চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্তাজ আলীর লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার বাদ জোহর রাজাপুর চকবাজার সংলগ্ন মাঠে জানাযা শেষে গ্রামের প্রধান কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়। এর আগে সরাইল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেজবা উল আলম ভূঁইয়া ও সরাইল থানার সাব ইন্সপেক্টর জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ কর্মকর্তা মন্তাজ আলীর লাশকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়েছেন।
এ সময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আনোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: মরম আলী উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ওজনে কম দেয়ায় মেসার্স ভূইয়া ফিলিং স্টেশন নামক একটি পাম্পকে ১লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল রবিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ইকরামুল হক নাহিদ ও বিএসটিআই কুমিল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভ্রাম্যমান আদালত কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল উপজেলার বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থিত মেসার্স ভূইয়া ফিলিং স্টেশন নামক একটি পাম্পকে অভিযান চালিয়ে এই অর্থদন্ড করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, এই পাম্পে প্রতি ৫ লিটারে ডিজেল ও অকটেন ডিসপেন্সিং ইউনিটে যথাক্রমে ৫০ মি.লি. এবং ৯০ মি.লি. কম প্রদান করায় ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন, ২০১৮ এর ৪৬ ধারায় এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। উক্ত ডিসপেন্সিং ইউনিট দুইটি উল্লে¬খিত আইনের ১৫(৩) ধারায় এই অর্থদন্ড করা হয়।
এসময় বিএসটিআই কুমিল্লা অফিসের প্রসিকিউটর হিসেবে অফিসের কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান, পরিদর্শক (মেট্রোলজি) উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে উপনির্বাচনে আইনি প্রক্রিয়ায় মনোনয়ন পত্র বাতিল হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ ইব্রাহিম সমর্থন জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে। আজ ১৫ অক্টোবর রবিবার বিকালে সরাইল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি এ সমর্থন ব্যক্ত করেন।
সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুলের সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী মোঃ ইব্রাহিম। বক্তব্যে তিনি বলেন, সব নিয়ম কানুন মেনে উপনির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গত ১১ অক্টোবর মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে জমা দেন। পরদিন জেলা রিটার্নিং অফিসার এর কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই শেষে ভূয়া স্বাক্ষর ও মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর দেওয়ার অভিযোগে তার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়।
আইনগত প্রক্রিয়ায় তার প্রার্থীতা বাতিল হওয়ার কথা স্বীকার করে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সমর্থন দিয়ে বলেন, আমার দাদা জাতীয় পার্টি করতেন। এর ধারাবাহিকতায় আমার বাবাও জাতীয়পার্টি করে গেছেন।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় পার্টিতে আমার পদ পদবী নেই। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলাম। আগামীতে জাতীয় পার্টির পদ-পদবী নেওয়ার চেষ্টা করে পরবর্তীতে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইব।
এ সময় জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এডভোজেট আব্দুক হামিদ খান ভাসানীসহ প্রেসক্লাবের অন্যান্য সংবাদকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসনে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ৬ বার এমপি ছিলেন। এছাড়াও একবার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যুতে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) আসনটি শূন্য ঘোষণা করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে মোট ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এদের মধ্যে যাছাই বাছাইয়ে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, স্বতন্ত্র পদে সাবেক দুইবারের এমপি এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী, এনপিপি’র রাজ্জাক হোসেন ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম এই ৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ ইব্রাহিম মিয়া এর প্রার্থীতা অবৈধ বলে ঘোষনা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ নভেম্বর এ আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
দোয়া, সহযোগিতা ও বিপুল ভোটে নির্বাচিত করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের সর্বস্তরের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহিরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মঈন উদ্দিন মঈন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ১৩ এপ্রিল উপজেলার শাহজাদাপুর গ্রামে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে কামাল মিয়াকে (৫৫) হত্যার ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার ভোররাতে র্যাব-৯-এর, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানির একটি দল সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, শাহজাদাপুর গ্রামের বলু মিয়ার ছেলে মাসুক মিয়া (৪০), একই এলাকার ছোলমান শিকদারের ছেলে কাসেম শিকদার (৪০), ছারু শিকদার (৩৫), নান্নু মিয়ার ছেলে অহিদ মিয়া (৪৫), ছুর রহমানের ছেলে শাহদত খাঁ (৪০), মৃত মিয়া বালীর ছেলে খোকন মিয়া (৪০), শানু মিয়া (৩৮), সুজন মিয়া (৩২), মৃত ছুর রহমানের ছেলে সুজন মিয়া (৪০), মৃত জলফু মিয়ার ছেলে বিল্লাল মিয়া (৪০), মোজাম্মেল সরকারের ছেলে নছরু সরকার (৩৬) ও মৃত বলু মিয়ার ছেলে ছাদেক (৩৫)।
নিহত কামাল মিয়া শাহাজাদাপুর গ্রামের শাহাদাৎ আলীর ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-৯-এর সিলেট সদর দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ১৩ এপ্রিল শাহজাদাপুর গ্রামের দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে কামাল মিয়া খুন হন।
এ ঘটনায় গত ১৫ এপ্রিল নিহতের ছেলে তোফায়েল মিয়া বাদী হয়ে ১১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫০/৫৫ জনের নাম উল্লেখ করে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন (মামলা নং- ২২/৮৯)। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি মিডিয়ার মাধ্যমে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় র্যাব-৯- ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ভোররাতে গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোম্পানির একটি অভিযানিক দল মামলার এজাহারভুক্ত ১২জন আসামিকে গ্রেফতার করে। পরে আসামিদেরকে সরাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী মনোমুগ্ধকর লাঠি খেলা। লাঠি খেলার আয়োজনকে ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে ছিল উৎসবের আমেজ। আজ ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়েনের তেরোকান্দা গ্রামের একটি বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী এই প্রাচীন খেলা।
খেলায় ঢাক, ঢোল আর কাঁসার ঘন্টার শব্দে চারপাশে উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বাদ্যের তালে তালে নেচে নেচে লাঠি খেলে অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে তরুণ ও বর্ষিয়ান লাঠিয়ালরা। তারপরই চলে লাঠির কসরত। প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা ও তাকে আঘাত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন লাঠিয়ালরা।
এসব দৃশ্য দেখে আগত দর্শকরাও করতালির মাধ্যমে উৎসাহ যোগায় খেলোয়াড়দের। কালক্রমে হারিয়ে যাওয়া লাঠি খেলা দেখতে ভিড় করে নানা বয়সের নারী-পুরুষ। গ্রামীন এ ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলাকে টিকিয়ে রাখতে দরকার প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা এমনটাই মনে করেন দর্শনার্থীরা। বিকেল থেকে সন্ধ্যা অবধি চলা লাঠিখেলায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কয়েকটি লাঠিয়াল বাহিনী অংশগ্রহণ করে।