চলারপথে রিপোর্ট :
হাওর বেষ্টিত ইউনিয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন উপজেলার এই ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধুর কোন ম্যুরাল না থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ম্যুরাল চেয়ে চিঠি দিয়েছেন দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আরমান হোসেন।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার আরমান হোসেন কয়েকজন সহপাঠীকে সাথে নিয়ে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আবেদন পত্রটি জমা দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা আবেদন পত্রে উল্লেখ করেছেন, ‘চাতলপাড় হাওর এলাকায় অবস্থিত একটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন। বিভিন্ন দিবসে সেখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা কাগজের তৈরি মুড়ালে শ্রদ্ধা জানায়।
এ বিষয়ে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজ ছাত্রকল্যাণ সংগঠনের সভাপতি আরমান হোসেন জানান, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু একই সূত্রে গাঁথা। অথচ বাংলাদেশ সৃষ্টির এতো বছর পরও আমাদের কাগজের তৈরি মুড়ালে শ্রদ্ধা জানাতে হয়। তাই আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ম্যুরাল চেয়েছি।
দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সেবা দাস জানান, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি দৃষ্টিনন্দন ম্যুরালের আবেদন করেছি। আমাদের বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে চাতলপাড়ে একটি ম্যুরাল স্থাপন করে দিবেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরানুল হক ভূঁইয়া জানান, চাতলপাড়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদনের একটি পত্র পেয়েছি। যথাযথ প্রক্রিয়ায় পত্রটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলায় গ্রাম পুলিশদের মাঝে বাই-সাইকেল বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ১২ জুন বুধবার দুপুরে ১৩টি ইউনিয়নের ১০ জন মহিলা ও ৪০ জন পুরুষ গ্রাম পুলিশের মধ্যে সাইকেল বিতরণ করা হয়। নতুন বাইসাইকেল পেয়ে ভীষণ খুশি এ সকল গ্রাম পুলিশরা। নতুন সাইকেল পাওয়ায় তাদের কাজের গতি আরো বেড়ে যাবে এমনটাই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন তারা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাসিরনগর নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দেয়া বাইসাইকেল বিতরণ করেন উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ইমরানুল হক ভূইয়া।
এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাইসাইকেল পাওয়া একাধিক গ্রাম পুলিশ সদস্যরা জানান, এ সাইকেল বিতরণের ফলে স্থানীয় গ্রাম পুলিশদের কাজ আরও গতিশীল হবে। সময় বাচঁবে এবং ইউনিয়ন পরিষদের সব তথ্য তারা গ্রামে গ্রামে দ্রুত পৌঁছে দিতে পারবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৪শত ৫০ কেজি অবৈধ নকল সার জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় অবৈধ নকল সার রাখার দায়ে বিক্রেতাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ ২২ জানুয়ারি বুধবার বিকালে নাসিরনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার প্রসিকিউশন ও নাসিরনগর থানা পুলিশের সহায়তায় উপজেলা সদরের দাতঁমন্ডল গ্রামের সার ও কিটনাশকের দোকানে এ অভিযান পরিচালনা করেন সহকারি কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কাজী রবিউস সারোয়ার।
অভিযানে মেসার্স কাদরিয়া ট্রেডার্স এর দোকান থেকে ৪৯ বস্তা নকল ডিএপি ও টিএসপি সার জব্দ করা হয়। মেসার্স কাদরিয়া ট্রেডার্স এর ডিলার আল-কাউসারকে উপস্থিত না পেয়ে নকল সার মজুত ও বিক্রি করার দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪১ ধারা লঙ্গণে দোকানের সার ও কীটনাশক বিক্রেতা কানন (৩২) কে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। পরে জব্দকৃত নকল ৪৯ বস্তা সার মাটিতে গর্ত করে পানি মিশিয়ে বিনষ্ট করা হয়।
অভিযানকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: ইমরান শাকিল, নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস, ইউপি সদস্য আক্কল আলীসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট কাজী রবিউস সারোয়ার ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দাঁতমন্ডল গ্রামে একটি দোকানে অবৈধ নকল সার মজুদ করে বিক্রি করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করায় স্ত্রী-সন্তানকে অ্যাসিড নিক্ষেপের অপরাধে তিনজনকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ ১৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের ভলাকুট গ্রামের মৃত আলীম উদ্দিন খানের ছেলে নক্কু খান, মৃত এনাম খানের ছেলে উজ্জল খান, হাফিজ উদ্দিন খানের ছেলে সোহাগ মিয়া। এরমধ্যে সোহাগ ও উজ্জল পলাতক আছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট গ্রামের জহির খান প্রায়ই স্ত্রী সুমা বেগমের ওপর নির্যাতন চালাতেন। এ ঘটনায় তিনি আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। আদালত জহির খানকে কারাগারে পাঠান। এর জেরে জহির খানের স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে ২০১৭ সালের ১০ মে সন্ধ্যায় ঘরে ঢুকে সুমা বেগম ও তার ছেলে আকাশ খানের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন। এ ঘটনায় সুমা বেগম বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে নাসিরনগর থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী সুমা বেগম বলেন, এসিড নিক্ষেপের মত ঘৃণ্য কাজের ঘটনায় আদালত আসামিদের যে দণ্ড দিয়েছেন তাতে আমরা সন্তুষ্ট।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন বিচার প্রক্রিয়ার পর আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত প্রমাণিত করে যে রায় দিয়েছেন তাতে বাদী পক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে শিশু হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষীদের প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা।
আজ ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওরসে যাওয়ার কথা বলে প্রতিবেশী রিফাত মিয়া (১৩) ও লিটনের (১৭) সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় কুলিকুন্ডা গ্রামের মোঃ রনি মিয়া (৭)। ঘটনার তিনদিন পর একটি পুকুর থেকে শিশু রনির মরদেহের খোঁজ মেলে। পরিবারের লোকজন এর সাথে রিফাত ও লিটনের সম্পৃক্ততার কথা তুললে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন তারা। এ ঘটনায় আটককৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনজনকে আসামী করে গত ২ মার্চ নাসিরনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত রনির মা ছুলেমা বেগম।
পরবর্তীতে আসামীদের বাচাঁতে বাদী, স্বাক্ষীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে গত ২৬ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে লুটপাটের একটি মামলা দায়ের করেন আসামী রিফাতের বড় ভাই আলমগীর মিয়া।
মামলারবাদী ও নিহত রনির মা ছুলেমা বেগম জানান, তারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। হত্যার পর ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দীও দিয়েছে তারা। এখন আমার ছেলেকে হত্যা করে আবার উল্টো আমার মামলার স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধেই করা হয়েছে মিথ্যা মামলা। হত্যাকারী রিফাতের মামা সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়ার বাসিন্দা আলাল মিয়া হুমকি দিচ্ছে আদালতে গেলে মেরে লাশ গুম করে ফেলা হবে।
রনি হত্যা মামলার সাক্ষী রাসেল মিয়া বলেন, আসামীরা আমাকে হুমকি দিচ্ছে স্বাক্ষী না দেওয়ার জন্য। আদালতে যেতে চাইলে সরাইল বিশ্বরোড পার হবার আগেই গুম করার হুমকি দিচ্ছে আসামীর মামা আলাল মিয়া। এখন আমি ভয়ে আছি।
আসামীদের করা মামলার বাদী আলমগীর মিয়া জানান, আমরা কাউকে হুমকি দেইনি। আমাদের বিরুদ্ধে করা এসব অভিযোগ মিথ্যা।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ওরসে গিয়ে নিখোঁজ রনির মরদেহটি একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্তেই বের হবে সত্য ঘটনাটা কি, কোন ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানি করার সুযোগ নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় পতাকা অবমাননা, মসজিদ ভাংচুর ও চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। এ সময় ইসকনের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি করেন বক্তারা। এতে অংশ নেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে উপজেলা শাখার নেতাকর্মীরা। আজ ২ ডিসেম্বর সোমবার সকালে ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে মিলিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এ ঘটনাকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে সনাতনীদের উসকানি দিচ্ছে। বক্তারা আরও বলেন, আইনজীবী সাইফুলের হত্যাকারী যারাই হোক না কেন, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তা না হলে দেশব্যাপী আরও বৃহৎ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। মানববন্ধন থেকে আইনজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও দাবি জানানো হয়। হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনকে দ্রুত নিষিদ্ধ ও বাংলাদেশে ইসকনের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করারও দাবি করেন বক্তারা।
সমাবেশে উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা শামসুদ্দিন সাহেবের সভাপতিত্বে বক্তব্য প্রদান করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ নাসিরনগর উপজেলা শাখার আহবায়ক ও ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুখলেছুর রহমান, মাওলানা গিয়াসউদ্দিন, চাতলপাড় উলামা পরিষদের সভাপতি কামরুজ্জামান তুরাব আলী প্রমুখ।