অনলাইন ডেস্ক :
দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিশেষ করে উপজেলা পর্যন্ত জাতীয় গৃহায়ন কার্যক্রম সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এম.পি।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘যত্রতত্র ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট নির্মাণের ফলে একদিকে কৃষিজমি হ্রাস পাচ্ছে অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এজন্য বিভাগ, জেলা ও উপজেলার পাশাপাশি প্রান্তিক জনপদের আবাসন পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব হওয়া প্রয়োজন।
মফস্বলে পরিবেশবান্ধব ও পরিকল্পিত আবাসন নিশ্চিত করতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত করা প্রয়োজন এবং এজন্য শিগগিরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
কর্মক্ষেত্র অকারণে কালক্ষেপন না করে সাধারণ মানুষের স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে বিদ্যমান আইন মেনে যে কোনো সিদ্ধান্ত দ্রুততার সঙ্গে নেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জাগৃক সদস্য (ইঞ্জিনিয়ার) মোসলেহ উদ্দিন গ্রিন বিল্ডিং টেকনোলজি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, উচ্চ আমদানি শুল্কের কারণে প্রাকৃতিক পাথরের মূল্য দেশীয় বাজারে অনেক বেশি।
অন্যদিকে সিমেন্ট শিল্পের স্বার্থে যেসব পাথর আমদানি করা হয় সেসব পাথরের আমদানি শুল্ক কম হওয়ায় বাজারে এর মূল্য অনেক কম। ফলে বেসরকারি নির্মাণ শিল্পে এসব নিম্নমানের পাথর ব্যবহারের ফলে কম স্থায়িত্বের ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণ দিন দিন বাড়ছে। এজন্য গণপূর্তের রেট সিডিউলে রেডিমিক্স কংক্রিট ও পরিবেশবান্ধব ব্লকের অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন। তাছাড়া বর্তমানে দেশীয় অনেক ইলেকট্রনিক সামগ্রী প্রস্তুতকারী সংস্থা লিফটসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্র মেকানিক্যাল সামগ্রী প্রস্তুত করে থাকে।
কিন্তু গণপূর্তের রেট সিডিউলে অন্তর্ভুক্ত না থাকার কারণে সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে এসব পণ্য ক্রয়ের সুযোগ নেই। রেট সিডিউলে এসব দেশীয় পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করা সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।
প্রত্যুত্তরে মন্ত্রী এসব প্রস্তাবনা লিখিত আকারে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য বলেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অর্গানোগ্রাম হালনাগাদ করার দাবি উত্থাপন করলে মন্ত্রী এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান এমডিসির সভাপতিত্বে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজি ওয়াছি উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে ডেস্ক :
তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন সাবেক বিএনপি নেতা ও মন্ত্রী প্রয়াত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মেয়ে ব্যারিস্টার অন্তরা সেলিমা হুদা। বাবার মৃত্যুতে তার প্রতিষ্ঠিত দলটির চেয়ারম্যানের শূন্য আসনে বসতে যাচ্ছেন অন্তরা।
নাজমুল হুদার প্রেস সচিব তারেক হোসেনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা মৃত্যুবরণ করেন। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা মারা যাওয়ায় তার পদটি শূন্য হয়ে আছে। এমতাবস্থায় গঠনতন্ত্র মোতাবেক ৯০ দিনের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের শূন্য পদটি পূরণ করার বিধান রয়েছে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, গত ২২ মার্চ এক জরুরি সভা ও আজ ৫ মে শুক্রবার সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নতুন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদটি পূরণ করা হয়। আগামীকাল (শনিবার) এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে দেশবাসীকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নাম প্রকাশ করা হবে।
দলীয় সূত্র বলছে, বৈঠকে সবাই চেয়েছিল নাজমুল হুদার স্ত্রী সিগমা হুদা দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হোন। কিন্তু সিগমা হুদা চান, মেয়ে বাবার প্রতিষ্ঠিত দলের চেয়ারম্যান হোক।
তৃণমূল বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার দুপুর ১২টায় সাইনপুকুর, স্যুট, বাসা নম্বর-৮/সি, রোড নম্বর-১৪৩, গুলশান-১ (শ্যুটিং ক্লাব ও এসিসিএল ক্লাবের সামনে) তৃণমূল বিএনপির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতারা।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নাজমুল হুদার তৃণমূল বিএনপিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দলটিকে প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ‘সোনালি আঁশ’। তখন নাজমুল হুদা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। দলটি নিবন্ধন পাওয়ার পরই মারা যান তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ইউএন সিস্টেম অফ এনভায়রনমেন্টাল ইকোনমিক অ্যাকাউন্টিং-এর ফ্রেমওয়ার্ক এবং এ সংশ্লিষ্ট থিমেটিক এরিয়াসমূহের বিবেচনায় সরকার প্রাকৃতিক সম্পদের হিসাব প্রণয়নের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। পরিবেশ পরিসংখ্যান প্রণয়নের জন্য বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এ সংক্রান্ত একটি সেল গঠন করেছে। এ সেলের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, দুর্যোগ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রণয়ন করছে।
আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁও পরিসংখ্যান ভবনে ‘ন্যাচারাল রিসোর্স একাউন্টস আন্ডার সিস্টেম অন এনভায়রনমেন্টাল ইকোনমিক একাউন্টিং ইন ফোকাসিং ল্যান্ড এন্ড ফরেস্ট একাউন্টস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, এনডিসির সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তৃতা করেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ রিপ্রেজেনটেটিভ জিয়াওকুন শি এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র উপমহাপরিচালক পরিমল চন্দ্র দাস প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের পরিচালক সাদ্দাম হোসেন খান।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন ও পরিবেশ পরস্পর অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। প্রকৃতির সুরক্ষায় আমাদের আন্তরিক হতে হবে।
পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেগোসিয়েশনের জন্য বিবিএস-এর পরিবেশগত কার্যক্রম হতে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এসডিজি, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, পারসপেক্টিভ প্ল্যান, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০, মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান প্রভৃতি বাস্তবায়নে টেকসই পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নে ন্যাচারাল রিসোর্স অ্যাকাউন্টস এবং এতদসংক্রান্ত আরো পরিবেশ পরিসংখ্যান অতীব জরুরি, যা বিবিএস প্রণয়ন করবে।’ পরিবেশ পরিসংখ্যান প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, সংস্থাকে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, ‘প্রাকৃতিক সম্পদের জরিপ বিষয়টি আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতোভাবে জড়িত, একটি বাঁচা-মরার বিষয়।
পরিবেশ পরিসংখ্যান প্রণয়নে জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যভাণ্ডার আরো সমৃদ্ধ হবে। এটি হবে জীবন রক্ষাকারী কাজ হবে। সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগে এ কাজ সফল করতে হবে।’ প্রাকৃতিক সম্পদের জরিপ প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের গেজেট প্রকাশে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষা করেনি। ২৮ এপ্রিল সোমবার রাজধানীর উসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ডিএসসিসির নতুন মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের গেজেট প্রকাশে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষা করেনি ইসি। তাদের সাংবিধানিক অধিকারের মাধ্যমেই তারা তাদের মত প্রকাশ করেছে।
এ সময় ড. আসিফ নজরুল বলেন, মেজর সিনহা হত্যা মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। মন্ত্রণালয়ের সেখানে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। এছাড়া যারা উদ্দেশ্য ও হয়রানিমূলক মামলা করছে তাদের বিষয়ে সরকার নজর রাখছে। কোনো লিগ্যাল ইস্যু না পেলে মামলা থাকবে না। যারা এমন মামলা করে তাদের চেহারা উন্মুক্ত করা করতে হবে।
দেশে প্রতি বছর ৫ লাখ মামলা হয় জানিয়ে উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, মামলার জট কমাতে পরিকল্পনা করছে সরকার। ছোট ছোট মামলার জন্য লিগ্যাল এইড সংস্থায় যাওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে। এই সংস্থার নাম পরিবর্তন করে ছোট করে রাখা হবে। খুব সহজে যোগাযোগের জন্য একটা সহজ নম্বর থাকবে। লিগ্যাল এইড সংস্থায় ৪০ শতাংশ মামলা নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে। জেলায় থাকবেন তিনজন বিচারক।
প্রসঙ্গত, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নতুন মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের নাম ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে কমিশন গেজেট জারি করে।
অনলাইন ডেস্ক :
সংস্কৃতি চর্চায় প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সংস্কৃতি চর্চায় তৃণমূল থেকে মেধাবীদের খুঁজে বের করতে হবে। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে; ব্যবহার করতে হবে জাতীয় পর্যায়ে।
আজ ৪ জুলাই মঙ্গলবার সকালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও একটি সমাপ্ত প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মূল অনুষ্ঠানটি জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেকোনো দেশ বা যেকোনো জাতির সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করতে গেলে সংস্কৃতির ওপরেই আঘাত করা হয়। আমাদের সেই জায়গায় আঘাত করেছিল পাকিস্তানি শাসকরা। ১৯৪৮ সালে সেই আঘাত আসে। তারা বলেছিল- বাংলা ভাষায় কথা বলা যাবে না, উর্দু ভাষায় কথা বলতে হবে। তারা নানাভাবে আমাদের মাতৃভাষার অধিকারটা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমাদের সংস্কৃতিটাই ধ্বংস করতে চেয়েছিল। আমরা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধরে রাখলে ও বিকশিত করলে এর মাধ্যমেই দেশ এগিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, আজকের বিশ্ব প্রযুক্তির বিশ্ব। আমাদের সাংস্কৃতিক চর্চায় প্রযুক্তিকে সম্পৃক্ত করে আধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন জাতি হিসেবে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে গড়ে তুলতে চাই। সেদিকে লক্ষ্য রেখে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমকে (শিউলি আজাদ) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৬ অক্টোবর রোববার রাতে ঢাকার নিকেতনের বাসা থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাঁকে গ্রেফতার করে। রাতেই তাঁকে সরাইল থানা পুলিশের জিম্মায় দেয়া হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রাজ্জাক। আজ ৭ অক্টোবর সোমবার সকালে তিনি বলেন, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আমাদের জিম্মায় রয়েছেন। আজ তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
তিনি বলেন, ৩ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানায় করা একটি হত্যা মামলায় উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি ওই মামলার ৪ নম্বর আসামি। সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা সুলতান উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে ২০২১ সালের ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় সরাইল বিশ্বরোড মোড় এলাকায় আসামিদের গুলিতে নিহত হন উপজেলার কাটানিশার গ্রামের মুজান মিয়ার ছেলে লিটন মিয়া (২৭)। তিনি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন। ওই ঘটনায় মামলা করেন সুলতান উদ্দিন।
উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি প্রয়াত এ কে এম ইকবাল আজাদের সহধর্মিনী।