চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ১৪ মার্চ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তাদের মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও দাখিল করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলায় ৬টি সংসদীয় আসন। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়নের প্রত্যাশায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
প্রার্থীরা হলেন, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সদ্য সাবেক এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিসেস মিনারা বেগম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান ওরফে নাছিমা মুকাই আলী, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি শামীমা চৌধুরী বিথি, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য বিউটি কানিজ ওরফে এমবি কানিজ, নবীনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য অধ্যাপিকা নুরুন্নাহার বেগম, নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুমা বেগম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-(১) ফারহানা মিলি, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত তৌফিক আহমেদের ছোট ভাই পিপনের আহমেদের স্ত্রী সাবিহা হক মৌসুমী।
উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদ : শিউলী আজাদ সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় নেতা ও সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম. ইকবাল আজাদের স্ত্রী। দলীয় গ্রুপিংয়ের কারনে ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর সরাইল সদরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ইকবাল আজাদ ঘাতকদের হাতে খুন হন। এর পর থেকে শিউলী আজাদ রাজনীতিতে যোগদান করেন ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবারো তিনি প্রার্থী হয়েছেন।
মিনারা বেগম : মিনারা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। তিনি একজন রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা ছাড়া) হত্যাকান্ডের পর তিনি চরম প্রতিকূল পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ভ‚মিকা রাখেন। স্বৈরাচারি এরশাদ সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা তৎকালীন সরকারের ক্যাডার বাহিনীর দ্বারা বিভিন্নভাবে নাজেহাল হন। ওয়ান ইলেভেনের সময় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। তিনি বর্তমানে জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যনের দায়িত্ব পালন করছেন।
বিউটি কানিজ : বিউটি কানিজ বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য। তিনি ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতির সদস্য। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ঢাকা মহানগর) শাখার সাবেক সহ-সম্পাদক ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সাবেক শিক্ষা ও প্রক্ষিশন ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
শামীমা চৌধুরী বিথি : শামীমা চৌধুরী বিথি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি। তিনি ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমিতির সদস্য, তিনি ইডেন মহিলা কলেজ শাখার (১৯৯১-১৯৯২) সালে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত : অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি, সাপ্তাহিক গতিপথ’র সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখার সাবেক মহিলা সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
রুমা বেগম : রুমা বেগম নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র- সভাপতি। তিনি বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নাজির মিয়ার স্ত্রী। তার পিতা লে. গোলাম নূর নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রুমা বেগম ও তার স্বামী নাজির মিয়া দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
নাছিমা লুৎফুর রহমান ওরফে নাছিমা মুকাই আলী : নাছিমা লুৎফুর রহমান ওরফে নাছিমা মুকাই বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়নগর উপজেলায় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী লুৎফুর রহমান ওরফে মুকাই আলীর স্ত্রী।
সাবিহা হক মৌসুমী : সাবিহা হক মৌসুমী একজন শিক্ষানবিশ আইনজীবী। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত তৌফিক আহমেদের ছোট ভাই পিপন আহমেদের স্ত্রী।
নূরুন্নাহার বেগম : অধ্যাপিকা নূরুন্নাহার নবীনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক। তিনি জেলা পরিষদের সাবেক সংরক্ষিত আসনের সদস্য।
চলারপথে রিপোট
নাসিরনগরে জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষের বসতবাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের পূর্বভাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় নারীসহ ৪ জন আহত হয়।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় দুই বছর পূর্বে পূর্বভাগ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কাদির প্রতিবেশী শামসু মিয়ার কাছে ৭১শতক জায়গা বিক্রি করে। সেই জায়গা নিজেদের বলে দাবি করে শামসু মিয়ার চাচাত ভাই আঙ্গুর মিয়া। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন সময় বাকবিতন্ডা হয়। বিষয়টি শামসু মিয়া পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকতে বলে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় টহলরত পুলিশ ভুক্তভোগীদের বাড়িতে গেলে তাদের দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায় আঙ্গুর মিয়া ও তার লোকজন। পালাতে গিয়ে পায়ে আঘাত পায় আঙ্গুর মিয়ার ছোট ভাই রহিম মিয়া। পরবর্তীতে ঘটনার দিন রবিবার দুপুরে শামসু মিয়ার বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করে আঙ্গুর মিয়ার লোকজন। এসময় তারা নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারসহ চারটি গরু নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
জায়গার মালিক সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কাদির বলেন, প্রায় দুই বছর পূর্বে আমি শামসু মিয়ার কাছে জায়গাটি বিক্রি করি। কিন্তু আঙ্গুর মিয়া ও তার লোকজন জোর করে জায়গাটি দখল করতে চায়। এনিয়ে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করে আঙ্গুর মিয়ার লোকজন। হামলায় কয়েকজন আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে আঙ্গুর মিয়ার ভাতিজী তানিয়া আক্তার বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ করা হয়েছে সেটা সত্য নয়। রবিবার দুপুরে তারাই আমার চাচার ঘরে হামলা চালিয়েছে।
পূর্বভাগ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অবিদ মিয়া জানান, পুলিশ দেখে ভয়ে দৌড়ে পালাতে গিয়ে আঙ্গুর মিয়ার ছোট ভাই রহিম মিয়া পায়ে আঘাত পেয়েছে।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা বলেন, এব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে প্রতীক বরাদ্দের পর গণসংযোগে এসে গাড়িবহর নিয়ে সড়ক পথে নির্বাচনীর এলাকার আখাউড়া থেকে ছতুরা শরীফের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পথিমধ্যে মোগড়া এলাকায় পৌঁছার পর হঠাৎ দেখেন মন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে আছে একটি বেসরকারি কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। এসময় আইনমন্ত্রী গাড়িবহর থামিয়ে গাড়ি থেকে নেমে ছাত্রছাত্রীদের সাথে কুশল বিনিময় করে। ছাত্রছাত্রীরাও মন্ত্রীকে সামনাসামনি দেখতে বিস্মিত হয়। এসয় মন্ত্রী শিশু সুলভ ভঙ্গিমায় হাসিমুখে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের সকলকে আসসালামু আলাইকুম। ছাত্রছাত্রীরাও সালামের উত্তরে সমস্বরে বলে ‘ওয়ালাইকুম আসসালাম’। এসময় মন্ত্রী দু’হাত করজোড় করে বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাসের ৭ তারিখের সংসদ নির্বাচনে আমি কসবা-আখাউড়া আসনে আমি নৌকা মার্কার প্রার্থী। আমি তোমাদের কাছে ভোট ভিক্ষা চেয়ে গেলাম। যারা ভোটার হও নাই আমার জন্য দোয়া করো। এসময় উপস্থিত ছাত্রছাত্রীরা সম্মতি জানিয়ে চিৎকার করে বলতে থাকে ইনশাল্লাহ।
পরে তিনি মোগড়া বাজারে লোকজনের সাথে গণসংযোগ করেন। জনগণকে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়া আহবান জানান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. এ. মতিন, যুবলীরে যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল প্রমুখ।
এর আগে মন্ত্রী বেলা ১২টায় ঢাকা থেকে মহানগর প্রভাতী ট্রেনে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে এসে পৌঁছেন। এসময় ষ্টেশনে সহস্রাধিক আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীলা তাকে অভিনন্দন জানান। তিনি খড়মপুর মাজার ও তারাগন দরবার শরীফ জিয়ারত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কিছু ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বার বার আমাদের সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপর আঘাত করেছে।
তিনি আজ ১২ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন আয়োজিত জেলার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারে সদস্যদের সাথে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনে সাম্প্রদায়িক হামলার খবরে আমাদের হৃদয় যেন ছিড়ে গিয়েছিল। আমরা পবিত্র মাসে শপথ নিতে চাই, আর কোনো সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী যেন আমাদের স্মৃতি আমাদের গর্ব এবং অহংকারের জায়গাটিতে আর আঘাত করতে না পারে। আমরা ১৯৭২ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার জন্যে ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে জীবন দিয়েছেন। অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ও মানবিক বাংলাদেশ আমরা যেদিন বিনির্মান করতে পারবো সেই দিন এই রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবো।
ইফতার মাহফিলে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ইফতার মাহফিলে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য দোয়া চান।
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমানসহ প্রায় শতাধিক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারের সদস্য।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে চলাচলকারী ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি ও কর্ণফুলি ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ট্রেন দুটি এক থেকে দুই ঘন্টা বিলম্বে চলাচল করেছে।
আজ ১৪ মে মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কসবা স্টেশনে ও চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলি এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে আটকা পড়ে। তবে বিকল্প একাধিক লাইন থাকায় ওই সময়ে ট্রেন চলাচলে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কসবা এলাকায় পৌঁছলে ট্রেনের “গ”-বগি সংযোগ স্থলের নিচের দিকে হঠাৎ করে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ট্রেনটি কসবা স্টেশন এলাকায় থেমে যায়। পরে বিকল হওয়া “গ”-বগিটি বিচ্ছিন্ন করে ওই বগিটি কসবা স্টেশনে রেখে দুই ঘন্টা পর ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে কসবা স্টেশন ত্যাগ করে। অপর দিকে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে আটকা পরে। পরে ইঞ্জিন সচল হওয়ার পর দুপুর সোয়া ১টার দিকে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এ ব্যাপারে কসবা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সফিকুল ইসলাম জানান, বিকল হওয়ার পর দুই ঘন্টা বিলম্বে চট্টলা ট্রেনটি গ-বগি রেখে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। দীর্ঘক্ষণ বিলম্বের কারণে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশনে আটকা পরে। তবে ওই পথে বিকল্প একাধিক রেলপথ থাকায় ট্রেন চলাচলে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। পরে ১ঘন্টা বিলম্বের পর ট্রেনের ইঞ্জিনটি সচল হওয়ার পর দুপুর সোয়া ১টার দিকে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।