাগত জানিয়ে শোডাউন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের ঘন্টাব্যপি সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১৫জন আহত হয়েছে। উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আখিতারা গ্রামে আজ ২০ আগস্ট রবিবার সকাল ১১টায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত রাতে আখিতারা বাজারে চায়ের দোকানে আখিতারা গ্রামের মো, আব্বাস উদ্দিন এর ছেলে মামুন খান ও একই এলাকার মো, আরব আলীর ছেলে মাহমুদের বাক-বিতন্ডা হয়। এর জের ধরে সকালে দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ঘন্টাব্যাপী চলমান সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন লোক আহত হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে ১০ কেজি গাঁজাসহ মোঃ কামরুল ইসলাম (৪৬) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে সরাইল থানার পুলিশ।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বছিউড়া গ্রামের ঈদগাহ ময়দানের পূর্ব পাশে পাকা রাস্তার উপরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরাইল থানার এসআই (নিরস্ত্র) মোঃ ফারুক হোসেন ও এএসআই (নিরস্ত্র) রুবেল আখন এবং সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে একজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এসময় তাঁর হেফাজতে রাখা ১০ কেজি গাঁজা উপস্থিত সাক্ষীগণের সামনে জব্দ করেন। গ্রেফতারকৃত কামরুল ইসলাম (মনিরুল) ঝিনাইদহ জেলার কালি চরণপুর উপজেলার বয়ড়া তলা এলাকার মোঃ শফিকুল ইসলামের ছেলে।
সরাইল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. রফিকুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত বিরুদ্ধে সরাইল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা থেকে টাকা উঠনোকে কেন্দ্র দু’গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০জন আহত হয়েছে। এসময় পুলিশ সংঘর্ষ স্থল থেকে ৬ দাঙ্গাবাজকে আটক করেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামের একটি কাঁচা সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় মাটি ফেলে সংস্কার করে মেম্বার গোষ্ঠীর নয়ন ও তার সহযোগীরা। ১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে একই গ্রামের সরদার গোষ্ঠীর জুয়েল সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে যাচ্ছিল।
এ সময় জুয়েলের কাছে সড়ক মেরামতের কথা বলে ১০টাকা চায় নয়ন। এতে জুয়েল টাকা দিতে অনিহা প্রকাশ করলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির বিষয়টি মিমাংসা করতে সন্ধ্যায় সালিশে বসে দু;পক্ষের লোকজন। এসময় সালিশের মধ্যেই উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে রাতে ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এরই জের ধরে আজ ২ অক্টোবর বুুধবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দেড় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সকালে তেরকান্দা গ্রামের জুয়েল এবং নয়নের গোষ্ঠীর মধ্যে পুনরায় গন্ডগোল শুরু হওয়ার খবর পায়। ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৬ দাঙ্গাবাজকে আটক করি এবং সংঘর্ষ স্থল থেকে কিছু টেট্টা বলমসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করি। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।