চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে বিভিন্ন অনিয়মের জন্য সাত দোকানিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নবীনগর পৌর শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে এই জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান জানান, উপজেলার পৌর এলাকার বিভিন্ন বাজার ও হোটেলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে বড় বাজারে চালের বাজারে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৩ দোকানিকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি চালের দোকান গুলোতে অধিক মজুদ করা হচ্ছে কিনা তাও তদারকি করা হয়।
তিনি আরো জানান, চালের বাজারের পাশাপাশি হোটেল ও রেস্টুরেন্ট গুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পরিবেশনের দায়ে ৩টি রেস্টুরেন্ট ও ১টি হোটেলেকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় নবীনগর থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে কেঁরির বড়ে খেয়ে তাঁরা বানু (৭০) নামে এক বৃদ্ধা আত্মহত্যা করেছে।
আজ ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন ওই বৃদ্ধা মারা যান। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
তাঁরা বানু উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের মৃত বলু মিয়ার স্ত্রী।
হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২০ বছর আগে বলু মিয়া মারা যায়। তারপর থেকে তাঁরা বানু একা হয়ে পড়ে। আজকে সকালে তাঁরা বানু পরিবারের অগোচরে গিয়ে কেঁরি ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাঁরা বানুকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসাইন জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক বৃদ্ধা মারা গেছে। কি কারনে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি। আজকে সুরতহালের পর লাশের ময়নাতদন্ত হবে। তারপর নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ১৯ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ। আজ ১০ মে শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের দূর্গারামপুরে মেঘনা নদী থেকে এই মাছটি ধরেন জেলে পরিতোষ বর্মনের নৌকার জেলেরা।
জানা যায়, উপজেলার গোপীনাথপুর মনতলা গ্রামের জেলে পরিতোষ বর্মনসহ অন্য জেলেরা প্রতিদিনের ন্যায় আজও মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যান। বাছুরি নৌকায় জাল দিয়ে তারা মেঘনা নদীতে মাছ ধরেন। সকালে তাদের জালে ১৯ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ ধরা পরে। পরে জেলেরা মাছটি নবীনগর বাজারে নিলে মালয়েশিয়া প্রবাসী জামাল হোসেন ৮৫০ টাকা কেজি দরে ১৬ হাজার ১৫০ টাকায় মাছটি কিনেন।
নৌকার মালিক পরিতোষ বর্মন বলেন, আমাদের বাছুরি নৌকা নিয়ে মেঘনা নদীতে আমরা মাছ ধরতে যায়। আমাদের জালে ধরা পড়া কাতলা মাছটির ওজন ১৯ কেজি। পরে মাছটি নবীনগর বাজারের সুনীল বর্মনের আড়তে তোলা হলে মালয়েশিয়া প্রবাসী জামাল হোসেন মাছটি ৮৫০ টাকা কেজি দরে ১৬ হাজার ১৫০ টাকায় মাছটি কিনে নেন। সৌভাগ্যক্রমে এই মাছটি জালে লেগেছে। নৌকার আরেকজন জেলে সত্যগুণ বলেন, মাঝে মধ্যে তিতাস ও মেঘনা নদীতে কাতলা, রুই, বোয়ালসহ অন্যান্য মাছ আমাদের জালে ধরা পড়ে। কিন্তু অনেকদিন পরে আমাদের জালে এ রকম বড় একটি কাতলা মাছ ধরা পড়ল। এ বছর এত বড় কাতলা এটাই প্রথম, তাই আমরা অনেক খুশি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে ড্রেজার দিয়ে অতিরিক্ত বালু উত্তোলন ও অবৈধভাবে নদীর পাড় থেকে মাটি কাটার দায়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও তিনজনকে ৬ মাস করে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার দুপুরে উপজেলার জাফরাবাদ ও চর মানিকনগর এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে সাজা ও জরিমানা প্রদান করেন নবীনগর ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামীম।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নবীনগর ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামীম জানান, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের জাফরাবাদ এলাকায় সরকার নির্ধারিত ড্রেজার মেশিনের চেয়ে অধিক ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় নিয়ম বহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলন করায় দায়ে একজনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বালু উত্তোলন করার দায়ে ইজারাদারের প্রতিনিধি সাদেক মিয়াকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
তিনি আরো জানান, আরেক অভিযানে উপজেলার চর মানিকনগর এলাকার মেঘনা নদীর পাড়ে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীর পাড় থেকে মাটি কাটার সময় বাদশা মিয়া, জসিম উদ্দিন ও ইকবাল হোসেনকে আটক করা হয়। পরে তাদের তিনজনকে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের কেদেরখলা খালের ওপর নির্মিত কাঠের সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে ভেঙে গেছে। চার গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তায় অবস্থিত সেতুটি ভেঙে পড়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
কাঠের সেতু ব্যবহার করে জেলা ও উপজেলা সদরে বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াত করে থাকেন বিল এলাকায় অবস্থিত কেদেরখলা, শুভারামপুর, তিলকিয়া ও দুর্গারামপুর গ্রামের বাসিন্দারা। এছাড়া বীরগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বীরগাঁও সোবহানিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্থানীয় বাশমৌজা বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা ও মালিক ভরসার মাজারের ভক্তদের সেতুটি পারাপার হতে হয়।
এলাকাবাসী জানান, পাঁচ বছর আগে উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের ওই চার গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘবে সরকারি ও স্থানীয় ব্যক্তিদের যৌথ উদ্যোগে কেদেরখলা খালের ওপর একটি কাঠের সেতু তৈরি করা হয়। ৪ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি চার গ্রামের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দার যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। কয়েক মাস আগে সেটি ভেঙে পড়লে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে জনসাধারণকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কেদেরখলা খালের ওপর ভেঙে যাওয়া কাঠের সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, নারী-শিশু ও বৃদ্ধদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আলাপকালে দুর্গারাম গ্রামের স্কুল শিক্ষক নুরুল ইসলাম, ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম, সরদার মোছেন মিয়াসহ কয়েকজন জানান, সেতুটি ভেঙে পড়ায় এলাকাবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ভাঙা সেতু পার হতে গিয়ে নিচে পড়ে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত কাঠের সেতুটি সংস্কার ও খালের ওপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির বলেন, বর্ষাকালে কচুরিপানা এসে কাঠের পুলের নিচে জমা হয়ে যাওয়ায় এটি নড়বড়ে হয়ে পড়ে। মেরামত করা হলেও ভেঙে যায়। জনদুর্ভোগ কমাতে সেখানে উঁচু একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দাঙ্গা-হাঙ্গামার নিরসন ও শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক কাজ করছেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি গভীর রাতে নিজ হাতে ত্রাণের খাদ্যসামগ্রী নিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামের অসহায় মায়ের দ্বারে দ্বারে যান তিনি।
নবীনগরের দাঙ্গা-হাঙ্গামা নিরসনে কাজ করেন ইউএনও মো. একরামুল সিদ্দিক। যোগদানের পর থেকে তিনি এসব সমস্যার সমাধানে নানামুখী তৎপরতা চালান। কিভাবে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনা যায় সে লক্ষ্যে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেন সরকারি এই কর্মকর্তা। এ বিষয়ে কথা বলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুলের সঙ্গে, নেন তার পরামর্শ। স্থানীয় রাজনীতিবিদ, গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের সহযোগিতায় গত দুই বছরে অন্তত ১৫টি দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করেছেন ইউএনও।
ইউএনও একরামুল সিদ্দিক শুধু যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ঠেকানোতেই মনোযোগ দিয়েছেন তা নয়। উপজেলার শিক্ষার মান বাড়াতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে গিয়ে নিজে ক্লাস নেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেন। তাদের পড়াশোনার মান সম্পর্কে ধারণা নেন এবং তিনি তাদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান করেন। সামাজিক রীতিনীতি, নৈতিকতাবোধ নিয়েও ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দেন।
নবীনগর উপজেলা বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, ইউএনও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান; তাই তার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রয়েছে। করোনা মহামারি মতো ভয়াল রাতেও নিজের জীবন বাজী রেখে অসহায় গরিব-দুঃখী মানুষের চিন্তায় প্রত্যন্ত গ্রামে ছুটে গেছেন। তিনি দরিদ্র মানুষের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
নাটঘর ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন জানান, তিনি যোগদানের পর থেকে সমস্ত সেক্টরে স্বচ্ছতা ফিরে এসেছে।
ইউএনও একরামুল সিদ্দিক বলেন, আমি সরকারের একজন প্রতিনিধি হিসেবে এই উপজেলায় দায়িত্ব পালন করতে এসেছিমাত্র। সবার সহযোগিতা পেলে নবীনগর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কল্যাণে যা যা করার প্রয়োজন সেটি করার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।