অনলাইন ডেস্ক :
বর্তমান সরকারের নানামুখী উদ্দ্যগে শিগগিরই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ সংকটে পড়লে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হৃদয়ে আঘাত লাগে। সামনে পবিত্র রমজান মাস, অচিরেই আমরা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব। আস্থা হারাবেন না। বিএনপি’র কথায় কান দেবেন না।’
ওবায়দুল কাদের আজ ২৭ জানুয়ারি শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশে একথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এই সমাবেশের আয়োজন করে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চলনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদেশিদের ভয় দেখান? ৪১.৮ শতাংশ ভোটারের ভোটে সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকার জনগণের সরকার, নির্বাচিত সরকার। যেখানে ২৮টি দল অংশ নিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারকে যারা বিদেশিদের ভয় দেখায়, তাদের দেশপ্রেম নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। চীন-ভারত-রাশিয়া আমাদের বন্ধু হতে পারে, কিন্তু আমাদের সরকারকে কোনো বিদেশি শক্তি ক্ষমতায় বসায়নি। দেশের মানুষের বিপুল ভোটে এ সরকার নির্বাচিত হয়েছে। শেখ হাসিনা মহান আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পান না।
বিএনপির আন্দোলন কবে হবে- প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ বছর গেল, সামনে আরও ৫ বছর। লন্ডনের তারেক রহমানে আর কারো আস্থা নেই। নেতাকর্মীরা এখন আর তারেকের ফরমায়েশে কান দেয় না। আগামী ৩০ জানুয়ারি বিএনপির কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচির দিনও সারা দেশে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কালো পতাকা মানে শোকের মিছিল। এ আরেক ভুয়া কর্মসূচি। ৩০ তারিখে আবার ডেকেছে, সেটাও ভুয়া। আপনারা সবাই ৩০ জানুয়ারি সকাল থেকে মাঠে থাকবেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ৩০ তারিখ পতাকা হাতে ‘শান্তি, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন’ সমাবেশে অংশ নেবেন। তারা সতর্ক পাহারায় থাকবেন।
বিএনপিকে ‘অপ-সাম্প্রদায়িক শক্তি’ হিসেবে অভিহিত করে- ওবায়দুল কাদের বলেন, এদের আমরা আর বাড়তে দিতে পারি না, এদের রুখতে হবে। স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এদের মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের খেলা শেষ, এখন খেলা রাজনীতির। দুর্নীতির বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধেও খেলা হবে। খেলা হবে হরতাল ও আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। ৩০ তারিখ আবার কালো পতাকা মিছিল। সে দিন আপনারা লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে গণতন্ত্র, শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবেন।
সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কালো পতাকা কাকে দেখাবে? বিএনপির উচিত ছিল, নেতারা যারা ব্যর্থ কর্মসূচি দিয়েছে, তাদের কালো পতাকা দেখিয়ে তৃণমূল নেতাদের নেতৃত্বে নিয়ে আসা। এখন বিএনপিকে আগামী পাঁচ বছর নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য এমন কোনো হীন কাজ নেই, যা তারা (বিএনপি) করেনি। বিদেশি ষড়যন্ত্রসহ সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করেছি। আজকে আমাদের আনন্দের দিন, পঞ্চমবারের মতো আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবার সরকার এসেছে। এতে দক্ষিণ আওয়ামী লীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
আন্তর্জাতিক বিশ্ব এই সরকারকে সমর্থন জানাচ্ছে জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ করার প্রত্যয় নিয়ে শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি নির্বাচনে না এসে, নির্বাচন বন্ধ করার চেষ্টা করে, মানুষ পুড়িয়ে মেরে যে অপরাধ করেছে- সে অপরাধের বোধ তাদের হবে। তারা হয় তাদের ভুল স্বীকার করে রাজনীতি থেকে বিদায় নেবে, না হয় জনগণের কাছে ভুল স্বীকার করে আবার রাজনীতিতে আসবে।
জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে বিএনপিকে কালো পতাকা দেখিয়ে দিয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করেছে। বিএনপি কালো পতাকা কাকে দেখাতে চায়? জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে বিএনপিকে কালো পতাকা দেখিয়ে দিয়েছে। তাদের আন্দোলনে বিদেশিরা সাড়া দেয়নি। দেশের জনগণ তাদের কালো পতাকা দেখিয়েছে।
মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, নির্বাচন কোনো দল বয়কট করলে কিছু যায় আসে না। নির্বাচনে এই দেশের জনগণের অংশগ্রহণ বলে দেয় তাদের ষড়যন্ত্র বানচাল হয়ে গেছে। যতক্ষণ জনগণ থাকে ততক্ষণ বানচাল করার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়ন চায়, এই অপশক্তির বিলীন দেখতে চায়। সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে , বিভিন্ন জেলায় সংসদ নির্বাচনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে যে তথ্য পেয়েছে তার ভিত্তিতেই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ ২ ডিসেম্বর শনিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
ওসি ও ইউএনওদের রদবদল সরকার চেয়েছে, না কি আপনারা চেয়েছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি নির্বাচন কমিশন চেয়েছে। আমাদের কমিশনাররা গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চল পর্যায়ে সফর করেছেন। তাদের যে ফাইন্ডিংস, তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন বসে গত ৩০ নভেম্বর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত- এমন প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের কাছে মাঠ পর্যায় থেকে যে তথ্য পেয়েছেন তার ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশন অনুভব করেছে এ বদলি দরকার।
কী ধরনের তথ্য পেয়েছেন তারা- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, সব তথ্য তো ওপেনলি বলা হয় না। নির্বাচন কমিশনাররা মাঠ পর্যায় থেকে যেসব তথ্য পেয়েছে, বিভিন্ন প্রার্থী কিংবা বিভিন্ন কোয়াটার থেকে যে তথ্য এসেছে, তার ভিত্তিতেই এ সিদ্ধান্ত। তারা মনে করেছে যে, বদলি করা প্রয়োজন।
একজন নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, বড় আকারে রদবদল করা হলে পুলিশ-প্রশাসনে একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে, এর দায়ভার ইসি কেন নেবে? আর একটা কথা বলেছিলেন, একশ কোটি টাকা ব্যয় হবে, এ টাকা কে দেবে- এমন বিষয় সামনে আনলে তিনি বলেন, একশ কোটি টাকা কেন ব্যয় হবে? তাহলে ওই কমিশনারের কাছে জানতে চাইতে হবে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) বদলির কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না- জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আমার জানা নেই। পরে যদি কোনো সিদ্ধান্ত হয়, তখন বলতে পারবো। যদি নির্বাচন কমিশন বসে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, সেক্ষেত্রে এটা হতে পারে। এটা অস্বাভাবিক কিছু না।
রদবদলের ক্ষেত্রে কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরির সুযোগ আছে কি না- এমন প্রশ্নে এ কর্মকর্তা বলেন, আমি মনে করি নেই। একজন কর্মচারী যে উপজেলা বা জেলায় দায়িত্ব পালন করুক না কেন, তিনি সুষ্ঠুভাবেই দায়িত্ব পালন করবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে মেসেজ দিয়েছি। এটা পুলিশের ঊর্ধ্বতনদের ও আমাদের রিটার্নিং অফিসারদের বলেছি। জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এসেছিলেন, সব বিষয়ে তাদের মেসেজ দেওয়া হয়েছে। কেউ যেন নিরাপত্তার কোনো ঘাটতিতে না ভোগেন। এরপরও যদি কারও গাফিলতিতে কিছু হয়, তার বিরুদ্ধে ইসি খুব স্ট্রং ব্যবস্থা নেবে।
সব প্রার্থীদের বডিগার্ড দেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা তো সম্ভব হবে না। এতো বডিগার্ড দেওয়া যাবে না। তবে নিরাপত্তার দায়িত্ব তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। তারা যেন তা নিশ্চিত করতে পারে, সেটাই আমাদের কাম্য।
কতগুলো দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে- এমন প্রশ্নে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আমাদের নিবন্ধিত যে ৪৪টি রাজনৈতিক দল আছে, তার মধ্যে ২৯টি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপ পিপলস নামে একটি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, যেটি আমাদের নিবন্ধিত দল নয়। আমাদের কাছে যে তথ্য আছে আমরা দুই হাজার ৭১২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি।
পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি এবং একটি স্থানে ডাবল জমা দেওয়ার তথ্য জেনেছি- এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, আওয়ামী লীগ থেকে ৩০৪ জন মনোনয়ন ফরম নিয়েছে।
যে পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয়নি, সেখানে কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, ওখানে স্বতন্ত্র হিসেবে পূরণ করেনি সে। মনোনয়নপত্রে আওয়ামী লীগ লেখা আছে। সেটা বাছাইয়ের সময় দেখা যাবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় একটি স্বতন্ত্র হিসেবে, আরেকটি দলীয় হিসেবে পূরণ করতে হয়। তিনি (সংশ্লিষ্ট প্রার্থী) দলীয় হিসেবে পূরণ করেছেন বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা আমাদের জানিয়েছেন। পরে তার বৈধতা বা অবৈধতা সেটা বাছাইয়ের সময় নির্ধারিত হবে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাছাই চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ইনশাআল্লাহ অতি শীঘ্রই আপনাদের সাথে সামনাসামনি সরাসরি দেখা হবে। আজ ১০ আগস্ট রবিবার রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে চায়। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে মানুষের আস্থার মূল্যায়ন করে দেশকে পুনর্গঠন করতে হবে। আগামী বছর রমজানের আগে নির্বাচনে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ বাস্তবায়িত হবে, এর পরও অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার সরকারের পতনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সর্বাত্মক চেষ্টা ও সহযোগিতায় আমরা এদেশ থেকে স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করতে সফল হয়েছি। স্বৈরাচার এ দেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তা আবার পুনর্গঠন করবে বিএনপি। সে লক্ষ্যের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।
তিনি আরো বলেন, ক্ষমতায় এসে দেশ-বিদেশে দক্ষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। শিক্ষার আলো শিক্ষার্থীদের মাঝে পৌঁছে দিতে হবে। তাদের ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তুলতে হবে। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, দলকে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তাদের মনে আস্থা সৃষ্টি করতে হবে। তাদের নিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কিছু ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বার বার আমাদের সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর আঘাত করেছে।
তিনি আজ ১২ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন আয়োজিত জেলার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারে সদস্যদের সাথে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনে সাম্প্রদায়িক হামলার খবরে আমাদের হৃদয় যেন ছিড়ে গিয়েছিল। আমরা পবিত্র মাসে শপথ নিতে চাই, আর কোনো সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী যেন আমাদের স্মৃতি আমাদের গর্ব এবং অহংকারের জায়গাটিতে আর আঘাত করতে না পারে। আমরা ১৯৭২ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার জন্যে ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে জীবন দিয়েছেন। অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও মানবিক বাংলাদেশ আমরা যেদিন বিনির্মান করতে পারবো সেই দিন এই রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবো।
ইফতার মাহফিলে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ইফতার মাহফিলে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য দোয়া চান।
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমানসহ প্রায় শতাধিক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারের সদস্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে আশুগঞ্জে।
আজ ১ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে আশুগঞ্জের স্থানীয় সরকারি হাজী আব্দুল জলিল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে উপজেলা ছাত্রদলের ব্যানারে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে সমবেত হন।
পরে দলীয় কর্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আশুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের অন্যতম নেতা নুর উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও রিফাতুল ইসলাম রিয়াদের সার্বিক পরিচালনায় অতিথি ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহিন, আশুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মুস্তাফিজুর রহমান শিহাব, ছাত্রনেতা মৃদুল খান, সালমান মিয়া, আরিফ, সায়েম, স্বাধীন, আশিক, সানজিদ, নাঈম, মহিম, দিদার, সদর ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা শুভ আহমেদ নিলয়, তালশহর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রমজান মিয়াসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের স্বাধীনতা নষ্ট করতে কিছু রাজনৈতিক দল ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক। গতকাল ২৯ এপ্রিল শনিবার কসবা উপজেলার কাইমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত এক জনসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে, দেশের এ উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। আমরা দেখেছি শতভাগ বিদ্যুতায়ন, আমরা দেখেছি পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের অর্থে তৈরি করতে। আমরা দেখেছি গৃহায়ণ প্রকল্প, যার মাধ্যমে গৃহহীনদের বঙ্গবন্ধু কন্যা গৃহ দিয়েছেন। এসব দেখে আমাদের বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যতদিন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন ততদিন বাংলাদেশ শুধু এগিয়ে যাবে, বাংলাদেশের মানুষকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, আজকেও স্বাধীনতা নষ্ট করার জন্য কিছু রাজনৈতিক দল বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে একজোট হয়েছে তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, যারা নিজেদেরটা ছাড়া অন্যের বুঝে না। ২০০৭ সালে বলেছিল, আমি একটা রাজনৈতিক দল তৈরি করব, তারপর রাজনৈতিক দল তৈরি করছে। যদি রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে চান আমার কাছে ম্যাসেজ পাঠাবেন, কিন্তু একজনও সাড়া দেয়নি। বাংলাদেশের একটা লোকও সাড়া দেয়নি। এখনও তারা ষড়যন্ত্র করছে।
কাইমপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া জীবন, পৌর সভার মেয়র এমজি হাক্কানী, জেলা পরিষদের সদস্য এম এ আজিজ, কাইমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাইমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকতেকার আলম রনি প্রমুখ।