চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন অনিয়মের জন্য এক হাসপাতালকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ ৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের মৌলভীপাড়ায় নিউ শমরিতা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফ নেওয়াজের নেতৃত্বে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এই অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান সম্পর্কে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের মেডিকেল অফিসার (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) মো. আশরাফুর রহমান হিমেল জানান, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে দুপুরে জেলা শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে শহরের মৌলভীপাড়ায় নিউ শমরিতা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত ওষুধ সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি পাওয়া যায়।পাশাপাশি প্যাথলজি পরীক্ষায় অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের প্রমাণ পাওয়া যায়।
পরে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফ নেওয়াজ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৫২ ও ৫৩ ধারায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি তাদের সর্তক করা হয়।
তিনি আরো জানান, জেলা শহরের মৌলভীপাড়ায় হিউম্যান জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অভিযান চলাকালে বন্ধ পাওয়া যায়।প্রতিষ্ঠানটি ভ্রাম্যমাণ আদালত আসার খবর পেয়ে তালা লাগিয়ে পলিয়ে যায়। তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা সুলতানা, স্বাস্থ্য অফিসের সহকারী সার্জন ডা. সম্বিতা চক্রবর্তী ও সদর মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির আয়োজনে “ফার্মেসীতে মানসম্পন্ন ঔষধ বিক্রয় নিশ্চিত করতে ও নকল, ভেজাল, মেয়াদোর্ত্তীণ ঔষধ বিক্রয় প্রতিরোধে এক আলোচনা সভা আজ ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়।
সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
জেলা কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির সভাপতি আহাম্মদ হুসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু কাউছারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহ, ঔষধ প্রশাসন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক মোঃ শাহজালাল ভূঁইয়া, প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহরুল ইসলাম মোল্লা।
সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির বিভিন্ন উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আপনারা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করবেন।স্রষ্টার উপর বিশ্বাস রেখে মানুষকে না ঠকিয়ে ব্যবসা করবেন। ঔষধ নিয়ে কোন ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নেবেন না। তিনি নকল, ভেজাল, মেয়াদোর্ত্তীণ ঔষধ বিক্রয় না করতে ফার্মেসীর মালিকদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, মানুষ তার জীবন রক্ষা করার জন্য ঔষুধ সেবন করে, তাই জীবন রক্ষাকারী ঔষধ বিক্রিতে আপনারা কোন ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নেবেন না। তিনি ঔষধ ব্যবসায়ীদের ন্যায় সঙ্গত দাবির প্রতি সব সময় পাশে থাকার ঘোষনা দেন।
আলোচনা সভায় জেলার ৯টি উপজেলা থেকে প্রায় চারশতাধিক ফার্মেসীর মালিক যোগদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
পদোন্নতি প্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাসুদ পারভেজ বলেছেন, দীর্ঘ সময়ের কর্মক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কর্মকর্তা কর্মচারীদের যে ভালোবাসা পেয়েছি তা আজীবন আমার হৃদয়ের মধ্যে গাঁথা থাকবে।
তিনি বলেন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে অতীতের মতো সকলে একটি ইউনিট হয়ে কাজ করতে হবে।
আজ ১ জুলাই সোমবার বিকালে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গনে কর্মকর্তা কর্মচারী কর্তৃক আয়োজিত মোঃ মাসুদ পারভেজ জেলা ও দায়রা জজ পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ (বিশেষ জজ) নিয়োগ হওয়ায় পদোন্নতি জনিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এঁর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপীর এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান রকির যৌথ সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্যে রাখেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহান নিপা, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ রায়হান ভূইয়া, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল আলম, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাখাওয়াত হোসেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত সাম্য, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির সুমনময় চৌধুরী, বেঞ্চ সহকারী শরীফুল আলম, অফিস সহায়ক জিয়াউল আমিন প্রমুখ।
অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে সকল বিচারক এবং কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিদায়ী পদন্নোতি প্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাসুদ পারভেজ এরঁ হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অন্যতম বিদ্যাপীঠ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে শহরের নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়াম মাঠে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলণ ও পায়রা উড়িয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস,এম শান্তনু চৌধুরী।
এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা কামরুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এডঃ মোঃ লোকমান হোসেন, বাংলাদেশ শিক্ষক পরিষদ কেন্দ্রিয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাহিদুল ইসলাম, জাতীয় স্বর্ণপদক প্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ সায়েদুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মোঃ শাহ আলম, স্বনির্ভর বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এস.এম শাহীন, স্বপ্নতরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান তাহের উদ্দিন ভুইয়া। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস,এম শান্তনু চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক গঠনে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীরা আনন্দের সাথে পড়াশোনা করে জ্ঞান অর্জন করবে। যাতে তাদের সম্পূর্ণরুপে মানসিক বিকাশ ঘটে। সরকারের সেই নীতির সাথে মিল রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছে যা প্রশংসনীয়। তিনি বিদ্যালয়টির উত্তরোত্তর সফলতা ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বর্তমান সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্কুল এন্ড কলেজেও স্মার্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া গঠনে নিজেদের অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে একটি মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। প্রতিযোগীতায় বিদ্যালয়ের প্লে গ্রুপ থেকে ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা দৌড়, দড়িলাফ, বস্তা বন্দি দৌড়, মোরগ দৌড়সহ প্রায় ৫৩ টি ইভেন্টের প্রতিযোগীতার অংশগ্রন করেন। পরে অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ১৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রতিহতের ডাক দিয়েছে জেলা বিএনপির বৃহত্তর একাংশের নেতাকর্মীরা।
আজ ১২ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে শহরের কাচারি পাড় এলাকায় পৌর মুক্তমঞ্চে তারেক রহমানের ৩১ দফা দাবির বাস্তবায়নে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এই হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
সভায় জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচির সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আজমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাড. শফিকুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাড. গোলাম সারোয়ার খোকন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবিএম মোমিনুল হক, সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন রিপন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি নজির উদ্দিন আহমেদ, যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বিগত ১৭ বছরে বিএনপির নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতা কর্মীদের বাদ দিয়ে জেলা বিএনপির সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। মূলত একটি পক্ষ বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের লোকজন নিয়ে দল ভারী করে প্রহসনের সম্মেলন করার পায়তারা করছে। তারা পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা তৈরি না করে যেই প্রহসনের সম্মেলন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটিতে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে।
এসময় সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে বক্তারা, জেলার সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের কথা বলে ত্যাগীদের নিয়ে একটি পরিচ্ছন্ন ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে সম্মেলন করার দাবি জানান। এ বিষয়ে কেন্দ্র থেকে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত না এলে আগামী ১৬ জানুয়ারি আমরণ অনশনসহ বৃহত্তর কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ এর উদ্যোগে ৪০তম ঐতিহাসিক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বাস্তবায়ন দিবস-২০২৪খ্রি. পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে বাংলা ব্যাকরণ স্রষ্টা জেলা সদরের পূর্ব পাইকপাড়ার প্রয়াত অধ্যাপক হরলাল রায় রোডস্থ সংগঠণের অস্থায়ী কার্যালয়ে আলোচনা সভা, দোয়া ও কেক কাটা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ আহসান উল্লাহ হাসানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রস্তাবিত বাউল বাড়ি রিসোর্ট এন্ড কমপ্লেক্স এর স্বত্ত্বাধিকারী সারোয়ার লিটন।
আলোচনা সভায় আজ হতে ৪০ বছর পূর্বে ১৯৮৩ সালে মহকুমা হতে জেলা দাবীতে ঐতিহাসিক জেলা আন্দোলন, চূড়ান্ত পর্বে ২৭ নভেম্বর হরতালের দিন রেলওয়ে ষ্টেশনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র উবায়দুর রউফ পলু’র শাহাদাৎ বরণের প্রেক্ষিতে ১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্থানীয় নিয়াজ মুহম্মদ স্টেডিয়ামে প্রায় লাখ মানুষের সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ ঐ সময়ের ১৯টি মহকুমাকে আনুষ্ঠানিক জেলায় বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়ার স্মৃতিচারণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়ন পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি তফাজ্জল হোসেন জীবন, সহ-সভাপতি সাংবাদিক মোঃ আবুল হাসনাত অপু, শামসুল আলম বাবু, এজাজ আহমেদ মনির, সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরমান উদ্দিন পলাশ, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ বাবুল চৌধুরী, সদর উপজেলা উন্নয়ন পরিষদ সভাপতি প্রভাষক মোঃ মোশাররফ হোসেন, মহিলা সম্পাদক রুমানা আক্তার শ্যামলী, কার্যনির্বাহী সদস্য শরীফ আহমেদ খান, এড. শেখ জাহাঙ্গীর, সাংগঠণিক সম্পাদক কামরুল হাসান নান্টু, সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী মাকসুদুল আলম দেলোয়ার, আমির হোসেন ফারুক। উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া সম্পাদক বশির আহমেদ, প্রকাশনা সম্পাদক আলী হায়দার তুষার, আনিসুর রহমান রুহেল, হারিছা খাতুন, মোঃ নজরুল আলম।
সর্বশেষে জেলা আন্দোলনে শহীদ উবায়দুর রউফ পলু, জেলা উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি মোঃ আবুল হাসনাত অপু’র মাতা মরহুমা শামসুন্নাহার খানম, গত বুধবার সদ্য প্রয়াত যুগ্ম সম্পাদক মোঃ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক আলী মাউন পিয়াস এর ভাবী বীর মুক্তিযোদ্ধা সেহেলী মাসুদ এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।