চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় ৬শ ৫৪ জন কার্ডধারীর মাঝে ন্যায্যমুল্যে টিসিবি পণ্য বিক্রয় করা হয়েছে। আজ ৩১ জানুয়ারি বুধবার সকাল থেকে উপজেলা চত্বরে বিআরডিবি কার্যালয়ের সামনে পৌর এলাকার নিম্ন আয়ের কার্ডধারীর মাঝে এসব পণ্য বিক্রয় করা হয়। টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ট্যাগ কর্মকর্তা মোঃ শরিফুর রহমান, কসবা পৌরসভার প্যানেল মেয়র আবু জাহের, পৌর কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রঙ্গু মিয়া, কাউন্সিলর মোঃ ফোরকান উদ্দিন, মহিলা কাউন্সিলর লুৎফুন্নাহার রীনা, টিসিবি ডিলার মোঃ আবু কাওসারসহ অন্যান্যরা।
উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী টিসিবি পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আবু কাউসার এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে প্রতি উপকারভোগী কার্ডধারী ক্রেতার মাঝে ৪৭০ টাকায় তিন প্রকার নিত্যপন্য সয়াবিন তেল, মুসর ডাল ও চাউল বিক্রয় করা হয়। সকল ক্রেতাদের ২শ টাকায় ২ লিটার তেল, ১২০ টাকায় ২ কেজি ডাল ও ৫ কেজি চাউল ১৫০ টাকায় ন্যায্যমুলে দেয়া হয়।
চলারথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় কৃষক রহিজ মিয়া হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী জজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে কসবা থানা পুলিশ। আজ ১১ জানুয়ারি রবিবার ভোর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পৌর এলাকার পৈরতলা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত জজ মিয়া জেলার কসবা উপজেলার নিমবাড়ী গ্রামের জমসেদ মিয়ার ছেলে। আজ দুপুরে তাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, কসবা উপজেলার নিমবাড়ি গ্রামে পান্ডবের গোষ্ঠী ও কাবলি গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে মামলা মোকাদ্দমাসহ বিভিন্ন বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ২০১৭ সালে ১০ এপ্রিল সকালে রহিজ মিয়া, নাবালক সরদার ও ফরিদ মিয়া বাদৈর বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে কাবলি গোষ্ঠীর লোকজন হামলা করেন। এ সময় রহিজ মিয়াসহ তার সাথে থাকা দু’জনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে রহিজ মিয়া মারা যান। এ ঘটনায় রহিজ মিয়ার স্ত্রী নার্গিছ বেগম কসবা থানায় ১৭ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় স্বাক্ষ্যগ্রহন শেষে গত মাসের ২৪ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আয়েশা আক্তার সুমি জমসেদ মিয়ার ছেলে জজ মিয়াকে ফাঁসি ও এক লাখ টাকা জরিমানা রায় প্রদান করেন। এছাড়া একই মামলায় জমসেদ মিয়ার আরও ৪ ছেলে ইয়াসিন মিয়া, খোকন মিয়া, মনির মিয়া ও পারভেজ মিয়া ও তাদের পক্ষের আওয়াল মিয়া ও তার ছেলে আশরাফুলকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডাদেশের পাশাপাশি ২ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত। মামলার প্রধান আসামী জমসেদ মিয়াসহ ৯ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন এবং জমসেদ মিয়ার অপর ছেলে আসামী খোকন মিয়াকে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত।
স্টাফ রিপোর্টার:
১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস। নানা আয়োজন ও আননন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পালিত হল দিবসটি। এই উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে উপজেলার গোলচত্বরে সম্মুখ সমরের ¯ভৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সম্মুখ সমর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সম্মুখ সমরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সম্মুখ সমরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, বাংলাদেশ আইনসমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাসিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন আহমেদ, হেবজুল বারী, মোজাম্মেল হক গোলাপসহ বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এদিনেই পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে আশুগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
তিন বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা সীমান্ত হাট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ ১৫ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে সংস্কার কাজের জন্য ভারত-বাংলাদেশের যৌথ ইঞ্জিনিয়ারিং টিম হাটটি পরিদর্শন করেছে।
এসময় বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের নেতৃত্বে ছিলেন কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সীমান্ত হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো. আমিনুল এহসান খান। আর ভারতীয় তিন সদস্যের ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের নেতৃত্ব দেন অনুরাগ সেন।
এরআগে ২০২০ সালের মার্চ থেকে করোনা মহামারির কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য কসবা সীমান্ত হাটের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় দুই দেশের হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি। সম্প্রতি হাটটি খোলার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় হাটের ভেতরের কিছু অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো সংস্কারের জন্য প্রাক্কলন করতে দুদেশের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম হাট পরিদর্শন করে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান জানান, সপ্তাহের মধ্যে হাটের ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো সংস্কারে প্রাক্কলন করা হবে। এরপর সংস্কার কাজ শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাটটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের গ্যাসকূপ বন্ধ রেখে ভারতকে সুবিধা না দিয়ে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার তারাপুর গ্যাসকূপ পুনঃখনন ও গ্যাসের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌরমুক্ত মঞ্চের সামনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনগণ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন কসবায় গ্যাস সরবরাহ আন্দোলনের আহ্বায়ক তানভীর শাহীন, উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক শিবলী নোমানি, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল আহমেদ, কসবা থানা প্রেসক্লাব সভাপতি মোবারক চৌধুরী নাসির, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল খায়ের স্বপন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জিয়াউল হুদা শিপন, উপজেলা যুব বিভাগের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ সরকার, উপজেলা ছাত্র প্রতিনিধি হাসান মাহমুদ ও মনিরুল হক।
এ সময় বক্তারা বলেন, কসবাবাসীর গ্যাসের দাবিতে ২০১৮ সালে তারাপুর গ্যাসকূপের খনন করা হয়। যেখনে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়ে গ্যাসের চাপ কম দাবি কর তারাপুর গ্যাসকূপ থেকে উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। অথচ তারাপুর সীমান্ত থেকে আধা কিলোমিটার দূরে ভারত তাদের সীমান্তে রীগ বসিয়ে গ্যাস উত্তোলন করছে। মূলত ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতার লোভে ভারতের তাবেদারি করতে নিজ দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়েছিল।
বক্তারা দেশের গ্যাস ভারতকে না দিয়ে দেশের মানুষের স্বার্থে ব্যবহারের পাশাপাশি কসবার সালদা ও তারাপুর গ্যাসকূপের গ্যাস কসবাবাসীর মধ্যে সরবরাহ করতে বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়রী দেন তারা। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল কসবা পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় প্রাইভেটকারে গাঁজা বোঝাইয়ের সময় দুই ভাইকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ৩২ কেজি গাঁজাসহ প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়।
১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পৌর এলাকার শাহাপুর রাজাপুর গ্রামে গাঁজাসহ আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- শাহপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর দুই ছেলে মো. সাত্তার (২৮) ও মো. সেলিম (৩২)।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রাইভেটকারে মাদক বোঝাইয়ের সময় দুই কারবারিকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার প্রস্তুতি চলছে৷