চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আজ শনিবার নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায় গৃহায়ণ ও গনপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি ও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপিকে গণসংবর্ধনা দিবে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ।
শনিবার বিকেলে সাড়ে ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে গৃহায়ণ ও গনপূর্ত মন্ত্রী র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপিকে এবং একই সময়ে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপিকে গণসংবর্ধনা দেয়া হবে।
সন্ধ্যায় গণপূর্তমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে গান গাইবেন রক তারকা জেমস ও আইনমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে গান গাইবেন আঁখি আলমগীর।
এদিকে দুই মন্ত্রীর সংবর্ধনাকে ঘিরে জেলায় অন্তত দুই শতাধিকের বেশি তোরণ নির্মাণ ও অসংখ্য ব্যানার- পোস্টার সাঁটিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি।
মহান স্বাধীনতার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীই প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হয়েছেন। নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে তাঁকে গণসংবর্ধনা দেয়ার আয়োজন করেছে জেলা আওয়ামীলীগ।
অপরদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৪-(কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তৃতীয়বারের মতো আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন আনিসুল হক। তিনি কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
নতুন সরকারের এই দুই মন্ত্রী শনিবার নিজ নিজ এলাকায় সংবর্ধিত হচ্ছেন। শনিবারের দুই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরেই জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। তবে সংবর্ধনার অনুষ্ঠানের আকর্ষণ হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেমসের আগমনের বিষয়টি ব্যাপক হারে প্রচাল হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির আগমনকে কেন্দ্র করে আশুগঞ্জ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কের পাশে তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও দলের নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়েছেন।
মহান স্বাধীনতার পর স্বাধীন বাংলাদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীই প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হয়েছেন। এর আগে পাকিস্তান আমলে যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের রামরাইল গ্রামের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পুনিয়াউট গ্রামের আবদুর রহমান খান। সেই হিসেবে প্রায় ৭০ বছর পর র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হওয়ায় চলছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস
শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জেলার নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে মোকতাদির চৌধুরী এমপির গণসংবর্ধণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -১-(নাসিরনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত বিএনপির বহিস্কৃত নেতা সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান এমপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২- (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত মঈন উদ্দিন এমপি, ব্র্র্রাহ্মণবাড়িয়া -৫-(নবীনগর) আসনে আওয়ামীলীগ থেকে নির্বাচিত ফয়জুর রহমান এমপি।
অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন, সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মোকতাদির চৌধুরীকে সংবর্ধণা জানাবেন। এরপর সন্ধ্যায় রক তারকা ব্যান্ড নগরবাউলের জেমস, ব্যান্ড আবাস ও সঙ্গীত শিল্পি লায়লা।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী জানান,ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থেকে এবারই প্রথম কাউকে মন্ত্রী পরিষদে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে রাখা হয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। শনিবার গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হবে। তিনি বলেন, মন্ত্রীকে বরণ করতে নেতাকর্মীরা শতাধিক তোরণ নির্মাণ করেছে। তিনজন সংসদ সদস্যসহ জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে ৫০ হাজার লোকের সমাগম ঘটবে।
এদিকে শনিবার একই সময়ে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের মাঠে আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গণসংবর্ধণা দেয়া হবে। উপজেলায় প্রায় দুই শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শুক্রবার সকালে দুই দিনের সফরে এলাকায় পৌঁছেছেন। শনিবার বিকাল তিনটায় উপজেলা পরিষদ মাঠে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৬- (বাঞ্ছারামপুর) আসন থেকে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি থাকবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৫ (নবীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান। সন্ধ্যায় সংগীত পরিবেশন করবেন আঁখি আলমগীর পুলক।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা বলেন, মন্ত্রী মহোদয়কে সংবর্ধনার পাশাপাশি চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পুরো আখাউড়া শহরসহ উপজেলায় অসংখ্য তোরণ নির্মাণের পাশাপাশি নেতাকর্মীরা ফেস্টুন ও ব্যানার সাটিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে ছিটকে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর একজন। ১১ আগস্ট শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টির দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কলেজপাড়ার লেভেল ক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মাইন উদ্দিন (৪০)। তিনি কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ঘনিয়ারচর গ্রামের মৃত রোককু মিয়ার ছেলে। ছিটকে পড়ে আহত অপর ব্যক্তি হলেন জগত মিয়া (৫০)। তিনি নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বাড়িচা গ্রামের আবদুর রেজ্জাক মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাতেম আলী ভূঁইয়া বলেন, আখাউড়ার খড়মপুর মাজারে বার্ষিক ওরসে যাওয়ার জন্য অনেকে ট্রেনের ছাদে ওঠেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আখাউড়াগামী তিতাস কমিউটার ট্রেনটি শহরের কলেজপাড়ার লেভেল ক্রসিং এলাকা অতিক্রম করার সময় ওই দুই ব্যক্তি হঠাৎ ট্রেনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান। এ সময় ট্রেনের চাকায় মাইন উদ্দিনের বাঁ পা কাটা পড়ে। আর জগত মিয়া রেললাইনের পাশে ছিটকে পড়েন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাইন উদ্দিন মারা যান। আহত জগত মিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহত ব্যক্তির লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের সংবিধান মেনে চলি। তার কারণ হচ্ছে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে এই সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। সেই সংবিধান মেনেই নির্বাচন করব। যারা সংবিধান মানে না তারা নিজেদেরকে বাংলাদেশের নাগরিক বলাটা সঠিক হবে না।
আজ ১৪ জুলাই শুক্রবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতারা অনেক কথাই বলতে পারে।
এর আগে তিনি আখাউড়া ষ্টেশনে উপস্থিত নেতাকমীর্দের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন এক উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পরিচিত হয়েছে। আমরা শেখ হাসিনার পলিকল্পনা অনুয়ায়ী তাঁর নেতৃত্বে কাজ করব এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব। এর আগে তিনি ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে সকাল সাড়ে ১০টায় আখাউড়া এসে পৌঁছেন।
এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল’সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা লীগ সহ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি সড়ক পথে নিজ উপজেলা কসবার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তিনি বিকালে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের টানমান্দাইল গ্রামে ফুটবল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণ মানুষের নেতা, নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্বপ্নদ্রষ্টা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, আমরা কোন অপরাধীকে পশ্রয় দেইনা। আইন সবার জন্য সমান, আইনের অধিকার সবাই সমানভাবে ভোগ করবে।
আজ ৩০ মার্চ শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলার মাসিক আইন-শৃংখলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি সদর উপজেলার আইন-শৃংখলার পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হঠাৎ করে কেন শহরে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে।
তিনি আইন-শৃংখলা বাহিনীকে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়নে আরো দায়িত্বশীল ও মনযোগী হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, সবাইকে দেশের কথা ভাবতে হবে। আমরা সবাই যদি সরকারি বিধিবিধান মেনে চলি তাহলেতো কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তিনি সকলকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান। তিনি ঈদমুখী মানুষ যাতায়তে যেন কোন ভোগান্তিতে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
সভায় আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যরা কাউতলী মোড়ের অবৈধ টেম্পুস্ট্যান্ডটি অপসারণ, শহরে অবৈধ মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান আরো জোরদার, মহাসড়ক ফোরলেনে সম্প্রসারনের জন্য জনগনের ভোগান্তি দূরীকরন ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান।
সভায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভ‚ইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সহ-সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর, অ্যাডভোকেট নাসির, সদর উপজেলা ইউসিসিএর সভাপতি আবু কাউছার, ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, কামরুল ইসলাম, মোঃ শাহআলম, মোঃ নাছির উদ্দিন, আব্দুর রশীদ, আবদুল হাকিম মোল্লা ও আলামিনুল হক পাবেল প্রমুখ। সভায় সদর উপজেলার ১১ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আইন-শৃংখলা কমিটির সদস্যগন ও সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগন উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় কেরাত, হামদ, নাত ও গজল গেয়ে শিক্ষার্থীরা পেয়েছে ল্যাপটপ, ট্যাব, স্পিকারসহ নানা পুরস্কার। এর মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক শিক্ষার্থী গজল পরিবেশন করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করায় ট্যাব পুরস্কার পেয়েছে।
৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আখাউড়া পৌর এলাকার বড়বাজার দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সচেতনতামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় পুরো উপজেলা থেকে বাছাই করা ৪২ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রতিযোগিতা সব ধর্মের জন্য উন্মুক্ত থাকায় চূড়ান্ত পর্যায়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী মণি দাস গজলে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।
কেরাত প্রতিযোগিতায় মাহমুদুল হাসান রাফি প্রথম, আব্দুল্লাহ বিন কাদির দ্বিতীয়, ইকরাম হোসাইন তৃতীয় স্থান লাভ করে। হামদ, নাত ও গজলে যোবায়ের আহমেদ প্রথম, মণি দাস দ্বিতীয় ও ফয়সাল আহমেদ তৃতীয় স্থান অধিকার করে। প্রথম স্থান অধিকারীকে ল্যাপটপ, দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে ট্যাব ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে স্পিকার উপহার দেওয়া হয়। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিযোগিতা কমিটির আহ্বায়ক ও দেবগ্রাম জামিয়া মাজহারুল হক মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মো. আসাদুজ্জামান। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন মুফতি সাইফুজ্জামান, হাফেজ হামিদুল হক ও হাফেজ এমদাদ উল্লাহ।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইসলাম যে সমতায় বিশ্বাস করে এটারই প্রমাণ আজকের এই আয়োজন। প্রতিযোগিতাটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল। যে কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজনও চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পুরস্কার নিতে পেরেছে।
আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন বলেন, ২০১৯ সালে প্রতিযোগিতার বাছাইপর্ব শেষ হয়। করোনার কারণে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতা করা যায়নি। শেষ পর্যন্ত আমরা সফল আয়োজন করতে পেরেছি। প্রতিবছরই এমন একটি আয়োজনের চেষ্টা থাকবে।