চলারপথে রিপোর্ট :
সতিন মোচর, দুধপুলি, মিষ্টি কুমড়া, চিড়াপুলি, শুটকী পুলি, দুধ চিতই, ঝাল চিতই, হান্দেশ নামক নকশী, মাংসপুলি, পোয়া, মালপোয়া, ঝালভর্তা, ঝিনুক, চকলেট পাটিসাপটা, পাটিসাপটা, ঝুরি, পাপর, ঝিরমিল, শামুক, ঝাল ও মিষ্টি দুই ধরণের ভাপা, মাছ পিঠা, ফুল পিঠা, ভাপা, মেরা, গোল পিঠা, বউ সুন্দরী, আলু পিঠা প্রভৃতি বাহারী নামের অর্ধ শতাধিক জাতের মুখরোচক লোভনীয় পিঠার সমাহার নিয়ে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী পূর্বাঞ্চল সীমান্তের জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ইন্ডাষ্ট্রিয়েল স্কুল চত্বরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় চলছে ৩ দিনব্যাপী জাতীয় পিঠা উৎসব-১৪৩০ এবং লোক সংস্কৃতি অনুষ্ঠান পরিবেশনা।
স্থানীয় সরকারি মহিলা কলেজ, সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উইজডম স্কুল এন্ড কলেজ, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী মহিলা কলেজ, উপজেলা মহিলা উন্নয়ন ফোরাম, সরকারি শিশু পরিবার, ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন, চাপুইর মহিলা উন্নয়ণ সমিতি, দরিদ্র মহিলা উন্নয়ন সংস্থা, আনোয়ারা পিঠাঘর সহ ১৭টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত ষ্টল প্রতিদিন বিকেল ৪টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত পিঠা প্রদর্শণ এবং বিক্রয় করছে। গত বুধবার বিকেলে প্রধান অতিথি নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান গেটে ফিতা কেটে উৎসব উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে প্রতিদিন ভেন্যু এলাকায় বিপুল সংখ্যক পিঠাপ্রেমী শিশু শিক্ষার্থী, নারী, পুরুষের সমাগম ঘটছে। এই উৎসব সমগ্র জেলা সদরে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে আয়োজিত শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম মাহমুদুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শামসুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ছড়াকার কবি জয়দুল হোসেন।
উপস্থাপনা করেন প্রভাষক ওসমান গণি সজিব।
বক্তারা বলেন, শীতকালে ঘরে ঘরে বাঙালী লোক সংস্কৃতির ঐতিহ্য পিঠা উৎসব আমরা ভুলতে বসেছি। ছোট বেলায় মায়ের বকুনি খেয়েও পিঠা না খাওয়া পর্যন্ত পড়তে বসতাম না। পিঠা উৎসব শুধু হিন্দুর নয়, শুধু মুসলমানের নয়। এটা বাঙালী জাতির লোকজ সংস্কৃতির ঐতিহ্য। এই পিঠা উৎসব আমাদের জাতির হারানো সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনবে। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাই ঘরে ঘরে পিঠা তৈরী করতে আবারো মনোযোগী হবে। ঘরে ঘরে মা চাচীদের শীতকালীন পিঠা আয়োজন আমাদের অতীত স্মৃতির একটা অংশ। পিঠা উৎসব আমাদের প্রাণের উৎসব। এটাকে আমরা ধরে রাখতে চাই, হারাতে দিব না।
প্রতিদিন বিকেল ৪টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৭টি ষ্টলে বাহারী নাম ও সৌন্দর্যের পিঠা বিক্রির পাশাপাশি মঞ্চে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর ব্যবস্থাপনায় লোকজ অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিবেশ করে সবাইকে মুগ্ধ করছেন। আগামী কাল শুক্রবার রাতে তিনদিন ব্যাপী পিঠা উৎসবের সমাপনী ঘটবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভনের আনারস প্রতিকের পক্ষে জনতার ঢল নেমেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
আজ ২ জুন রবিবার দুপুরের পর থেকে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে হাজার হাজার আনারস প্রতিকের সমর্থক শ্লোগান দিতে দিতে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে এসে জমায়েত হয়। বিকাল ৪ টার পর থেকে পুরো চত্বর কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। একপর্যায়ে পার্শ্ববর্তী সড়কগুলোও জনতার উপস্থিতিতে ভরে যায়। এসময় জনতাকে উদ্দেশ্য করে শাহাদাত হোসেন শোভন বলেন,আজকের বিপুল জনতার স্বত;স্ফূর্ত উপস্থিতি আমাকে অভিভূত করেছে-আবেগে আপ্লুত করেছে। আমি আপনাদের ভালোবাসার ঋণে আবদ্ধ হয়ে গেলাম। আমি প্রার্থী হয়ে মাঠে নামার পর থেকেই গ্রামে-গঞ্জে,শহরের পাড়ায় পাড়ায় সাধারণ মানুষ আমাকে যেভাবে অকুন্ঠ সমর্থন জানিয়েছে তার ঋণ আমি কোনোভাবেই শোধ করতে পারবোনা। আমি আজীবন সদর উপজেলার মানুষের সেবা করে যেতে চাই। আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে সহযোগিতা করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করুন,আমি সদর উপজেলাকে পাল্টে দিতে চাই। সন্ত্রাস-মাদক-ভূমি দস্যুতার বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার থাকবো। কোনো প্রকার অনিয়মরে সাথে আমি আপোষ করবোনা।
নির্বাচনী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুসলিম মিয়া।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সিনিয়র সহ-সভাপতি সুজন দত্তের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো.মহসিন,সৈয়দ মিজানুর রেজা,সোমেশ রঞ্জন রায়,এড.তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত,বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ,মাও.হাফেজ জাকির হোসেন,স্বপন কুমার রায়,মো.মনির হোসেন,খোকন কান্তি আচার্য,জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমেদ খান,জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যাপক রুমানুল ফেরদৌস,সদর উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ ভূঞা,জেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি কাউসার আহমেদ,সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান আশা,জেলা কৃষকলীগ আহবায়ক সাদেকুর রহমান শরীফ,ওলামা সমন্বয় পরিষদ সভাপতি মাও.আবদুল্লা,জেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি রাবেয়া খাতুন রাখী,জেলা তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দুলাল,সদর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আলী আজম,সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন রানা,পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন লিটন।
চলারপথে রিপোর্ট :
তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রুটের বিভিন্ন অংশে গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলপথের বিভিন্ন অংশে সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার গতিতে আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেন চালাতে লোকো মাস্টারদের এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মালবাহী ট্রেন সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার গতিতে চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে কর্তব্যরত সহকারী স্টেশন মাস্টার শাকির জাহান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, স্বাভাবিক সময়ে ৭২ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিতে ট্রেন চলাচল করে। কিন্তু তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কা থাকায় গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচল করে। গত ১১ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন এ নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন তরী বাংলাদেশ এর আয়োজনে আজ ১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস-২০২৪ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি ও জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়। র্যালিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সুরসম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চ, বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গিয়ে সমাপ্ত হয়। র্যালি শেষে তরী বাংলাদেশের আহবায়ক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে জনসমাবেশে বক্তারা আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস ও নদী-প্রকৃতি সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। সারাদেশে নদী দূষণ ও দখল মুক্ত রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী তিতাস নদী ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ ৪.৮ কিলোমিটার টাউনখাল সহ সকল নদী ও খাল দখল-দূষণ মুক্ত করে সুন্দর ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়ার আহ্বান জানান।
বর্ণাঢ্য এই র্যালি ও জনসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইন , ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরীর বাপ্পি, সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন, এটিএন নিউজ পূর্বাঞ্চলীয় ব্যুরো প্রধান পীযূষ কান্তি আচার্য্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, সাহিত্য একাডেমী সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন, ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্রের সভাপতি ওসমান গণি সজিব, অঙ্কুর শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি আনিসুল হক রিপন, জামিনুর রহমান, মো.আশিকুল আলম সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আরো উপস্থিত ছিলেন তরী বাংলাদেশ এর সদস্য খালেদা মুন্নী, খায়রুজ্জামান ইমরান, সুশান্ত পাল, সোহেল রানা ভূইয়া, শিপন কর্মকার, শিরিন আক্তার, শাহ মো. আলামিন, মো.শাহীন শাহ, আব্দুল হাকিম, মো. রয়েল, হিরো, এহসানুল হক, তুরকান শাহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নদীর প্রতি মানুষের করণীয় কী, নদী রক্ষায় দায়িত্ব, মানুষের দায়বদ্ধতা কতটুকু; এসব বিষয় স্মরণ করিয়ে দিতে নদীকৃত্য দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১৯৯৭ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সাল থেকে দিবসটি বিশ্বব্যপী পালিত হয়ে আসছে নদী সুরক্ষায় করনীয় অর্থাৎ নদীকৃত্য দিবস হিসেবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তুকী মূল্যে নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মধ্যে টিবিসির নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে।
আজ ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে এই বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন। প্রত্যেক কার্ডধারীকে ৭০টাকা কেজি দরে ২ কেজি মশুর ডাল, ১১০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৬০ টাকা কেজি দরে ১ কেজি চিনি দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, সদর উপজেলার স্বল্প আয় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। উপজেলার ১৬ হাজার ৬১৮ জন কার্ডধারীর মধ্যে এই পণ্য বিক্রি করা হবে।
মঙ্গলবার পৌর এলাকার মেড্ডা সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, কালভৈরব, কারখানাঘাট আনন্দবাজার ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হয়। পর্যায়ক্রমে সদর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে।