চলারপথে রিপোর্ট :
দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতি, সংসদ বাতিল এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১ দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কালো পতাকা মিছিল করেছে জেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা।
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে শহরের কান্দিপাড়া এলাকা থেকে কালো পতাকা হাতে একটি মিছিল বের হয়। পরে মিছিলটি মাদ্রাসা মোড় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির একাংশের সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আসাদুজ্জামান শাহীন, সাবেক শিশু বিষয়ক সম্পাদক আল আমিন লিটন, কুমিল্লা বিভাগীয় যুবদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি তাজুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহিনুর রহমান শাহিন, সদস্য সচিব সমীর চক্রবর্তীসহ দলের নেতাকর্মীরা।
বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের মানুষ ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে গত ৭ জানুয়ারীর জতীয় সংসদ নির্বাচনকে বর্জন করেছে। এটি একটি ডামি নির্বাচন। তাই এই নির্বাচন বাতিল করে দেশের মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেজন্য নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবি জানান তারা।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে এসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মোহাম্মদ মিয়া চাঁন (৫৫) নামে এক বিএনপির নেতা মৃত্যুবরন করেছেন। আজ ১৯ আগস্ট শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত মোহাম্মদ মিয়া চান উপজেলার চর-ইসলামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও চর-ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, জেলা বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে যোগ দিতে মোহাম্মদ মিয়া চান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন। বেলা ১১টার দিকে মোহাম্মদ মিয়া চান একটি মিছিল নিয়ে কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি স্ট্রোক করেন। অচেতন অবস্থায় দলীয় নেতা-কর্মীরা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বিজয়নগর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব লিটন মুন্সী জানান, কাউতলী থেকে নেতা-কর্মীরা পদযাত্রা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে যাওয়ার পথে কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে পৌছলে হঠাৎ করে তিনি স্ট্রোক করেন। পরে তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি বলেন, বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে চর-ইসলামপুর থেকে নৌকাযোগে দুই শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন মোহাম্মদ মিয়া। পরে কাউতলী থেকে পদযাত্রা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে যাওয়ার পথে কাউতলী স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে পৌছলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি অসুস্থ হন। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির নৌকা প্রতিকের সমর্থনে আজ ২৫ ডিসেম্বর সোমবার স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা, নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী মিনারা আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভেকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত নারী সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, মাউশির সাবেক ডিজি ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ফাহিমা খাতুন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পিপি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, নারীরা এখন যে নিরাপদে আছেন, সে নিরাপদ আপনারা বজায় রাখবেন কিনা, সেটা আপনারাই ভাববেন। কারো প্রভাবে আপনার সন্তান যদি মাদকাসক্ত হয়ে যায় তাহলে আপনি সেই নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া বজায় রাখতে পারবেন না। এই নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী, নৌকার প্রার্থী।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, দেশে উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করবেন।
তিনি আগামী ৭ জানুয়ারী সারাদিন নৌকা প্রতিকে ভোট দেয়ার জন্যে ভোটারদের প্রতি আহবান জানান। সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নারী উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ১ হাজার ৬০০ পুলিশ সদস্য পেলেন পবিত্র ঈদুল ফিতরের উপহার। ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ লাইনের ড্রিলশেডে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব উপহার তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জহুরা আক্তার নারী পুলিশ সদস্যদের হাতে উপহার তুলে দেন এবং ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান। এরপর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন পুলিশ সদস্যদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা একই পরিবারের সদস্য। সবাই একসঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেব। তাই জেলার সকল পুলিশ সদস্যদের জন্য আমাদের এই ক্ষুদ্র উপহার। শুধু এই উপহারই নয়, ঈদের দিন সকল পুলিশ সদস্যরা পুলিশ লাইনে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অতীতে যেমন জাতির ক্রান্তিলগ্নে পুলিশ বাহিনী দক্ষতার সঙ্গে সবকিছু সামলেছে। ইনশাআল্লাহ, আগামী দিনেও যদি কোনো বিপদ আসে পুলিশ সদস্যরা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে এসে সমাধান করবে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোছাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) কামরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) জয়নাল আবেদীন, অতিথি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) শিরাজুল ইসলামসহ সকল ইউনিয়নের অফিসার ইনচার্জগণ ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইকবাল হোছাইন বলেন, আমরা সবার সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে চাই। তাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে দৈনিক হাজিরার স্টাফদের উপহার প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে এসপি থেকে শুরু করে পুরুষ কনস্টেবল পর্যন্ত ১ হাজার ৪১৭ জন, নারী পুলিশ সদস্য ১১৩ জন, সিভিল স্টাফ ৩৬ জন এবং দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে স্টাফ ২৬ জনকে ঈদ উপহার তুলে দেওয়া হয়েছে।
চলারপধে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেছেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার টেলিভিশন সাংবাদিকদের গতিময়তা রয়েছে। তিনি বলেন প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ পিআইবির প্রশিক্ষণ কর্মশালা টেলিভিশন সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় এর গুরুত্ব রয়েছে।
আজ ৫ মার্চ বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)র উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সহযোগিতায় ৩দিন ব্যাপী টেলিভিশন সাংবাদিকতা বিষয়ক এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আল আমীন শাহীনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিমন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলামের সঞ্চালনয়ায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মোবারক হোসাইন আকন্দ, জেলা তথ্য কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র দাস এবং পিআইবির সহকারী প্রশিক্ষক ও সমন্বয়কারী জিলহাজ উদ্দিন নিপুন। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলার ৩০ জন টেলিভিশন সাংবাদিক ও ৫জন চিত্র সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেছেন। আগামী ৭ মার্চ শেষ হবে এ কর্মশালা।
চলারপথে রিপোর্ট :
র্যাব-৯ এর পৃথক অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫৮ কেজি গাঁজাসহ ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আভিযানিক দল গতকাল ২৫ জানুয়ারি আনুমানিক ৬টা ২০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর শহরের পুনিয়াউট রেলক্রসিং এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।
এছাড়াও অপর এক অভিযানে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আভিযানিক দল গত ২৫ জানুয়ারি আনুমানিক ৯টা ৪০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার রানিয়ারা বিষ্ণপুর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ২৮.১ কেজি গাঁজাসহ ১ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মো. রুহুল আমীন (২৮), কসবা উপজেলার বায়েক গ্রামের (সর্দার বাড়ি) মো. সহিদ মিয়ার ছেলে।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয় এবং গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও জব্দকৃত আলামত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন র্যাব-৯, সিলেট এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।