চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌর শহরের খৈয়াসার এলাকায় অবস্থিত ৭তলা বিশিষ্ট সালমা-সাঈদ তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসা ভবন থেকে পালাতে গিয়ে ছয়তলার পাইপে আটকে থাকা মোঃ জহিরুল ইসলাম (১০) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা।
স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে আজ ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার আলমগীর হোসাইন জহিরুলকে উদ্ধার করেন।
উদ্ধারকৃত জহিরুল ইসলাম সরাইল উপজেলার আবদুল করিমের ছেলে। শিশু জহিরুল ইসলাম সালমা-সাঈদ তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার নাজেরা শাখার ছাত্র।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ফায়ার ফাইটার আলমগীর হোসাইন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা ওই বহুতল বিশিষ্ট মাদ্রাসা ভবনে গিয়ে ছয়তলার পাইপে আটকে থাকে জহিরুল ইসলামকে উদ্ধার করি। দীর্ঘ ১ ঘন্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সালমা-সাঈদ তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ বায়েজিদ আহমেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি এই মাদ্রাসা থেকে পালাতে গিয়ে সবুজ নামে নাজেরা শাখার এক ছাত্র ছয়তলার পাইপে আটকে গিয়েছিলো। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা সবুজকে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করেছিলো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “আমাদের নার্স, আমাদের ভবিষ্যৎ। অর্থনৈতিক শক্তি, নার্সিং সেবার ভিত্তি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে আজ ১২ মে রবিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল পৃথক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল নয়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তারের নেতৃত্বে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্সের শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অংশ গ্রহনে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টর সালাউদ্দিন মাধবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাহমুদা আক্তার।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা ও প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার শাহাদৎ হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রতীকি ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসরাত জাহান।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহকারী জেলা পাবলিক হেলথ নার্স মোঃ সাইজুদ্দিন ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ মিয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, নার্সিং এখন শুধুই পেশা নয়, সেবা। ছোটবেলায় নার্সিং এর প্যারাগ্রাফ মুখস্ত করতাম। কিন্তু এর গুরত্ব এখন বুঝতে পারি। পুলিশের কাজের সঙ্গে নার্সদের কাজের মিল রয়েছে। রাস্তায় বা বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা কোনো মৃত মানুষ বা পচন ধরা মৃতদেহকে কেউ না ধরলেও পুলিশকে ধরতে হয়। একইভাবে কোনো রোগীকে কেউ হাত না দিলেও নার্সকে ধরতে হয়। নার্সরা সেবার মহান কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের জন্য শুভ কামনা রইল।
পরে বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমিতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়া (সিএসআই) আয়োজিত ‘৭৫তম প্লাটিনাম জুবিলী বার্ষিক কার্ডিওলজিক্যাল কনফারেন্স-২০২৩’-এ যোগ দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও কার্ডিয়াক কনসালটেন্ট ডা. মুহাম্মদ আব্দুল মতিন (সেলিম) ভারত গেছেন।
ইউরোপীয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজিক্যাল এর মেম্বার ডা. মতিনকে বার্ষিক এই কনফারেন্সে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়া (সিএসআই)।
৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে ভারতের কলকাতার আইটিসি রয়্যালে শুরু হওয়া এ বার্ষিক কনফারেন্স শেষ হবে ১০ ডিসেম্বর। কনফারেন্সে যোগ দিতে আজ ৬ ডিসেম্বর বুধবার কলকাতার উদ্দেশ্যে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। ২০২২ সালে ভারতের চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক কার্ডিওলজিক্যাল কনফারেন্সেও অংশগ্রহণ করেছিলেন ডা. মতিন।
এবারের কনফারেন্সে ইউরোপীয়ান কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি, আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন, ইন্ডিয়ান কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটির সদস্যসহ বাংলাদেশসহ বিশ্বের সাড়ে ৫ হাজার কার্ডিলওজিস্ট অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া ইন্ডিয়ান কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটির আমন্ত্রণে বাংলাদেশের খ্যাতনামা কার্ডিওলজিস্টগণও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করবেন।
বার্ষিক কনফারেন্সে হৃদরোগ চিকিৎসায় আধুনিকবিজ্ঞানের নবতম সংযোজন, সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিবিদ্যার ব্যবহার, হৃদরোগের জটিল বিষয় নিয়ে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করাসহ হৃদরোগের সমসাময়িক চিকিৎসা বিজ্ঞানের নানা দিক নিয়ে পর্যালোচনা করেন বিশ্বের খ্যাতনামা কার্ডিওলজিস্টগণ। কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করা চিকিৎসকগণ লব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে হৃদরোগীদেরকে বিশ্বমানের সেবাদানে সক্ষমতা অর্জন করেন এবং এতে রোগীরাও আগের তুলনায় আরও বেশি উপকৃত হন। কনফারেন্স উপলক্ষে চিকিৎসকদের আগমণ ও অবস্থান প্রতিবছর কার্ডিওলজিস্টদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ জাঙ্গাল গ্রামের কৃতি সন্তান ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মতিন (সেলিম)। আশুগঞ্জ পূর্ব বাজার দারুল উলুম হাফেজিয়া কোরআনিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক হাফেজ মো. আব্দুর রহিমের ৫ সন্তানের সর্বকনিষ্ঠ মোহাম্মদ আবদুল মতিন (সেলিম) নিজের দক্ষতায় রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপ-২০১৮ এর ডোপিং কন্ট্রোল টিমে একমাত্র বাংলাদেশি ‘ডোপিং কন্ট্রোল চ্যাপেরন’ হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। এর আগে ২০০৪ সালে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে একজন সৌভাগ্যবান হিসেবে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন ডাক্তারি পড়তে। তিনি রাশিয়ার রুস্তভ স্টেইট ইউনিভার্সিটি থেকে এমডি ও ক্লিনিক্যাল অরডিনাটুরা কোর্স সম্পন্ন করেন সেইন্ট পিটার্সবার্গ শহরেরই ঐতিহ্যবাহী নর্থ ওয়েস্টার্ন স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি’তে। একই শহরের পাত্রোভ্সকায়া এলাকার সিটি হসপিটালে কার্ডিওলজি ডিপার্টমেন্টের হার্ট স্পেশালিস্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন প্রায় দুই বছর। এরপর একের পর এক সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে পৌঁছে গেছেন নিজের কাঙ্ক্ষিত সীমানায়। সেই সঙ্গে রাশিয়ার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ইভেন্টে দেশের পতাকাকে তুলে ধরেছেন নানাভাবে। রাশিয়া বিশ্বকাপ-২০১৮ এর ফিফা ও অর্গানাইজেশন কমিটির বিভিন্ন অডিশনে অংশ নেন এবং রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপে ‘ডোপিং কন্ট্রোল’ টিমের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মতিন (সেলিম) বলেন, ২০২২ সনে চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক কনফারেন্সে বিশ্বের নামি-দামি কার্ডিওলজিস্টদের সঙ্গে আমিও অংশগ্রহণ করেছিলাম। এবারও আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আশা করি, কনফারেন্স থেকে লব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সারা দেশের হৃদরোগীদেরকে আরও সহজভাবে মানসম্মত চিকিৎসা দিতে সক্ষম হব।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ (বিআরডিবিভুক্ত) ৫১তম বার্ষিক সাধারণ সভা ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুরে দিকে সদর উপজেলার বীজ প্রত্যয়ন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিআরডিবির উপ-পরিচালক মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ইউসিসিএ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোঃ আবু কাউছারের সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ আজিজুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার সৈয়দ ইয়াছিন।
বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ফরহাদ হোসেন, জুনিয়র অফিসার (হিসাব) মোঃ মুক্তার হোসেন, সদর ইউসিসিএ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতি তোফায়েল আহম্মেদ মোল্লা, জয়নাল আবেদীন, সদস্য মোঃ আবু কাউসার, মোঃ এলেম খাঁ, নূর মোহাম্মদ খলিফা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিআরডিবির উপ-পরিচালক মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে। সরকার বিআরডিবির মাধ্যমে গরিব মানুষের মধ্যে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করছে। কেন্দ্রীয় সমিতি একটি দুধের গাভীর মতো, তার দুধ খাও, মাংস খেওনা। এই কথাটাকে হৃদয়ে উপলদ্ধি করতে হবে। ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাদের ঋণের টাকা যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে সে টাকা আবার সঠিক সময়ের মধ্যে ফেরত দেয় তা নিশ্চিত করতে হবে। গ্রামীন জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিআরডিবি নিরলসভাবে কাজ করছে। সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সকলকে এক সাথে কাজ করতে হবে। বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রায় শতাধিক সমবায়ী অংশ নেয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হবে। এই লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন।
তিনি গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘরে ১১নং এবং ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আহবায়ক আবদুল আওয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির সমস্যাটি বৈশ্বিক। সরকার দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ করার জন্যে কাজ করছে।
তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরে, দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য আগামী নির্বাচনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়ী করার আহবান জানান।
জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার মোঃ আঃ কুদদূস এর কাব্যগন্থ মঞ্জুকেশিনী’র মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে হেমন্ত বই পার্বণ শিরোনামে একটি নান্দনিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে ২৫ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৬.০০ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মডেল গার্লস স্কুল প্রাঙ্গণে-সৃজনশীল সাহিত্যচর্চার পাঠশালা নির্ঝর এর উদ্যোগে হেমন্ত বই পার্বণ শিরোনামে এক অনুষ্ঠানের আযোজন করা হয়।
এতে দেশবরেণ্য কবি-লেখকগণ অংশগ্রহন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির ছিলেন এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। স্বাগত বক্তব্যে দেশবরেণ্য বাচিকশিল্পী কবি ও সাংবাদিক মো. মনির হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার আঃ কুদদূস এর বিগত দুই বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় তাঁর গৃহীত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মযজ্ঞ তুলে ধরেন।
অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মাহমুদুর রহমান. সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন, সাবেক সাবেক যুগ্ম সচিব মো. সানাউল হক, কবি জয়দুল হোসেন, অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারি, পৌর পরিষদের কাউন্সিলর, সুশীল সমাজ. কবি-লেখক, সাংবাদিক, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
তিতাস সাহিত্য সংগঠণের পরিচালক বাছির দুলালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দ্বৈত আবৃত্তি পরিবেশন করেন হাবিবুর রহমান পারভেজ ও শারমিন সুলতানা। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন আসিফ ইকবাল খানের নেতৃত্বাধীন আনন্দলোক এর শিল্পীবৃন্দ।
শিশির স্নাত সন্ধ্যায়, হেমন্তের চাঁদনী রাতে খেজুর গুড়ের শীতের পিঠা, পায়েস আর চায়ের আড্ডার সাথে গান কথা কবিতার এই মিলনমেলা মনে রাখার মতো স্মৃতির সরোবরে স্থান করে নিয়েছে।
প্রসঙ্গত: ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার আঃ কুদদূস এর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধান নির্বার্হী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের গতকাল ২৫ নভেম্বর ছিলো দুই বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর পক্ষে তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লার নেতৃত্বে মোশরাফ হোসেন বেলাল ও মোজাম্মেল হক।