চলারপথে রিপোর্ট :
ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি মন্তব্য করে জনগণকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, যে কোন ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে দেশে এক অসন্তোষ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। আপনারা এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন এবং এই চেষ্টা যদি কেউ করে সেই চেষ্টাকে আপনারা জানতে পারলে আইনের আওতায় আনার জন্য পদক্ষেপ নিবেন। আশা করি, আমরা যদি সজাগ থাকি, সচেতন থাকি বাংলাদেশ কাংক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।
আজ ২৭ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে প্রদত্ত গণসংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। টানা তিন বার কসবা-আখাউড়া আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হওয়ায় এবং তৃতীয় মেয়াদে আইনমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ায় তাকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বিএনপি-জামাতের সমালোচনা করে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, প্রত্যেকবার যখন আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচন দেই তখন বিএনপি-জামাত ষড়যন্ত্র শুরু করে। যাতে তারা পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে। নির্বাচন যাতে বাংলাদেশে না হয়। গণতন্ত্র যেন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা না পায়। জনগণের সমর্থনে প্রত্যেকবার শেখ হাসিনা তাদের ষড়যন্ত্র ধ্বংস করেছেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ প্রমান করেছে তারা শেখ হাসিনার সরকার চায়। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটা উন্নত দেশ হিসেবে সারা বিশ্বে মর্যাদার আসনে বসবে। আপনারা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্ত করে রাখলেই আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো।
বিপুল ভোটে নির্বাচিত করায় আনিসুল হক কসবা-আখাউড়াবাসীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আপনার আমার জন্য দোয়া করবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা যেন সঠিকভাবে পালন করতে পারি।
মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত তিনি জনগণের পাশে থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন আনিসুল হক।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন আশুগঞ্জ-সরাইল আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ড. অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। এসময় আওয়ামলীগের পক্ষে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল।
এর আগে বিকালে সংবর্ধনাস্থলে এসে পৌঁছলে মন্ত্রীকে ফুল বরণ নেয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বগুড়া প্রতিনিধি :
আসন্ন ঈদ-ঊল-ফিতরকে সামনে রেখে এখন থেকেই বগুড়ার মার্কেটগুলোতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। সব বয়সের মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন শহরের বিভিন্ন মার্কেটে। যার যার পছন্দ অনুযায়ী কাপড় কিনছেন তারা। এবার নারীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ‘নায়রা’।
ঈদে উচ্চবিত্তরা ছুটছেন জলেশ্বরীতলার শোরুমগুলোতে, মধ্যবিত্তরা নিউমার্কেট ও নবাববাড়ীতে আর স্বল্প আয়ের ক্রেতারা ছুটছেন হকার্স মার্কেটে। এছাড়া জুতার দোকানগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
জানা যায়, জামা কাপড়ের মধ্যে এবার নারীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ‘নায়রা’। দেশি এবং ভারতের প্রতি পিস নায়রা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ থেকে ১২ হাজার পর্যন্ত। এছাড়াও দেশিয় কাপড়ের পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানের হরেক নামে বিক্রি হচ্ছে বাহারি পোশাক। শহরের সব মার্কেটেই বিক্রি করা হচ্ছে নায়রা। নিউ মার্কেটের দোকানগুলোতে বিক্রি হচ্ছে বাহারি রকমের শাড়ি। জলেশ্বরীতলা অভিজাত বিপনীতে বিক্রি হচ্ছে ছেলেদের পাঞ্চাবী, প্যান্ট-শার্ট, টি শার্ট, ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এখন থেকেই বগুড়ার মার্কেটগুলোতে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। এজন্য শপিং মল এবং মার্কেটগুলো আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো হয়েছে। শপিং মলসহ শহরের কোথাও যাতে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য জেলা পুলিশ এখন থেকেই ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা প্রদান করা শুরু করেছে।
বগুড়া শহরের নিউ মার্কেট, জলেশ্বরীতলা, রানার প্লাজা, পুলিশ প্লাজা, আলতাফ আলী মার্কেট, আলামিন কমপ্লেক্স, হকার্স মার্কেট ও অস্থায়ী হকার্স মার্কেটগুলোতে শুরু হয়েছে ঈদের কেনা কাটা। এখন থেকেই ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কাপড় বিক্রেতা থেকে শুরু করে কসমেটিকস্ দোকান গুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
শুধু যে শপিং মল এবং মার্কেটগুলোতেই ক্রেতাদের ভীড় তা নয়। ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে শহরের ফুটপাতের দোকান গুলোতেও। মধ্যেবর্তী শ্রেণীর লোকেদের উপচে পড়া ভিড় এখানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এখানে বাচ্চাদের ও বড়দের কাপড়-চোপড় ইত্যাদি পাওয়া যাচ্ছে। দামে সস্তা হওয়ায় ফুটপাত গুলোতেও ক্রেতাদের বেশি ভিড়।
অপর দিকে সস্তা মার্কেট হিসেবে পরিচিত হকার্স মার্কেট। এখানে অনেকটা সস্তায় কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। এই মার্কেটে সস্তায় থাই, চাইনিজ বা দেশীয় কাপড় পাওয়া বিক্রি হচ্ছে। আর সে জন্য ধনী-গরীব সকলেই এইসব মার্কেটে ভিড় জমাচ্ছেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলামের আয়োজনে শহরের শহীদ খোকন পার্কে অস্থায়ী হকার্স মার্কেট বসানো হয়েছে। সেখানেও ঈদের কেনা-কাটা চলছে।
শহরের রানা প্লাজার ব্যবসায়ী সিহাব মন্টি জানান জামাকাপড়ের মধ্যে এবার নারীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে নায়রা। এছাড়াও রয়েছে লেহেঙ্গা, থ্রি-পিচ, টপস, ওয়ান পিচসহ দেশী ও ভারতীয় বিভিন্ন ধরনের পোশাক। দেশি ও এবং ভারতীয় প্রতি পিচ নায়রা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ থেকে ১২ হাজার পর্যন্ত। বেচা-কেনা বেড়েছে। আশা করছি দু একদিনের মধ্যে বিক্রি আরো বেড়ে যাবে। ক্রেতারা তাদের সাধ্য অনুযায়ী ঈদের কেনাকাটা করছেন।
ঈদের পেশাক কিনতে আসা শিউলী আক্তার জানান আমার এবং আমার পরিবারের জন্য একটু আগেই পোশাক কিনতে এসেছি। বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে ঘুরে পোশাক কিনছি। এবারে ঈদের পোশাকের দাম একটু বেশি। তবে সাধ্যের মধ্যে পছন্দ অনুযায়ী কেনাকাটা করছি।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) স্নিগ্ধ আখতার জানান, শপিং মলসহ শহরের কোথাও যাতে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য জেলা পুলিশ এখন থেকেই ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা প্রদান করা শুরু করেছে। জেলা শহরসহ জেলার ১২টি উপজেলার জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করতে পারেন সেজন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বগুড়া শহরের সাতমাথা, থানা মোড়, সেলিম হোটেলের সামনে, জলেশ্বরীতলা, চেলোপাড়া, নিউ মার্কেট, রানা প্লাজা, নবাববাড়ী সড়ক এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও লিচুতলা থেকে মাটিডালি পর্যন্ত ঈদে সাধারণ মানুষ যেন সহজেই ঘরে ফিরতে পারে সেজন্য নিরাপত্তাসহ যানজট নিরসনে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ কাজ করে যাবে।
ছাত্র আন্দোলনের নামে জামাত-বিএনপির নৈরাজ্য সৃষ্টি, জ্বালাও-পোড়াও-মানুষ খুনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন।
আজ ৩ আগস্ট শনিবার সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, লোকনাথ টেংকের পাড়, বিরাসার মোড়, সরকারি কলেজ মোড়, রেলস্টেশন চত্বর, প্রেসক্লাব চত্বর সহ বিভিন্ন স্থানে জমায়েত হতে থাকেন।
এসময় বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিলও বের করেন।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহবুবুল আলম খোকন, অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, সাংগঠনিক সম্পাদক তানজিন আহমেদ, সৈয়দ এহতেশামুল বারী তানজিল, দপ্তর সম্পাদক মো. মনির হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌম, যুব ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাড. শাহানুর ইসলাম, ত্রাণ সম্পাদক আবদুল খালেক বাবুল, বন ও পরিবেশ সম্পাদক শাহআলম আলম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, শিল্প বানিজ্য সম্পাদক স্বপন রায়, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা আবুল কালাম উপদপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, উপপ্রচার সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, কার্যকরী সদস্য মাহমুদুর রহমান জগলু, হাসান সারোয়ার, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএএইচ মাহবুব আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এড.লোকমান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ, জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি কাউসার আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, জেলা যুব মহিলা লীগ সাধারণ সম্পাদক আলম তারা দুলি, জেলা তাতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল, জেলা মৎস্যজীবী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহপরান।
এসময় সদর উপজেলা ও পৌর যুবলীগ, সদর উপজেলা, পৌর ও সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ, পৌর, সরকারি কলেজ ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
চলারপথে রিপোর্ট :
প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে।
গতকাল ৮ জুলাই শনিবার বিকেলে একটি ট্রাকে করে বন্দর দিয়ে ১১ টন পেঁয়াজ এসেছে ভারত থেকে।
এর মাধ্যমে আবারও সচল হলো বন্দরের আমদানি বাণিজ্য।
বিডিএস করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান পেঁয়াজগুলো আমদানি করেছে। ৯ জুলাই দুপুরে বন্দর থেকে পেঁয়াজগুলো খালাস করা হবে বলে জানা গেছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল আমদানিকৃত পেঁয়াজের কাস্টমস ক্লিয়ারিংয়ের কাজ করবে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সুপারিন্টেনডেন্ট মো. সামাউল ইসলাম জানান, বিডিএস করপোরেশন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ২০০ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খুলেছে। প্রথম চালানে গত ১২ জুন ১০ টন পেঁয়াজ আসে। দ্বিতীয় চালানে প্রায় এক মাস পর আজ আরও ১১ টন পেঁয়াজ এসেছে। আমদানি পণ্য থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত হারে শুল্ক এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন মাশুল পাবে বলে জানান তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ এর আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ৪ নভেম্বর শনিবার দুপুরে বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির যানের এ অংশের উদ্বোধন করা হয়।
তবে আজ উদ্বোধন করা হলেও আগামীকাল ৫ নভেম্বর রবিবার থেকে এটি সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। প্রথমে তিনটি স্টেশন চালুর মাধ্যমে এ অংশের মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে। স্টেশনগুলো হলো- মতিঝিল, বাংলাদেশ সচিবালয় ও ফার্মগেট।
আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নগরবাসী ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবেন মাত্র ৩১ মিনিটে। এতে বাঁচবে ওই পথ ব্যবহারকারী মানুষের কর্মঘণ্টা, অর্থনীতির চাকা ঘুরবে আরও দ্রুত।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৫ নভেম্বর থেকে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলাচল করা ট্রেনগুলো উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত উভয় দিকে চলাচল করবে। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পরবর্তী ট্রেনগুলো শুধু উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচল করবে। এ সময় মতিঝিল পর্যন্ত কোনো ট্রেন আর চলাচল করবে না।
ডিপো থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেলের ২১.২৬ কিলোমিটার রেলপথে মোট স্টেশন থাকছে ১৭টি। স্টেশনগুলো হচ্ছে- উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, মতিঝিল ও কমলাপুর।
বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ গত বছরের ডিসেম্বরে চালু হয়। ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রো লাইন নির্মাণের ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার।
চলারপথে রিপোর্ট :
মেহেরপুরের গাংনীতে সাপের কামড়ে আকাশ (২০) নামে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে তাকে বিষধর সাপে কামড় দেয়।
আকাশ গাংনীর তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের করমদী গ্রামের কুমার পাড়ার রহিদুল ইসলামের ছেলে ও স্থানীয় করমদী ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাতে আকাশ তার ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। এক সময় তার চিৎকারে পরিবারের লোকজন ওঝা দিয়ে ঝাড়ফুঁক দেয়। কিন্তু এতে কোনো কাজ না হওয়ায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।