অনলাইন ডেস্ক :
নরসিংদীর নিজামুল হক (৫৪) নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে দাদা-নাতনি সম্পর্ক গড়ে তোলেন গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার এক নারী। এরপরই নিজামুলকে ডলার দেওয়ার কথা বলে তার সাড়ে ছয় লাখ টাকা হাতিয়ে নেন ওই রহস্যময়ী নারী। এ ঘটনায় প্রতারক চক্রের মূলহোতা শরিফুল ইসলামকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার কামাল হোসেন।
গ্রেফতার শরিফুল ইসলাম সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের মৃত গোলাম হোসেনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নরসিংদীর মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে নিজামুল হকের মোবাইল ফোনে প্রায় তিন মাস আগে এক অজ্ঞাতনামা নারী ফোন করে দাদা-নাতনির সম্পর্ক সৃষ্টি করেন। এরপর ওই নারী নিজের দারিদ্রতার কথা বলে জানান – তার কাছে কিছু আমেরিকান ডলার আছে। তিনি এগুলো নিজামুল হককে দেওয়ার প্রস্তাব করেন। এরপর নিজামুল ১৩ জানুয়ারি ব্যবসার কাজে রংপুর এলে ওই নারীর অনুরোধে সাদুল্লাপুরে আসেন এবং তার বাড়িতে যান। সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষে ওই নারী তার পিতা হিসেবে একজনকে পরিচয় করিয়ে দেন।
একপর্যায়ে একটি ব্যাগে করে প্রায় এক হাজার পিস আমেরিকান ডলার তাকে দেখান এবং বলেন যে এখানে আট হাজার ডলার আছে। এই ডলারগুলো নিজামুলকে নিয়ে তাদেরকে সাত লাখ টাকা দিতে বলেন তিনি। তবে ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির কাছে টাকা না থাকায় তিনি বাড়িতে ফিরে যান। এরপর থেকে ওই নারী বিভিন্ন সময় ফোন করে তাকে আমেরিকান ডলারগুলো ক্রয় করার জন্য অনুনয়-বিনয় করে বিরক্ত করতে থাকেন।
এ অবস্থায় ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে সাড়ে ছয় লাখ টাকা নিয়ে নিজামুল তার মেয়ের জামাইসহ নরসিংদী থেকে রংপুরে আসেন। তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রম করার পর সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট বাজারের চতরাগামী পাকা রাস্তার পাশে পৌঁছালে ওই নারী নিজামুলকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে যান। এরপর অনেকগুলো লোকের সামনে ডলারের বিনিময়ে তার থেকে ছয় লাখ টাকা নেন। পরে নিজামুলকে ওই নারীর সহযোগীরা মোটরসাইকেলে উঠিয়ে ধাপেরহাট বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে দেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি গাড়িযোগে নরসিংদীতে চলে যান। কিন্তু, পরে তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারণার শিকার। তখন তিনি সাদুল্লাপুর থানায় এজাহার দাখিল করেন।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সাদুল্লাপুর থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে বাদীর লুণ্ঠিত পাঁচ লাখ টাকা, অপরাধ কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, চার্জারভ্যান ও নকল ডলার উদ্ধার করেন। ওই সময় প্রতারক চক্রের মূলহোতা শরিফুল ইসলাম গ্রেফতার হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে আজ ৩ জানুয়ারি বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাষন দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিকেল ৩টায় স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিতব্য জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি ভাষন দেবেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষন উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা আওয়ামীলীগ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পৌর সভার সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বিকেল ৩টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী জনসভা করতে আমরা ইতিমধ্যেই অনুমতি নিয়েছি। জনসভা সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী বলেন, দুপুর ২টা থেকে নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভা শুরু হবে। বিকেল ৩টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনসভায় দলের প্রার্থীদের কথা বলবেন এবং বিশেষ করে উন্নয়নের কথা তিনি অবশ্যই বলবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ যাতে শান্তিতে থাকতে পারেন আইন-শৃংখলার কথা বলবেন।
তিনি বলেন, জনসভাকে সফল করতে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। জনসভায় দলীয় প্রার্থীদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জনসভায় ১৫/২০ হাজার লোকের জনসমাগম হবে বলে তিনি জানান।
চলারপথে রিপোর্ট :
ময়মনসিংহের ভালুকায় ডাকাতির প্রস্তুতির সময় একটি পিকআপ ভ্যান ও দেশীয় অস্ত্রসহ ৯ ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ। ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার মেহেরাবাড়ির জিঞ্জিরা মাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী গ্রামের আশরাফ আলী আশুর ছেলে মাজাহারুল ইসলাম (৪৫) ও মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে রুবেল মিয়া (২৫), ত্রিশাল উপজেলার গুজিয়াম গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে আফজাল মিয়া (২৯), মোক্ষপুর গ্রামের আকবর সরদারের ছেলে রিফাত সরদার (২৫) ও মৃত শাহাব উদ্দীনের ছেলে রিয়াদ মিয়া (৪৫), সানকিভাঙা এলাকার মৃত মকবুল ঘটকের ছেলে নাজমুল হক (২৮), গৌরীপুর উপজেলার চুরালী এলাকার কিতাব আলী কেদু মিয়ার ছেলে শামীম (২৫), শ্রীপুর উপজেলার মোলাইদ মধ্যপাড়া এলাকার আউয়ালের ছেলে সোলাইমান (২৮) এবং নেত্রকোনার বারহাট্টা দেওলী এলাকার অছিল উদ্দিনের ছেলে শামীম (৩৪)।
গফরগাঁও সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরোজা নাজনীন জানান, তারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘদিন যাবত তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করে আসছিলো।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান, ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ৯ জনকে আটক করতে পারলেও দৌঁড়ে পালিয়ে যায় আরও ৭ জন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি নীল রঙের পিকআপ ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বুধবার সকালে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রেমের ফাঁদে ফেলে কৌশলে স্কুল-কলেজের ছাত্রীসহ নারীদের অশ্লীল ভিডিও চিত্র ধারণ ও পরে তা নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে মারুফ হোসেন বাপ্পী (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১৩ জানুয়ারি শনিবার সাতক্ষীরায় শহরের মুনজিতপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে দুটি স্মার্ট ফোন ও একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা জব্দ করা হয়।
আটক মারুফ হোসেন বাপ্পী (২৬) মুনজিতপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, শহরের নারকেলতলা এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন তল্লাশি করে দেখা যায়, তার কাছে একাধিক নারীর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও রয়েছে।
পুলিশ পরিদর্শক আরো বলেন, অল্প বয়সী মেয়েদের টার্গেট করতেন মারুফ। ঢাকার একটি বেসরকারি কলেজে বিবিএ অধ্যয়নরত হলেও নিজেকে ডাক্তার বলে পরিচয় দিয়ে কৌশলে মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলতেন মারুফ। এক পর্যায়ে অশ্লীল ভিডিও চিত্র ধারণ করে এবং সেই ভিডিও নিয়ে প্রতারণা করতেন।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতার মারুফকে আদালতে পাঠানো হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৭ মে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের এই দিনে দেশে ফেরেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নৃশংসভাবে নিহত হওয়ার সময় শেখ হাসিনা ছিলেন জার্মানিতে তার স্বামীর কাছে। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানাও। এ কারণে ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা। পরবর্তী সময়ে তাদের ঠাঁই হয় প্রতিবেশী ভারতে। এক পর্যায়ে শেখ রেহানা লন্ডনে চলে যান। আর ভারতের নয়াদিল্লিতে নির্বাসিত জীবন কাটে শেখ হাসিনার। সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ ভূমিতে ফেরেন শেখ হাসিনা। ততদিনে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তার স্বদেশে ফেরার ওইদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। তুমুল বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে একনজর দেখার জন্য বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর এলাকা জুড়ে ঢল নামে মানুষের। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’ স্লোগানে মুখরিত হয় ঢাকা। জনতার কণ্ঠে বজ নিনাদে সেদিন ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃ হত্যার বদলা নেব’; ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথে।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু হয়। বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমন প্রতিকূল সময় ওই বছর (১৯৮১) সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তিনি দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। এ অবস্থায় তিনি সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে নিজের দেশের মাটিতে পা রাখেন।
কিন্তু দেশে ফেরার পর শেখ হাসিনার পথ মসৃণ ছিল না। নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে তাকে আজকের অবস্থানে আসতে হয়েছে। ৪৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনে তিনি টানা চতুর্থবারসহ পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার দৃঢ়তায় বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। এখন তিনি জাতির পিতার আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ সব প্রতিকূলতা এবং দুর্যোগ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ঈদ উপলক্ষে সাভারের সড়কগুলোতে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। আজ ২৭ জুন মঙ্গলবার রাত ৮টার পর নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে চক্রবর্তী পর্যন্ত অন্তত ১২ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। যেখানে থেমে থেমে চলছে যানবাহন।
এদিকে, অন্যবারের মতো এবারও যাত্রীদের অভিযোগ, গন্তব্যে পৌঁছাতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের পোশাককারখানা ছুটি হওয়ায় বিকেলে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকায় জড়ো হন উত্তরবঙ্গের যাত্রীরা। পারিবার-পরিজন নিয়ে যাত্রীবাহী বাসে চড়েন কেউ কেউ। কেউ আবার বাস না পেয়ে চড়ে বসেছেন মালবাহী ট্রাকে। তাতেও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
শুধু বাইপাইল নয়, যানবাহনের দীর্ঘ সাড়ির সঙ্গে এমন চিত্র ছিল ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিন বাজার, হেমায়েতপুর, সাভার বাসস্ট্যান্ড, নবীনগর, নয়ারহাট আর আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কের আশুলিয়া, জিরাবো, জামগড়া পয়েন্টেও।
বগুড়াগামী যাত্রী ইলিয়াস রুমেল ও সামসুল জানান, সরকারের বেধে দেয়াও ভাড়া কেউ মানছে না। যে যেভাবে পারছে ভাড়া হাঁকাচ্ছে। অসহায় হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা। কেউ কেউ ভাড়ার দাপটের কারণে ঝুঁকি নিয়ে চড়ে বসছেন ট্রাকে।
ঢাকার গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা শ্যমলী পরিবহনের চালক শাহজালাল বলেন, রাজধানী থেকে বের হতে কিছুটা যানবাহনের চাপ ছিল। এছাড়া বাইপাইলে কিছুটা আর চন্দ্রা ঢুকতে যানবাহনের জটলায় পড়তে হয়েছে। তবে কোথাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়নি।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সড়কগুলোর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু তাই নয় কোথাও যানজটের খবর পেলেই মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন।
ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই) জাহিদুল ইসলাম বলেন, সড়কের যানজট নিয়ন্ত্রণ রাখতে আমরা চেষ্টা করছি। বাড়তি ভাড়ার কেউ অভিযোগ করলে সেটা আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।