অনলাইন ডেস্ক :
ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা তিন ম্যাচ জিতে ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দল। কিন্তু ফাইনালে প্রতিপক্ষ কে সেটা অজানা ছিল। সেটিও পেয়ে গেছে স্বাগতিকরা। আজ পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
তাতে কোনো ম্যাচ না জেতায় টুর্ণামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে পাকিস্তান। আর একটি ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছে গেছে শ্রীলঙ্কার মেয়েরা। শুক্রবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে এ দুই দল।
আজ ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাকিস্তানের ইনিংস থামে ৯৬ রানে।
ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন সামিয়া আফসার ও আরিশা আনসারি। দুজনে যোগ করেন ৭৪ রান। ৫৮ বলে ৪৮ করেন সামিয়া।
দলীয় ৮৯ রানের মাথায় রান আউট হন এই ব্যাটার। ৪১ বল খেলা আরিশা ২৬ রানে ফেরেন রাবেয়া খাতুনের বলে জান্নাতুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে। বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট নেন রাবেয়া। পাকিস্তানের বাকি তিন ব্যাটারই হয়েছেন রান আউট। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশেরও।
এর পরও অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তারের ৩৮ এবং আফিয়া আসিমার ১৬ রানে ভর করে ১৮ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও লাল্লারবাগ যুব সংগঠনের উদ্যোগে গ্রামীণ ঐতিহ্যের হাডুডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে নোয়াগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
নোয়াগাঁও শেখ আশরাফ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুল হক মৃধার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, নোয়াগাও ইউনিয়নের উন্নয়নের রূপকার, দৈনিক ফ্রনটিয়ার পত্রিকার সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র পরিচালক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাহার হোসেন মৃধা বকুল।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মো. আবু সিদ্দিক মৃধা, মো. জুলকার নাইন, মো. জাকির হোসেন মৃধা, মো. আব্দুল আমিন, মো. রাজ্জাক মৈশান, শাহজাহান নুরতাজ খাঁ, মো. সিরাজ মাস্টার, মো. আলী হোসেন মৃধা প্রমুখ।
উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই হাডুডু খেলায় বিপুল সংখ্যক দর্শক খেলা উপভোগ করেন। খেলায় বড়দল ও ছোটদল নামে দুটি দল অংশগ্রহণ করেন। বিপুল উত্তেজনাপূর্ণ এই খেলায় ছোটদল জয়লাভ করেন। খেলা শেষে প্রধান অতিথি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিদেরকে সাথে নিয়ে খেলোয়াড় এবং বিজয়ী ও অংশগ্রহনকারীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরণ করেন। এসময় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, গ্রাম বাংলার বিলুপ্তপ্রায় খেলাধুলার ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার করতে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবং এর বিকাশ ও লালন করতে আমি এই এলাকার মানুষকে সাথে নিয়ে সবসময়ই চেষ্টা করে যাবো। তিনি বলেন, বিলুপ্তপ্রায় গ্রামীণ সংস্কৃতিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিৎ। এসময় খেলা দেখতে আসা সুলতানা মিয়া বলেন, ‘অনেকদিন পর এমন খেলা দেখতে পেয়ে খুবই ভাল লাগছে। সবাইকে নিয়ে এই খেলা দেখার মজাই আলাদা। বিশেষ দিনে এমন আয়োজনের দাবি জানাচ্ছি।’ আরেক দর্শক রফিক মিয়া বলেন, ‘খেলা দেখতে দুপুরের পরপরই চলে এসেছি। মাঠে হাজার হাজার মানুষ। একসাথে সবাই আনন্দ উপভোগ করেছি,বন্ধুদের নিয়ে খেলা দেখার মজাই আলাদা। হা-ডু-ডু খেলা দারুণ আনন্দ দিয়েছে। এসময প্রখর রোদে মাঠে দাঁড়িয়ে খেলা দেখেছে মানুষ। খেলার মাঠে শিশু-কিশোর কিংবা বৃদ্ধ, হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। যুব সমাজকে বিপথগামী হওয়া থেকে রোধের পাশাপাশি এলাকাবাসীকে আনন্দ দিতেই হারিয়ে যাওয়া হা-ডু-ডু খেলার আয়োজন করা হয়েছে। আগামীতেও এমন খেলার আয়োজন করা হবে এমনটাই জানালেন সমাজসেবক আব্দুল মালেক।
চলারপথে ডেস্ক :
টাইগারদের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ালেও শেষ রক্ষা হলো না আয়ারল্যান্ডের। লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত হারতে হলো আইরিশদের। সিরিজের একমাত্র টেস্ট আয়ারল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে সাকিবরা।
১৩১ রানের লিড নিয়ে চতুর্থ দিনে খেলতে নেমে শুরুতেই অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে আয়ারল্যান্ড। এরপরই সাজঘরের পথ ধরেন গ্রাহাম হিউম। আর এতেই ২৯২ রানে গুটিয়ে যায় আইরিশদের দ্বিতীয় ইনিংসের দৌড়।
প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ডের ২১৪ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন প্রথম ইনিংসে ৩৬৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন বিকালের সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে আইরিশ ব্যাটাররা। ৪ উইকেট হারিয়ে ২৭ রান সংগ্রহ করে দিন শেষ করে আয়ারল্যান্ড। তবে লরকান টাকারের সেঞ্চুরিতে ফলোঅন এড়ায় আইরিশরা। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯২ রানে অলআউট হলে ১৩৮ রানের টার্গেট পায় বাংলাদেশ।
১৩৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। তবে দলীয় ৩২ রানে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৯ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান লিটন। লিটনের বিদায়ের পর ক্রিজে এসে দ্রুতই আউট হন নাজমুল হাসান শান্ত। দলীয় ৪৩ রানে ৯ বলে ৪ রান করে ফিরে যান শান্ত।
এরপর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে দৃঢ়তা নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন তামিম। ২ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান সংগ্রহ করে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি থাকে ফিরে রানের চাকা সচল রাখেন এই দুই ব্যাটার। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬২ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ব্যাটার।
তবে দলীয় ১০৫ রানে আউট হন তামিম। ৬৫ বলে ৩১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তামিম। তামিমের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মুমিনুল হক। মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মুশফিক। ৪৭ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন মুশফিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
আয়ারল্যান্ড : ২১৪ এবং ২৯২
বাংলাদেশ : ৩৬৯ এবং ১৩৮/৩
ফল : বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মঞ্চ নাটক ”সাজন মেঘ” মঞ্চায়িত হয়েছে। সারা দেশে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মঞ্চ নাটক প্রচারের অংশ হিসেবে ৫ জুলাই শুক্রবার রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নাটকটি মঞ্চস্থ হয়। নাটকটি রচনা করেন বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক শান্তুনু কায়সার। নিদর্শনায় ছিলেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন রেজা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, অতিরিক্ত পুলিশ মোঃ ইকবাল হোসাইন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এস.এম শফিকুল্লাহ, উপাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান শিশির, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও নাটকের নির্দেশক চন্দন রেজা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার সৈয়দ মুহাম্মদ আয়াজ মাবুদ, সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কবি আবদুল মান্নান, সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের পীঠস্থান, সংস্কৃতির রাজধানী। এই সংস্কৃতির রাজধানীতে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড চলমান থাকবে। জেলা প্রশাসন সব সময় সংস্কৃতির পক্ষে, শিল্প সাহিত্যের পক্ষে। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সবাইকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংস্কৃতি কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিতে যেতে হবে।
নাটকটির মূল সার সংক্ষেপ ছিল শান্ত-স্নিগ্ধ ছায়া সুনিবিড় গ্রাম “সাজন মেঘ”। একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর অযাচিত বর্বরতায় তাদের শান্ত জীবনে নেমে আসে আতংক, ভয়। আক্রান্ত হয় গ্রাম-হাট-ঘাট, প্রান্তর, লোকালয়। সম্ভ্রম হারায় কিশোরী-তরুণী-গৃহবধূ। রুখে দাঁড়ায় গ্রামের তরুণ, তরুণী, কৃষক, কামার-কুমার, আপামর জনতা। ধর্ম আর সমাজের সংস্কার ভেঙ্গে দেশের জন্য একাট্টা হয়ে লড়ে যায় প্রাণপনে।
নাটকটি নির্মাণ সম্পর্কে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও নাটকের নির্দেশক চন্দন রেজা বলেন, “সাজন মেঘ” নাটকটি মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি খন্ডচিত্র। এই নাটকের মাধমে নাট্যকার সারাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতার একটি চিত্র তুলে ধরেছেন। সংলাপে গেঁথেছেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। সময়ের বাস্তবতা ও নাট্য নির্মাণের প্রয়োজনে মূল নাটকে কিছু সংযোজন বিয়োজন করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, সমাজের গোড়ামী, কুসংস্কার, কূপমন্ডকতা, ধর্মান্ধতা আর মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে যখন শকুনেরা জেঁকে বসেছে, ঠিক তখনই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নাটকের মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মানুষের মনে জাগ্রত করার প্রয়াসে দেশের সকল জেলায় নাট্যযজ্ঞ শুরু করেছে। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে ২৩ জন শিল্পী অভিনয় করেন।
ডেস্ক রিপোর্ট :
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম ৭ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েছেন কোনো বোলার। মাত্র চার ওভারে ৭ উইকেট শিকার করেন সাইয়াজরুল ইদ্রুস!
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে ইতিহাস গড়লেন মালয়েশিয়ার এই পেসার। ৭ উইকেটের কোনোটিতেই কারও সহায়তা লাগেনি তার। সব আউটই ছিল বোল্ড।
আজ ২৬ জুলাই বুধবার ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে চীনের মুখোমুখি হয় মালয়েশিয়া। ৮ রানে ৭ উইকেট নেন ইদ্রুস। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম এক ম্যাচে ৭ উইকেট নিতে পারলেন কোনো বোলার।
কুয়ালালামপুরে এই ম্যাচে প্রথম পরিবর্তিত বোলার হিসেবে তৃতীয় ওভারে আক্রমণে আসেন ইদ্রুস। তার বোলিং ফিগার ৪-১-৮-৭।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিংয়ের আগের রেকর্ড ছিল ৫ রানে ৬ উইকেট। ২০২১ সালে সিয়েরা লিওনের বিপক্ষে রেকর্ডটি গড়েছিলেন নাইজেরিয়ার পিটার আহো।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহ্গীর আলম বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ সংস্কৃতিকে ভালবাসে, খেলাধূলাকে ভালবাসে তারা সন্ত্রাস এবং জঙ্গীবাদকে পছন্দ করেন। তিনি বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অনেক বড় ঐতিহ্য রয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ ১ নভেম্বর বুধবার বিকাল ৩টায় নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক অনুর্ধ্ব-১৭ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালিকা-অনুর্ধ্ব-১৭ ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহ্গীর আলম আরো বলেন, ফুটবলের উত্তেজনা কমেনি দিন দিন আরো বাড়ছে। আজকে যারা অনুর্ধ্ব-১৭ দলে খেলছেন তাদের মধ্যে ভাল খেলোয়াড় বাছাই করে বিভাগীয় পর্যায় এবং একদিন জাতীয় পর্যায়ে খেলবে। তিনি সকলের ভবিষ্যত মঙ্গল কামনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ একরামুল্লাহ্, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও টুর্ণামেন্ট পরিচালনা উপ-কমিটির আহবায়ক মোঃ সাইফুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলি, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফখরুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া অফিসার মাহ্মুদা আক্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সভাপতি আবুল কাসেম, জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি এডঃ ইউসুফ কবির ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মহিম চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ সুভাষ পাল, সদস্য আবেদ, প্রবীর চৌধুরী, বুলবুল প্রমুখ।
খেলাটি সঞ্চালনা করেন ডাঃ আব্দুল মতিন সেলিম।
উদ্বোধনী খেলায় অংশ গ্রহণ করেন সদর উপজেলা বালক/বালিকা বনাম নাসিরনগর উপজেলা বালক/বালিকা। বিপুল দর্শকদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের উত্তেজনামুলক খেলায় নির্ধারিত সময়ে গোল না করতে পারায় ট্রাইব্রেকারে সদর উপজেলা বালক এবং বালিকা উভয় দল নাসিরনগর বালক এবং বালিকা দলকে পরাজিত করে।
খেলার সময়ে মাঠের ৪ পাশের কানায় কানায় দর্শকে ভরপুর ছিল।
খেলায় ভাষ্যকারের দায়িত্ব পালন করেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ আব্দুল মতিন সেলিম, মোঃ মিজানুর রহমান মিজান ও মোঃ রিপন।