চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে মাটি চাপায় এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উচালিয়া পাড়া ফসলি জমির মাঠে এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শ্রমিক হলেন মো. সবুজ মিয়া (আকরাম) (১৫)।
তিনি মাধবপুর উপজেলা ধর্মকান্দি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের শিয়ালরি গ্রামের মো. হারুন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা ইসলামাবাদ গোগদ এলাকার ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার কাজে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন সবুজ। প্রতিদিনের মতো সোমবার উচালিয়াপাড়া ফসলি জমির মাঠে (মুইনার) এলাকায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি কাটার সময় পাড় ভেঙ্গে মাটি ধসের ঘটনা ঘটে। এসময় মাটির নিচে চাপা পড়ে সবুজকে তারা উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
সরাইল থানা পরিদর্শক তদন্ত আ. স. ম আতিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পর পুলিশ পাঠিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে লাশ উদ্বার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ড্রেজারে মাটি চাপায় মৃত্যু হতে পারে। নিহত শ্রমিক সবুজের নানার বাড়ি ইসলামাবাদ থেকে পুলিশ লাশ থানায় নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেললাইনে বসে মোবাইলে ব্যস্ত ৩ বন্ধু। ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত একজন। নিহত তরুণের নাম রিমঝিম (২০)। এ সময় অন্য আরো দুই তরুণ গুরুতর আহত হয়েছে। ২১ জানুয়ারি শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জেলা শহরের পুনিয়াউট এলাকার রেললাইনে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম।
রিমঝিম শহরের সরকার পাড়া এলাকার মনজু মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন : সরকারপাড়া এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে আরাফাত (২২) ও বাদশা মিয়ার ছেলে দিপু মিয়া (২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সহকারী উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, রাতে পুনিয়াউট এলাকায় তিন তরুণ ঢাকাগামী রেললাইনে বসে মোবাইল চাপছিলেন। তারা গভীর মনোযোগে মোবাইল ব্যবহার করায় দ্রুতগামী ট্রেন আসার বিষয়টি খেয়াল করতে পারেননি। এসময় তিন তরুণই ট্রেনে কাটা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে রিমঝিম মারা যায়। বাকী দুই তরুণের পা ও মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। হতাহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধভাবে রেলওয়ের জলাশয় বালু ফেলে ভরাটের দায়ে জব্দ করা ১৫ হাজার ঘনফুট বালু উম্মুক্ত নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। নিলামে ৮১ হাজার টাকায় এই বালু বিক্রি করা হয়।
গতকাল বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেনের উপস্থিতিতে এই উম্মুক্ত নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে রেলওয়ের জলাশয় অবৈধভাবে বালু ফেলে ভরাটের প্রতিবাদে গত রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার বড় হরণ লেবেল ক্রসিং এলাকায় মানববন্ধন করে এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।
সদর উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় লোকজন ও নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, বড়হরণ এলাকায় রেলের জলাশয় বালু ফেলে ভরাট করে ফেলে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। বিষয়টি জানতে পেরে গত সোমবার দুপুরে সেখানে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন।
এ সময় বালু ভরাটের কাছে ব্যবহৃত একটি ভেকু ও জলাশয়ে ফেলা সকল বালু জব্দ করা হয় এবং চার কার্যদিবসের মধ্যে জব্দ করা বালু নিলাম ডেকে বিক্রি করে জলাশয়কে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আনতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলমকে নির্দেশ দেন তিনি।
এসিল্যান্ডের নির্দেশে বুধবার বিকেলে নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে উম্মুক্ত নিলাম আহবান করেন ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম। সেসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন। নিলামে নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের পয়াগ নরসিংসার গ্রামের খলিলুর রহমান নামে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ মূল্য ৮১ হাজার টাকা ডাক তোলেন।
এ ব্যাপারে নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, ৮১হাজার টাকায় সর্বোচ্চ মূল্য উঠে উম্মুক্ত নিলামে। আগামী শনিবার থেকে ওই ব্যক্তির কাছে বালু বুঝিয়ে দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর আলোকে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বড়হরণ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
রেলওয়ের মালিকানাধীন একটি জলাশয় বালু ফেলে ভরাট করার অপরাধে একটি ভেকু ও ভরাট করা বালু জব্দ করা হয়। তিনি বলেন, এর আগেও গত ১৯ ফেব্রিয়ারি বালু ফেলে জলাশয় ভরাটের দায়ে বড় হরণে অভিযান চালিয়ে খননযন্ত্র জব্দসহ এক লাখ টাকা করিমানা করা হয়। তিনি বলেন, পরিবেশ আইনে জলাশয় কোনোভাবেই ভরাট করার সুযোগ নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ দেড় মাস পর স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে আইনজীবীরা আদালতের কার্যক্রমে অংশ নেন। বিচারপ্রার্থীরাও আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন। এতে আদালতের স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা আইনজীবী সমিতিতে অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় আইনজীবীরা আদালতে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন। তবে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালত বর্জন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা।
এদিকে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা) ছুটিতে থাকায় বিচার কাজ পরিচালনা করেন ট্রাইব্যুনাল -৩ এর বিচারক। ফলে সব আদালতের কার্যক্রমেই অংশ নিচ্ছেন আইনজীবীরা।
এদিন দুপুর ১২টায় জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগারকে তার এজলাসে বসে স্বাভাবিক বিচার কাজ পরিচালনা করতে দেখা গেছে। জেলা জজের এজলাসেও আইনজীবীদের স্বাভাবিক উপস্থিতি ছিল।
এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক ছুটিতে থাকায় ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) রবিউল আলম ট্রাইব্যুনাল -১ এর মামলাগুলো পরিচালনা করছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী সামসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সোমবারের বিশেষ সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনজীবীর আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সব আদালতের কার্যক্রমেই অংশ নিয়েছেন।
নতুন মামলা রুজু নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১ জানুয়ারি থেকে আইনজীবীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জন করতে থাকেন।পরে জেলা ও দায়রা জজ ও নারী এবং শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর অপসারণ এবং নাজির মোমিনুল ইসলামের বিচারের দাবিতে গত ৪ জানুয়ারি থেকে আইনজীবীরা দফায় দফায় আদালত বর্জন করেন।
পরে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দুটি আদালত ছাড়া অন্য সব আদালতের কার্যক্রমে অংশ নিতে থাকেন। এদিকে বেঁধে দেওয়া সময়ে আইনজীবীদের দাবি পূরণ না হওয়ায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সর্বাত্মক আদালত বর্জন কর্মসূচির ঘোষণা দেন আইনজীবীরা।
এতে হাজার হাজার বিচারপ্রার্থী চরম দুর্ভোগের শিকার হন। পরে গত ১২ ফেব্রুয়ারি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসে স্থানীয় এমপি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজ এর আয়োজনে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ আবদুল কবির তপন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইবনে আইন মারুফ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, কলেজের উদ্যোক্তা হারুন অর রশিদ, শাহীন মৃধা, শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।
কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মোট নয়টি স্টলে পাটিসাপটা, পাক্কন পিঠা, মাশরুম পিঠা, মালপোয়া, ভর্তা পিঠা, চকলেট ভেজিটেবল, তালের পিঠা, দুধ পলি, বিবিখানা পিঠা, বেøইড পিঠা, হৃদয় হরণ, গোলাপফুল পিঠা, চিতই, নারকেল পুলি, খাজা পিঠাসহ বিভিন্ন ধরনের ৫৪ জাতের পিঠা প্রদর্শন করা হয়। প্রতিটি স্টলে গড়ে ২২ থেকে ৫৪ ধরণের বাহারি পিঠা প্রদর্শন করা হয়।
পিঠা উৎসবে ঘুরে দেখা যায়, কলেজর নিচ তলায় চোখে পড়ে অর্কিড স্টল। সেখানে টেবিলে ৩০ ধরণের বাহারি পিঠা সাজানো হয়েছে। একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বৃষ্টি রানী দাস ও আফিফুল ইসলাম বলেন তারা ৩০ ধরণের পিঠা তৈরি করেছেন।
দ্বিতীয় তলায় বাটার কাপ স্টলের আকরাম মিয়া, সাইমা সরকার ও মারিয়া আক্তার বলেন, তারা ১১জন মিলে এই স্টল সাজিয়েছে। ২২ধরনের পিঠা রয়েছে তাদের স্টলে। বেলা ১১টা পর্যন্ত তারা ১ হাজার ৫০০ টাকার পিঠা বিক্রি করেছেন।
অপরাজিতা স্টলের সূবর্ণা আক্তার ছোঁয়া, বন্যা আক্তার ও জান্নাত আক্তার বলেন, তাদের স্টলে ৩৩ ধরণের পিঠা রয়েছে। সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তারা সাড়ে ৩ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন।
ফাল্গুনের পিঠা বিলাস স্টলের উম্মে মাইশা আফরিন, তাহসিন মিম, সাইফুল ইসলাম ও জেবুন্নেছা ইসলাম বলেন, আমরা ২২ধরণের পিঠা নিয়ে এসেছি। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার টাকা বিক্রি করেছি।
ক্যামেলিয়া স্টলের জান্নাতুল হাসান বলেন, ২৬ থেকে ২৭ ধরণের বাহারি পিঠা তাদের স্টলে রয়েছে। পৌনে ১২টা পর্যন্ত তারা ৫ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেছেন।
টিউলিপের স্টলে রয়েছে ২০ ধরণের পিঠা। লুবাবা আক্তার, মোঃ এমরান ও তানভীর সরকার বলেন, ১৬জন মিলে স্টল সাজিয়েছি। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত তারা ১ হাজার ৩০০ টাকার পিঠা বিক্রি করেছেন।
গ্রুপ বেলির স্টল সাজিয়েছে ১৬জন শিক্ষার্থী। মিনহাজুল হক, মানসুরা আক্তার ও তাসফিফা তাবাসসুম বলেন, ৫৪ ধরণের পিঠা রয়েছে তাদের স্টলে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা ১০ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেছেন।
উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল মামুন সরকার বলেন, পিঠা উৎসব এর আয়োজন দেখে শৈশবের কথা মনে পড়ে গেছে। মা-চাচিরা আগে এসব পিঠা বানাত। এখন আর সেই আমেজ নেই। আয়োজনে খুশি হয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের ২০হাজার টাকা দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, যেকোনো সভ্য জাতির প্রাণ হলো তার সংস্কৃতি। একটি জাতির বড় শক্তি হলো তার সংস্কৃতি। আমাদের খুবই শক্ত একটা সংস্কৃতি রয়েছে, যা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি।
আজ ২৭ এপ্রিল শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ এর এলটি রুমে ভাষা সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া আয়োজিত বৃত্তিপ্রদান, পুরষ্কার বিতরণী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশে নববর্ষ এখন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উদযাপিত হচ্ছে। আর এটা বর্তমান সরকারের আমলেই হয়েছে। তিনি বলেন, নববর্ষের যে অনুষ্ঠান তা বাঙালি সংস্কৃতির অনেক বড় একটা পরিচয়। ভাষা সাহিত্য ও অনুশীলন কেন্দ্রের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল সংস্কৃতি সংগঠরের ভালো কাজের সাথে আমি পাশে আছি থাকবো। এসময় তিনি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতির বিকাশে সহযোগিতা করতে বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর মোহাম্মদ আরিফ হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক এসআরএম ওসমান গণি সজিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম শফিকুল্লাহ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি গৃহায়ন গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরও বলেন, সংস্কৃতি চর্চায় কোনো মানুষ বিপদগামী হয় না। আর তাই আমাদেরকে বেশি করে সংস্কৃতি চর্চা করতে হবে। তিনি বলেন, ভাষা ও সাহিত্য একটি দেশের তথা ওই জাতির প্রাণ। আমাদেরকে সেই ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য কাজ করতে হবে। সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে তার গতিচাঞ্চল্য বাড়াতে কাজ করতে হবে। তিনি গর্বভরে বলেন, আমাদের সংস্কৃতি এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জায়গা করে নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন মেধাবি শিক্ষার্থীদের মাঝে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও প্রফেসর ফাহিমা খাতুন এর নামে প্রবর্তিত বৃত্তি হিসেবে ১০ হাজার টাকা মুল্যমানের চেক ও ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতি অঙ্গনে দীর্ঘ সময় ধরে ভুমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ প্রবীন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি আব্দুল মান্নান সরকারকে ভাষা সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্র পুরস্কার প্রদান করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে নগদ অর্থের ১০ হাজার টাকা মুল্যের একটি চেক এবং ক্রেষ্ট।
সংগঠনের সদস্যদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।