চলারপথে রিপোর্ট :
হাওর বেষ্টিত ইউনিয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন উপজেলার এই ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধুর কোন ম্যুরাল না থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ম্যুরাল চেয়ে চিঠি দিয়েছেন দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আরমান হোসেন।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার আরমান হোসেন কয়েকজন সহপাঠীকে সাথে নিয়ে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আবেদন পত্রটি জমা দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা আবেদন পত্রে উল্লেখ করেছেন, ‘চাতলপাড় হাওর এলাকায় অবস্থিত একটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন। বিভিন্ন দিবসে সেখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা কাগজের তৈরি মুড়ালে শ্রদ্ধা জানায়।
এ বিষয়ে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজ ছাত্রকল্যাণ সংগঠনের সভাপতি আরমান হোসেন জানান, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু একই সূত্রে গাঁথা। অথচ বাংলাদেশ সৃষ্টির এতো বছর পরও আমাদের কাগজের তৈরি মুড়ালে শ্রদ্ধা জানাতে হয়। তাই আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ম্যুরাল চেয়েছি।
দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সেবা দাস জানান, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি দৃষ্টিনন্দন ম্যুরালের আবেদন করেছি। আমাদের বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আবেদনটি বিবেচনায় নিয়ে চাতলপাড়ে একটি ম্যুরাল স্থাপন করে দিবেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরানুল হক ভূঁইয়া জানান, চাতলপাড়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদনের একটি পত্র পেয়েছি। যথাযথ প্রক্রিয়ায় পত্রটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে বালুবাহী ঠেলাগাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা লেগে সঞ্জিত দেব (৫৬) নামের এর চালক নিহত হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের আধুনিক হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সঞ্জিত দেব উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরনগর নমসুদ পাড়ার সরাজ দেবের ছেলে।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সঞ্জিত দেব দীর্ঘদিন ধরে ঠেলাগাড়ি চালিয়ে আসছিল। বিকেলে বালু নিয়ে সদর ইউনয়নের আধুনিক হাসপাতালের এলাকার মাটির রাস্তা দিয়ে নিচে নামার সময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে সঞ্জিত গুরুত্বর আহত হয়। প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুজ্জামান হিমেল মৃত ঘোষণা করে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহাগ রানা জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে আজ ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সোহাগ রানা, সদর ইউপি চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস।
স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কার্ত্তিক চন্দ্র দাস, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী।
এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অভিজিৎ রায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল-মামুন, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মাহবুব হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম প্রকৌশলী মোঃ আমজাদ হোসেন, এজিএম মোঃ সোহানুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিমসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১-এর এই দিনে মুক্তিপাগল জনতা ও দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধারা নাসিরনগর থেকে পাক-হানাদারদের বিতাড়িত করেন। হানাদার মুক্ত করে এই দিনে নাসিরনগরের আকাশে উড়েছিল লাল সবুজের পতাকা। নাসিরনগরের ইতিহাসে এ দিনটি বিশেষ স্মরণীয় দিন।
১৯৭১ সালের ১৫ নভেম্বর পাকহানাদার বাহিনী ও এ দেশীয় দোসর রাজাকার,আল-বদরের সহায়তায় উপজেলার বেশ কিছু গ্রামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ নারকীয় তান্ডব চালায়। পাকবাহিনীর অমানবিক নির্যাতনে বহু লোক আহত ও নিহত হয়।
মুক্তিযোদ্ধা ও সংগ্রামী জনতা পাক-বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই করে অবশেষে ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা “জয়বাংলা-জয়বাংলা”শ্লোগানে মুখরিত করতে করতে এলাকায় ঢুকতে থাকে, ক্রমেই শ্লোগানের আওয়াজ স্পষ্ট হয়, কেটে যায় শংকা। মুক্তিযোদ্ধাদের কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে মুক্তির উল্লাসে মেতে উঠে স্বরস্তরের মানুষ। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীরা এগিয়ে যায় সামনের দিকে, পিছু হটে হানাদার বাহিনী।
নাসিরনগর থানা অভ্যন্তরে (পুলিশ ষ্টেশন) স্বাধীন বাংলার আকাশে লাল সবুজের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এই দিনে পাক-হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় নাসিরনগর।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) : হাওর বেষ্টিত এই আসনটি আওয়ামীগের ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসনের ভোটার সংখ্যা ২লাখ ৫২হাজার ৫৪৭জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৩ হাজার ১০৯জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৩৬জন এবং হিজরা ২জন। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দূর্গ হিসেবে পরিচিত এই আসন থেকে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলেন ৫জন প্রার্থী।
প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম (নৌকা প্রতীক), বিএনপির চেয়ারপারসনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান (কলার ছড়ি প্রতীক), জাতীয় পার্টির মুহাম্মদ শাহানুল করিম (লাঙ্গল প্রতীক), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোঃ ইসলাম উদ্দিন (মোমবাতি প্রতীক) ও ওয়ার্কার্স পার্টির মোহাম্মদ বকুল হোসেন-( হাতুড়ি প্রতীক)।
বর্তমানে নির্বাচনী এলাকায় বিরাজ করছে উৎসব মুখর পরিবেশ। প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থীরা তাদের প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রার্থীরা গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও নির্বাচনী সভা করছেন।
কাগজে-কলমে এই আসনে ৫ জন প্রার্থী থাকলেও ইতিমধ্যেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুহাম্মদ শাহানুল করিম ঘোষনা দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামানের কলার ছড়ি প্রতীকের সমর্থনে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোঃ ইসলাম উদ্দিন (মোমবাতি প্রতীক) ও ওয়ার্কার্স পার্টির মোহাম্মদ বকুল হোসেন-( হাতুড়ি প্রতীক) এর তেমন প্রচার-প্রচারনা নেই।
নির্বাচনী মাঠে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনটি ১৯৯৬ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগের দখলে। ২০০১ সালের নির্বাচনে চট্টগ্রাম বিভাগে আওয়ামীলীগের বিপর্যয়ের সময়ও বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হক এই আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন। অ্যাডভোটে ছায়েদুল হক ১৯৯৬ সাল থেকে টানা ৪ বারসহ মোট ৫ বার এই আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলেলন।
২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হক মৃত্যুবরণ করলে ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এই আসনে প্রথমবারের মতো বিজয়ী হন। পরবর্তীতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের তৎকালীন উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জানকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আবার মুখোমুখী হয়েছেন আওয়ামীলীগ প্রার্থী বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এবং হেভিওয়েট প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ একে একরামুজ্জান।
এবারের নির্বাচনী মাঠে বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম অনেকটা চাপে আছেন। দলীয় অনেক নেতা-কর্মীই তার পক্ষে নেই। আওয়ামীলীগের এই বিভক্তির কারনে নির্বাচনী মাঠে সুবিধা পাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত তিন নেতা কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব নাজির মিয়া, তার স্ত্রী ও নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রোমা আক্তার এবং নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার প্রকাশ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামানের কলার ছড়ির পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। এছাড়াও নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানো জাতীয় পার্টির নেতা মুহাম্মদ শাহানুল করিমও কলার ছড়ির পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। এদিকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম স্থানীয় এক সাংবাদিককে ও একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়ায় নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে গত ২৪ ডিসেম্বর সংগ্রামকে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি তাকে শোকজ করে। পরদিন ২৫ ডিসেম্বর তিনি স্বশরীরে অনুসন্ধান কমিটির কাছে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন। সব মিলিয়ে নির্বাচনী মাঠে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম অনেকটা বেকায়দায় আছেন। এবারের নির্বাচনে আসনটি আওয়ামীলীগের হাতছাড়া হওয়ার আশাঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া বলেন, বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ক্ষমতায় থেকে তাদের উপর, দলের নেতা-কর্মীদের উপর অনেক অত্যাচার, অবিচার করেছেন এজন্য তারা নাসিরনগরবাসীকে নিরাপদে রাখতে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।
এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বদরুদ্দোজা মোঃ ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম সাংবাদিকদের জানান তিনি নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছেন। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান বলেন, নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। জনগন পরিবর্তন চায়, এক ব্যক্তির কারাগার থেকে মুক্তি চায়। তিনি বলেন, আগে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছি। বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করায় আমার সাথে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা আছে। আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত তিন প্রার্থী আমার জন্য কাজ করছেন। ইতিমধ্যেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহানুল করিমও আমাকে সমর্থন করে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়িয়েছেন। সাধারন মানুষের কাছ থেকে বিপুল সাড়া পাচ্ছি। বর্তমান পরিবেশ যদি বজায় থাকে তাহলে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে ২৫ গ্রামে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এসময় রামদা, বল্লম, এককাইট্টা, টেঁটা, ফলা, চল, সড়কিসহ প্রায় তিন হাজার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে আজ ৬ মে শনিবার ভোর পর্যন্ত পুলিশ উপজেলার নূরপুর, হরিপুর, নরহা, চিতনা, ধরমন্ডল,শংকরাদহ, গোকর্ণ, কুন্ডা, কুন্ডা জেলে পাড়া, শ্রীঘর, চাপরতলা, ভোলাউক, উরিয়াইন, আতুকুড়া, মুকবুলপুর ও পূর্বভাগসহ ২৫টি গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান এই দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
এদিকে শনিবার বেলা ১১টায় পুলিশের পক্ষ থেকে কৃষি কাজ ও নিত্যদিনের ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ছাড়া ঝগড়া-বিবাদে ব্যবহার করা হয় এমন ধরনের দেশীয় অস্ত্র যাতে তৈরী না করেন সে জন্য উপজেলার ৩৮জন কামার (কর্মকার) এবং ১৬জন বাঁশ ব্যবসায়ীর সাথে সভা করেছেন।
সভায় কামারদের বলা হয়েছে, ঝগড়া বিবাদে ব্যবহার করা হয় এমন ধরনের অস্ত্র রামদা, বল্লম, এককাইট্টা, ফলা, যেন তৈরী করা না হয়। এছাড়াও বাঁশ ব্যবসায়িরা যেন টেঁটা তৈরী না করেন সেজন্য তাদেরকে সতর্ক করে দেয়া হয়।
নাসিরনগর থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে নাসিরনগরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেশ কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় হাজার খানেক লোক কম বেশী আহত হন। এছাড়া ঈদ-উল ফিতরের দিন উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের খাগালিয়া গ্রামে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে জামাল নামে একজন কৃষক নিহত ও প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।
এরপরই দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারে নাসিরনগর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার। পুলিশকে নিদের্শ দেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশ পেয়ে গত ১০ দিনে পুলিশ উপজেলার ২৫টি গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেন। এসব অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনে তিনটি মামলায় ৮ জনকে আসামি করা হয়।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কামার ও বাঁশ ব্যবসায়ীরা যাতে ঝগড়া ফ্যাসাদে ব্যবহৃত হয় সে ধরনের দেশীয় অস্ত্র তৈরী না করেন সেজন্য তাদেরকে নিয়ে শনিবার সভা করেছি। বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত সভায় উপজেলার ৩৮ জন কাঁমার ও ১৬জন বাঁশ ব্যাবসায়ি অংশ নেন।
ওসি আরো বলেন, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে নাসিরনগর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। এসময় প্লে-কার্ড হাতে নিয়ে অবস্থান নেয় তারা।
১৭ জুলাই বুধবার সকালে নাসিরনগর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে এই বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে পুলিশের বাঁধা অতিক্রম করে শিক্ষার্থীরা প্রধান সড়কে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এসময় পুলিশ বাধাঁ দিলে শিক্ষার্থী ও পুলিশের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরে পুলিশ বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদেরকে কলেজ ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে অনুরোধ করলে নাসিরনগর-সরাইল সড়কের আধুনিক হাসপাতালের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে চলে যায়।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাসহ হত্যার বিচার করতে হবে আমরা বিচার চাই।