চলারপথে রিপোর্ট :
কিডিন ও পিত্তে পাথর, হার্টে সমস্যা, ডায়াবেটিস ও শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছেন মনোয়ারা বেগম (৫৫)। চিকিৎসক বলেছেন অপারেশন করাতে। কিন্তু টাকার অভাবে অপারেশন করাতে পারছেন না তিনি। টাকার জন্য ঠিকমত ওষুধ সেবন করতেও পারেন না। দিন দিন তার শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। বাঁচার জন্য, চিকিৎসার জন্য সহৃদয় মানুষের সহযোগিতা চান স্বামী হারা অসহায় এই নারী। মনোয়ারা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরশহরের রাধানগর পশু হাসপাতাল সংলগ্ন আলমগীর মিয়ার বাড়িতে মেয়ের সাথে ভাড়া বাসায় থাকেন। দ্রুত তার কিডনি ও পিত্ত পাথরের অপারেশন করা দরকার।
জানা যায়, পৌরশহরের দেবগ্রামের ফুল মিয়ার মেয়ে মনোয়ারা বেগম। ১০ বছর আগে স্বামী মারা গেলে ১ টি ছেলে ও ২ টি মেয়ে নিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। বহু কষ্ট করে মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো। সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে বড় আশা বুকে নিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরী না পেয়ে ছেলে দেশে ফিরে এসেছে। স্বামী নাই। ছেলে বেকার। সংসারে আয় রোজগার করার কেউ নাই। বিগত ৪ বছর ধরে মনোয়ারা বেগম বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। তার চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা ও ঠিকমত ওষুধ সেবন করতে পারছেন না তিনি।
সরেজমিনে বাসায় গিয়ে দেখা যায়, টিন সেডের ছোট্ট একটি রুমে শুয়ে আছেন মনোয়ারা বেগম। শরীর অনেকটা শুকিয়ে গেছে। ঠিকমত কথা বলতে পারছিলেন না তিনি। কথা বলতে গিয়ে বার বার হাঁপিয়ে উঠছিলেন তিনি।
অসহায় এই নারী বলেন, বাবা গরীব। পরের বাড়িতে থাকি। আমার টাকা পয়সা নাই। আমার খুব কষ্ট। ওষুধপত্র সেবন করতে পারছি না। ডাক্তার বলছে কিডনি ও পিত্ত পাথরের অপারেশ করাতে কিন্তু টাকার জন্য পারতেছি না। আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতায় কোন রকমে চলতেছি। মরলে বেচে যেতাম, মরিও না বাঁচিও না। মানুষের দয়ায় আল্লাহ যদি আমাকে মরন পথ থেকে বাঁচায়।
এ ব্যাপারে আখাউড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও দেবগ্রাম এলাকার পৌর কাউন্সিলর মোঃ বাবুল মিয়া বলেন, মনোয়ারা বেগমের অসুস্থতার বিষয়টি আমি অবগত আছি। যতটুকু পারি সহযোগিতা করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন জেলা বিএনপি ও যুবদল। দুপুরে আখাউড়া উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকা আখাউড়া স্থলবন্দর, কর্ণেল বাজার, ইটনা, আইরল, হাওড়া বেড়ি বাঁধ এবং বিকেলে কসবা উপজেলার প্রত্যন্ত বায়েক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বানবাসি মানুষের মাঝে এসব খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সফিকুল ইসলাম, এড. গোলাম সারওয়ার খোকন, এড. আনিসুল ইসলাম মঞ্জু, এ.বি.এম. মমিনুল হক, জেলা বিএনপি’র কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন রিপন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, আলী আজম, পৌর বিএনপির সভাপতি নজির উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপি আহবায়ক ভিপি জহিরুল ইসলাম লিটন, সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, শ্রমিক দলের সভাপতি হেফজুল বারী প্রমুখ।
জেলা বিএনপি ও যুবদলের ২ হাজার পরিবারের মাঝে চাল, তেল, ডাল, আটাসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর ব্যাগ প্রদান করা হয়।
নেতৃবৃন্দ জানান, বিএনপি জনগণের দল। বিএনপি সব সময় জনগণের পাশে ছিল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আখাউড়া ও কসবায় বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী নিয়ে এসেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কের পাশে আখাউড়া পৌরসভার ময়লার ভাগাড়। বছরের পর বছর ধরে রেলওয়ে ষ্টেশনের অদুরে রেলওয়ে ভূমিতে পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ফেলা হয়। গুরুত্বপূর্ণ আখাউড়া-চান্দুরা আঞ্চলিক সড়কের উত্তর পাশে ময়লার ভাগাড় থাকায় রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার পথচারিদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দূর্গন্ধের কারণে নাক চাপা দিয়ে পথচলতে হয় ছাত্রছাত্রীসহ সাধারণ মানুষকে। ভাগাড়ের ময়লার উৎকট দূর্গন্ধে শ্রেণী কক্ষে বসে থাকতে পারছে না শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ফলে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।
এ দূর্বিষহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রায় দেড় মাস আগে আখাউড়া পৌরসভার মেয়রের নিকট চিঠি দিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। অবগত করেছেন ইউএনও এবং শিক্ষা অফিসারকেও। কিন্তু প্রশাসনের কোন উদ্যোগ না থাকায় এ নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলছে না কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। এদিকে দূর্গন্ধে ক্লাশে বসে থাকতে অসুবিধা হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের দরখাস্তের প্রেক্ষিতে ৩ দিন সব ক্লাশ শেষ না করেই বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌরশহরের অন্তত ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। এছাড়াও আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশন এবং আজমপুর রেলওয়ে ষ্টেশন হয়ে প্রতিদিন কয়েকশত ট্রেন যাত্রী এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। দৈনন্দিক বাজার সদায়সহ বিভিন্ন কাজে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। ময়লার ভাগাড়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দূর্গন্ধে নাক চাপা দিয়ে যেতে হয়। মানুষের দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে উঠে। মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে হরিজন কলোনীর পোষা শুকুর দিনভর ময়লা-আবর্জনায় বিচরণ করার কারণে উৎকট দূর্গন্ধ আরও তীব্র হয়ে উঠে।
রেলওয়ে স্কুলের কয়েকজনের শিক্ষার্থীর সাথে কথা হয়। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্কুলের সামনে ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে দুর্গন্ধে আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে। ক্লাশে বসে থাকতে অসুবিধা হয়। অতিরিক্ত দূর্গন্ধের কারণে বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে দেওয়ার জন্য হেড স্যারের কাছে দরখাস্ত দিয়েছি।
রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়েল সিনিয়র সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রশিদ বলেন, আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনেক সমস্যার মধ্যে আছি। প্রতিদিনই কেউ না কেউ অসুস্থ বোধ করছে। আমরা পড়ালেখার জন্য নিরাপদ পরিবেশ চাই। মাহমুদুল হাসান সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্রে স্কুলের সামনে রাস্তার পাশে ময়লার দুর্গন্ধে মানুষের কষ্ট চরম পর্যায়ে চলে গেছে।
সড়ক বাজারের এক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মাসুদ রানা প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া করেন। তিনি বলেন, ময়লার ভাগাড়ের সামনে আসলে নাকে চাপা দিয়ে চোখ করে রাখি তারপরও মনে হয় বন্ধ হয়ে আসে। এগুলো আমাদের পরিবেশ খারাপ করছে। দ্রুত এগুলো অপসারণ করার দাবি করেন তিনি।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্টানের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান পলাশ পেশাগত কাজে মাঝে মাঝে আখাউড়া আসেন। তিনি বলেন, দূর্গন্ধের কারণে এই রাস্তা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। এমন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে ময়লা না ফেলে অন্যত্র ফেলা উচিত।
সুহেল খাদেম বলেন, এই দুর্বিষহ দুর্গন্ধের কারণে সুস্থ্য মানুষ অসুস্থ হয়ে যাবে। অন্তত ছাত্রছাত্রীদের সুস্থ্যতার কথা চিন্তা করে এখান থেকে ময়লা আবর্জনা সরিয়ে নেওয়া দরকার। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা জন্য পৌর মেয়রের কাছে অনুরোধ করছি।
আখাউড়া রেলওয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জামান খান বলেন, ময়লার দুর্গন্ধে ছাত্রছাত্রীরা শ্রেণীকক্ষে বসে থাকতে পারে না। দূর্গন্ধে ক্লাশ করতে অসুবিধা হয়। ছাত্রছাত্রীরা ২/৩ টি ক্লাশের পর বিদ্যালয় ছুটি দেওয়ার আবেদন করে। এজন্য ৩ দিন স্কুল ছুটি দিতে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এসএসসি পরীক্ষার আগে পৌরসভার মেয়রকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবগত করেছিলাম। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং শিক্ষা অফিসারকেও বিষয়টি অবগত করেছি। কিন্তু এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ দেখছি না।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার অংগ্যজাই মারমা বলেন, এটি পৌরসভার দায়িত্ব। আমি পৌর মেয়রের সাথে এ ব্যপারে কথা বলেছি। তিনি আশ^স্ত করেছেন এ ব্যপারে ব্যবস্থা নিবেন।
এ ব্যাপারে আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, ময়লা ফেলার জন্য আমরা জায়গা খোঁজ করছি। জায়গা না পাওয়া পর্যন্ত এখানেই বর্জ্য ফেলা হবে। পৌরসভা থেকে ব্লিচিং পাউডার দেওয়া হবে। এ সময় তিনি সাংবাদিকদেরকে সমালোচনা না করে জায়গা খুঁজে দিতে বলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ট্রেন থেকে তেল চুরির ঘটনায় মুরাদ মিয়া (২৮) নামে এক চোর গ্রেফতার হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে রেল পুলিশের অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো: এরশাদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গত সোমবার রাতে চট্টগ্রাম-ঢাকাগামী একটি কন্টেইনার ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে চুরির সময় ২১০ লিটার তেল উদ্ধার করে আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশ। এ ঘটনায় দুইজন ট্রেন ড্রাইভার, ট্রেনের গার্ড ও গ্রেফতারকৃত মুরাদ মিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা হয়। শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কোড্ডা গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মুরাদ মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আজ ১২ এপ্রিল শনিবার দুপুরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান। তিনি আরো জানান, বাকী চোরদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বিয়ের আটদিনের মাথায় স্বামীকে খুন করেছে স্ত্রী। গতকাল শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে পৌরসভার মসজিদ পাড়ায় এই হত্যাকান্ড ঘটে। পুলিশ অভিযুক্ত স্ত্রীকে আটক করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই নারী হত্যার কথা স্বীকার করে দু’টি কারণ বলেছেন।
নিহত ব্যক্তি হলো মো. হাসান মিয়া (২৮)। কুমিল্লার এই যুবক আখাউড়া পৌরসভার মসজিদ পাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। আটক নারী আখাউড়া পৌরসভার শান্তিনগর গ্রামের জান্নাত আক্তার (২৩)।
পুলিশ ভোরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনােরল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে। তবে শনিবার বেলা ১২টা নাগাদ থানায় কোনো মামলা হয়নি।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন আটক স্ত্রীর বরাত দিয়ে জানান, গত ৯ মে তাদের বিয়ে হয়। আরেকটি ছেলের সাথে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বিয়ে পর স্বামী বেশি বেশি শাররিক সম্পর্ক করলে সেটি তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না। শুক্রবার রাতে একাধিকবার শারিরিক সম্পর্কে আপত্তি জানান। স্বামী এতে রাজি না হলে কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। পরে বালিশ চাপা দিয়ে স্বামীকে হত্যা করেন।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক এম এইচ মামুন তার দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসের মাথায় সাধারন মানুষের কাছে নিজের জবাবদিহিতা তুলে ধরেন। আজ ১৩ মে মঙ্গলবার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বক্তব্য রাখার প্রায় ২০ মিনিটের মাথায় তিনি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
এ সময় উপস্থিত সুধীজন তাকে সিদ্ধান্ত বদলের অনুরোধ করেন। এম এইচ মামুন জানান, প্রাশসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন স্বচ্ছতার সঙ্গে করার। জনগনের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি কাজ করে গেছেন। কিন্তু তিনি এটাতে সময় দিতে গিয়ে নিজের পেশার ক্ষতি হচ্ছে। আরো ভালো জায়গায় যাওয়ার প্রত্যাশা তিনি করছেন।
এম এইচ মামুন আখাউড়া প্রতিবন্ধী সেবা কেন্দ্রের কনসালটেন্ট। চাকরির পাশাপাশি তিনি সড়ক বাজারে ব্যক্তিগত চেম্বারে বসেন। উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ডা. খোরশেদ আলমের ছেলে তিনি।
এম এইচ মামুন জানান, তিনি কোনো চাপে নতি স্বীকার করেননি। তাকে কোথাও কেউ চাপ প্রয়োগ করতে পারবে এমনও না। তবে একটি মহল তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়। তবে এটা তদন্তে প্রমাণ হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমি অভিযোগ নিয়ে বিচলিত ছিলাম না। তবে মর্মাহত হয়েছি।’ বিএনপি’র কিছু লোক তার পিছনে লেগেছিলো বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এ সময় উপস্থিত লোকজন এম এইচ মামুনকে দায়িত্ব না ছাড়ার জন্য বারবার অনুরোধ করতে থাকেন। এ সময তারা মামুনকে অনুরোধ করে বলেন, ‘এত স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার পর কেউ চলে যাক আমরা চাই না। এতে দুষ্টচক্র উৎসাহিত হবে।’ এ সময় কয়েকজন ইউপি মেম্বারও তাকে একই অনুরোধ করেন।