চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার তরুণেরা দিন দিন ইউটিউব ও ফেসবুক ভিডিও ব্লগিংয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছে। আখাউড়ার বেশ কয়েকজন ছাত্র, যুবক ইউটিউব ও ফেসবুক পেইজ খুলে কৃষি, মৎস্য, গরুর খামার, ফুল-ফল সবজি, দর্শনীয় স্থান, সাফল্য-সম্ভাবনা, দূর্ভোগ, বিনোদনসহ বিভিন্ন বিষয়ে ব্লগিং করছে।
সাবলিল উপস্থাপনা, ব্যতিক্রম কনটেন্টের কারণে ভিডিওগুলো প্রশংসা পাচ্ছে সবার। এদের মধ্যে কয়েকজন হলো আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের মোঃ ইব্রাহীম ভূঁইয়া লিটন, আব্দুল্লাহপুর গ্রামের পারভেজ, হীরাপুর গ্রামের শরীফুল ইসলাম আবির, পৌরশহরের নারায়ণপুরের মোঃ কাইয়ুম, খড়মপুরের মেহেদী রহমান মোল্লা ও দূর্গাপুরের মোঃ ফরহাদ আহমেদ। তাদের প্রত্যেকের শুরুটা শখের বশে। কয়েকজন ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে অর্থ উপার্জন করছে। স্বপ্ন দেখছে আরো ভালো কিছু করার।
‘কৃষকের কথা’র নামক ইউটিউব চ্যানেল থেকে ব্লগিং করেন মোঃ ইব্রাহীম ভূঁইয়া লিটন। তিনি বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার ও গরুর খাদ্যের ব্যবসা করতাম। নিজেদের মাছের চাষ থাকায় দোকানে রাখতাম মাছের খাদ্যও। শখের ফেসবুকে বশে পুকুরের মাছ চাষ, হাঁস-মুরগি পালন, জমির চাষাবাদের ছোট ছোট ভিডিও করে ফেসবুকে পোষ্ট করতাম। বন্ধু-বান্ধবের উৎসাহে ২০১৯ সালে কৃষকের কথা ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেইজ খুলে ভিডিও দেওয়া শুরু করি। প্রায় ৩ বছর পর মনিটাইজেশন পেয়ে ইনকাম পাচ্ছি। এখন ভালো ইনকাম পাচ্ছি। বর্তমানে ইউটিউবে ‘কৃষকের কথা’র ফলোয়ার প্রায় ৯ হাজার। ফেসবুক পেইজের ফলোয়ারের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে জানালেন মোঃ ইব্রাহীম ভূঁইয়া লিটন।
লিটনের সরল স্বীকারোক্তি শুধু টাকা ইনকামের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের দেশ কৃষি নির্ভর দেশ। কৃষি ও কৃষককে উৎসাহিত করে আনন্দ পাই। চেষ্টা করি বিষয় ভিত্তিক তথ্য এবং পরামর্শ তুলে ধরার জন্য।এ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ ভিডিও প্রতিবেদন করেছি। একটি ভিডিও সর্বোচ্চ ৪ লাখ ভিউ হয়েছে বলে জানান তিনি।
শুরুতে তাকে কেউ কেউ নিরুৎসাহিত করেছে। তবে সাব্বির ভূঁইয়া নামে এক প্রবাসী বড় ভাই এবং এক আন্টি (খালাম্মা) তাকে উৎসাহ জুগিয়েছেন বলে জানান লিটন।
প্রাণের আখাউড়া টিভি নামে ফেসবুক পেইজে শিক্ষামূলক তথ্যসহ বিভিন্ন সরজমিনে প্রতিবেদন করেন কলেজ ছাত্র মেহেদী রহমান মোল্লা। তার পেইজের ভিডিও ভালো ভিউ হয় বলে জানান তিনি। শিক্ষামূলক ও দুর্ভোগ-সমস্যা তুলে ধরেন মোঃ ফরহাদ আহমেদ। তিনি বলেন, দুই বছর ধরে ফেসবুক পেইজ খুলে ভিডিও দিচ্ছি। ভালো সাড়া পাচ্ছি। তিনিও মোটামুটি ইনকাম পাচ্ছেন বলে জানান।
পারভেজ ব্লগে ঢুকে দেখা যায়, কৃষির বিভিন্ন রকম ভিডিও। এছাড়াও রয়েছে দর্শনীয় স্থান ও হাট বাজারে ভিডিও। তার ফেসবুক পেইজের ফলোয়ার প্রায় ২০ হাজার।
ইউটিউবার মোঃ কাইয়ুম নামে বলেন, ব্যবসার পাশাপাশি ব্লগিং করি। আমার ফেসবুক পেইজে ফলোয়ার ৭ হাজার। ব্লগ দেখে সবাই যখন ভালো বলে তখন খুব আনন্দ লাগে।
ধারাভাষ্যকার সিকান্দার নামে একটি ফেসবুক পেইজ থেকে স্থানীয় ক্রিকেট খেলার সরাসরি প্রচার এবং ধারাভাষ্য দেন আল আনিম সেকান্দার।
এ ব্যাপারে আখাউড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন লিটন বলেন, তথ্য প্রযুক্তিকে সঠিক ব্যবহার করে ছাত্র-যুবারা ভালো কিছু করার চেষ্টা করছে এটা খুবই ইতিবাচক। তাদের প্রতিবেদনে মানুষ অনেক কিছু দেখতে ও জানতে পারছে। সঠিকভাবে ডিজিটাল প্লাট ফরম ব্যবহার করে অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় দ্রব্যমূল্যের বাজার মনিটরিং বিষয়ক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ ১১ মার্চ সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশ নেয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার।
বক্তারা রমজানে বাজার মনিটরিং করার জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠন করার প্রস্তাব করেন। বাজারমূল্য তদারকিতে মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করার কথা বলেন। জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে বাজার জানজট মুক্ত রাখার আহবান জানান। ব্যবসায়ীদেরকে অতিরিক্ত মুনাফা না করার আহবান জানানো হহয়। ক্রেতা সাধারণকেও প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত পণ্য না কেনার অনুরোধ করা হয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, আখাউড়া থানার ওসি মোঃ নূরে আলম, সড়ক বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সহ সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির খোকা, কারিমা চাইনিজ রেষ্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মমিন বাবুল, মোগড়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেকান্দার প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় মোবাইল ফোন ডিসপ্লে জব্দ করা হয়েছে।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌর এলাকার বাইপাসে বিজিবির অভিযানে এসব ডিসপ্লে জব্দ করা হয়।
বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে মনিয়ন্দ বিওপির টহল দলের অভিযানের সময় ১১৭১ টি মোবাইল ফোন ডিসপ্লে জব্দ করা হয়। এ সময় পাচারকারি পালিয়ে যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জীবিকার তাগিদে তিন বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি দিয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ার দক্ষিণ ইউনিয়নের বীরচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল হকে ছেলে মো. সোলেমান মিয়া (২৪)। ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের রিয়াদে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সোলায়মান। তার খোঁজ নিতে দু’দিন ধরে বাড়িতে লোকজন আসছেন।
ছবি হাতে বুক চাপড়াচ্ছেন মা। কখনো দু’হাত তুলে বিলাপ করছেন। ছেলের মরদেহ দেখতে পারার আকুতি বাবার কথায়। চোখের কোনে পানি জমা থাকা বাবার শঙ্কা মরদেহ আনতে যে টাকা লাগবে সেটা তিনি পাবেন কোথায়। বোনসহ স্বজনরাও সোলায়মানের শোকে কাতর।
স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন জানানা, চার ভাই-বোনের মধ্যে সোলেমান দ্বিতীয়। বাবা দিনমজুর। এখন অসুস্থ। পরিবারের সুখের আমায় বছর তিনেক আগে সৌদিতে যায় সে। এ জন্য পরিবারের লোকজনকে অনেক টাকা ধারদেনা করতে হয়।
এদিকে দেশে আসবেন বলে প্রায় চার মাস আগে মোবাইল ফোনে বিয়ে করেন সোলেমান। এবারের রমজানের আগে বাড়িতে এসে বৌ ঘরে তোলার কথা। স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করতে না করতেই, হাতে মেহেদী না মুছতেই সোলেমান পরপারে পাড়ি জমিয়েছে। সোলেমানের মৃত্যুতে পুরো পরিবার দিশেহারা।
কেননা, ধারদেনা করে তিন বছর আগে সৌদিতে যান তিনি। এখনো চার লাখ টাকা পাওনা পরিশোধের বাকি। এখন আবার তার মরদেহ আনতে টাকা লাগার খবরে পরিবারের লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
সোলেমানের মা ছেলের ছবি হাতে বারবার বিলাপ করছিলেন, ‘বাপ অসুস্থ দেইক্কা পুলারে মুবাইল ফোনে বিয়া করাইছি। রমজানের আগে বউরে বাড়িত আনলাম অইলে। অহন আমার সব শেষ। আমি পুলার লাশটা দেকতাম চাই। শুনছি লাশ আনতে টেহা লাগবো। এই টেহা আমি পামু কই। সরকার আমডারে সাহাইজ্জ করুক আমার পুতের লাশ দেশে আনার লইগা।
সোলায়মানের প্রতিবেশী ও দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. আব্দুর রহিম জানান, পরিবারটি খুবই দরিদ্র। সোলেমানের টাকায় তাদের সংসার চলতো। বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যুর খবর আসে। সোলেমানের মরদেহ দেশে আনতে সরকার সহযোগিতা করবে বলে আশা করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মাদক ব্যবসায়ীদের ছুরিকাঘাতে খাইরুল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে শিবনগর এলাকা। ওই ঘটনায় করা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ও মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে প্রতিদিনই অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ফলে পুলিশের ভয়ে দিনে তো নয়ই, রাতেও বাড়ি ফিরছেন না গ্রামের কোনো পুরুষ।
সরেজমিনে শিবনগর গ্রামে গিয়ে কোনো পুরুষের দেখা মেলেনি। রাস্তাঘাটও অনেকটা ফাঁকা। কয়েকটির বাড়িতে নারীদের দেখা গেলেও কোনো সাড়াশব্দ নেই। ছোট ছোট শিশুরা বাড়ির উঠানে খেলা করছিল। কিন্তু অপরিচিত মানুষ দেখে পুলিশ মনে করে তারাও ভয়ে পালিয়ে যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ৭০-ঊর্ধ্ব এক বৃদ্ধা জানান, গ্রামে কোনো পুরুষ মানুষ নেই। সবাই ভয়ে আছে যদি পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। কারণ পুলিশের ওপর হামলার মামলা। ছাড়া পেতে মুশকিল হয়ে যাবে। তাই তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
মনিয়ন্ধ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া সবুজ বলেন, ওই দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করতে শুরু করে পুলিশ। এরপরই শিবনগর গ্রামে গ্রেফতার আতঙ্ক শুরু হয়। আমরা প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার ও আইনের মাধ্যমে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বলেন, শিবনগর গ্রামটি মাদকপ্রবণ এলাকা হিসেবেই পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরেই প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী গ্রামে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। প্রতিদিন কোটি টাকারও বেশি মাদক কেনাবেচা হয় এই গ্রামে। প্রতি মাসে মাসোহারা দিয়ে তারা ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এছাড়া এ গ্রামে একটি মানব পাচারকারী চক্রও সক্রিয় রয়েছে। এর আগেও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করতে এসে পুলিশ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন হামলার শিকার হয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আখাউড়া থানা পুলিশে পরিদর্শক (ওসি) মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, সাধারণ মানুষ না, যারা হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও ওই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এরাই পুলিশের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে। দোষীদের ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ৫ মে শুক্রবার রাতে আখাউড়া থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নে মাদক উদ্ধারে অভিযান চালায়। সেখানকার শিবনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে সেলিম নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে ধরার সময় সে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ সদস্য খাইরুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করে মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়। এতে তিনি মাথায় ও পেটে গুরুতর আঘাত পান। পরে আহত অবস্থায় পুলিশ সদস্য খায়রুলকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করে সেই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৫৬ জনকে আসামি করা হয়। এদিকে হামলার ঘটনায় পুলিশ শিবনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে। পুলিশ বলছেন, গ্রেফতারকৃতরা প্রত্যেকেই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও অপরাধী। তাদের নামে মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলা রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া উপজেলায় শরীফুল ইসলাম ভূঁইয়া (৩৬) নামে এক ইসলামী বক্তাকে ছুরি দিয়ে জিহ্বা কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন অংশেও আঘাত করা হয়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ৪ মার্চ শনিবার গভীর রাতে উপজেলার আজমপুর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
তিনি সদর উপজেলার চাপুইর গ্রামের মাওলানা আব্দুর রশিদ ভুঁইয়ার ছেলে ও বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক।
আহত শরীফুলের ছোট ভাই মওদুদুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, রাতে বিজয়নগর উপজেলার দৌলতবাড়ি এলাকায় একটি মাহফিল থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন তার ভাই। পথে আজমপুর রেলস্টেশনের পাশে ৭/৮ জন তার গতিরোধ করে অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় তারা শরীফুলের জিহ্বার বেশিরভাগ অংশ কেটে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।
এছাড়াও তার সঙ্গে থাকা ওবায়দুল্লাহ (৩৪) নামে অপর একজন আহত হন। তিনি আরো বলেন, তার ভাই বিভিন্ন সময় ওয়াজ মাহফিলে শিয়া অনুসারীদের নিয়ে বক্তব্য রেখে থাকেন। ধারণা করা হচ্ছে, শিয়া অনুসারীরাই এ হামলার সঙ্গে জড়িত।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন দুলাল বলেন, শিয়া অনুসারীদের নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার কারণে পূর্ব পরিকল্পনা করে এমন হামলা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে দ্রুত হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বলেন, এমন একটি ঘটনা আমরা শুনছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।