চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার আড়াইবাড়ী দরবার শরীফের মরহুম পীরে কামেল আবু ছাঈদ আছগর আহমাদ আল কাদেরী (রহ.) এর ৮৫ তম ইছালে ছাওয়াব মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
মাহফিল পরিচালনা কমিটির সভাপতি হযরত মাওলানা পীরজাদা এবিএম গোলাম কিবরিয়া সাঈদী সাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। শনিবার বাদ ফজর মাহফিলের সভাপতি পীরজাদা এ বি এম গোলাম কিবরিয়া সাঈদী দেশ ও জাতীর মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন।
মাহফিলে দরবার শরীফের গদ্দিনেশিন মাওলানা কামাল উদ্দিন জাফরি, মাওলানা লুৎফর রহমান, আবুল কামাল আজাদ বাশার, পীর হযরত মাওলানা মোহাম্মদ গোলাম খাবীর সাঈদী, মাওলানা এম হাসিবুর রহমান, মাওলানা মিজানুর রহমান আতিকীসহ দেশ বরেণ্য উলামায়ে কেরাম গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে, রমজানের পবিত্রতার রক্ষার দাবিতে এবং মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে কসবা পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় কসবা টাওয়ারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত নেতা-কর্মী ও সমর্থক অংশ নেন।
এ বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামায়াত ইসলামের প্রচার সম্পাদক কাজী সিরাজুল ইসলাম, কসবা উপজেলা জামায়াত ইসলামের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. ফরিদ উদ্দিন এবং সেক্রেটারি পীরজাদা শিবলী নোমানী।
পথসভায় বক্তারা মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধ এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
চলারপথে রিপোট
কসবায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গুরুতর আহত একই পরিবারের দুই শিশুর মধ্যে রাহাত মিয়া (১০) নামে এক শিশু মারা গেছেন।
গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
দুই শিশুর চাচা সৈয়দাবাদ আদর্শ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক তাজুল ইসলাম হানিফ বলেন, মৃত রাহাত কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের সৈয়দাবাদ গ্রামের হান্নান মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় এখনও হাসপাতালে থাকা শিশু রাফির হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। সম্ভবত তার একটি পা কেটে ফেলার প্রয়োজন হতে পারে বলে চিকিৎসক আমাদের বলেছেন।
উল্লেখ্য, ১৩ আগস্ট তিনতলা ভবনের ছাদে খেলতে গিয়ে বিদ্যুতের লাইনে হাত লেগে শিশু রাহাত ও তার ভাই রাফি আহত হয়। পরিবারের লোকজন দুই শিশুকে প্রথমে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করেন। সেখানে প্রায় ২৩ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশু রাহাত।
অনলাইন ডেস্ক :
ব্যবসায়িক কাজে গিয়েছিলেন চট্টগ্রামে। এরপর গত তিন দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার ব্যবসায়ী উত্তম দাস (৩৭)। গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে যাওয়ার পর শুক্রবার রাত থেকে পরিবারেরর লোকজন তার কোনো খোঁজ পাচ্ছে না। উত্তম দাসের ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোন রয়েছে বন্ধ। বিষয়টি চট্টগ্রামের কতোয়ালি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানাকে অবহিত করা হয়েছে।
উত্তম দাস কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের জাজিরা গ্রামের গৌরাঙ্গ দাসের ছেলে। পেশায় একজন শুঁটকি ব্যবসায়ী। তিনি ব্যবসায়িক কাজে প্রায়ই চট্টগ্রাম যেতেন বলে পরিবারের লোকজন জানান। তিন দিন ধরে তার খোঁজ না পেয়ে পরিবার দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
নিখোঁজ উত্তম দাসের ভাগ্নে সত্য রঞ্জন দাস জানান, বৃহস্পতিবার ব্যবসায়িক কাজে তিনি চট্টগ্রামে যান। শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ পরিবারের লোকজনের সাথে তার সর্বশেষ কথা হয়। একটি আবাসিক হোটেলে তিনি অবস্থান করবেন বলে তিনি জানান। এরপর থেকে তার সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
তার সাথে দু’টি আইফোন, হাতে স্বর্ণের ব্রেসলেট ও আংটি ছিল। নিখোঁজের পর থেকে পরিবারের সদস্যরা প্রথমে বিষয়টি কসবা থানা পুলিশ ও পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশকে অবগত করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্য এখনো চট্টগ্রামে খোঁজাখুঁজি করছেন।
উত্তম দাসের ছোট ভাই সুশান্ত দাস জানান, দাদা শুঁটকি মাছের পাইকারি ব্যবসা করেন। চট্টগ্রামের বড় আড়তে প্রায়ই যেতেন তিনি। শুক্রবার রাতে যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার পর থেকে খোঁজ করে পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি সেখানকার স্থানীয় পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল করিম গণমাধ্যমকে জানান, বিষয়টি তারা অবগত আছেন। ওই ব্যবসায়ীকে খোঁজে বের করতে পুলিশ কাজ করছে বলে ই কর্মকর্তা জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় ফেরদৌস মিয়া নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার কসবা-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের বিনাউটি ইউনিয়নের চাপিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ফেরদৌস মিয়া পৌর শহরের চড়নাল গ্রামের হামদু মিয়ার ছেলে। তিনি কসবা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা শাখা থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
জানা যায়, সকালে মোটরসাইকেলে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন ফেরদৌস। এ সময় কসবা-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের চাপিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মোটর সাইকেলটির ধাক্কা লাগে। এতে ছিটকে রাস্তার পাশে পড়ে যান ফেরদৌস। স্থানীয়রা তাকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
কসবা থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ নো থাকায় মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশকে অপমান করবে এরকম কিছু সহ্য করা হবে না। এই দেশে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। আদালতে যে বিচার হবে, সেই বিচারের রায় সকলকে মেনে নিতে হবে।
আজ ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুরে কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের জাজিয়ারা গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহহীনদের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে এই মর্মে বিশ্বব্যাংক অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছিল। সেদিন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু বানাব এবং সেটি তিনি বানিয়ে দেখিয়েছেন। দুর্নীতি হয়েছে মর্মে বিশ্বব্যাংক কানাডার আদালতে গিয়েছিল। সেখানে প্রমাণিত হয়েছে যে পদ্মা সেতু নিয়ে কোনো ধরনের দুর্নীত হয়নি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে মিলে এক সুদখোর পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিলেন। তিনি এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। এ দেশের আপামর জনসাধারণের রক্ত চুষে নিয়ে তিনি বিদেশে কোম্পানি বানিয়েছেন।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, একটি চক্র আছে যারা অন্যায় করলেও তাদেরকে কিছু বলা যাবে না। কিছু বললেই তারা বিদেশি বাবা-মার কাছে গিয়ে লাফালাফি শুরু করেন। আর কিছু টাকা ধরিয়ে দিলে বিদেশিরাও চিঠি লেখালেখি শুরু করে দেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র এমজে হাক্কানী, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এমএ আজিজ, পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল প্রমুখ।
পরে আইনমন্ত্রী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫২টি পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। এ সময় তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট চান।