স্পোর্টস ডেস্ক
টানা দ্বিতীয় জয়ে সুপার সিক্স পর্ব নিশ্চিত করল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আরিফুল ইসলামের সেঞ্চুরিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল তারা।
এরপর বল হাতে দারুণ অবদান রাখলেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও অন্য বোলাররা। আর তাতেই প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশের যুবারা।
২০২৪ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ ১২১ রানের বিশাল জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ব্লুমফন্টেইনে টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৯১ রান সংগ্রহ করে তারা। এরপর যুক্তরাষ্ট্রকে ১৭০ রানেই অলআউট করে দেন বাংলাদেশের বোলাররা।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য স্বস্তির ছিল না। দলীয় ২৯ রানেই ওপেনার আদিল বিন সিদ্দিকের (১৩) উইকেট হারায় তারা। এরপর অবশ্য আরেক ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি লড়াই চালিয়ে চান চৌধুরী মো. রিজওয়ানকে নিয়ে। তাদের জুটি বড় হওয়ার আগেই অবশ্য বিদায় নেন শিবলি (২৭)।
শিবলির বিদায়ের পর রিজওয়ান ও আরিফুল মিলে ভালো জুটি গড়েন। সেই জুটিও ভাগে দলীয় ১০০-এর আগেই। ৪০ বলে ৩৫ রানের ইনিংস আসে রিজওয়ানের ব্যাট থেকে। তবে এরপর বিপদ হতে দেননি আরিফুল ও আহরান। দুজনের ১২২ রানের জুটিই বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের ভিত্তি গড়ে দেয়।
আহরার ফেরেন ৪৯ বলে ৪৪ রান করে। আর আরিফ খেলেন ১০৩ বলে ৯ চারে সাজানো ১০৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে। এছাড়া লোয়ার মিডল অর্ডারে নেমে অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি খেলেন ১৭ বলে ৩১ রানের ঝোড়ো ইনিংস।
বল হাতে যুক্তরাষ্ট্রের বোলার আর্য গার্গ ৩টি এবং আরিন নাদকার্দি নেন ২টি উইকেট।
জবাব দিতে নেমে যুক্তরাষ্ট্র সুবিধা করতে পারেনি শুরু থেকেই। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা। ওপেনার প্রান্নাভ ছেত্তিপালায়াম ও উৎকর্ষ শ্রীবাস্তব ছাড়া বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে দাঁড়াতেই পারেননি দলটির অন্য ব্যাটাররা। প্রান্নাভ ৫৭ রান করতে খেলে ফেলেন ৯০ বল। আর ৪৯ বলে ৩৭ রান করেন উৎকর্ষ। কিন্তু আর কেউ তাদের সঙ্গ দিতে না পারায় বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
বল হাতে বাংলাদেশ দলের রাব্বি ১০ ওভারে ৩১ রান খরচে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন ইকবাল হোসেন ইমন, শেখ পারভেজ জীবন, রাফি উজ্জামান রাফি, এবং আরিফুল ইসলাম।
অনলাইন ডেস্ক :
ঘরে এসে সিরিজ হারিয়ে গেছে আফগানিস্তান। ওই সিরিজই বিশ্বকাপ ম্যাচ নিয়ে বাড়তি হাইপ তুলেছে। হাইপ ওঠা ওই ম্যাচে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পানসে বানিয়ে ছেড়েছে বাংলাদেশ। ৬ উইকেটের বড় জয়ে দুই পয়েন্টের সঙ্গে ১.৪৮ বোনাস পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে।
শনিবার ধর্মশালা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে বল করতে নামে বাংলাদেশ। দুই আফগান ওপেনার ভালো শুরু করলেও ৩৭.২ ওভারে ১৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাব দিতে নেমে শুরুতে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশও। তিনে নামা মেহেদী মিরাজ ও চারে নামা নাজমুল শান্ত ওই ধাক্কা সামলে দলকে জয়ের প্রান্তে তুলে নেন। পরে মিরাজ ফিরলেও ফিফটি করে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন শান্ত।
এর আগে দুই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ৪৭ রানের জুটি দেন। সাবলীল শুরু করা ওই জুটি ভাঙতে সপ্তাম ওভারে বল হাতে নেন সাকিব আল হাসান। দলকে দরকারী ব্রেক থ্রু দেন।। তরুণ ওপেনার ইব্রাহিমকে ২২ রানে ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। এরপর রহমত শাহকেও (১৮) তুলে নেন বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার সাকিব।
ওই ধাক্কা সামাল দেওয়ার লড়াইয়ে ব্যর্থ হন গুরবাজ ও হাসমতুল্লাহ শাহেদী। চারে নামা শাহেদী ১৮ রান করে মিরাজের বলে ক্যাচ দেন। দলের রান তখন ১১২। সেখান থেকে ১৪ রান হতেই আরও তিন উইকেট হারায় আফগানরা। ফিরে যান ৬২ বলে ৪টি চারের সঙ্গে এক ছক্কায় ৪৭ রান করা ওপেনার গুরবাজ। ব্যর্থ হন পাঁচে নামা নাজিবউল্লাহ (৫) ও ছয়ে নামা মোহাম্মদ নবী (৬)।
ওই ধাক্কা সামাল দিতে পারেনি আফগানরা। অলআউট হয় ৩৭.২ ওভারে। জবাব দিতে নেমে ১৯ রানের মধ্যে ফিরে যান লিটন (১৩) ও তানজিদ তামিম (৫)। তিনে নামা মিরাজ ও চারে নামা শান্ত ৯৭ রানের জুটি দিয়ে ওই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন। মিরাজ ৭৩ বলে পাঁচটি চারের শটে ৫৭ রান করে আউট হন। এরপর সাকিব ১৪ রান করে ফিরে যান। তাতে জয়ের পথ কঠিন হয়নি। শান্ত ৮৩ বলে তিনটি চার ও এক ছক্কায় ৫৯ রান করে ৯২ বল থাকলে দলকে জয় এনে দেন।
বাংলাদেশের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন দুই অলরাউন্ডার সাকিব ও মেহেদী মিরাজ। সঙ্গে ফিফটি করে মিরাজ ম্যাচ সেরা হয়েছেন। দুই উইকেট দখল করেছেন বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। বাকি দুই উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। আফগানদের হয়ে তিন পেসার ফারুকি, নাভিন উল ও ওমরজাই একটি করে উইকেট নিয়েছেন। রশিদ খান কিংবা মুজিব উরকে উইকেট দেয়নি বাংলাদেশ।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ও নিউ জিল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বৃষ্টিতেই ভেসে গেল। কার্টেল ওভারে খেলা গড়ানোর সম্ভাবয়ান নেই জেনে প্রায় ৩০ মিনিট আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন দুই আম্পায়ার। মাউন্ট মঙ্গানুইতে বৃষ্টি থামেনি এখনো। আর থামলেও এ সময়ের মধ্যে মাঠ প্রস্তুত হবে না।
১১ ওভারে ২ উইকেটে কিউইরা ৭২ তোলার পর নেমেছিল বৃষ্টি। রানরেট ছিল ৬.৫৪। ফলে বাংলাদেশের সামনে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে মোটামুটি সহজ লক্ষ্য পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ১০ ওভারে ৮৫ রান কিংবা নিদেনপক্ষে ৫ ওভার করা গেলেও ৪৬ তাড়া করার সুযোগ ছিল টাইগারদের।
কিন্তু অনেকটা সময় অপেক্ষার পরও আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়ায় ম্যাচটি আর মাঠে গড়ানো যায়নি। ফলে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়ের সুবাদে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রইলো বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচ একই ভেন্যুতে ৩১ ডিসেম্বর।
মাউন্ট মুঙ্গানুইতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের মিশনে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শেখ মেহেদী হাসানের স্পিন দিয়ে আক্রমণ শুরু করেন তিনি। প্রথম ওভারে মেহেদী দেন ৯ রান।
দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়েই সাফল্য শরিফুল ইসলামের। এবারও বাংলাদেশকে শুরুতে ব্রেক থ্রæ এনে দেন বাঁহাতি এই পেসার। দলীয় ৯ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ওভারের দ্বিতীয় বলে শরিফুলের ওপর চড়াও হতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে রিশাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফিন অ্যালেন (২)।
তবে ওপেনিং সঙ্গী হারালেও মারকুটে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ শিবিরকে তটস্থ রাখছিলেন টিম শেইফার্ট। এগিয়ে যাচ্ছিলেন ঝোড়ো ফিফটির দিকে। তবে তার সে আশা পূরণ হতে দেননি তানজিম হাসান সাকিব।
টাইগার পেসারের ওপর চড়াও হতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন শেইফার্ট। অনেক ওপরে উঠা বল দৌড়ে এসে মিডঅফে দারুণভাবে তালুবন্দী করেন শান্ত। ২৩ বলে ৬ চার আর ১ ছক্কায় ৪৩ রান আসে শেইফার্টের ব্যাট থেকে।
বিশেষ প্রতিনিধি:
অনলাইন ডেস্ক :
জিততে হলে বিশ্বরেকর্ড গড়তে হতো । কিন্তু শেষ দিনে প্রথম সেশন পর্যন্তও টিকল না ভারত।
তাদের উড়িয়ে দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ‘গদা’ নিজের করে নিল অস্ট্রেলিয়া। ৪৪৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা ভারত চতুর্থ ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২৩৪ রানেই। যার ফলে ২০৯ রানের দাপুটে জয় পায় অজিরা।
দ্য ওভালে ৩ উইকেটে ১৬৪ রান নিয়ে শেষ দিনের খেলা শুরু করে ভারত। বিরাট কোহলি ৪৪ ও অজিঙ্কা রাহানে ব্যাট করছিলেন ২০ রান নিয়ে। মূলত তাদের ব্যাটে টেস্ট বাঁচানোর আশা দেখেছিল ভারত। ফিফটি থেকে এক রান দূরে থাকতেই সাজঘরে যেতে হয় কোহলিকে। স্কট বোল্যান্ডের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর তাসের ঘরের মতোই ভেঙে পড়ে রোহিত শর্মার দল। জয় তো দূরের কথা ড্রয়ের আশাটাও তখন ফিকে হয়ে যায়। ন্যাথান লায়নের স্পিন তোপে লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররাও সেরকম প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। তাই ২৩৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় ভারত। অজিদের হয়ে লায়ন চারটি, বোল্যান্ড তিনটি, মিচেল স্টার্ক দুটি ও প্যাট কামিন্স নেন একটি উইকেট।
মর্যাদার লড়াইয়ে এর আগে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। স্টিভেন স্মিথ ও ট্রাভিস হেডের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ৪৬৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় অজিরা। জবাব দিতে নেমে ২৯৬ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। বড় লিড পেয়ে ভারতের জন্য লক্ষ্যটা পাহাড়সম করে তোলে অস্ট্রেলিয়া। এমন অবস্থানে গিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে, যেখানে ভারতকে জিততে হলে ভাঙতে হবে বিশ্বরেকর্ড। ২০ বছর আগেও ৪১৮ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সেই ইতিহাস আর ভাঙা হয়নি ভারতের, পরপর দুইবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেও ফিরতে হলো খালি হাতে। একইসঙ্গে ঘুচাতে পারেনি ১০ বছর ধরে আইসিসি ট্রফি জিততে না পারার আক্ষেপ। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া পূরণ করলো আইসিসি ট্রফি জয়ের চক্র। প্রথম দল হিসেবে আইসিসি স্বীকৃত সব শিরোপা জিতেছে তারা।
প্রথম ইনিংসে চাপের মুখে ১৭৪ বলে ১৬৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলায় ফাইনাল-সেরা হয়েছেন ট্রাভিস হেড।
অনলাইন ডেস্ক :
আজকাল যৌবন ধরে রাখতে, সুন্দর দেখাতে নারী-পুরুষ সবাই দারুণ আগ্রহী। কাজেই পোশাক, চুল, ত্বক ও দাড়ির স্টাইল সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে চলতে এবং নিজেকে তরুণ দেখাতে অনেক কিছুই করতে হয়। তবে কি এসবই শেষ সমাধান? মোটেও এমনটা নয়। রূপ বোদ্ধাদের মতে, ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে এবং নিজেকে চিরতরুণ রাখার জন্য ছোট ছোট কিছু নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। স্কিন কেয়ার রুটিন ও স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলই উজ্জ্বল-তারুণ্যদীপ্ত ত্বকের ইচ্ছা পূরণ করবে।
প্রাথমিক স্কিন কেয়ার : ভিটেন-হ্যার্ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্বক বিশেষজ্ঞ উলরিকে হাইনরিশ বলেন, ‘বয়স বাড়া মানেই কোনো কিছু পরিত্যাগ করা নয়। বয়সের সঙ্গে সৌন্দর্য হারাতে হবে- এমন কোনো কথা নেই। বয়সের সঙ্গে ত্বক পাতলা এবং শুষ্ক হয়। তাই এমন ক্রিম বা কসমেটিক ব্যবহার করতে হবে যাতে ভিটামিন এ, সি এবং ই-থাকে। আর হ্যাঁ, ত্বক ভালো রাখতে প্রাথমিক স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলা প্রয়োজন। না হলে ত্বকের সমস্যা বাড়তে পারে। এমনকি বয়সের ছাপ পড়ে ত্বকে।
প্রাত্যহিক ত্বকের পরিচর্যা
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে প্রথমে মুখ ভালোভাবে ক্লিনজিং করুন। তারপর প্রাকৃতিক টোনার ও ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
সানস্ক্রিন কখনো ভুলবেন না। রোদের ক্ষতিকারক রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। ফটোএজিং ঘটায়। ফলে সময়ের আগেই ত্বক বুড়িয়ে যায়। তাই মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
বয়স ৩০ পেরোলেই অ্যান্টি-এজিং স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করা উচিত। রেটিনল, AHA সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। সৌন্দর্যচর্চায় আগের ট্রেন্ড ফিরে এসেছে। অর্থাৎ গাছগাছালির পাতা, রস, শেকড় ইত্যাদির তৈরি ভেষজ ক্রিম, পাউডার, তেল ব্যবহার করতে পারেন।
অসময়ে ত্বকে বলিরেখা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শারীরিক সমস্যা বা পুষ্টির অভাবেও এমন হতে পারে। সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি আপনাকে জীবনশৈলীর দিকেও নজর দিতে হবে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করাও জরুরি। রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার। নিয়মিত ব্যায়াম করতে ভুলবেন না। এই ছোট ছোট নিয়মগুলো মেনে চললেই আপনিও পাবেন চিরতরুণ ত্বক।
লেখা : উম্মে হানি
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২১ জানুয়ারি রবিবার কুমিল্লা জেলা স্টেডিয়াম (ভাষা সৈনিক শহীদ নীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম) ইয়ং টাইগার্স অনুর্ধ্ব-১৬ বিভাগীয় ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট এর সি গ্রুপের খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১১৭ রানে বড় ব্যবধানে কক্সবাজারকে পরাজিত করে সেমিফাইনালে খেলার গৌরব অর্জন করে। এর আগে ১৫ জানুয়ারি ১ম খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২০৮ রানের ব্যবধানে বান্দরবানকে পরাজিত করে।
১৭ জানুয়ারি ২য় খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪৬ রানে চাঁদপুর এর কাছে হেরে যায়। সি গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নীট রান রেটে ৪র্থ দল হিসেবে সেমিফাইনালে উন্নীত হয়।
আগামী ২৪ জানুয়ারি ২য় সেমিফাইনাল অংশ গ্রহণ করবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বনাম চাঁদপুর।
২৩ জানুয়ারি ১ম সেমিফাইনালে অংশ গ্রহণ করবে নোয়াখালী বনাম লক্ষীপুর, ২৬ জানুয়ারি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো খেলা চট্টগ্রামের মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড গেইম ডেভলপমেন্ট এর আয়োজনে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলা ৩টি গ্রুপে ভাগ হয়ে লীগ ভিত্তিক খেলায় অংশগ্রহণ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অনুর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট দলের সদস্যগণ হলেন : তপু দত্ত (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান শ্রাবণ (সহ: অধিনায়ক), ইশান বনিক (উইকেট কিপার), সাকিব আল জামান, নুর আলম রাফি, আনাছ, আলিফ, সাদমান, শিমুল, ইয়াছিন আরাফাত, সজিবুর, মাহিন, সাবাব, নওশাদ, সিফাত ও নুর হোসেন কোচ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, ম্যানেজার নাজমুল হক ভূঁইয়া সেলিম।