চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মূল্য তালিকা না থাকায় ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ২৯ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে পৌর শহরের সড়ক বাজারে মুদিমাল ও কাঁচা মালের দোকানীকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী। আদালতকে সহযোগিতা করেন আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো: শফিকুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নিয়মিত বাজার তদারকির অংশ হিসেবে সোমবার শহরের সড়ক বাজারে মুদিমাল ও কাঁচা মালের দোকানে অভিযান চালানো হয়।
এসময় মূল্য তালিকা না থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে লোকনাথ সবজি ভান্ডারকে ৫ হাজার ও মাসুদ স্টোরকে ৩ হাজার টাকা জরিমানাসহ সর্বমোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানকালে দোকানীদের বেশি দামে মুদিমাল বিক্রি না করতে মৌখিকভাবেও সতর্ক করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার বলেন, বাজার স্থিতিশীল রাখতে উপজেলা প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৬ দিন সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে এ সময় দু’দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
আজ ২৪ জুন শনিবার স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আহমেদ খলিফা ও আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৭ জুন মঙ্গলবার থেকে ২ জুলাই রবিবার পর্যন্ত বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ৬ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার থেকে আবারও পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ ইনচার্জ হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দু’দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় আখাউড়ায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা, মাদক কারবারি ও সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা একজন, মাদক কারবারি একজন ও সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত চারজন রয়েছে। এসময় এক মাদক কারবারির কাছ থেকে ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলা ধরখার ইউনিয়নের নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঘোলখার গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে রানা হাজারী, মোগড়া এলাকার মো. খুরশিদ মিয়া, উত্তর ইউনিয়নের চানপুর এলাকার হৃদয় চন্দ্র দাস, ভবানীপুর গ্রামের তাসলিমা আক্তার, পৌর শহরের তারাগন এলাকার মো. সজীব মিয়া ও হাসিমপুর গ্রামের সফিকুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, পুলিশের অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা, মাদক কারবারি ও সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন বলেন, আজ দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় নাসিমা আক্তার নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার ছেলে। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নাসিমা আনন্দপুর গ্রামের মিজান মোল্লার স্ত্রী। ঘটনার পর পর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধারসহ ঘাতক ছেলে সিয়ামকে আটক করে। প্রাথমিকভাবে সে হত্যার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে নাসিমা তার ছেলে সিয়াম ও নাতি ওমর ফারুককে সাথে নিয়ে ঘুমিয়ে যায়। শুক্রবার সকাল নাসিমার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ দেখতে পায় ঘরের লোকজন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তের এক পর্যায়ে নাতি ওমর ফারুকের কাছ থেকে জানতে পারে তার মামা সিয়াম মাকে ধারালো অস্ত্র চেহাইট দিয়ে আঘাত করে খুন করে। পরে পুলিশ সিয়ামকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে তার মাকে খুন করেছে বলে জানায়। সে প্রায়ই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেত। তাকে বারবার ফিরিয়ে আনার ক্ষোভ থেকে মাকে সে হত্যা করেছে বলে সে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ছমিউদ্দিন জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার দেয়া তথ্য মতে হত্যায় ব্যবহৃত বটিসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, নিহত নাসিমার সাথে তার ভাইয়ের একটি মামলা চলমান রয়েছে যার রায় হবে আগামী রবিবার। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এই হত্যাকাণ্ড কি না অথবা এর সাথে আর কেউ জড়িত আছে কি না তার তদন্ত চলছে। মরদেহ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রেলওয়ের ২০০পিস কাঠের পুরাতন স্লিপার চুরির উদ্দেশ্যে নেওয়ার সময় দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও রেলওয়ে পুলিশ। আটককৃতরা হলো- চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার দক্ষিণ মাহমুদাবাদ গ্রামের নুরুল আলম সুকানির পুত্র মো. সোহেল (৩৩) ও পিরোজপুর জেলার স্বরুপ কাঠি থানার আরামকাটি গ্রামের সেকান্দার আলীর পুত্র মো. আব্দুর রাজ্জাক।
এ ঘটনায় আখাউড়া রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী চৌকির চীফ ইন্সপেক্টর এসআই মোঃ আবু সুফিয়ান ভূঁইয়া বাদী হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে আখাউড়া থানায় মামলা করেছেন। মামলায় আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের অবসরপ্রাপ্ত এসএসএই/ওয়ে মনিরুল ইসলামসহ তিনজনকে আসামী করা হয়েছে। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে ট্রাকে স্লিপার লোড করার সময় ট্রাকসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
আরএনবি ও লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, গোপন সংবাদে জানতে পেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেলওয়ে ষ্টেশনের ১নং প্লাটফরমের পূর্ব দিকে ট্রাকে কাঠের স্লিপার লোড করার সময় আরএনবি’র এসআই মোঃ আবু সুফিয়ান ভূঁইয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দুইজনকে আটক করে। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলামের সহযোগিতায় ট্রাক ভর্তি স্লিপারসহ দুই পাচারকারীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায় আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের সদ্য অবসরে যাওয়া এসএসএই/ওয়ে মনিরুল ইসলাম আসামীদের নিকট স্লিপারগুলো বিক্রি করেন। প্রতি পিস স্লিপারের মূল্য ১৫০ টাকা দরে ৩০ হাজার টাকায় স্লিপারগুলো বিক্রির চুক্তি হয়। এসময় ঢাকা মেট্টো-ট-১৪৬৬৫৩ ট্রাকটি জব্দ করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী চৌকির চীফ ইন্সপেক্টর এসআই মোঃ আবু সুফিয়ান ভূইয়া বলেন, সন্দেহ হলে ট্রাকে স্লিপার লোড করার কারণ জানতে আটককৃতরা জানায় আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের অবসরপ্রাপ্ত এসএসএই/ওয়ে মনিরুল ইসলাম আসামীদের নিকট স্লিপারগুলো বিক্রি করেন।
এদিকে অভিযুক্ত এসএসএই/ওয়ে মনিরুল ইসলামের বক্তব্য জানার জন্য তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে আখাউড়া রেলওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ খন্দকার জসীম উদ্দিন বলেন, আটককৃতদেরকে আদালতের মাধ্যতে জেলে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি পলাতক রয়েছে।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে ৪ নারীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় সুমন দাস (৩৭) কে আটক করেছে পুলিশ। আজ ১৪ এপ্রিল সোমবার বেলা ৩টার দিকে শহরের মসজিদ পাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়। সে মসজিদ পাড়ার বাসিন্দা এবং সড়ক বাজারের ইলেক্ট্রিক সামগ্রী ব্যবসায়ী।
এর আগে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৮ টার দিকে সড়ক বাজারের হাজী নূর মার্কেটের নীচ তলায় হাড়ি পাতিল চুরির অপবাদ দিয়ে ৪ নারীর চুল কেটে দেয় সুমনসহ কয়েকজন যুবক। চুল কাটার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নিন্দা ও বিচারের দাবি জানায় ছাত্র জনতাসহ আলেম ওলামা। অভিযানে নামে পুলিশ।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ছমিউদ্দিন বলেন নারীর চুল কাটার অভিযোগে সুমন দাসকে আটক করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে।