চলারপথে রিপোর্ট :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী ৬২ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ ২৮ জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাদের সাথে বৈঠক করবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বৈঠকে অংশ নিতে গণভবনে যাবেন সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান সুখন। একরামুজামানের ব্যক্তিগত সহকারী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন একরামুজ্জামান সুখন। তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি তাকে বহিষ্কার করেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
আজ ৫ মার্চ মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়ার নেতৃত্বে উপজেলা সদরের বিভিন্ন বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।এতে তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে মোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে এক্সরে টেকনিশিয়ান না থাকা, লাইসেন্স নবায়ন না থাকা ও অন্যান্য অব্যবস্থাপনার কারণে নাসিরনগর ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা,বন্ধন ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড কনসালটেশন সেন্টারকে ১০ হাজার জরিমানাসহ এক্সরে রুমটি সিলগালা করে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মো: সাইফুল ইসলাম,ডা: শাকিল,গাইনী বিশেষঞ্জ ডা: নাফিজা জাফরিন,ডা: ফৌজিয়া,পুলিশ উপ-পরিদর্শক রুপন নাথ, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার সিএ বিল্লাল হোসেনসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইমরানুল হক ভূইয়া অভিযানের কথা স্বীকার করে জানান, জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার স্বার্থে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে কোন ধরনের অনিয়ম চলতে দেয়া যাবে না। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের ভূবন আব্দুল্লাহ নগর সংলগ্ন বড়ধলিয়া হযরত শাহ্; সূফী আব্দুল্লাহ শাহ্ (রহ.) এর মাজার পরিচালনা আংশিক নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৪ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকালে হযরত শাহ্ সূফী আব্দুল্লাহ শাহ্ (রহ.) এর মাজার পরিচালনা কমিটি গঠনকল্পে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এতে উপজেলা চেয়ারম্যান রুমা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রবিউস সারোয়ার, মাজার পরিচালনা কমিটির সাবেক আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, বুড়িশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল চৌধুরী, গোকর্ণ ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন, ফান্দাউক ইউপি চেয়ারম্যান মো: ফারুকুজ্জামান ফারুক, পূর্বভাগ ইউপি চেয়ারম্যান মো: আক্তার মিয়া, ভলাকুট ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন ভূইয়া, ভলাকুট ইউপি চেয়ারম্যান মো: রুবেল মিয়া, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তীসহ হযরত শাহ্ সূফী আব্দুল্লাহ শাহ্ (রহ.) এর সাবেক কমিটির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ভক্তবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পূর্বভাগ ইউপি চেয়ারম্যান মো: আক্তার মিয়াকে সভাপতি, সাংবাদিক আকতার হোসেন ভূইয়াকে সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক কাজী আলাউদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আলাউদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ সেলিম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, কোষাধ্যক্ষ এডভোকেট আশিকুর রহমান সুমন ও মো: মন্টু মিয়া, আমির হোসেন মোল্লাকে সহ-কোষাধ্যক্ষ করে আংশিক শাহ্; সূফী আব্দুল্লাহ শাহ্ (রহ.) মাজার পরিচালনা কমিটি ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূঁইয়া।
সভায় মাজারের পরিচালনা পর্ষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন এবং গঠণতন্ত্র তৈরিসহ সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ফুটবল খেলা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ১০ মার্চ সোমবার দুপুরে উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের চাপরতলা গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা গ্রামে ফুটবল খেলা নিয়ে ফকির গোষ্ঠীর বাবুর সঙ্গে একই গ্রামের মোল্লাবাড়ি গোষ্ঠীর আকাশের ঝগড়া হয়। এ নিয়ে রোববার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল ফকির গোষ্ঠী ও মোল্লাবাড়ি গোষ্ঠীর লোকজন। এরই জেরে সোমবার দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয় দুই গোষ্ঠীর লোকজন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। পুলিশ জানায়, মোল্লা গোষ্ঠীর মো. সাজু ও ফকির গোষ্ঠীর আহাদ মিয়ার নেতৃত্বে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল আলম বলেন, ফুটবল খেলা নিয়ে চাপরতলা গ্রামে মোল্লা গোষ্ঠী ও ফকির গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ২৫টি ক্যাডারের সংগঠন “আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ” এর উদ্যোগে সারা দেশের ন্যায় আজ ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়ও বিভিন্ন অফিসে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি পালিত হয়েছে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রস্তাবিত উপসচিব পুলে কোটা পদ্ধতি বহাল, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিসের বহির্ভূতকরণের প্রতিবাদ এবং কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত সকল অফিসে এক ঘণ্টার ‘কলম বিরতি’ পালন করা হয়। প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া বাকি ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তারা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। কলম বিরতি পালনকালে কর্মকর্তাগণ বলেন, উপসচিব পুল কোনো বিশেষ ক্যাডারের পদ নয়।
সার্ভিস এক্ট ১৯৭৫ অনুযায়ী মেধার ভিত্তিতে সিভিল সার্ভিসের সকল ক্যাডারের কর্মকর্তাগণকে উপসচিব ও তদুর্ধ্ব পদে নিয়োগের কথা থাকলেও বিভিন্ন অপকৌশল ও অজুহাতে এ সকল পদে নিজেদের জন্য কোটা পদ্ধতি চালু রেখেছে প্রশাসন ক্যাডার। ২০১৮ এর নির্বাচনের পর সার্ভিস এক্ট ১৯৭৫ রহিত করা হয়। এছাড়া ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর ২০ ফেব্রুয়ারি এ সকল পদ নিজেদের তফসিলে বসিয়ে নিয়েছে প্রশাসন ক্যাডার। এরূপ কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসকে ভারসাম্যহীন ও অকার্যকর করার মাধ্যমে দেশের এগিয়ে যাওয়ার পথে গভীর ষড়যন্ত্র ও মারাত্মক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির নামান্তর।
এসময় কর্মকর্তাগণ বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% কোটা রেখে অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য ৫০% পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগ সুপারিশ করবে বলে জানিয়েছে যা মৌলিক অধিকার ও জুলাই-বিপ্লবের সাথে সম্পূর্ণরূপে সাংঘর্ষিক। যেহেতু প্রশাসন ক্যাডার নাগরিকদের কোনো অনগ্রসর অংশ নয়, সেহেতু উক্ত ক্যাডারের জন্য উপসচিব পুলে কোটা ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার অপচেষ্টা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানেরও সম্পূর্ণরূপে লঙ্ঘন। এছাড়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস হতে আলাদা করার সুপারিশ করার কথাও জানানো হয়েছে যা উদ্দেশ্যমূলক। “আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ” এর সাথে কোনো রকম আলোচনা ছাড়া এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পরিষদ কলম বিরতি ছাড়াও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৬ ডিসেম্বর সকাল ১১ থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত সকল অফিসে স্ব-স্ব কর্মস্থলের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি, ৪ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা কৃষকলীগের বিশেষ কর্মী সভা ১১ নভেম্বর শনিবার বিকেলে স্থানীয় আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া।
উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মোঃ অলি মিয়ার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক এস.এম নূরে আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আহাদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্বাস উদ্দিন, জেলা কৃষকলীগ নেতা আলী আশরাফ, উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরমান নূর।
এসময় কৃষকলীগের দলীয় নেতৃবৃন্দসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, নাসিরনগর উপজেলা কৃষকলীগ বর্তমানে আগের চেয়ে অনেক বেশী শক্তিশালী ও সুসংগঠিত। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ১২৮টি ওর্য়াডে এখন কৃষকলীগের নেতারা সক্রিয়।
বক্তারা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) থেকে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়াকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান।
কর্মী সভা শেষে আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়ার সমর্থনে উপজেলা সদরে একটি র্যালি বের করা হয়।