অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে এনামুল হক বিজয়ের খুলনার টাইগার্স। রংপুর রাইডার্সকে ২৮ রানে হারিয়ে টানা তিন ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে খুলনা। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরও পোক্ত করলো দলটি।
খুলনার দেয়া ১৬১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর। দলীয় ৬ রানে এবং ব্যক্তিগত দুই রানে স্বদেশি মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে এলবিডবিøউ হয়ে ফেরেন পাকিস্তানের সুপারস্টার বাবর আজম। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ব্রান্ডন কিংও। তার বিদায়ে মাত্র ২ রানেই টপঅর্ডারে দুই ব্যাটারকে হারায় রাইডার্স। অন্যদিকে, এই ম্যাচেও আশানুরূপ কিছু করতে পারেননি জাতীয় দলের টি-২০’র ওপেনার রনি তালুকদার। টেস্টের মেজাজে ২৫ বল খেলে মাত্র ১৫ রান করে বিদায় নেন তিনি।
চলতি বিপিএলে ব্যাট হাসছে না টাইগার দলপতি সাকিব আল হাসানের। মাত্র ২ রান করে দাসুন শানাকার বলে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। ৮০ রানে ৭ উইকেট হারানো রংপুর শেষ পর্যন্ত ১৩২ করতে পেরেছে মোহাম্মদ নবীর কল্যাণে। তিনিই রংপুরকে আশা দেখাচ্ছিলেন। তবে তার ৩০ বলে ৫০ রানের ইনিংসটি হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। খুলনার হয়ে শানাকা তিন ওভার বল করে ১৬ রানে শিকার করেছেন তিন উইকেট। আর মোহাম্মদ নওয়াজ দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে নেন ২ উইকেট। মোহাম্মদ ওয়াসিমও শিকার করেছেন দুই উইকেট।
আজ ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার টসে জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন রাইডার্স অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়ে শুরুতেই দলকে সাফল্য এনে দেন রংপুরের স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান। দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই খুলনার অধিনায়ক বিজয়কে রনি তালুকদারের ক্যাচে পরিণত করেন মেহেদী। টাইগার্স অধিনায়ক ৭ বল মোকাবিলা করেও রানের খাতা খুলতে পারেনি।
তিন নম্বরে নামা খুলনার ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়ও এদিন ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন। এই ম্যাচে আরেকবার ব্যর্থ বাঁহাতি ব্যাটার আফিফ হোসেন। ৬ বলে মাত্র ৪ রান করেন এই ব্যাটার। ৫০ রান তুলতে খুলনাকে খেলতে হয়েছে ৭ দশমিক ৪ ওভার। বিনিময়ে উইকেট হারাতে হয়েছে তিনটি। এই ম্যাচে উইন্ডিজ তারকা এভিন লুইস আগ্রাসী শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৫ বলে তিনটি করে চার-ছক্কায় তিনি ৩৭ রানের ইনিংস খেলেই থামেন।
তবে খুলনার জয়ের ভিত গড়ে দেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নওয়াজ ও লঙ্কান অলরাউন্ডার শানাকা। ৫ম উইকেটে এই জুটিতে আসে ৭৭ রান। শানাকা ৩৩ বলে ৪০ করে ফেরেন। আর নওয়াজ খেলেন ৩৪ বলে ৫৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তোলে খুলনা।
অনলাইন ডেস্ক :
কলম্বিয়াকে হারিয়ে ১৬ তম শিরোপা ঘরে তুলেছে আর্জেন্টিনা। দুই দলের ফাইনাল ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল চরম নাটকীয়তা। দর্শকদের বিশৃঙ্খলার কারণে খেলা শুরু হয় ১ ঘন্টা ১০ মিনিট পর। এরপর ম্যাচ শুরু হলেও প্রথমার্ধে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যদের উপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন জেমস রদ্রিগেজরাই। লাউতারো মার্টিনেজের ১১২ মিনিটের গোলে ১-০ গোলের জয়ে নিজেদের কোপা শিরোপা নিশ্চিত করল আর্জেন্টিনা।
এর আগে, নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় কোনো গোল আসেনি। এতে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় কোপা আমেরিকার ৪৮তম আসরের ফাইনাল। বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় শুরুর কথা থাকলেও কলম্বিয়ান দর্শক-সমর্থকদের সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে প্রায় এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর মাঠে গড়ায় ফাইনাল।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আর্জেন্টিনাকে চাপে রাখে কলম্বিয়া। বলের দখল, লক্ষ্যে শট, কর্নার-সবদিক দিয়েই আধিপত্য বজায় রেখেছিল রদ্রিগেজরা। তবে ম্যাচের প্রথম মিনিটে দুর্দান্ত এক সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। মন্টিয়েলের ক্রস থেকে পা ছোঁয়ালেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাননি আলভারেজ।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে প্রথমবার আক্রমণে উঠে কলম্বিয়ানরা। তবে লুইস ডিয়াজের মাটি কামড়ানো শট ঠেকিয়ে দেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। পরের মিনিটেই বারের পাশ দিয়ে চলে যায় রদ্রিগেজের বাড়নো বলে করডোভা শট। এরপর ম্যাচের ১৩তম মিনিটে ফের আক্রমণে যায় কলম্বিয়া। রদ্রিগেজের বাড়ানো বলে কুয়েস্টার হেড সহজেই মুঠোবন্দি করেন আর্জেন্টাইন কিপার।
ম্যাচের ৩৩তম মিনিটে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন লারমা। তবে আর্জেন্টাইন বাজপাখির হাত ছুঁয়ে মাঠের বাইরে চলে যায় বল। ম্যাচের বাকি সময়ে আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারায় শেষমেষ গোলশূন্য বিরতি নিয়েই মাঠ ছাড়ে দল দুটি। বিরতি থেকে ফিরেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালায় দল দুটি। ম্যাচের ৪৮তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন ম্যাক অ্যালিস্টার। তবে তাকে হতাশ করেন কলম্বিয়ার রক্ষণভাগ।
ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে ডি মারিয়াও সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে তার দুর্দান্ত শট ঠেকিয়ে দেন কামিলো ভার্গাস। ৮ মিনিট পরই দুঃখে ভাসে পুরো হার্ড রক স্টেডিয়াম। চোটে পড়ে ছাড়েন লিওনেল মেসি। এরপর সাইডবেঞ্চে বসেইকান্নায় ভেঙে পড়েন বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক।
ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে জালে বল জড়িয়েছিল আর্জেন্টিনা। জালের নাগাল পেয়েছিলেন মেসির বদলি নামা গঞ্জালেস। তবে অফসাইডের ফাঁদে পড়ে সেটি বাতিল হয়ে যায়। এরপর ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে আরও একটি বড় সুযোগ হাতছাড়া করে আর্জেন্টিনা। ডি মারিয়ার ক্রসে সামনে বাড়িয়েছিলেন গঞ্জালেস। তবে ঠিকঠাক টাইমিংয়ে সুযোগ লুফে নিতে পারেননি আলভারেজ। এতে নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য থাকে ম্যাচ। অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২৮ ওভার ১ বল খেলে সব উইকেট হারিয়ে ১০১ রান করে আইরিশরা। জবাব দিতে নেমে ২২১ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। একইসঙ্গে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেটে জয়ের কীর্তি গড়ে স্বাগতিকরা।
প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছিল, দ্বিতীয়টি বৃষ্টিতে হয় পরিত্যক্ত; সিরিজের ট্রফি তাই থাকছে স্বাগতিকদের কাছে। ১০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা বাংলাদেশ খেলেছে নিজেদের মতো করেই। একটি রেকর্ড অবশ্য ছোঁয়া হয়নি। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়েকে ৪৪ রানে অলআউট করেছিল বাংলাদেশ, সেদিন জয় এসেছিল ২২৯ বল হাতে রেখে। ওই রেকর্ড ভেঙে ফেলা সম্ভব হয়নি এদিন। কেননা জেতার সময় ২২১ বল হাতে ছিল বাংলাদেশের।
ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়া অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৫ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ৪১ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়ে অপরাজিত থাকেন লিটন দাস। এতে আয়ারল্যান্ডকে একটি তেঁতো হারের স্বাদ দেয় বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে হারে আইরিশরা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুর দিকে দেখেশুনেই খেলে আয়ারল্যান্ড। বৃষ্টিতে ঢেকে থাকা পিচে সুইং ছিল স্বাভাবিকভাবেই। বাংলাদেশ প্রথম সাফল্য পায় পঞ্চম ওভারে এসে। ২১ বলে কেবল ৮ রান করা স্টেফেন দোহানি উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন হাসান মাহমুদের বলে। পরের দুটি উইকেটও হাসানের।
নবম ওভারের প্রথম বলে এই পেসার ফেরান পল স্টার্লিংকে। এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে আইরিশ উদ্বোধনী ব্যাটার ১২ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান। ওই ওভারেই হাসান ফেরান হ্যারি টেক্টরকে। ৩ বল খেলে কোনো রান না করা এই ব্যাটারও হন এলবিডব্লিউ।
পরের ওভারেই আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নিকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ। ১ চারে ১৮ বলে ৬ রান করে তিনি ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। ২৬ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলা আয়ারল্যান্ডকে কক্ষপথে ফেরানো ছিল কঠিন এক কাজ।
ওই চেষ্টা করেন কার্টিস ক্যামফার ও লরকান টাকার। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৪২ রানের জুটি। কিন্তু এবারও আইরিশদের জন্য ধাক্কা হয়ে আসেন এক পেসারই। এবাদত হোসেন এলবিডব্লিউ করে ফেরান টাকারকে। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ চারে ৩১ বলে ২৮ রান করেন তিনি।
এরপর অনেকটা সময় একাই লড়াই করেন কার্টিস ক্যামফার। নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি। হাসান মাহমুদের চতুর্থ শিকার হওয়ার আগে ৪ চারে ৪৮ বলে ৩৬ রান করেন ক্যামফার। ইনিংসের ২৭তম ওভারে এসে যখন আইরিশরা দলীয় সংগ্রহে তিন অঙ্ক স্পর্শ করে, ততক্ষণে ৯ উইকেট নেই তাদের।
শতরান ছাড়িয়ে যাওয়ার একটু পরই সফরকারীদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকিয়ে দেন হাসান। ১৯ বলে ৩ রান করা গ্রাহামকে ফেরান এলবিডব্লিউ করে। এতে একটি রেকর্ডেও নাম লেখায় ম্যাচটি। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণ মিলিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পেসাররা নিলেন প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট।
৮ ওভার ১ বল হাত ঘুরিয়ে ১ মেডেনসহ হাসান মাহমুদ ৩২ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট পান। এর বাইরে তাসকিন ১০ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট ও এবাদত হোসেন ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। স্পিনারদের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ ১ ওভারে ৩ ও নাসুম ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। বোলিং করেননি সাকিব আল হাসান।
অনলাইন ডেস্ক :
৬২ বছর বয়সে স্ট্রোক করে মারা গেছেন রিয়েলিটি টেলিভিশন শোর তারকা ‘ব্লিং এম্পায়ার’ খ্যাত তারকা অভিনেত্রী অ্যানা শে। ৫ জুন সোমবার মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর।
মার্কিন যুক্তাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নেটফ্লিক্সের এক প্রতিনিধি অ্যানার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ছাড়া অভিনেত্রীর পরিবার জানিয়েছে, এটা হৃদয়বিদারক ঘোষণা যে আমাদের স্নেহময়ী মা, দাদি, ক্যারিশম্যাটিক তারকা ও আমাদের উজ্জ্বল নক্ষত্র স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, অ্যানা আমাদের জীবনকে বেশি গুরুত্ব দেয়া এবং সূক্ষ্ম জিনিসগুলো উপভোগের শিক্ষা দিয়েছেন। তার প্রভাব জীবন থেকে চিরতরে মিস করা হবে। কিন্তু তাকে আমরা ভুলব না।
২০২১ সালে যখন রিয়েলিটি সিরিজের প্রিমিয়ার হয়, তখন নেটফ্লিক্সের ‘ব্লিং এম্পায়ার’-এ অভিনয় করেন তিনি। ব্লিং এম্পায়ার হচ্ছে লস অ্যাঞ্জেলেসে বসবাসকারী ধনী এশিয়ান এবং এশিয়ান-আমেরিকানদের একটি নির্বাচিত কাল্পনিক জীবন সম্পর্কে রিয়েলিটি শো। শোটি উদ্বোধনী পর্বের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পায়। তবে তিন পর্বের পর বন্ধ করে দেয়া হয় শোটি।
অ্যানা শের বাবা এডওয়ার্ড শে ১৯৯৫ সালে মারা গেছেন। তিনি আমেরিকান প্রতিরক্ষা এবং সরকারি পরিষেবা ঠিকাদার প্যাসিফিক অ্যার্কিটেক্টস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্সের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তার মা মারা গেছেন ২০১৫ সালে।
চলারপথে রিপোর্ট :
শারীরিক প্রতিবন্ধকতা বাধা হতে পারে না। তারাও দেশ ও জাতির জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের এগিয়ে নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেখ রাসেল ৪ বিভাগীয় টি-১০ হুইল চেয়ার ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ ১৪ অক্টোবর শনিবার সকালে ড্রিম ফর ডিসএবিলিটি ফাউন্ডেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আয়োজনে শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে দু’দিনব্যাপী টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
এসময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুন আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ লোকমান হোসেন প্রমুখ।
টুর্ণামেন্টে চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগ থেকে বিভিন্ন জেলার ৫০ জন প্রতিবন্ধী খেলোয়াড় ৪টি টিমে অংশ নেয়। সকালে রাজশাহী বিভাগ ও ঢাকা বিভাগের মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম রাউন্ডে ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকা ১০ ওভারে ১০৪ রান করে। জবাবে রাজশাহী ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয় লাভ করে। ২য় রাউন্ডে চট্টগ্রাম ব্যাটিংয়ে নেমে ৯৬ রান করে। জবাবে সিলেট মাত্র ৮৪ রানে অলআউট হয়ে পরাজয় বরণ করে। খেলায় হুইল চেয়ারে বসেই তারা অত্যন্ত নিপুনতার সাথে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ের দৃশ্য নজর কাড়ে উপস্থিত দর্শকদের।
এদিকে এ ধরণের মহৎ আয়োজনে অংশ নিতে পেরে উচ্ছসিত প্রতিবন্ধকতাকে জয় করা খেলোয়াড়রা। তারা বলেন, প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেই তাদের এগিয়ে চলা। সুযোগ সুবিধা পেলে তারাও ছুঁটতে পারবে দুর্বার গতিতে। সে সাথে দেশের পতাকাকে সুমজ্জল করবে বিশ্বের মানচিত্রে।
অনলাইন ডেস্ক :
২০২২ সালে চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ২৭ ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
আজীবন সম্মাননা যুগ্মভাবে দেওয়া হয়েছে অভিনেতা খসরু ও চিত্রনায়িকা রোজিনাকে। দেশের বাইরে থাকায় খসরুর পুরস্কার নেন অভিনেতা আলমগীর।