চলারপথে রিপোর্ট :
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীক ছাড়া হওয়াটা জনগণের চাহিদা। এজন্যই জনগণের সরকার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা হলে বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে।’
আজ ২৭ জানুয়ারি শনিবার সকালে জাহানারা হক পাবলিক লাইব্রেরির নবনির্মিত ভবন ও কসবা পৌর সভার বাস্তবায়িত ২০টি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজের উদ্বোধনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এই সময় আইন সচিব গোলাম সারওয়ার, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহরিয়ার মুক্তার, কসবা পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কাজী আজহারুল ইসলাম,জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান এম এ আজিজ, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কসবা উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আজ ৭ মে রবিবার বিকেলে উপজেলার আকছিনা ও শাহপুর রাস্তার জোড়া ব্রীজের সামনে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুলতান আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আশরাফুল ইসলাম বাচ্চু, কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন জিন্নাত প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক স্বপনকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান।
চলারথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় কৃষক রহিজ মিয়া হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে কসবা থানা পুলিশ। আজ ১১ জানুয়ারি রবিবার ভোর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পৌর এলাকার পৈরতলা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত জজ মিয়া জেলার কসবা উপজেলার নিমবাড়ী গ্রামের জমসেদ মিয়ার ছেলে। আজ দুপুরে তাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, কসবা উপজেলার নিমবাড়ি গ্রামে পান্ডবের গোষ্ঠী ও কাবলি গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে মামলা মোকাদ্দমাসহ বিভিন্ন বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ২০১৭ সালে ১০ এপ্রিল সকালে রহিজ মিয়া, নাবালক সরদার ও ফরিদ মিয়া বাদৈর বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে কাবলি গোষ্ঠীর লোকজন হামলা করেন। এ সময় রহিজ মিয়াসহ তার সাথে থাকা দু’জনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে রহিজ মিয়া মারা যান। এ ঘটনায় রহিজ মিয়ার স্ত্রী নার্গিছ বেগম কসবা থানায় ১৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় স্বাক্ষ্যগ্রহন শেষে গত মাসের ২৪ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আয়েশা আক্তার সুমি জমসেদ মিয়ার ছেলে জজ মিয়াকে ফাঁসি ও এক লাখ টাকা জরিমানা রায় প্রদান করেন। এছাড়া একই মামলায় জমসেদ মিয়ার আরও ৪ ছেলে ইয়াসিন মিয়া, খোকন মিয়া, মনির মিয়া ও পারভেজ মিয়া ও তাদের পক্ষের আওয়াল মিয়া ও তার ছেলে আশরাফুলকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডাদেশের পাশাপাশি ২ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত। মামলার প্রধান আসামী জমসেদ মিয়াসহ ৯ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন এবং জমসেদ মিয়ার অপর ছেলে আসামী খোকন মিয়াকে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৩৪ কেজি গাঁজাসহ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার সকালে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের কসবা-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কের হাজীপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মো. রাজ হোসেন জেলার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, রবিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কসবা-সৈয়দাবাদ আঞ্চলিক সড়কের বিনাউটি ইউনিয়নের হাজীপুর এলাকার মনিচং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার সঙ্গে থাকা বস্তা তল্লাশি করে ৩৪ কেজি কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ১২ বছরের শিশু সুমাইয়াকে হত্যার ঘটনায় তার সৎ মা শারমীন আক্তারকে (৩৬) যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
গতকাল বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত শারমীন আক্তার উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের মেহারী গ্রামের শামীম মিয়ার স্ত্রী। রায়ের সময় শারমীন আক্তার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মেহারি গ্রামের শামীম মিয়ার প্রথম স্ত্রী দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান ফেলে রেখে বিদেশে চলে যান। তিন সন্তানের কথা চিন্তা করে শামীম মিয়া আরেকটি বিয়ে করেন। বড় দুই ছেলেকে ঢাকায় নিয়ে যান শামীম মিয়া। অন্যদিকে সুমাইয়া তার সৎ মায়ের সাথেই থাকতো।
গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে নিজ ঘরে শিশু সুমাইয়ার লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে শামীম মিয়ার দুই ছেলেকে নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। তারা সুমাইয়ার গলায় কালো চিহ্ন দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। এই ঘটনায় সৎ মা শারমীন আক্তারকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন শামীম মিয়ার ছেলে আরমিন ভূইয়া।
এই মামলায় শারমীন আক্তারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালতের আদেশে দুই দিনের রিমান্ডে আনা হলে শারমীন হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেন। পরে শ্বাসরোধে হত্যার কথা উল্লেখ করে আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে জানায়, সুমাইয়াকে পড়তে এবং রাতে খাবার খেতে বলায় এ নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। এরই জেরে ক্ষোভে দুই হাত দিয়ে চেপে সুমাইয়াকে হত্যা করে শারমীন। এই মামলায় শারমীনকে অভিযুক্ত করে তদন্তকারি কর্মকর্তা কসবা থানার উপ-পরিদর্শক লিয়াকত আলী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুল আলম খোকন জানান, রায় প্রদানকালে কারাদন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে আদালতের আদেশে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
আসামী গ্রেফতারের পর হাজতবাসকালীন সময়টুকু কারাদন্ডের সময় থেকে বাদ দেয়া হবে বলে আদালত আদেশ দিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় অস্বচ্ছল এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিশেষ শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
খাড়েরা সবুজ সংঘের এ কার্যক্রমের আওতায় ২৬জন অস্বচ্ছল এসএসসি পরীক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি এবং ২৬ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের মাঝে মানবিক ভাতা কার্ড প্রদান করা হয়।
আজ ৩ নভেম্বর শুক্রবার সকালে খাড়েরা মোহাম্মদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন।
সবুজ সংঘের সভাপতি বিশিষ্ট লেখক লোকমান হোসেন পলার সভাপতিত্বে এ কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন খাড়েরা ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির।
বিশেষ অতিথি ছিলেন খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমেদ খান, বাদৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিপন আহমেদ ভূইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের পাঠাগার সম্পাদক এইচ. এম. সিরাজ, কসবা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের স্বপন, খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মীর হেলাল উদ্দিন, খাড়েরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আবু হামজা ও খাড়েরা মোহাম্মদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য দুলাল মিয়া।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সংস্কৃতি ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মজিবুর রহমান খান, জোবায়ের মাহমুদ তপন, নুরুল আমিন, শিক্ষক নেতা নরুল ইসাম চৌধুরী ও আবদুল রাজ্জাক। অনুষ্ঠানে সুবিধাভোগী শিক্ষার্থী, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন নারী-পুরুষ, সাংবাদিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাবেদ রহিম বিজন বলেন, সবুজ সংঘের মানবিক কার্যক্রম অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এ কাজটি সমাজের সকলের দ্বারা হয়ে ওঠে না। লোকমান হোসেন পলা সবুজ সংঘের মাধ্যমে এ মানবিক কাজটি করছেন। তিনি সমাজের বিত্তবানদের এ ধরনের কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সবুজ সংঘের সভাপতি লোকমান হোসেন পলা জানান, সবুজ সংঘের এ মানবিক কার্যক্রম ৩য় বৎসরে পদার্পন করেছে। অস্বচ্ছল এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফর্ম ফিলাপের জন্য উপজেলার খাড়েরা ও বাদৈর ইউনিয়নের ৭টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ১টি মাদ্রাসার ২৬জন শিক্ষার্থীকে ২ হাজার টাকা করে বিশেষ শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া খাড়েরা ইউনিয়নের ২৬জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের মাঝে মানবিক ভাতা কার্ড প্রদান করা হয়। এই কার্ডধারীরা প্রত্যেক মাসের প্রথম শুক্রবার ৫ শত টাকা করে মানবিক ভাতা পাবেন। এদিকে সবুজ সংঘের উদ্যোগে রমজান মাসে ইফতার এবং ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহায় ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। তিনি জানান, এ কার্যক্রমে আমাদের এলাকার সমমনা বন্ধুরা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে থাকেন।