চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ২৮ জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাদের সাথে বৈঠক করবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বৈঠকে অংশ নিতে গণভবনে যাবেন সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান সুখন। একরামুজামানের ব্যক্তিগত সহকারী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন একরামুজ্জামান সুখন। তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি তাকে বহিষ্কার করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা কৃষকলীগের বিশেষ কর্মী সভা ১১ নভেম্বর শনিবার বিকেলে স্থানীয় আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া।
উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মোঃ অলি মিয়ার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক এস.এম নূরে আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আহাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন, জেলা কৃষকলীগ নেতা আলী আশরাফ, উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরমান নূর।
এসময় কৃষকলীগের দলীয় নেতৃবৃন্দসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, নাসিরনগর উপজেলা কৃষকলীগ বর্তমানে আগের চেয়ে অনেক বেশী শক্তিশালী ও সুসংগঠিত। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ১২৮টি ওর্য়াডে এখন কৃষকলীগের নেতারা সক্রিয়।
বক্তারা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) থেকে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়াকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান।
কর্মী সভা শেষে আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়ার সমর্থনে উপজেলা সদরে একটি র্যালি বের করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাংলা পঞ্জিকার নিয়ম অনুযায়ী পহেলা বৈশাখ ঐতিহ্যবাহি শুঁটকি মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মেলার বড় বৈশিষ্ট হচ্ছে “বিনিময় প্রথা”। অর্থাৎ পণ্যের বিনিময়ে পণ্য।
উপজেলা সদরের কুলিকুন্ডা গ্রামের উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয় মাঠে বসে এই মেলা। মেলা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শুঁটকি ব্যবসায়ীরা শুঁটকি নিয়ে আসেন মেলায়। জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ আশপাশ জেলা থেকে ভোজন রসিকরা আসেন এই মেলায় শুঁটকি কিনতে। পছন্দের শুঁটকি কিনে ক্রেতারা তৃপ্ত হন। শুঁটকি মেলায় প্রায় দুই শতাধিক জাতের শুঁটকির পসরা নিয়ে বসেন দোকানিরা। এসব শুঁটকির মধ্যে ছিলো বোয়াল, গজার, শোল, বাইম, ছুড়ি, লইট্টা, পুটি ও টেংরাসহ নানা জাতের দেশীয় মাছের শুঁটকি। এছাড়াও মেলায় ভারত থেকে আমদানি করা বিভিন্ন প্রজাতির শুঁটকিও উঠে।
মেলায় জেলার বিভিন্ন এলাকার শুঁটকি ব্যবসায়ীরা ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট ও সুনামগঞ্জ থেকে শুঁটকি নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা। মেলায় সামুদ্রিক অনেক বিরল জাতের মাছের শুঁটকি ছাড়াও ইলিশ ও কার্প জাতীয় মাছের ডিমের শুটকি উঠে।
স্থানীয়রা জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাংলা পঞ্জিকার নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে উপজেলার কুলিকুন্ডা গ্রামে এই শুঁটকি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তারা বলেন, প্রায় দুইশ বছরেরও অধিক সময় ধরে পহেলা বৈশাখে এখানে শুটকি মেলা বসে। প্রতি বছরই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের শুঁটকি নিয়ে আসেন মেলায়। এই শুঁটকি মেলার বড় বৈশিষ্ট হচ্ছে “বিনিময় প্রথা”। অর্থাৎ পণ্যের বিনিময়ে পণ্য। ভোরে মেলা বসার পর সকাল ১০টা পর্যন্ত বিনিময়ের মাধ্যমে চলে বেচা কেনা। এ কারণেই ধারণা করা হয় এই মেলার ইতিহাস অনেক পুরনো।
মেলায় শুঁটকি কিনতে আসা উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রুবেল মিয়া ও উপজেলার নুরপুর গ্রামের মতি মিয়া বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন বাপ-দাদার সাথে এই মেলা এসেছি। এবারো শুঁটকি কেনার জন্য মেলায় আসছি।
উপজেলার কুলিকুন্ডা গ্রামের বাসিন্দা মজিবুর রহমান সর্দার বলেন, এখানে শত বছরের বেশী সময় ধরে নিয়মিত ভাবে এই মেলা বসছে। এই মেলায় এখনো বিনিময় প্রথা চালু থাকায় আমরা ধারণা করছি, এ মেলা আদিম কালের। এই মেলা আমাদের কুলিকুন্ডা গ্রামের ঐতিহ্য বহন করে।
মেলায় শুঁটকি কিনতে আসা উপজেলার কুলিকুন্ডা গ্রামের মহব্বত আলী বলেন, প্রাচীনকালে যখন কাগজের মুদ্রা প্রচলন হয়নি তখন থেকেই কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের বিনিময়ে এখান থেকে শুঁটকি কিনতেন। কালের বির্বতনে এই মেলার জৌলুস অনেকটা কমেছে। হ্রাস পেয়েছে বিনিময় প্রথাও। তিনি বলেন, ঐতিহ্য হিসেবে এই মেলায় শুঁটকি কেনার জন্যে এসেছি। ছোট বেলায় বাবার সাথে এই মেলায় আসতাম।
মেলায় শুঁটকি নিয়ে আসা ব্যবসায়ী কৃষ্ণদাস বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারনে হ্রাস পেয়েছে ঐতিহ্যবাহী পণ্য বিনিময় প্রথা। এখন নামে মাত্র এই প্রথা চালু আছে। তিনি বলেন, আমি প্রতি বছরই শুঁটকি নিয়ে মেলায় আসি।
স্থানীয়রা জানান, একদিনের মেলায় লাখ লাখ টাকার শুঁটকি বিক্রি হয়। ব্যবসায়ীরা শুঁটকি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা নিয়ে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে যায়। এছাড়াও মেলায় গৃহস্থালী পণ্যসহ বিভিন্ন ধরনের খেলনা বিক্রি হয়। তবে এবার শুঁটকির আমদানি বেশী হলেও দাম ছিল চড়া।
মেলা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওহাব আলী জানান, বিনিময় প্রথার ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্যে আজো অল্প পরিসরে সূর্যোদয়ের সাথে-সাথে কিছুক্ষনের জন্যে পণ্য বিনিময়ের মাধ্যমে শুঁটকি বেচা-কেনা শুরু হয়। পরে চলে টাকা দিয়ে বেচা-কেনা।
তিনি জানান, “বাংলা পুঞ্জিকা অনুযায়ী বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে উপজেলার কুলিকুন্ডা গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ সহ আশপাশের জমিতে বসে ঐহিত্যবাহী শুটকি মেলা। তিনি বলেন, পূর্ব পুরুষদের কাছ থেকে শুনেছি, মোগল আমল থেকেই এখানে শুঁটকি মেলা হয়ে আসছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে পাগলা কুকুরে কামড়ে নারী পুরুষসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। সোমবার বিকাল থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উত্তেজিত জনতা একটি কুকুরকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
স্খানীয়রা ও কুকুরের কামড়ে আক্রান্তরা জানায়, গত সোমবার দুপুরে উপজেলার ফান্দাউক গ্রামে একটি বেওয়ারিশ কুকুর আসে। পরে কুকুরটি রাস্তায় যাকে পেয়েছে তাকেই কামরায়। প্রথমদিন কুকুরটি ১৩ জনকে কামড়িয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত কুকুরটি আরো ৭ জনকে কামড়ায়। আক্রান্তদেরকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অভিজিৎ রায় জানান, ১৪ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। আমাদের হাসপাতালে অ্যান্টি রেবিস ভ্যাকসিন নেই তবে ইমিউনোগ্লোবুলিন ডোজ রয়েছে। ৩ জন এ ডোজ নিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দৈনিক যায়যায়দিনের ১৯ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৬ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে যায়যায়দিনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে যায়যায়দিন ফ্রেন্ডস ফোরামের উদ্যোগে নাসিরনগর প্রেসক্লাবে বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যায়যায়দিনের নাসিরনগর প্রতিনিধি একেএম আমিনুল ইসলাম।
দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি মনির হুসাইনের সঞ্চালনায় নাসিরনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া, বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাজী রবিউস সারোয়ার, নাসিরনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহাগ রানা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, নাসিরনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক সবুজ, সাবেক সভাপতি ও দৈনিক মানবজমিন প্রতিনিধি আজিজুর রহমান চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও দৈনিক নয়া দিগন্ত প্রতিনিধি মোঃ আসমত আলী, দৈনিক কালবেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, দৈনিক আজকের পত্রিকা প্রতিনিধি বরুণ কান্তি সরকার, দৈনিক বর্তমান প্রতিনিধি আব্দাল মিয়া, দৈনিক রূদ্র বাংলা প্রতিনিধি আব্দুল কাদের সেন্টু, দৈনিক নবচেতনা প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম, গোয়ালনগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজহারুল হক, ভলাকুট ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রুবেল মিয়াসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
আগত অতিথিরা যায়যায়দিনের সাফল্য কামনা করে বলেন, পূর্বের ন্যায় আগামীতেও যায়যায়দিন নিরপেক্ষ, সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকবে। দেশের উন্নয়নে অংশীদার হয়ে পিছিয়ে পড়া অধিকার বঞ্চিত জনতার ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলেক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে গরীব ও অসহায় মানুষের মধ্যে শাড়ি ও লুঙ্গী বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া।
আজ ১৭ এপ্রিল সোমবার সকালে নাজির মিয়া তার নাসিরনগর সদরের বাসভবনে এসব ঈদ বস্ত্র বিতরণ করেন। শাড়ী-লুঙ্গি বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ অলি মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষকলীগের অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, জেলা কৃষকলীগের সদস্য এম.এ কাসেম, হাজী সামছু মিয়া, উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম নুরে আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গোলাম মোঃ আরমান মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপজেলার সদর ও বুড়িশ্বর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের দুঃস্থ ও অসহায় মানুষদের মধ্যে শাড়ি ও লুঙ্গী বিতরণ করা হয়। পর্যায়ক্রমে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করা হবে।