চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার সড়ক বাজারের আজ ২৭ জানুয়ারি শনিবার বিক্রি হয়েছে আড়াই কেজি ওজনের মুলা। সাদা রঙের এই মুলাটির উচ্চতা আড়াইফুট, ব্যস চার ইঞ্চি।
দুপুরে সড়ক বাজারের সবজি ব্যবসায়ী বাবুল সাহার কাছ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে ৯০ টাকায় মুলাটি কিনেন আখাউড়া পৌর এলাকার রাধানগরের বাসিন্দা মোঃ ইয়াছিন চৌধুরী। তার বাসায় মুলাটা আনার পর অনেকেই আগ্রহ নিয়ে ইয়াছিন চৌধুরীর বাসায় যান মুলাটি দেখতে।
অতোবড় মুলা দেখে রীতিমতো সবাই অবাক হয়েছেন। বাসায় আনার পর ইয়াছিন চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরাও অবাক হন। এর আগে কখনো এত বড় মুলা দেখেননি তারা।
মোঃ ইয়াছিন চৌধুরী জানান, শনিবার দুপুরে তিনি সড়ক বাজারের সবজি ব্যবসায়ী বাবুল সাহার কাছ থেকে মুলাটি কিনেছেন। এতো বড় মুলা দেখে তিনি লোভ সামলাতে পারেননি। তাই ৩৫ টাকা কেজি দরে আড়াই কেজি ওজনের মুলাটি ৯০ টাকা দিয়ে মুলাটি কিনে আনেন।
সবজি ব্যবসায়ি বাবুল সাহা জানান, তাহের মিয়া নামে একজন আড়ৎদারের কাছ থেকে তিনি বেশ কয়েকটি বড় মুলা আনেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই দেড় ও দুই কেজি ওজনের। সবচেয়ে বড় মুলাটি ছিলো আড়াই কেজির বেশি। এত বড় মুলা দেখে অনেকেই তার দোকানে আসেন ও খোঁজ নেন কোথা থেকে আনা। তিনি জানান, মূলত নরসিংদী জেলা থেকে এসব মুলা আখাউড়ার বাজারে আসে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাস চাপায় আইয়ূব মিয়া-(২২) নামে এক মোটর সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ ১১ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-আখাউড়া সড়কের সদর উপজেলার কোড্ডা ব্রীজ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আইয়ূব মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের দতাইসার গ্রামের জানু ভূঁইয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে আইয়ূব মিয়া মোটর সাইকেল নিয়ে আখাউড়া থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আসার পথে কোড্ডা ব্রীজ এলাকায় পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা দিগন্ত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস মোটর সাইকেলটিকে চাপা দিলে সে গুরুতর আহত হয়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন জানান, আইয়ূব মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভুয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় আখাউড়া ইমিগ্রেশনে আটক হয়েছেন মো. হৃদয় নূর (২২) নামে এক যুবক। ৩১ জুলাই সোমবার দুপুরে তাকে আটকের পর আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
আটক হৃদয় নূর ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের নয়নপুরের হান্দু মিয়ার ছেলে।
আখাউড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম জানান, হৃদয় নূর নামে এক যুবক ক্রোয়েশিয়া যেতে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। বাংলাদেশে কোনো দূতাবাস না থাকায় সোমবার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের দিল্লিতে থাকা ক্রোয়েশিয়া দূতাবাসে যাচ্ছিলেন। এ সময় আখাউড়া ইমিগ্রেশনে তার কাগজপত্র যাচাই-বাছাইকালে হৃদয়ের পুলিশ ক্লিয়ারেন্সটি নকল বলে সন্দেহ হয়। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন। যেহেতু তার বাড়ি সদর উপজেলায় তাই তাকে জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, আটক যুবকের মোবাইলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের সফট কপি ছিল, কোনো হার্ড কপি ছিল না। এর স্বাক্ষর সন্দেহজনক ছিল। নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পাওয়ায় তাকে আটক করা হয়েছে। আমরা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি এর পেছনে কে বা কোন চক্র কাজ করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া যুবলীগের আহ্বায়কসহ তিনজনকে সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জেলা যুবলীগের সভাপতি শাহানুর ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌসের সই করা পত্রে এ নির্দেশ দেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়ে, যুবলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী সুশৃঙ্খল সংগঠন। এ সংগঠনের ভাবমূর্তি বজায় রাখা প্রত্যেক নেতাকর্মীর নৈতিক ও সাংগঠনিক দায়িত্ব। আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক তাকজিল খলিফা কাজল, যুগ্ম-আহ্বায়ক এ কে এম আতাউর রহমান নাজিম ও মো. আব্দুল মমিন বাবুলের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে ৩০ এপ্রিল উপজেলার অন্তর্গত আখাউড়া পৌরসভা, আখাউড়া উত্তর, আখাউড়া দক্ষিণ, মনিয়ন্দ, মোগড়া ও ধরখার ইউনিয়নের কমিটি গঠনের অভিযোগ আছে। এতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুদ্র ও বিনষ্ট হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।
এ অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে জেলা যুবলীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর যথাযথ কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস বলেন, তারা আখাউড়া পৌর যুবলীগসহ সব ইউনিয়নের কমিটি ভেঙে সেদিনই পুনরায় কমিটি দিয়েছেন। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ও জেলা যুবলীগের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি। তাই কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী আখাউড়া যুবলীগের তিন নেতাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলার যুবলীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া কথা স্বীকার করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ডেভিল হান্ট অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সদস্য আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মাসুদ মিয়া (৪৪) ও উপজেলা মনিয়ন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খারকুট গ্রামের মোঃ নুরুল আলম (৬৪)। গ্রেফতারকৃতরা আখাউড়া থানার বিস্ফোরক আইনের মামলায় সন্দিগ্ধ আসামী।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ছমিউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের পৃথক অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় সংক্ষিপ্ত পদযাত্রা করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় বিএনপির ঘোষিত শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে দেশব্যাপী পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে পৌরশহরের সড়ক বাজারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেয়। দুপুরে জেলা শহর থেকে ফিরে আখাউড়া ষ্টেশন থেকে পদযাত্রা করে বিএনপির দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জি. মোঃ মুসলিম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম. এ. রউফ চৌধুরী, মোঃ শাহজাহান চৌধুরী, যুবদল নেতা জাহের চৌধুরী প্রমুখ।