চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ৯২ কেজি গাঁজাসহ একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করেঝে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকেরা।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ৭টায় কসবা উপজেলার কুটি গ্রামের রাস্তার উপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এ সময় গাঁজাবহনকারি একটি রেজিষ্ট্রেশনবিহীন পিকআপ জব্দ করা হয়। অভিযান টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন উপলক্ষে কসবায় পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেছেন বিজিবি’র কুমিল্লা সেক্টর সদর দপ্তরের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল রেজাউল কবির পিবিজিএম।
আজ ৭ অক্টোবর সোমবার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শ্রী শ্রী গোবিন্দ জিউর মন্দিরসহ অন্যান্য মন্দির ও পুজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শকালে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন ৬০ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল জাবের বিন জাব্বার পিএসসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ কসবা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের স্বপন, আখাউড়া প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বিসহ গোবিন্দ জিউর মন্দির পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
কসবা সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনে বিজিবির পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরপত্তা দেয়ার আশ্বাস দেন সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল রেজাউল কবির। এসময় তিনি নির্বিঘ্নে পুজা উদযাপনে এলাকার সচেতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।
কসবা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রতন চন্দ্র সাহা জানান, পূজা উদযাপনে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। কসবায় এ বছর ৪১টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আনসারবাহিনী মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন এর তত্ত্বাবধানে একটি কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বিএনপি-জামায়াত বন্ধ করার চেষ্টা করবে। আপনারা এক বাক্যে বলে দেবেন, আমরা নির্বাচন বন্ধ করার চেষ্টাকে মানিনা। আপনারা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। সারা বিশ্ব দেখতে চায় আপনারা আমাদের ভালবাসেন কিনা?’
আজ ৩১ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে কসবা উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের জয়নগর বাজারে নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি পেছনের দরজা ছাড়া আর কিছু বোঝেনা। তাই তারা অজুহাত দেখিয়ে নির্বাচনে আসেনি। ২০১৪ সালে বিএনপি জামায়াতের বাধার মুখে ভোট হয়েছে, ২০১৮ সালেও হয়েছে। দেশে-বিদেশে তা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ১৯৯৬ সালে বিএনপি একটি প্রহসনের নির্বাচন করে সরকার গঠন করেছিল, যা আন্দোলনের মুখে দেড় মাসও টেকেনি।’
দেশকে পিছিয়ে নেওয়ার সুযোগ না দিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার সুযোগ দেবেননা আপনারা। দেশকে যাতে এগিয়ে নেওয়া যায় সেই চেষ্টা করতে হবে। আপনারা আমাদের ভোট দিয়ে সেই সুযোগই সৃষ্টি করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল বানিয়েছেন। আমরা চাই বাংলাদেশ আরও উন্নত হোক। আমরা চাই ২০৪১ সালে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নত বাংলাদেশের মর্যাদা লাভ করুক। আপনাদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ তাই হবে ইনশাআল্লাহ।’
জনগণের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা আমাকে ভালবাসেন এবং আমিও আপনাদেরকে ভালবাসি এটা বলার প্রয়োজন নেই। আমি আপনাদের সেবক, ছোটদের অভিভাবক। আপনারা আমাকে ভালবাসেন এই গণসমাবেশ আপনাদের উপস্থিতিই তা প্রমাণ করে। তাই আপনারা সকলে ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।’
গোপিনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদিরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভুঁইয়া জীবন, পৌর মেয়র গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি কাজী আজহারুল ইসলাম ও রুহুল আমিন ভুঁইয়া বকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল আজিজ, সাবেক পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই এমপি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (গৃহায়ণ ও গণপূর্ত) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনের আনিসুল হক তৃতীয়বারের মতো (আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়) এর মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। জেলায় দুই জন পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী পেয়ে উচ্ছ্বসিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, এ দুই মন্ত্রীর হাত ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা উন্নয়নে এগিয়ে যাবে।
১৯৮৪ সালে মহকুমা থেকে জেলায় রূপান্তরিত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। প্রায় ৩৫ লাখ জনসংখ্যার এ জেলায় অন্যান্য জেলার তুলনায় উন্নয়ন তেমন হয়নি। এবার দু’জন মন্ত্রী পাওয়ায় জেলাবাসীর প্রত্যাশা অনেক বেড়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য বলেন, দুই মন্ত্রী পেয়ে আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত। আশা করি আমাদের জেলা তাদের হাত ধরে স্মার্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া হিসেবে গড়ে উঠবে।
প্রত্যাশার কথা জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার বলেন, আমাদের প্রত্যাশা দীর্ঘদিনের। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির যে ফারাক ছিল তা এবার পূরণ হবে বলে আশা করি।
সামাজিক সংগঠন তরী বাংলাদেশের আহ্বায়ক শামীম আহমেদ বলেন, একজন পরিবেশকর্মী হিসেবে আমার অনুরোধ থাকবে, নদী-প্রকৃতি সুরক্ষা করেই যেন সব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।
শফিকুল ইসলাম বাদল, নবীনগর :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় মূল্য গ্রাম ইউনিয়নের বাউরখন্ড মঈনুল চেয়ারম্যানে এর বাড়ি সংলগ্নে ফসলি জমির মাঝখানে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। এতে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়ে হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের জমিগুলো।স্থানীয় কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এক প্রভাবশালী ব্যক্তি তার মালিকাধীন জমি থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। যার চারদিকে অনেক কৃষকের জমি রয়েছে। অনেক বার নিষেধ করার পরও তিনি কারও কথা তোয়াক্কা করছেন না। ফলে আশপাশের ফসলি জমিগুলো ভেঙ্গে বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অবৈধ ড্রেজার দ্বারা ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। ২৪ মে শনিবার সরেজমিন মূল্য গ্রাম, বাউরখন্ড গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ফসলি জমির মাঝখানে বসানো হয়েছে ড্রেজার মেশিন। এ মেশিনের মাধ্যমে খনন যন্ত্রের সাহায্যে তোলা হচ্ছে বালু। সে বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে তিন ফসলি জমি। ফলে আশপাশের অন্যান্য জমিগুলোর আইল ভাঙ্গনসহ বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এর আগেও বেশ কয়েকটি ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন করে পুকুর বানানো হয়েছে।
নাম গোপন রাখার স্বার্থে স্থানীয় বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, প্রভাবশালী ব্যক্তি কাউকে তোয়াক্কা না করেই দিনে রাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। এতে কোনো কৃষকই ফসল করতে পারবে না। এরফলে প্রভাবশালী ব্যক্তিই লাভবান হবেন। কারণ, তিনি পুকুর বানিয়ে মাছ চাষ করবেন। কিন্তু আশপাশের কোনো কৃষক লাভবান হবেন না। ড্রেজার দিয়ে অতিরিক্ত মাটি কাটার ফলে জমি গভীর হয়। ফলে অন্য জমিগুলোর পাড় ভেঙ্গে যায়। এই চক্রটি প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এই কাজটি করছে। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে কৃষকদের ফসলি জমিগুলো যাতে রক্ষা করা হয়।এ বিষয়ে প্রভাবশালী জমির মালিকানাধীন বলেন, আমি এখানে পুকুর বানাবো, মাছ করবো সেজন্য বালু উত্তোলন করছি। আরো বলেন আমি কার অনুমতির প্রয়োজন মনে করি না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অবৈধ লিজার ব্যবসায়ী এরশাদ মিয়া ও ইয়াসিন জানান, আমরা এসিল্যান্ডসহ উপরের লেভেলের সবকিছুই ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন ও বিভিন্ন জায়গাতে বালু মাটি বিক্রি করে থাকি। এ বিষয়ে কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ছমিউল ইসলাম বলেন, আমি দুদিনের জন্য ট্রেনিংয়ে চলে আসছি, আপনি কসবা থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করুন।
চলারপথে রিপোর্ট :
২১ মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা ও আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন।
দুই উপজেলার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯ হাজার ২৩৬ জন।
ইতিমধ্যেই ভোট গ্রহনের সকল প্রস্ততি গ্রহন করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আজ ২০ মে সোমবার দুপুরে কসবা ও আখাউড়া উপজেলার ১২৯ টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। স্ব স্ব উপজেলার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ সময় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে দুটি উপজেলার ১২৯ টি ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট বাক্স, সীলসহ নির্বাচনী সরাঞ্জাম বুঝিয়ে দেয়া হয়। পরে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এসব সরাঞ্জাম পৌছে দেয়া হয়।
তবে ২১ মে মঙ্গলবার ভোর থেকে কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার পৌছে দেয়া হবে। দুই উপজেলার ১২৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৭৬ টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে কসবা উপজেলার ৮৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৫০টি এবং আখাউড়া উপজেলার ৪৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ২৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
জেলা পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, অফিসারসহ দুই উপজেলায় ১০২৯জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও কসবা উপজেলায় মোবাইল টীম ৩৩টি, স্ট্রাইকিং টীম ২টি, স্ট্যান্ডবাইটীম ১টি স্পেশাল মোবাইল টীম ১৫টি থাকবে।
আখাউড়া উপজেলায় মোবাইল টীম ২০টি, স্ট্রাইকিং টীম ২টি, স্ট্যান্ডবাইটীম ১টি স্পেশাল মোবাইল টীম ১২টি থাকবে। এছাড়াও র্যাব, বিজিবি, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন।
এ ব্যাপারে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, নির্বাচনে আইন শৃংঙ্খলা রক্ষায় বিপুল পরিমান পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট এবং জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেটগণ দায়িত্ব পালন করবেন।